প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাতক্ষীরার আইনের শিক্ষার্থীদের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠন ল স্টুডেন্টস ফোরামের জরুরী সভা ও প্রকাশিত গঠনতন্ত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সাতক্ষীরা ল কলেজের হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ল স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ল কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ও ফোরামের উপদেষ্টা এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন, ল স্টুডেন্টস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম বিপ্লব হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস এম মাজহারুল আরাফাত, এস এম ওয়াসিম হায়দার, ইখতেয়ার উদ্দীন, রওনক বাশার, এস এম আশরাফুল ইসলাম, কার্তিক চন্দ্র সরকার, তুহিন পাভেল, তাসনীম সুলতানা, নাসরিন নাহার, শারমিন শান্তা, জাহাঙ্গীর কবির, অহিদুল ইসলাম, কাকরুন্নাহার কাকুলি, মনিকা সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ল স্টুডেন্টস ফোরামের গঠনতন্ত্র প্রকাশ, মিড টার্ম পরীক্ষা ও সকল ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করণ, নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন, নতুন সদস্য ভর্তি ও নবায়ন, ইফতার পার্টি ও ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম, নির্বাচন ও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
Category: বিশেষ সংবাদ
-
ল স্টুডেন্টস ফোরামের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
-
সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে উৎসব মূখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় নির্বাচন কমিশনার এড. শেখ মোঃ ফারুক, সদস্য সচিব এড. অনীত মুখার্জী ও সদস্য এড. আঃ লতিফ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে উৎসব মূখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ করেন। সভাপতি পদে ৪জন আরশাদ আলী গাজী (হরিন), আরশাদ আলী (মোবাইল), মীর মনিরুজ্জামান মনি (চেয়ার) ও শেখ রবিউল ইসলাম রবি (বাস), সহ-সভাপতি পদে ৬জন কাজী আবুল বাশার(টচলাইট), শেখ আব্দুল তৌহিদ (দেওয়াল ঘরি), মোঃ মুকুল হোসেন (মটর সাইকেল), শেখ মকছুর রহমান(দোয়াত কলম), নজরুল ইসলাম(হাঁস), মহিদুল ইসলাম (কবুতর), সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত(শাপলা) ও শেখ জাহিদুর রহমান জাহিদ(ছাতা), যুগ্ম সম্পাদক পদে ৪জন সালাম সরদার(বটগাছ), ফারুক হোসেন(আনারস), মহিদুল ইসলাম(মোরগ), শেখ শফিকুল ইসলাম সফি(প্রজাপতি), সহ-যুগ্ম সম্পাদক পদে ৩জন কামাল হোসেন (সাঁড়াশী), ইব্রাহিম সরদার(মই), শওকত আলী (খেজুর গাছ), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪জন শেখ আব্দুল হাকিম(গোলাপফুল), নুরুল আলম(আপেল), শেখ মিরাজুল ইসলাম(কুড়ে ঘর), মিলন হোসেন (উড়ো জাহাজ), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৪জন মোহাম্মদ হোসেন (ট্রাক), খন্দকার বদিউজ্জামান(মাছ), জাকির হোসেন টিটু (র্যাকেট), মোঃ মশিয়ার সিংহ, প্রচার সম্পাদক ৩জন ইব্রাহিম রহমান(সাইকেল), শেখ মোজাফফর হোসেন (তালাচাবি), সাইফুল ইসলাম (মোমবাতি), সহ-প্রচার সম্পাদক ৩জন শ্রী অসীম অধিকারী (গাভী), ফজলুর রহমান(দোয়েল পাখি), নাজমুল হোসেন(ব্যালচা), সমাজকল্যাণ সম্পাদক ৩জন আজগর আলী ফুটবল, আব্দুর রহমান (হাতুড়ি), জুলফিকার হোসেন (রিক্সা), অফিস সম্পাদক ৪জন আসাদুর রহমান খান (হাতী), শেখ কামরুল ইসলাম কবির(কুড়াল), জাকির হোসাইন (তলোয়াড়), মনিরুল ইসলাম (টেবিল), কোষাধ্যক্ষ ২ জন আনিছুর রহমান (বই), শেখ হুমায়ুন কবির (আম), কার্যকরি সদস্য ৮টি পদের অনুকুলে মোট প্রার্থী ২২জন আক্তারুজ্জামান (গরুর গাড়ী), আক্তার হোসেন(স্টারিং), আকরাম হোসেন(পাঞ্জা), আকাশ হোসেন (টায়ার), আব্দুল মহিদ(টেলিভিশন), আলমগীর হোসেন(মিনার), আব্দুস সামাদ(সূর্য), শেখ আনারুল ইসলাম (ডালিম), ইদ্রিস আলী(জগ), তরিকুল ইসলাম (হারিকেন), দিপক ব্যানার্জী (কাপ পিরিচ), খান মনিরুল ইসলাম(সিলিং ফ্যান), বাবু গোলদার(পান), বাবুল হোসেন (ঘুড়ি), বিল্লাল হোসেন (ডাব), মোজাম্মেল হোসেন (কলম), শামিনুর রহমান(কাঁঠাল), শফিকুল ইসলাম (কোঁদাল), সালাম ব্যাপারি(বাঘ), সুমন হোসেন (হাতপাখা), হামিদুল ইসলাম (চিরুনি) ও হুমায়ুন কবির (কলা)। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-

