Category: শ্যামনগর
-

শ্যামনগরে স্মার্ট হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, বেসরকারি ক্লিনিক ও হোটেলে জরিমানা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ও মান নিশ্চিত করতে স্মার্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে সহায়তা করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।অভিযানকালে স্মার্ট হসপিটালের বিভিন্ন লাইসেন্স, অনুমোদনপত্র, চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত নথিপত্র ও কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হয়। একইসঙ্গে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মান পর্যবেক্ষণ করেন কর্মকর্তারা। সঠিক কাগজপত্র ও যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।শুধু স্মার্ট হসপিটাল নয়, এদিন উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক, ওষুধের দোকান, খাবার হোটেল ও বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা করা হয়।শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ‘মায়ের দোয়া হোটেল’ ও ‘বাংলালিংক হোটেল’কে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে সতর্কতামূলকভাবে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া বাজারের কয়েকটি খাবার হোটেলকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তিন দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।এ সময় অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অভিযানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে জনস্বাস্থ্য ও নিরাপদ চিকিৎসা সেবার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনিয়ম রোধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান তুলে ধরা হয়। -

আসনের সীমানা পরিবর্তনে বৈষম্যের শিকার আশাশুনি-শ্যামনগরের মানুষ
সাতক্ষীরার দুটি সংসদীয় আসন পুনর্ববিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক খসড়া গেজেট প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈষম্যের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে তারা প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আসন বিন্যাসের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে আসন বিন্যাসের খবর জানার পরপরই বুধবার রাতে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়। একই সাথে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আশাশুনি উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে উপজেলা বিএনপি।
সাতক্ষীরা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর উত্তরে যশোর, পূর্বে খুলনা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধে ভরপুর এ জেলা। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা গঠিত হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে ১টি আসন বিলুপ্ত করে, করা হয় ৪টি আসন। যা এই অঞ্চলের সঙ্গে বৈষম্য এবং মানুষের মধ্যে একটি ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ফের সাতক্ষীরার দুটি আসন বিন্যাসের খবরে নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ডক্টর মনিরুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে আমরা প্রয়োজনে শ্যামনগরের সর্বস্তরের জনসাধারণকে সাথে নিয়ে শ্যামনগর থেকে ঢাকা পর্যন্ত লং মার্চ করব।
শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির বলেন, আমরা এই আসন বিন্যাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনারের গেজেট বাতিল করে পূর্বের আসন বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত আমরা মানবো না। কেননা শ্যামনগরের সাথে আশাশুনি উপজেলার কোন যোগাযোগ নেই। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব। এছাড়া নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছি।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমির তারিকুজ্জামান তুষার বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এই আসন বিন্যাসের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবি আশাশুনিকে পূর্বের মতো আলাদা একটি আসন করে ৫ টি সংসদীয় আসন করা হোক। আশাশুনির সাথে শ্যামনগরকে নিয়ে আসন বিন্যাস আমরা মানব না। আমরা এ বিষয় নির্বাচন কমিশনের দ্রুত অভিযোগ করব।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিভিন্ন জেলায় পরিবর্তন এনে বুধবার (৩০ জুলাই) সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে সরকার। কিন্তু সেখানে আবারও সাতক্ষীরার মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।
শ্যামনগর দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি জনপদ। একইভাবে আশাশুনিও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি উপজেলা। দুটি উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান বা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। উপজেলা দুটির মানুষও কখন এমন আসন বিন্যাসের কথা চিন্তা করেনি। এখানে দুটি আলাদা সংসদীয় আসন অতিব জরুরি।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক প্রতিটি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সাতক্ষীরার মানুষ সবসময় সামনের কাতারে থেকেছে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের এই আত্মত্যাগ ও অবদানের মধ্যে ইতিহাসে সামনের পাতায় থাকবে সাতক্ষীরা। তাই ৪টি নয় ৫টি সংসদীয় আসন চায় সাতক্ষীরাবাসী। এটি এ অঞ্চলের প্রাণের দাবি।
সাতক্ষীরার ৪টা আসনের মধ্যে তালা-কলারোয়া (১), সদর (২) আসন সীমানা নিয়ে কারোরই কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বিপত্তি, ৩ এবং ৪ আসন নিয়ে। এই দুই আসনের সীমানা পরিবর্তন করে ৩টি আসন করা যায়। যেমনটি সাতক্ষীরার শুরু থেকে হয়ে আসছিল। ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণতা এবং জনসংখ্যা বিবেচনায় সাতক্ষীরায় ৫টি সংসদীয় আসন করার জোর দাবি জানায়।
কারণ, আসনের সীমানা পরিবর্তন করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে সাতক্ষীরার মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এই বৈষম্য দূর করে, এই মজলুম জনপদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি সকলের। সাতক্ষীরার মানুষ প্রত্যাশা করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন আসন বন্টনের খসড়া পুনঃ বিবেচনা করবে। সেই সাথে সাতক্ষীরায় ৫টি সংসদীয় আসন করে সীমানা নির্ধারণ করবে।
-

