অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের দুই বছরের আগ্রাসনের পর নতুন করে গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেই স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। আড়াই মাসের বেশি এ সময়ে ৪০০’র বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলিরা। এতে দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭১ হাজার।
শনিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আগের ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় চারজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। এছাড়া আগের হামলায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ১১ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪১৪ ও আহত এক হাজার ১৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মোট ৬৭৯ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট ৭১ হাজার ২৬৬ জন নিহত এবং এক লাখ ৭১ হাজার ২১৯ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, শনিবার অবরুদ্ধ উপত্যকার বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার খবরে জানানো হয়, ইসরাইলি বাহিনী গাজা শহর, জাবালিয়া ও খান ইউনুসে বিমান হামলা চালিয়েছে। এছাড়া মধ্য গাজার মাগাজি ও নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে কামানের গোলাবর্ষণ করেছে ইসরাইলিরা। অপরদিকে গাজা শহরের উপকূলে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরাইলি নৌবাহিনী গুলি চালিয়েছে।
গাজায় হামলার সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। ওয়াফার খবরে জানানো হয়, ইসরাইলি সেনারা জেনিনের দক্ষিণে কাবাতিয়া গ্রামে শনিবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। অভিযানের সময় কয়েকটি বাড়িকে মিলিটারি চেকপোস্টে পরিবর্তিত করে তারা। এছাড়া গ্রামের স্কুলকে সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তর করে তারা। অভিযানের সময় বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে ইসরাইলি সেনারা। এছাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন কেটে দেয় তারা।
এর আগে শুক্রবার নাবলুসে একদল ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি আহত হন। এছাড়া হেবরনের কাছে ইয়াত্তা ও বাইত উম্মার গ্রাম থেকে এক নারী, এক বৃদ্ধ ও চার শিশুসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে আটক করে ইসরাইলি সেনারা।
রিপোর্টার 























