সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আবারও সহিংসতা! ফেসবুকে ভিডিও–পোস্ট ডিলেট না করাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জুনিয়র–সিনিয়র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে তিন শিক্ষার্থী। অষ্টম শ্রেণির ইরফান আজম খান ও আরেফিন চৌধুরী, এবং সপ্তম শ্রেণির বাদশাহ শিহাবুল গুরুতর আঘাত পায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি—লোহার স্কেল, কলম ও ইট দিয়ে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এরই মধ্যে আরেক পক্ষ প্রতিশোধ হিসেবে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘ভাই ভাই মোটরসাইকেল শো রুমে’ হামলা চালিয়েছে—যার ভিডিও ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবারও শিক্ষক আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা বন্ধ, সাংবাদিক হেনস্তা, ছাত্র বিভক্তি—সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এক গভীর সংকটে।
মূল সংকট কোথায়?
🔸 চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনকারী কিছু শিক্ষকের প্রভাব
🔸 প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষক গ্রুপের দ্বন্দ্ব
🔸 প্রশাসনিক অচলাবস্থা
🔸 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিজিটাল বুলিং
🔸 সিনিয়র–জুনিয়র দ্বন্দ্বের সংস্কৃতি
এগুলোই পুরো পরিবেশকে আরও ঘোলাটে করছে।
প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু অভিযোগ করেন—“পরীক্ষা নিতে ম্যাজিস্ট্রেট আসলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বাধা দেন। এখন সেই শিক্ষকরাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।”
অন্যদিকে জেলা প্রশাসক মিজ আফরোজা আখতার জানান—“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে নিতে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।”
অভিভাবকদের উদ্বেগ:
— “বড়রা নাকি বলেছে, ৭ ডিসেম্বর জুনিয়রদের ‘মজা দেখানো’ হবে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি।”
— “পরীক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি শুধু একটি স্কুলের সমস্যা নয়—এটি শিক্ষা ব্যবস্থার গভীর সংকটের প্রতিফলন। এখনই প্রশাসন–শিক্ষক–অভিভাবকদের একসঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, না হলে যেকোনো সময় আরও বড় সহিংসতা ঘটতে পারে।

আব্দুর রহমান 




