গুমানতলী কামিল মাদ্রাসায় জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুমানতলী কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৫”। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর পরপর শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা—বিতর্ক, উপস্থাপনা, বক্তব্য প্রদান ও কবিতা আবৃত্তি। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের করণীয় বিষয়ক বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য ও উপস্থাপনা তুলে ধরে।বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষে দলের নেতৃত্ব দেন গুমানতলী কামিল মাদ্রাসার ছাত্র এবিএম কাইয়ুম রাজ। যুক্তিভিত্তিক উপস্থাপনা, দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও বাস্তবমুখী বিশ্লেষণের জন্য তিনি বিচারকমণ্ডলীর বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেন এবং তার দল বিতর্কে প্রথম স্থান লাভ করে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন আর কল্পনার বিষয় নয়—এটি বাস্তব। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করাই আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই আয়োজনের মাধ্যমে সেই দায়িত্ব কিছুটা হলেও আমরা পালন করতে পারছি।”তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমন সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাদ্রাসার শিক্ষক আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।সকালব্যাপী এই শিক্ষামূলক আয়োজনটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, পরিবেশ সচেতনতা এবং উপস্থাপনাশৈলী সকলের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। আয়োজনটি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন অনেকে। -

খুলনার ভিডিও নিয়ে শ্যামনগরে চিকিৎসকদের নামে অপপ্রচার
খুলনার একটি পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি দালালচক্র। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো এই ভুয়া ভিডিওকে ঘিরে চিকিৎসকদের মানহানি ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি শ্যামনগরকেন্দ্রিক কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে “নারী ও মাদকসহ চিকিৎসক আটক” শিরোনামে একটি ভিডিও ছড়ানো হয়। এতে দাবি করা হয়, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসককে নারী ও মাদকের সঙ্গে আটক করা হয়েছে। ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তবে সরেজমিনে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন কোনো ঘটনা সেখানে কখনো ঘটেনি। হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন বলেও তারা দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমার নজরে এসেছে যে কিছু ফেসবুক পেজ থেকে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের হাসপাতালে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই হাসপাতাল বহুদিন ধরে সুন্দরবনসংলগ্ন দুর্গম এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নিবেদিতভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, স্বার্থান্বেষী একটি মহল হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এই অপপ্রচারে লিপ্ত। আমরা এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
প্রকাশিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেটি ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতাল—খুলনা হেলথ গার্ডেনের। সেদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানের ভিডিওটি ধারণ করা হয়। তবে সেই ঘটনায়ও কোনো চিকিৎসকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।আদালতের নথি অনুযায়ী, ঐ ঘটনার মামলা এখনো খুলনায় বিচারাধীন রয়েছে এবং অভিযুক্তদের তালিকায় কোনো চিকিৎসকের নাম নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসপাতাল ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলা অসাধু সার্টিফিকেট বাণিজ্য ও দালালচক্র এই ভুয়া ভিডিওকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে। স্থানীয় সচেতন মহল এই অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
-