দেবহাটা প্রেসক্লাব ও রিপোটার্স ক্লাবের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা প্রেসক্লাব ও রিপোটার্স ক্লাবের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বাঙালীর ঐতিহ্য ঘেরা নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বৈশাখী উৎসব পালিত হয়েছে। রবিবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয় দেবহাটা প্রেসক্লাব ও রিপোটার্স ক্লাবের সাংবাদিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও অন্যান্য শ্রেনী পেশার মানুষ। পরে লাইট হাউজ কমিউনিটি সেন্টারে জাকজমকপুর্ন পরিবেশে পান্তা খাওয়া শেষে শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সকল বয়সের প্রতিযোগীদের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। এসময় দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, সহ-সভাপতি রশীদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্যাহ আল মাসুদ, সাংষ্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ অহিদুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, এস এম নাসির উদ্দীণ, দিপঙ্কর বিশ্বাস, লিটন ঘোষ বাপ্পী, রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফসার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, অর্থ সম্পাদক আনিছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সবুজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক শাহিন আলম, কার্যকরী সদস্য অভি স্বর্নকার, মঞ্জুরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, সোহাগ হোসেন সহ সকল সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, সোমবার সন্ধ্যায় শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৈশাখী উৎসবের কর্মসূচী শেষ হবে।
-

নানান আয়োজনে সাতক্ষীরার মানুষ বাংলা বর্ষকে বর্রণ করছে
সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশের পালিত হচ্ছে বাঙালী জাতিরপুরাতন ইতিহাস ও লোকজ ঐতিহ্য বহনকারী সাংস্কৃতিক উৎসব পহেলা বৈশাখ। নানান আয়োজনে সাতক্ষীরার মানুষ বাংলা বর্ষকে বর্রণ করছে। সবচেয়ে বনার্ঢ্য কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষে আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে দুইদিন ব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। রোববার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটিবর্ণাঢ্য বৈশাখীমঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাকপার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। এসময় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ২দিন ব্যাপীমেলার উদ্বোধন করাহয়।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিশ প্রমুখ।
এছাড়া বিকেলে পৌর দিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সাতক্ষীরার সকল গ্রাম গঞ্জে পহেলা বৈশাখের আয়োজন পালনের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। গ্রামের মানুষের ভাবনা ভোরে ঘুম থেকে উঠা, নতুন জামা কাপড় পড়া এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। বাড়িঘর গুলো সুন্দর করে সাজানো। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা এবং সবাই একটি নির্দিষ্ট স্থানে মিলিত হয়ে নানান রকম খেলার আয়োজনের মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। সন্ধ্যায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায়।
-
পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ ঘুড়ি উড়ানো উৎসব
আগামী ১৩ এপ্রিল,২০১৯ শনিবার বিকাল ৩-০০ টায় সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ উপলক্ষ্যে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনেচ্ছুদের নিজ নিজ ঘুড়িসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে ঐদিন বিকাল ৩-০০টায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হল। -
আশাশুনির হিন্দু মহাজোট নেতার উপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সুজন সানাকে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শুক্রবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠণের মহাসচিব অ্যাড.গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সহ সভাপতি ডাঃ এম কে রায়, সহ সভাপতি সাধন মন্ডল, যুগ্ম মহাসচিব উত্তম কুমার দাস, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. উদয় বসাক, ডাঃ হেমন্ত দাস,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. প্রতীভা বাগচী,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক সুমন সরকার, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার,সহ-সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ,হিন্দু যুব মহাজোট এর প্রধান সমন্বয়কারী প্রশান্ত হালদার, সাংগঠণিক সম্পাদক প্রবীর সরদার,হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বারুরী প্রমূখ।
