Blog

  • নিউ জিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা: রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা

    নিউ জিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা: রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা

    ডেস্ক রিপোর্ট: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে হামলার পর হামলাকারী বেছে নিয়েছিল লিনউড মসজিদকে। নূর মসজিদের হামলায় ৪১ জনকে হত্যায় সমর্থ হলেও তার দ্বিতীয় হামলায় হতাহত্যের সংখ্যা তুলনামূলক কম। লিনউড মসজিদের হামলায় ৮ জনকে হত্যায় সমর্থ হয় সে। প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যম নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড খবর দিয়েছে, একজন তরুণ তার অসীম সাহসী ভূমিকার মধ্য দিয়ে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। তিনি ওই মসজিদ দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত খাদেম। শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার দুইটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা হয়। এদের একটি শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আল নূর মসজিদ। আরেকটি মসজিদ লিনউডে অবস্থিত। দেশটির পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৯ জনে। এদের মধ্যে আল নূর মসজিদেই নিহত হয়েছেন ৪১ জন। লিনউডে ৭ জন মুসল্লি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর হাসপাতালে মারা যান একজন।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, লিনউড মসজিদের খাদেম ওই তরুণ হামলাকারীর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারত। প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ মাজহারউদ্দিন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেছেন, ওই সময় ৬০ থেকে ৭০ জন মুসল্লি মসজিদে ছিলেন। গুলি শুরু হলে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন তারা। ‘আমি তখন লুকানোর জায়গা খুঁজছিলাম। ওই সময় দেখলাম এক লোক অস্ত্র নিয়ে মসজিদের দরজা দিয়ে ঢুকল।’ মাজহার জানান, সামরিক কায়দার ক্যামোফ্লাজড গিয়ার পরিহিত ওই হামলাকারী তখন নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিলো। ‘দরজার কাছেই ছিলেন বয়স্ক কয়েকজন মানুষ। হামলাকারী তাদের দিকেও গুলি চালায়। ওই সময় মসজিদের তরুণ খাদেম সুযোগ বুঝে হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেন।‘ বলেন তিনি। মাজহারের দাবি, ওই খাদেম হামলাকারীকে ধরার চেষ্টাও করেন। তবে বাইরে থাকা একটি গাড়িতে চড়ে সে সটকে পড়ে। নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়ায়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চের এই ঘটনার পর কোনও গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সজাগ রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিউ জিল্যান্ডে মসজিদে মুসলিম বিদ্বেষী হামলার পর পাল্টা হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও নিরাপত্তা ‘ঝুঁকি চিহ্নিত’ করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাটি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও ঘটনার পরপরই আমরা রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। রাজধানীর কূটনীতিক এলাকায় এমনিতেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, সেখানেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৯ জন ইসলাম ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে অন্তত তিন