ধুমঘাটে হাঁসার খাল উন্মুক্তের দাবিতে এলাকাবাসীর আন্দোলন
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট গ্রামের বাসিন্দারা হাঁসার খাল উন্মুক্ত করার দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে খালটি ইজারার আওতায় থাকায় তারা ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়দের দাবি, খালটি ইজারার পর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষিকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রোপা আমনের মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে পানি জমে ধানগাছ পচে যায়, ফলে ফসলহানি ঘটে এবং কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।এছাড়া খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ এবং নেট-পাটা বসিয়ে পানি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষ হাঁস পালন, গবাদি পশু ধোয়া বা খালে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না। কেউ নামলে তাকে ‘চুরি’ কিংবা ‘অনধিকার প্রবেশ’-এর অভিযোগে হেনস্তা করা হয়।মৎস্যচাষিরাও জানান, অতিবৃষ্টির সময়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মাছের ঘের ডুবে গিয়ে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। খালের পাশে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বেড়া দিয়ে সবজি চাষ করায় পথচলতেও বিঘ্ন ঘটছে। অভিযোগ করলে সাধারণ মানুষকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় খালটি ইজারা নিয়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় তা হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পেছনে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি তাদের। প্রতিবাদ করলেই হুমকি-ধমকির শিকার হতে হয়।এই ইস্যুতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এলাকাবাসীর পক্ষ নিয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইজুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শ্যামল কুমার মন্ডল এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাল উন্মুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের দাবি, খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করে দ্রুত কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।আন্দোলনকারীদের স্লোগান— “স্বাধীন দেশে শাসন নয়, চাই স্বাধীনতা। হাঁসার খাল জনগণের, এটা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিন।” -

শ্যামনগরে বজ্রপাতে মৎস্য চাষীর মৃত্যু
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে সুভাষ মালো (৪০) নামে এক মৎস্য চাষীর মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ৭টায় উপজেলার চিংড়িখালিতে ঘেরে মাছ ধরার সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।সুভাষ মালো (৪০) জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের শিবপদ মালোর ছেলে।স্থানীয় আব্দুর রউফ জানান, সুভাষ মালো চিংড়াখালি গ্রামে ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ করতো। প্রতিদিন রতনপুর থেকে চিংড়াখালি এসে সকালে মাছ কেনা বেচা করে বাসায় চলে যেত। আজ সকালে ঘেরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, লোক মুখে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। -

কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিঞ্চী গ্রামের প্রধান সড়কটি বছরের পর বছর কাঁচা অবস্থাতেই রয়ে গেছে। এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু বর্ষা এলেই রাস্তাটি হয়ে ওঠে দুর্ভোগের প্রতীক। হাঁটু সমান কাদা ও জলাবদ্ধতা পেরিয়ে চলতে হয় তাদের।স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তায় হেঁটে চলাও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কোনো রোগী অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স তো দূরের কথা, সাধারণ যানবাহনও আসতে পারে না। অনেক সময় বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের খাটিয়ায় করে গ্রামের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।শুধু রোগী পরিবহন নয়, কালিঞ্চীর শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই কাঁচা রাস্তা দিয়েই বিদ্যালয়ে যায়। তবে বর্ষাকালে রাস্তাটি এতটাই কর্দমাক্ত থাকে যে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে তাদের পড়াশোনায় চরম ব্যাঘাত ঘটে।
গ্রামের কৃষকরাও এই রাস্তার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। ধান, সবজি কিংবা মাছ বিক্রি করতে সময়মতো বাজারে পৌঁছানো যায় না। কাদা-পানির জন্য যানবাহন ঢুকতে না পারায় উৎপাদিত পণ্য মাঠেই নষ্ট হয়ে যায় বা অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয়।স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাকা সড়কের দাবি জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোনো বাস্তব উন্নয়ন হয়নি। ফলে দিন দিন জনমনে হতাশা বাড়ছে।এলাকাবাসী মনে করেন, একটি পাকা সড়ক শুধু চলাচলের সুবিধাই দেবে না, এটি বদলে দিতে পারে একটি পুরো এলাকার জীবনমান। শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি পাকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে তারা দ্রুত এই সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।তাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সদিচ্ছায় শিগগিরই কালিঞ্চী গ্রামের মানুষও পাবে একটি নিরাপদ ও টেকসই সড়ক, যা তাদের জীবনে আনবে স্বস্তি ও স্থিতি। -