বক্তাগণ বলেন যশোরের অভয় নগরে উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী পরাজিত প্রার্থীর দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা,সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা উপজেলাধীন ধর্মপাশা প্রধান শিক্ষক রামেন্দ্র চন্দ্র তালুকদারকে হত্যার
চেষ্টা,হবিগঞ্জে বিধবা নীলু সূত্রধরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গোপালগঞ্জ মনিকা চেূৗধুরী হত্যা, চাদপুর, গোপালগঞ্জে, চট্টগ্রামের পটিয়ায়, কুমিল্লায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জে, লক্ষীপুর জেলার রামগতিতে, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ১৮টি হিন্দু পরিবারের জমি দখল, ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া নাবালিকা অপহরণ, নিলফামারী জেলার ডোমারে সন্ন্যাসী মন্দিরের জমি দখল, বিভিন্ন অজুহাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে হামলা,ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু আসামীদের গ্রেফতার করা হয় নাই।
বক্তাগণ বলেন, সাতক্ষীরার খাজরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিমের অত্যাচারে দিশেহারা হিন্দু সম্প্রদায়। জমি দখল, ঘের দখল, চাঁদাবাজী সহ সব ধরনের অপকর্মে ও অত্যাচারে জর্জরিত হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। ২০১৭ সালে টুম্পা বিশ্বাস নামে এক যাত্রা শিল্পীকে প্রথমে ধর্মন্তারিত ও পরে তাকে গণধর্ষন করে হত্যা করে লাশ পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া মামলারও আসামী ছিলেন ডালিম চেয়ারম্যান। তার ক্ষমতার দাপট এতই যে তাকে একদিনের জন্যও জেল হাজতে পাঠাতে পারেনি প্রশাসন। সেই সময়ে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করায় সুজন সানাকে বহুবার হত্যার করার চেষ্টা করে এই ডালিম চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। সুজন সানা সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ যুদ্ধাপরাধী মোজাহার সরদারের ছেলে ডালিম চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত সুজন সানার বাড়ীতে হামলা করে বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুরের পর তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ২৫ মার্চ ডালিমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার পর তারাপ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গত দু’ সপ্তাহেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
বক্তাগণ অবিলম্বে ডালিম চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
জানতে চাইলে আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন শুক্রবার এ প্রতিবেদককে বলেন, তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। -
সাতক্ষীরায় দখলকৃত সম্পতিতে জোর পূর্বক ঢুকে ফসলি গাছ কেটে সাবাড় : থানায় এজাহার দাখিল
নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় ভোগ দখলকৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে দূবৃত্বরা । শুধু ভোগ দখল নয় তারা জমিতে ডুকে ফসলাদি বিভিন্ন গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। শুক্রবার(৫ এপ্রিল) বিকালে পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি মন্দিরের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভুগি জমির মালিক প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
ঘটনা সম্পর্কে জমির মালিক ভালুকাচাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরির ছেলে সাইদুর রহমান ওরফে বাবলু চৌধুরি জানান, সাতক্ষীরা মৌজায় জেএল নং ৯৯, খতিয়ান নং ১৩৪৪, দাগ নং ১০০৫ দাগে তার ১২.৫০ শতক জমি আছে।তিনি উক্ত জমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছেন।তার জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ধুলিহর বড়দল গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে এনামুল হক খোকন, এনামুল হক ও ফজলুল হকের।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে বলেন,আমার কাছে কোন এজাহার দাখিল করে নাই।
শুক্রবার(৫ এপ্রিল) বিকালে তারা জমিতে প্রবেশ করে ২০ টি সুপারি গাছ, ৫ টি নারিকেল গাছ, ২টি বেল গাছ সহ আনুমানিক প্রায় দুই লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাঁধা দিতে গেলে তার আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমানকে খুন জখম করার হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ভোগ দখলকৃত সম্পতি ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। -
কপোতাক্ষ নদে ক্রসড্যাম উঠিয়ে দেয়ার সময় আসলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ
নিজস্ব প্রতিনিধি: কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে তালা উপজেলার পাখিমারা টিআরএম বিলের উজানমুখে শুষ্ক মৌসুমে ক্রসড্যাম নির্মাণের কথা থাকলেও এখনও তা সম্পন্ন হয়নি। যে কারণে অববাহিকার প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ পুনরায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকায় ভুগছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে ক্লোজার নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা তিন মাস পরও নির্মাণ না হওয়ার কারণ তদন্ত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা।
পাউবো সূত্র জানায়, ক্রসড্যাম নির্মাণ কাজটি ‘অনুন্নয় রাজস্ব খাতের আওতায় পাখিমারা টিআরএম বিলের লিংক ক্যানেলের উজানে কপোতাক্ষ নদীতে অস্থায়ীভাবে ক্লোজার নির্মাণ ও অপসারণ কাজ’ নামে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্যাকেজ নং ই-টেন্ডার জেএনডিআর ও ওয়ার্ক অর্ডার হয়। ৩৭৭/১, দক্ষিণ গোড়ান, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৯ ঠিকানার মেসার্স মাইশা ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬২ টাকার কাজটি প্রাপ্ত হন। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ২ সপ্তাহ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লোজার সমাপ্ত করা এবং ২৫ জুন ১৩৫ দিনের মধ্যে অপসারণসহ কাজ সমাপ্তির নির্দেশনা রয়েছে।
কিন্তু অতীব দু:খের বিষয় যে, আজ অবধি ক্রসড্যাম নির্মাণ হয়নি। ফলে পলি মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে উজান অংশে নদীর তলদেশে প্রচুর পলি পড়ে ভরাট হওয়ার মাধ্যমে জনগণের দীর্ঘ সময়ের ক্ষতির মুখে গৃহীত সরকারের এ বৃহৎ প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে বসেছে। জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট যে, অসৎ উদ্দেশ্যে ঠিকাদাররা জনগণকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে আর অযৌক্তিক কারণে কালক্ষেপন করছে। ইতোমধ্যে গতবারের মতো জেলেদের সাগর ফেরত অধিকাংশ নৌকাও ঢুকে গিয়েছে এবং এখনও ঢুকছে। তারপরও ক্রসড্যাম নির্মাণে গাফিলতি এমন পর্যায় পৌঁছেছে যা অপসারণের সময়ের কাছাকাছি চলে এসেছে। টিআরএম এলাকার ক্রসড্যাম কাজে বিলম্বের ফলে মূল প্রকল্পে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একদিকে পলিবাহিত পানির অনুপ্রবেশে খননকৃত এলাকা ভরাট হয়ে ফের পুরানো অবস্থায় ফিরে গেছে অন্যদিকে টিআরএম বিলে পর্যাপ্ত পলি ঢুকতে পারছে না।
এলাকার আরশাদ আলী মোড়ল, রাশেদুল মোড়ল, রাহাদুল মোড়ল, হাবিবুর গাজী, সাত্তার মোড়লসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বাঁধ এখন আর বাধার প্রয়োজন নেই। কারণ পলি উপরে উঠে গেছে এবং বাঁধ কাটার সময় এসে গেছে। প্রতি বছর একই কায়দায় টাকা লুটপাট করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। তারা এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন। তাদের দাবি, সময়মতো ক্রসড্যাস নির্মাণ না করায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ নদ খননের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় জনগণ।
এদিকে, কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা রক্ষায় নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে অস্থায়ীভাবে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম দিয়ে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম প্রকল্পের বিলে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। কিন্তু এ প্রকল্পের কাজ সময়মত শুরু না হওয়ার প্রতিবাদে ও প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দাবিতে এলাকার মানুষের পক্ষে পানি কমিটি গত ৪ জানুয়ারি ও ১০ মার্চ তালায় পৃথক দু’টি সংবাদ সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি কর্র্তৃপক্ষর।
এ ব্যাপারে সাব ঠিকাদার তোজাম আলী জানান, ক্রাসড্যাম স্থাপনার কজ দ্রুত গতিতে চলছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড় এবং বৃষ্টির ফলে বাঁধ ভেঙে গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে ডাকা হয়েছে এবং তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। আগামী গোনের আগেই ক্লোজারের (ক্রসড্যাম) কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-
ভাঙনের ঝুঁকিতে আশাশুনির ৪ নদীর ১৪ স্থান
নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙেছিল ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। প্লাবিত হয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে গিয়েছিল শতশত মাছের ঘের। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল উঁচু জায়গায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে গ্রামবাসি বাধ বেঁধে বাঁচার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এরপর আর সরকারি কোন কর্মকর্তাকে বাঁধ সংস্কারে এলাকায় দেখা যায়নি। এখানে ৫০০ ফুটের বেশি বাধ ঝুঁকির মধ্যে। এভাবেই খোলপেটুয়া নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের বর্ণনা দিয়ে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী বলেন, আশাশুনি উপজেলার মধ্যদিয়ে মরিচ্চাপ, খোলপেটুয়া, কপোতাক্ষ ও বেতনাসহ চারটি নদী প্রবাহিত। নদীবেষ্টিত এ উপজেলার অন্তত ১৪টি স্থানের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে। তিনি বলেন, উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, বলাবাড়িয়া, খাজরা, খাজরা জেলেপাড়া, আনুলিয়া মনিপুর, হাজরাখালি, চাকলাসহ ১৪টি স্পটে বাঁধ প্রতিবছর ভেঙে যায়। পাউবো’র উদাসীনতাকে দায়ি করে এ জনপ্রতিনিধি আরো বলেন, সময় থাকতে বাঁধগুলো মেরামত করা হয়না। বাঁধ ভাঙার পর কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, গত তিন মাস আগে ভেঙেছিল প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা বেড়িবাঁধ। বাধটি আজও সংস্কার না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন সেখানকার মানুষ। সেখানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় হারাতে বসেছে গবাদিপশু। প্রায় তিন শতাধিক মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় মানুষ বেকার। অর্ধাহারে অনাহারে দিনপাত করছেন অনেকেই। অসীম বরণ চক্রবর্তী বলেন, প্রতাপনগরের সীমান্তবতী চাকলা গ্রাম। বাঁধ সংস্কার করা না হলে আশাশুনির মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে গ্রামটি। স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের সাথে সাথে কিছু সহযোগিতা করলেও সেটি কপোতাক্ষের প্রবল জোয়ারে বিলীন হয়ে যায়।
এদিকে গত তিন মাস ধরে ভাঙন কবলিত বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা দেখতে না আসায় ক্ষোভানলে পুড়ছেন এলাকাবাসি। ভাঙন রোধে এলাকাবাসি মানববন্ধন করেও কোন ফল পায়নি।
ভাঙন কবলিত এলাকাবাসি জানায়, গত জানুয়ারি মাসে কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কার করলেও তা ফের নদীর গর্ভে বিলীন হয়।
এলাকবাসি অভিযোগ করে বলেন, আজ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তার দেখা পাননি তারা।
-
চিকিৎসক সংকটে বেহাল দশায় কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স
নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান সরকার যখন মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন ঠিক তখন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা হাসপাতালে ডাক্তার সংকট চরমে পৌছেছে। উপজেলার একমাত্র সরকারি এই ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৩৪জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২জন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডাক্তার সংকট ও হাসপাতালের নানাবিধ সমস্যার কারণে উপজেলার ৩ লক্ষাধিক জনসাধারণ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি নতুন নয়, মাসের পর মাস এমন করুণ-বেহাল অবস্থা চললেও সমাধানের আলো দেখাই যাচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাধিকার অনুযায়ী সহকারী সার্জন, মেডিকেল অফিসার, ডেন্টাল সার্জন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গাইনি ও শিশু চিকিৎসক, ১২টি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য বিভাগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ রয়েছে ৩৪টি। এরমধ্যে বর্তমানে ৪জন কর্মরত আছেন। এদের ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা (টিএইচও), ২জন মেডিকেল অফিসার ও ১জন বিডিএস ডেন্টাল সার্জন। তবে টিএইচও’কে সর্বদা প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকতে হয়। আর শুধুমাত্র দাঁত বিষয়ক চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকেন ডেন্টাল সার্জন। ফলে মাত্র ২জন মেডিকেল অফিসার দিয়েই সামগ্রিক চিকিৎসা সেবা করাতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতাল সূত্র আরো জানায়, মাত্র দু’জন চিকিৎসক হলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.শফিকুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার ডা.