সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুম সংকট চরমে পৌঁছেছে। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮৩ জন শিক্ষার্থী ঠান্ডা মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ মাত্র তিনটি। এর মধ্যে একটি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা যায় না। ফলে বাকি দুই কক্ষে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ধারণ করা সম্ভব নয়। বাধ্য হয়েই শিশুদের মেঝেতে বসিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৮ সালে আইডিয়াল প্রকল্পে নির্মিত ভবনের ২টি রুম বহুবার মেরামত করেও এখন সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২০০৬-২০০৭ সালে পিইডিপি-২ এর অধীনে ১১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনের ২টি রুমের অবস্থাও একই রকম নাজুক। বীম, কলাম, প্লাস্টার খসে পড়ছে; দেয়ালে ফাটল, স্যাঁতসেঁতে ভাব ও কাঠামোগত দুর্বলতায় ভবনগুলো দিনে দিনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, “নিজস্ব সক্ষমতায় সামান্য রং ও পলে¯টার করা হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। ভবনগুলো এখন শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি ঝুঁকি তৈরি করেছে। স্কুলের পক্ষ থেকে বহুবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে নতুন ভবনের আবেদন পাঠানো হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ভবন সংকট ও শিক্ষার পরিবেশ দুটোই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আরো অভিবাভক জানান, আমাদের শিশুদের ঠান্ডা মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ভবনের এমন অবস্থায় আমরা প্রতিদিনই দুশ্চিন্তায় থাকি। দ্রুত নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা জরুরি।”
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, “পর্যাপ্ত রুম না থাকায় পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে নেওয়া যায় না। বহুদিন ধরে নতুন ভবনের দাবি জানালেও এখনও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীন বলেন- “গোদাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অবগত। ভবনগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা এবং রুম সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ইতোমধ্যে বিদ্যালয় থেকে পাঠানো তথ্য আমরা পেয়েছি এবং নতুন ভবনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অস্থায়ীভাবে যাতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমে সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই এই বিদ্যালয়ের ভবন সংকট নিরসনে উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।”
সংবাদ শিরোনাম:
রুম সংকটে শিশুরা মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে
গোদাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাজুক ভবন, ঝুঁকিতে ১৮৩ শিক্ষার্থী
-
এসএম আশরাফুল ইসলাম - আপডেট সময়: ০১:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ১৭৩ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস:
জনপ্রিয়