শ্যামনগরের মানিকখালী-রমজাননগর সড়কের কালভার্টে বেহাল দশা, চলাচলে ঝুঁকি
সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের মানিকখালী-রমজাননগর মেইন সড়কে হারু গায়েনের বাড়ির সংলগ্ন কালভার্টটির উপরে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে কালভার্টটির ওপর অংশ ভেঙে পড়া অবস্থায় রয়েছে। কখনও কখনও অস্থায়ীভাবে সংস্কার করা হলেও তা স্থায়ী হয় না। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্টটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও পানির প্রবল চাপে এর ভাঙন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।স্থানীয় বাসিন্দা শিবপদ গায়েন, বাঞ্চারাম মন্ডল, শৌলেন্দ্র নাথ সরকার, অবনি চন্দ্র মৃধা, নিরাপদ মন্ডল ও নিতাই পদ গায়েন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টটির ওপর নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।এ বিষয়ে শ্যামনগর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। রমজাননগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ লাল্টুও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।এলাকাবাসী কালভার্টটির দ্রুত সংস্কারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

সোরা দক্ষিণ পাড়ার মেইন রাস্তা পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ, সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ সংলগ্ন প্রধান সড়কটি বছরের পর বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এবছরও রাস্তাটি রীতিমতো পুকুরে পরিণত হয়েছে। অথচ এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা।সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় পাশ্ববর্তী কাঁচা ঘরবাড়ি, ফলজ গাছ, কৃষিজমি, এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল-মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী ও পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়েই বাইসাইকেল ও মোটরযান চলাচল করছে।স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলমগীর মোল্যা, ফেরদাউস হোসেন, মিজানুর রহমান, হাতেম ও রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর ঈদগাহ, মসজিদ মাঠ, কবরস্থান ও বাড়ির আঙিনায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। লক্ষাধিক টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়, তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার জানানো হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি।তারা জানান, একটি পাইপ স্থাপন করে বৃষ্টির পানি পাশের মাদার নদীতে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রিন্স রেজা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। -

অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের সময় ৩ সন্তানসহ গৃহবধু আটক
সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে ফেরার সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী সীমান্ত থেকে তিন সন্তানসহ সাজিদা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর রাত তিনটার দিকে উপজেলার উত্তর কৈখালী এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশের সময় ১৭ বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।
সাজিদার সাথে আটক তার তিন সন্তান হলো সাইফুল ইসলাম (১৭) পরান ইসলাম (১২) ও ছোট (৫)। তারা সকলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মৃত রেজাউল করিমের পরিবারের সদস্য।
১৭ বিজিবি নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের পরানপুর (বিওপি) সদস্য হাবিলদার আকরাম হোসেন বলেন, রাত তিনটার দিকে পরানপুর (বিওপি) ক্যাম্প থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিনে ভারত-বাংলাদেশের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিন্দী নদী দিয়ে ওই চার বাংলাদেশি দেশে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে শুক্রবার রাতে শ্যামনগর থানা-পুলিশের কাছে ওই চারজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন ওই নারীর সন্তান।
আটককৃত সাজিদা খাতুনের বলেন, জীবিকার তাগিদে দালালদের সহায়তায় তার স্বামী রেজাউল করিমসহ তারা চার/পাঁচ বছর আগে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর থেকে তারা সেখানে অবস্থান করে আসছিল। সেইখানে বসবাস কালীন সময়ে তার (সাজিদার) স্বামী রেজাউল করিম মৃত্যুবরণ করে। এরপর থেকে সেখানে তাদের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হওয়ায় তারা পুনরায় ভারতীয় দালালের মাধ্যমে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। ফেরার পথে কালিন্দী নদী থেকে আজ ভোর রাত তিনটার দিকে বিজিবি তাদের আটক করে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, বিজিবির হাতে আটক ওই চার ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
-

শ্যামনগরে সাপের কামড়ে ঘের মালিকের মৃত্যু
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিষধর সাপের কামড়ে এক ঘের মালিকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৮ জুন রাত ১২টার দিকে সাপে কামড়ানোর পর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত ঘের মালিকের নাম মো. আফসার আলী গাইন (৫২)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদচন্ডিপুর গ্রামের মৃত রজব আলী গাইনের ছেলে।
নিহতের ভায়রা মুকুল হোসেন জানান, আফসার আলী গাইন গত ২৪ জুন রাতে আবাদচন্ডিপুর গ্রামে তার মাছের ঘের পাহারা দিতে যান। রাত ১২টার দিকে ঘেরের বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ের পাতা কামড় দেয়। এ সময় দ্রুত বাড়িতে যাওয়ার পর ওই রাতেই তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।
-

শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
৩০ শে জুন রোজ সোমবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের এর অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিগত ছয় মাসে জলবায়ু সহনশীল কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয় এবং পরবর্তী ছয় মাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে খরা, লবণাক্ততা ও বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়গুলো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি ডাঃ আব্দুর সবুর। যিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বাস্তবতা। তাই স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রেক্সোনা পারভীন, এস এম কাম্রুল ইসলাম, মো: আইয়ুব আলী,মুজিবর সরদার, লিডার্সের মনিটরিং কর্মকর্তা জয়দেব জোদ্দার, এডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক সহ আরো অনেকে।
সভায় ফোরামের সদস্যরা নারীর দৃষ্টিভঙ্গিতে জলবায়ু অভিযোজন ও স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অভিযোজন পরিকল্পনার কাঠামো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ফোরামের সদস্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি খসড়া অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও লবণাক্ত জমিতে সহনশীল ফসল চাষে সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
এই অর্ধ-বার্ষিক সভার মাধ্যমে ফোরামের সদস্যরা জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
-

শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠে জলবায়ু পরিকল্পনা
২৮ জুন ২০২৫ রোজ শনিবার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে ফোরামের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন এবং প্রান্তিক জনগণের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও চাহিদার আলোকে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি আব্দুর রশিদ গাজী। অর্ধ বার্ষিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি ববিতা রানী মন্ডল, সম্পাদক তপন কুমার মন্ডল, কৃষি সম্পাদক সুজিত মন্ডল, ফোরামের অন্যান্য নারী প্রতিনিধি, কৃষক প্রতিনিধি, লিডার্সের মনিটরিং কর্মকর্তা জয়দেব জোদ্দার, এডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক সহ আরো অনেকে। সদস্যরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষ বারবার দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে—বিশেষ করে নদীভাঙন, অতিবৃষ্টি ও খরার প্রভাব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করছে। সভায় তারা নারীর দৃষ্টিভঙ্গিতে জলবায়ু অভিযোজন ও স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অভিযোজন পরিকল্পনার কাঠামো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ফোরামের সদস্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি খসড়া অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সভা শেষে সভাপতি বলেন, “এই ফোরামের লক্ষ্যই হচ্ছে প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠস্বর নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত করা।” এই অর্ধ-বার্ষিক সভাটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় একটি অংশগ্রহণমূলক ও অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসিত হয়।
-

শ্যামনগরের গাবুরাতে জলবায়ু সহনশীলতা নিয়ে ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শ্যামগরের গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল দল এর অর্ধ-বার্ষিক সভা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জলবায়ু সহনশীল ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিগত ছয় মাসে জলবায়ু সহনশীল কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয় এবং পরবর্তী ছয় মাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে খরা, লবণাক্ততা ও বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়গুলো।
সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি শেখ আমির হোসেন। যিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বাস্তবতা। তাই স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: হাবিবুল্লাহ বাহার, অধিপরামর্শ সম্পাদক মো: রাশেদ গাজী, নির্বাহী সদস্য মনোয়ারা খাতুন সহ আরো অনেকে। তারা লবণাক্ত জমিতে সহনশীল ফসল চাষে সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
এই অর্ধ-বার্ষিক সভার মাধ্যমে ফোরামের সদস্যরা জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
-

শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে নারীদের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সক্রিয় নাগরিকত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ ও ২৪ জুন ২০২৫ তারিখ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প অফিসে দুই দিনব্যাপী উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণের সভাপতি ও প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলিমা রানী, সহকারি প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুইজন কমিউনিটি অর্গানাইজার ইউরিদা আফরিন ও মেহেরুন ফেরদৌস । আরও উপস্থিত ছিলেন সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ, প্রশিক্ষণ টিতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্পের নারী দলের মোট ২০ জন সদস্য প্রমূখ।
প্রশিক্ষণটির উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় এলাকায় অবহেলিত নারীদের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সমাজ সেবায় অবদান রাখতে পারা।
প্রশিক্ষণ শেষে যমুনা রানী বলেন, উক্ত প্রশিক্ষণটি পেয়ে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমি আগে নেতৃত্ব কিভাবে দিতে হয়, নেতৃত্বের প্রকারভেদ আছে এগুলো বুঝতাম না সেগুলো সম্পর্কে এই দুইদিনে আমি জানতে পেরেছি। আশা করি আমিও নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
দীপা মিস্ত্রি বলেন, আমি মানব কল্যাণ নামে একটা ফোরাম এর কোষাধ্যক্ষ কিন্তু নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এমনকি কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সম্পর্কেও আমার তেমন জ্ঞান ছিল না। উক্ত প্রশিক্ষণটি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।এই প্রশিক্ষণটি কাজে লাগিয়ে আমার ফোরাম কে আরো উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবো। এ ধরণের সহযোগিতা করার জন্য সিসডিবি-এনগেজ প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
-

নওয়াবেঁকী কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত ছয় সদস্যের কমিটির চারজনের পদত্যাগ
শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত ছয় সদস্যের কমিটির মধ্যে দুই নারী নেত্রীসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক এক প্রভাবশালী নেতার হস্তক্ষেপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের পরিবারের সদস্যদের কমিটিতে রাখার অভিযোগ তুলে তারা পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন, নওয়াবেঁকী মাহবিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভেজ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমান আকিব লাবিব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা খাতুন এবং ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদিকা তানিয়া সুলতানা জীম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির অনুমোদিত ছয় সদস্যের কমিটিতে আতিকুর রহমান আলিফকে সভাপতি, পারভেজ ইসলামকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাসনাঈন হাসান তামিমকে সাধারণ সম্পাদক, হোসনেয়ারা খাতুনকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আলমান আকিব লাবিবকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও তানিয়া সুলতানা জীমকে ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক করা হয়।
জানা যায়, কমিটি ঘোষণার একদিন পর কমিটিতে থাকা দুই নারী নেত্রীসহ চারজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি সম্পাদক বরাবর লিখিত পত্রে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এছাড়া শনিবার বেলা ১১টায় কলেজের সামনে পদত্যাগ করা চারজনসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
পদত্যাগকারী নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়, নির্যাতিত এবং ছাত্রদলের আদর্শিক কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সাবেক নেতার হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে পক্ষপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, যেসব ব্যক্তিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং রাজনীতির মাঠে সক্রিয় নন।
লিখিত পদত্যাগপত্রে সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভেজ ইসলাম বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী পরিবারের সন্তান। আমাদের রাজনীতি কোনো ব্যক্তি বা বলয়ের এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার নয়। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি আদর্শিক ছাত্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু যেভাবে প্রকৃত ত্যাগীদের বাদ দিয়ে একপাক্ষিকভাবে কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতৃত্ব দ্রুত এই বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগী ও আদর্শিক নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি পুনর্গঠন করবে। অন্যথায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক ভিত্তি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমান আকিব লাবিব অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত ছাত্র ও বিরোধী রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদকের ছেলেকে দিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। আমরা এমন কমিটি মানি না। তাই আমরা চারজন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করছি।
এদিকে, দলের অভ্যন্তরীণ এই সংকটের কারণে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
-