বেলাল হোসেন। এই দু’জন চিকিৎসকরা নিয়মিত আউটডোর চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগিদের চিকিৎসা, জরুরী বিভাগসহ সামগ্রিক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। মাঝে মধ্যে আউটডোরে রোগির সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে পড়লে দু’জন ডাক্তারের পাশাপাশি টিএইচও’কেও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে দেখা যায়। তাদের (ডাক্তার) নিজেদের শারীরিক, পারিবারিক কিংবা অন্য কোন সাময়িক সমস্যা বা বিশেষ কারণে ছুটিতে থাকলে রোগিদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সূত্র আরো জানায়- হাসপাতালের জরুরী বিভাগটি এখন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট (স্যাকমো)দের দিয়েই মূলত পরিচালিত হচ্ছে। জরুরী ও মারাত্মক অসুস্থ্য রোগিদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসাসেবা ও ব্যবস্থাপত্রও স্যাকমোরা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ডাক্তার সংকটের কারণে। সবমিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার পদায়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসক পদায়নের দাবি জানিয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটে রোগিরা যেমন বিড়ম্বনায় পড়ছেন ঠিক তেমনি নিজেরাও ভোগান্তি পড়ছি। এখানে ডাক্তার পদায়নের বিকল্প নেই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা.কামরুল ইসলাম বলেন- ‘ডাক্তার ছাড়া আমরা চলতে পারছি না। জরুরী ভিত্তিতে এখানে ডাক্তার প্রয়োজন।’
অন্যান্য তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ২৬টি নার্স বা সেবিকা পদের বিপরীতে ২৪জন কর্মরত ও ২জন প্রেষনে আছেন। তাদের দিয়েও ভর্তিকৃত রোগিদের প্রাথমিক সেবা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। জরুরী বিভাগসহ অন্যখানে ৬জন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট কর্মরত আছেন। এছাড়া অফিসিয়াল কাজকর্ম সম্পাদনের জন্যও জনবল সংকট রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আদিত্য, জিল্লুর, মৃত্যুঞ্জয়, রেশমাসহ অনেকে জানান- ‘সরকারি হাসপাতালে এসেছি বড় ডাক্তার দেখাবো বলে। কিন্তু ডাক্তার সংকট চরমে। হাসপাতাল ব্যতিত বর্তমানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার অন্যতম উপযুক্ত জায়গা হলো ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো।’
সাধারণ রোগিরা জানান, হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়, নার্স দিয়ে চলছে কাটা-ছেড়া ব্যান্ডেজের কাজ। সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন রয়েছে বন্ধ। এক্সরে, প্যাথলজি চলছে ধুকে ধুকে।
রোগিরা আরো জানান, এর বাইরে হাসপাতালের প্রধান সহকারী, পরিসংখ্যান, ক্যাশিয়ার পদ শুন্য। স্টোর কিপারের একটি পদ শুন্য থাকায় দু’জন ফার্মাসিস্টের একজনকে দিয়ে স্টোর কিপারের কাজ করানো হচ্ছে। একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকলেও কি কারণে তিনি সেবা দেন না তা মানুষের অজানা। ল্যাব অ্যাসিস্টান্ট পদে একজন আজো নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। ফিজিওথেরাপি, সেনেটারির একটি করে পদ শুন্য থাকায় এ সংক্রান্ত সেবা বিপর্যস্থ হচ্ছে। ইপিআই, কার্ডিওগ্রাম পদের জনবল থাকলেও প্যাথলজি সংক্রান্ত সেবার খোঁজ মেলাতে রোগিদের ছুটতে হয় বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে। ফলে সরকারি হাসপাতালে পাশেই গড়ে ওঠা প্যাথলজি সেন্টারগুলোর ব্যবসা এখন জমজমাট।
সবমিলিয়ে হাসপাতালে শুধুমাত্র ডাক্তার সংকটে নিদারুণ কষ্ট, বিড়ম্বনা আর ভোগান্তি পড়ছেন সকলে। মাসের পর মাস এই সংকট থাকলেও ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় উদ্বেগজনক। বিষয়টি নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দায়িত্ববান হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
-
পৌরসভায় সাপ্লাই পানির মূল্য দ্বিগুন বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সুপেয় পানি সরবরারের দাবিতে পথসভা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা পৌরসভায় সাপ্লাই পানির মূল্য অযৌক্তিকভাবে দ্বিগুন বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও পৌর এলাকার সর্বত্র সুপেয় পানি সরবারের দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়, পোস্ট অফিস মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু। সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা নূরুল আলম, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য এড. ওসমান গণি, ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, স্বপন কুমার শীল, মশিউয়র রহমান পলাশ, সুধাংশু শেখর সরকার, সায়েম ফেরদৌস মিতুল, রুহুল আমিন, সাদিয়া পারভীন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সম্প্রতি কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সাতক্ষীরা পৌর সভার সাপ্লাই পানির বিল অযৌক্তিভাবে দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। একদিকে সংযোগ থাকা সত্বেও শহরের বহু গ্রাহক পানিই পান না। অন্যদিকে সাতক্ষীরা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে প্রায়শই ময়লা-আবর্জনা ও আয়রণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পানের অযোগ্য হওয়ায় বহু মানুষ বর্তমানে উচ্চমূল্যে বাজার থেকে পানি কিনে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। বক্তারা অবিলম্বে পৌর এলাকার সর্বত্র সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এছাড়া লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুধাংশু শেখর সরকার, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, প্রভাষক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