কৈখালীতে বেঁড়িবাধে উপড়ে পড়ছে পাউবোর ব্লকগুলো,আতঙ্কে স্থানীয়রা।
মোঃ আলফাত হোসেনঃসাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী আর,বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন দীর্ঘ এক যুগের মধ্যে মাটি পড়েনি এই ওয়াপদার উপরে,রক্ষণাবেক্ষণ আর সংস্কারের অভাবে শ্যামনগর উপকূলের পূর্ব কৈখালী আর.বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন কালিন্দী নদীর পাউবোর ওয়াপদা বেড়িবাঁধটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।টেকসই বেড়িবাধেঁর নিমিত্তে ২০০৫ সালে আর.বি.জি ক্যাম্প হতে ১ কিলোমিটারের বেশি ওয়াপদায় বেড়িবাঁধে ব্লক দিয়ে সাপোর্ট দেয়া হয়,পরবর্তিতে ওয়াপদার উপর দিয়ে বা ব্লকগুলোর পাশ দিয়ে মাটি দেয়ার অভাবে ব্লকগুলো এখন পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।যেকোনো সময় নদী ঘূর্ণিঝড়,জলোচ্ছাস,এবং ভাঙনের কবলে প্লাবিত হতে পারে কৈখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার সহ শত শত বিঘা ফসলি জমি,মৎস্য পুকুর সহ জনবসতি ঘরবাড়ি,রাস্তাঘাট।গত ঘূর্ণিঝড় ফণী,বুলবুল,আম্ফান,যশ,ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অনেক বেড়িবাঁধ সংস্কার হলেও,এখানে কোনো কাজ হয়নি।অথচ এসব ঝড়ের সময় মানুষ আস্থা রেখেছিলো ব্লক দেয়া এই বেড়িবাঁধের উপর,সেটিও আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধের কারণে নদী ভাঙন আতঙ্ক রাতের ঘুম কেড়েছে ইউনিয়নবাসীর।এদিকে কৈখালী আর.বিজিবি কোম্পানীর ক্যাম্প সংলগ্ন ওয়াবদা বেড়ি-বাঁধটি ভয়াবহ ও দীর্ঘদিন অবহেলিত।গেল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে এই বেঁরিবাঁধের ওপর উপচে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে,শ্যামনগর উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এই ইউনিয়নের লোকজন মৎস্য চাষি,ফসলি জমির মালিকরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় দারিদ্র জেলে বাওয়ালী,দিনমুজুর বসবাস করে আসছে।ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।প্লাবিত হতে পারে পুরো ইউনিয়ন ও শত শত বিঘা,ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের।স্থানীয়দের নদী ভাঙনের আতঙ্কে রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে ও সরেজমিনে দেখা যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই কোনোরকম যথাযথ ব্যাবস্থা,যাহা স্বাভাবিক জোয়ারের পানি উপচে আসছে লোকালয়ে।উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (শ্যামনগর পওর উপ-বিভাগ)মো: ইমরান সরদার জানান,কৈখালী আর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন প্রায় ১ কিলোমিটারের মত দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া ধসে যাওয়া ব্লক ও মাটির কাজের জন্য আমরা বিজিবি কর্তৃপক্ষদের সাথে আলাপ আলোচনা করে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সেই প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।নদী ভাঙন রোধে স্থানীয় বসাবসকারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কৈখালীর কালিন্দী নদীর বেড়ি-বাঁধ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী। -

উপকূলের গ্রামীণ নারীরা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে
সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঘটছে। জলবায়ূ পরিবর্তন এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরা জেলায় জলবদ্ধতা, লবণাক্ততা, বন্যাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে এলাকার মানুষ বিশেষ করে উপকূলের গ্রামীণ নারীরা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো সাতক্ষীরা ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে অনুষ্ঠিত এক এডভোকেসি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রায় প্রতিবছর কোন না কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। সিডোর, আইলা, আম্পান ইয়াস, রিমাল তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে সমস্যা বাড়ায় কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, অবকাঠামো, পানি পয়ঃনিস্কাসন, স্বাস্থ্য খাত এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বিরূপভাবে প্রভাবিত হয়। এসব প্রতিকূল প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ে নেওয়ার মত সক্ষমতা বা দক্ষতা এখন ও গড়ে উঠেনি।
এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করা। স্থানীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিসেবা নিশ্চিত করা। আশ্রয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় করা এবং জরুরী পরিস্থিতিতে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস করা।সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ। অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.শাহিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ঢালি, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই) শেখ মহিবুর রহমান প্রমুখ।
সভায় কার্যক্রমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদ্জুজামান (তহিদ)। এসময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন, প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য ইমতি জামিল, স্বপ্নচূড়া যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন, ইয়ূথ এ্যালায়েন্সের সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক।
সভায় আরো উপস্থিতি ছিলেন, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলকাস আলি, ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল (ওসিসি) সাতক্ষীরা সদর হাসপতাল আব্দুল হাই সিদ্দিকী। গাভা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈমাম মাহবুবুর রহমান, মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী, জিডিএফ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নূনগোলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার এবিএম হাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও যুব সদস্যববৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানিটি সঞ্চালনা করেন যুব সদস্য সাকিব হাসান।