-

গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত(এসি) ঘর আর চোখে পড়েনা
সুমন চক্রবর্তি ॥ আধুনিকতায় ছোঁয়া আর কালের আবর্তে পাটকেলঘাটায় গ্গ্রামের মানুষের এসি ঘর হিসেবে খ্যাত মাটির তৈরি ঘর। অতীতে মাটির ঘর গরিবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলা হত। কিন্তু এখন আর সেটা বলা যাচ্ছে না। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর। আগের মতো এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না এই মাটির ঘর-বাড়ি।
জানা যায়, এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়-কুটা, টালী, অথবা ঢেউটিনের ছাউনি দেয়া হত। আর এই মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হয় এলাকা ভেদে, পাটকেলঘাটায় এমনটি নেই। সব ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আলপনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে ইট-সিমেন্টের ঘর নির্মাণে এখন উৎসাহী হচ্ছে মানুষ। এক সময় পাটকেলঘাটা থানার বিভিন্ন গ্রামের ও অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও প্রবল বর্ষণে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু কালের আবর্তে দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির ঘর। -
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বিশ^ অটিজম দিবস পালিত
শ্যামনগর ব্যুরে॥ ”সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে অপরাজিতা নারী উন্নয়ন সংস্থা (অনাস) এর উদ্যোগে ডিআরআরএ এর সহযোগীতায় বিশ^ অটিজম দিবস পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আলোচনা সভায় সভাপত্বি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প; কর্মকর্তা ডা: অজয কুমার সাহা। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেন, ইউএফপিএ মো: মেহেদী হাসান, ডা: ওমর ফারুক চেীধুরীসহ অনেকে। উক্ত অনুষ্ঠানে অনাস নিয়ে কথা বলেন সিওও অষ্টমী মালো, অটিজম বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এপিটি রোমান রায়হান, সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন যে আজকের অনুষ্ঠানে মধ্যমনি অটিজম শিশু ও তাদের মায়েরা। অনাস থেকে উপস্থিত ছিলেন এসএনটি আশালতা রপ্তান,ইয়াসমীন নাহার ও রুবেল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সহযোগিতা করেন ডিআরআরএ এর প্রকল্প সুপারভাইজার রামপ্রসাদ মিস্ত্রী,সিআরও জি.এম.নূরুন্নবী হাসান,আক্তারুল ইসলাম,হাফিজা খাতুন ও ভুবন চন্দ্র বর্মন। -
নাটোর থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী শ্যামনগরে উদ্ধার
শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর থানা পুলিশ অপহৃত স্কুল ছাত্রী তাছনিয়া খাতুন (১৩) কে উদ্ধার করেছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য সেলিনা সাঈদের বাসা থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তাছনিয়া নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার পুকুরপাড় গ্রামে মুজিবর রহমান প্রামানিকের মেয়ে ও স্থানীয় কৈপুকুরিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের মামা মো. ইউনুস আলী শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করে।
অভিযোগ সূত্র মতে, গত ২৬ মার্চ স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগাং গ্রামের খোকন মন্ডলের ছেলে জয়দেব মন্ডল (৩০) সহযোগী স্থানীয় আরএম পরিবহনের সুপার ভাইজার সুজন ওরফে শাকিলের সহযোগীতায় মাইক্রো যোগে শ্যামনগর নিয়ে আসে। অনুসন্ধানে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাছনিয়ার মামা শ্যামনগর থানাকে অবহিত করার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাছনিয়াকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারী জয়দেব পালিয়ে যায়। ইউনুস আলী অপহরণকারী জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাছনিয়াকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহরণকারী জয়দেবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
-
ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলেই গুলি: পুলিশ সুপার
নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, ২৪ মার্চের উপজেলা নির্বাচন হবে সাতক্ষীরার মাটিতে আর একটি রোল মডেল নির্বাচন। এখানে ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে। শান্তিপূর্ণভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটাররা বাড়ি চলে যাবেন। আমরা আপনাদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেবো। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ (৩য় ধাপ) ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে আইন শৃংখলা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কোন মহল যদি ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বা কেন্দ্রে কোন পক্ষকে জেতানো বা হারানোর চেষ্টা করে বা ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে আমি তাদেরকে সর্তক করে দিয়ে বলতে চাই, তাদের পরিণতি হবে খুব ভয়াবহ। বিশৃংখলা করলে তারা কেন্দ্র থেকে প্রাণ নিয়ে বাড়ি যেতে পারবেনা। জোর করে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে। ২৪ মার্চের নির্বাচন হবে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার, কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি জামিরুল ইসলাম, তালা সার্কেলের এডিশনাল এসপি অপু সরোয়ার, দেবহাটা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইয়াছিন আলী, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশেমী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোমিন হোসেনসহ জেলার ৮টি থানার অফিসার ইনচার্জ, এসআই, এএসআই ও ফোর্সবৃন্দ।
-
সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি শাহ আলম: সম্পাদক তোজাম
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এড. এম শাহআলম সভাপতি ও এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার ভোট শেষে রাত ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনাতনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. আব্দুল জলিল (১) ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় প্রার্থীসহ আইনজীবী ও নির্বাচন কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে ৪৮৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪৭২ জন ভোট প্রদান করেন।
সূত্র জানায়, ২১ মার্চ নির্বাচনে সভাপতি ওয়ার্কাস পার্টির নেতা এড. এম শাহ আলম ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি’র নেতা এড. শেখ আব্দুস সাত্তার (১) পান ২১০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি নেতা এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ পদে অপর প্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা ল কলেজের প্রভাষক এড. আ.ক.ম রেজওয়ান উল্লাহ সবুজ পান ২২৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সভাপতি পদে বিএনপি নেতা মহিতুল ইসলাম ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে এ টি এম বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গী পান ১৪৫ ভোট ও মোঃ রুহুল আমিন ৯১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে এ বি এম আনিসুজ্জামান আনিস ১৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে আশরাফুজ্জামান বাবু পান ১৫৭ ভোট ও শেখ মুস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ পান ১৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ রফিকুল ইসলাম ২৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে মোঃ মোস্তফা জামান পান ২২৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সম্পাদক (লাইব্রেরী) পদে মোঃ ইউনুস আলী ১৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে মোঃ আব্দুল জলিল পান ১৪৪ ভোট ও আ ক ম শামসুদ্দোহা খোকন পান ১৪৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সম্পাদক (ক্রীড়া) পদে মোঃ আকবর আলী ৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে মোঃ সালাউদ্দীন (২) ১৫০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সম্পাদিকা (মহিলা) পদে অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা না দেয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাকী ইয়াছমিন। এছাড়া সদস্যের ৩টি পদে শিহাব মাসউদ সাচ্চু ৩১৫ ভোট, সাহেদুজ্জামান সাহেদ ৩০০ ভোট এবং রফিকুল ইসলাম রফিক ২৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এড. মোঃ আক্তারুজ্জামান, এড. তারক কুমার মিত্র, এড. আনিছুর কাদির ময়না, এড. শাকিলা খানম। এর আগে সকাল থেকে আইনজীবীগণ স্বতস্ফুর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