জন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। হামলায় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে ৪১ জন এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদে ৮ জন নিহত হন। এই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ফলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এদিকে, ঘটনার পর ব্রেনটন ট্যারান্ট নামে এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’বছর ধরে নেওয়া পরিকল্পনার বাস্তবায়নকারী এই বন্দুকধারী হামলার চালানোর আগে অনলাইনে একটি দীর্ঘ বার্তা দিয়েছে। এতে সে হামলার কারণ উল্লেখ করে। সে নিজেকে শ্বেতাঙ্গ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের অনুসরণকারী হিসেবে উল্লেখ করে। ওই বার্তায় মুসলিম বিদ্বেষী বিভিন্ন ধরনের কথাও লিখেছে সে। গণমধ্যমে ব্রেনটনের এই ভাষ্য আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা রকম প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কেউ বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা করে বসে কিনা, সেই আশঙ্কা থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাড়তি সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ ভিজিবল পুলিশিং, টহল, পেট্রোল ও তল্লাশি চৌকির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চের হামলায় আইডোলজিক্যাল পয়েন্ট থেকে দুটো বিষয় দেখতে পাচ্ছিÍ আমরা বলছি, প্রবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ও ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। একটা মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে, এই ইসলাম বিদ্বেষের কারণে আমরা যেন অন্য ধর্মালম্বীদের প্রতি বিদ্বেষী না হয়ে যাই, সেজন্য সামাজিক সম্প্রীতির ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। একটি সহনশীল সমাজ গঠনের জন্যই এখানে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। সমাজকে সহনশীল ও সহিষ্ণু রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের এখানে টেরোরিজম বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়। ফলে সেরকম কোনও আশঙ্কা নেই। তারপরও আমাদের এখানে তো কনস্ট্যান্ট একটা থ্রেট আছেই। জঙ্গিবাদের ঝুঁকির মধ্যেই আমরা আছি। এই বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করার জন্য কেউ কেউ কাজ করতে পারে। শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী না, জঙ্গি গোষ্ঠীকে বিভিন্ন জিও-পলিটিক্যাল কারণে অনেকেই তাদের মদদ দিয়ে থাকে, তাদের স্বার্থের জন্য। সেই ঝুঁকি থেকে তো আমার মুক্ত না। তো সেই ঝুঁকি চিহ্নিত করা, তার আঁচ কোথায় লাগবে, কিভাবে লাগবে, সেটি নির্ণয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই ঝুঁকি চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
    আরেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি না এই হামলার পর বাংলাদেশে ভীষণভাবে এর কোনও প্রভাব পড়বে। কারণ, এই হামলা যে দেশে হয়েছে, তারা মোটামুটি অ্যাকশন নিয়েছে। তারপরও যেহেতু এখানেও এক ধরনের জঙ্গি বলি বা এক্সট্রিমিস্ট বলি, কিছু লোকজন তাদের আছে, আমাদের সিকিউরিটি সিস্টেম বা ইন্টেলিজেন্সে যারা আছেন, তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে এক্সিট পয়েন্ট বা এন্ট্রি পয়েন্টসহ সব জায়গায় এলার্ট থাকতে হবে।’ সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এখানে এমনিতেই এলার্ট আছে। আমি মনে করি না এখানে বড় ধরনের কোনও রিপারকেশন হবে। তবে আমাদের এলার্ট থাকা উচিত।’

  • জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে কৃষক হত্যা দিবস পালন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে কৃষক হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার কাটিয়াস্থ সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক হেদায়েতুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিত সাধু। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনজুর হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মনোজ কুমার দে, পৌর কৃষকলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাবলুর রহমান, শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড আ’লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আঃ হাকিম, ৯নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি তাহমিদ আহম্মেদ, ১নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ গফফার, ২নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম প্রমুখ।
    উল্লেখ্য: ১৫ মার্চ কৃষক হত্যা দিবস, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে বাংলার কৃষকরা সারের দাবিতে আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনরত কৃষকদের উপর তৎকালিন বিএনপি সরকারের পুলিশ বাহিনী ১৮ জন কৃষককে হত্যা করে। সেই থেকে ১৫ ই মার্চ কৃষক হত্যা দিবস হিসেবে কৃষকলীগ কৃষকহত্যা দিবস পালন করে থাকে।

  • উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দেবহাটায় পোস্টার ব্যানারে জমে উঠেছে ১৪ প্রার্থীর প্রচারণা

    উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দেবহাটায় পোস্টার ব্যানারে জমে উঠেছে ১৪ প্রার্থীর প্রচারণা

    দেবহাটা প্রতিনিধি: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে বর্তমানে জেলার দেবহাটাতে বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যেই দেবহাটা উপজেলা ছেয়ে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ৩টি পদের প্রতিদ্বন্দী ১৪ জন প্রার্থীর প্রতিক সম্বলিত নির্বাচনী পোষ্টার,ব্যানার আর লিফলেটে। প্রতিদিনই চলছে স্ব-স্ব প্রার্থীদের নির্বাচনী মাইকিং। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দেবহাটাতে নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসেবে পথসভা,গনসংযোগ আর মতবিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। শুধু তাই নয় জনসাধারনের মন কাড়তে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে লিফলেট হাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়িতেও যাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। উপজেলার চায়ের দোকান থেকে হাট-বাজার,অফিস পাড়া থেকে মাঠে ঘাটে কর্মরত শ্রমিক ও সাধারন মানুষের মধ্যে আসন্ন দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা,আলোচনা সমালোচনা। দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মোট ৯৭ হাজার ৮শ ৩৬ জন ভোটার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যাদের মধ্য থেকে ৪৯ হাজার ২শ ১৫ জন পুরুষ এবং ৪৮ হাজার ৬শ ২১ জন মহিলা ভোটার এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যোগ্য নেতৃত্বকে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই উপজেলাতে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান পদের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গনি,আনারস প্রতিকের সতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যড স ম গোলাম মোস্তফা,ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন,মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী সাঈদ মাহফুজুর রহমান ও এনপিপি’র আম প্রতিকের প্রার্থী ওজিয়ার রহমান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন উড়োজাহাজ প্রতিকের প্রার্থী যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর,যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনি,চশমা প্রতিকের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আনিছুর রহমান বকুল,তালা প্রতিকের প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ ও এনপিপি’র আম প্রতিকের প্রার্থী সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম। পাশাপাশি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদ্মফুল প্রতিকের প্রার্থী মিসেস আমেনা রহমান সহ প্রজাপতি প্রতিকের প্রার্থী প্রিয়াংকা রানী,ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী আফরোজা পারভীন,কলস প্রতিকের প্রার্থী জিএম স্পর্শ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের নির্বাচনী প্রচারনা। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটের পাখির মতো স্বল্প সময়ের জন্য উড়ে আসা প্রার্থীদের রঙ-বেরঙের প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন,এলাকার উন্নয়ন তথা সাধারন মানুষের কল্যানে নিয়োজিত থাকা যোগ্য প্রার্থীদেরকেই ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারন ভোটাররা।

  • সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি টহল ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে মাছ ধরা জেলেদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ, তদন্তে প্রমানিত অবশেষে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন


    পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি টহল ফাঁড়ির অফিস ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলমের বিরুদ্ধে গহীন সুন্দরবনে মাছ ধরা জেলেদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
    এদিকে, বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এস.ও) কে.এম কবীর উদ্দীন বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় আদায়কৃত মুক্তিপনের টাকা অবশেষে ভুক্তভোগী জেলে সোহরাব হোসেনের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হলেন ওসি মহসিন আলম।
    জানা যায়, গত ৩ মার্চ সুন্দরবনের পুষ্পকাটি গহীন অরন্যে মাছ ধরার অপরাধে ওসি মহসিন আলমের নেতৃত্বে পুষ্পকাঠি বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা চার জেলেকে আটক করে। এরপর তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়। আটক জেলেরা উক্ত ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৮ হাজার টাকা পরিশোধ করলে ওসি মহসিন আলম তাদের ছেড়ে দিলেও বাকি ২২ হাজার টাকার জন্য তাদের ব্যবহৃত নৌকা ও জাল আটকে রাখা হয়।
    বাড়িতে ফিরে তাদের মধ্যে ভুক্তভোগী জেলে সোহরাব হোসেন এর প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এস.ও) কে.এম কবীর উদ্দীনকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করেন। তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে ওসি মহসিন আলম জেলেদের কাছ থেকে নেয়া উক্ত ২৮ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
    তদন্তকারী কর্মকর্তা এসও কে.এম কবীর উদ্দীন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ২৮ হাজার টাকা জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং ওসি মহসিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ এ ঘটনার সত্যতা স¦ীকার করেছেন।
    খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন বলেন, দুর্নীতি পরায়ন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##

  • শ্যামনগরে হাজী কুরবান সরদান স্বাধীনতা চত্বরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    শ্যামনগরে হাজী কুরবান সরদান স্বাধীনতা চত্বরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে শ্যামনগরে ১৩ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয় হাজী কুরবান আলী সরদার স্বাধীনতা চত্বর। সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার আনুষ্ঠানিক ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে সুন্দবনাঞ্চলের স্বাধীকারের মশাল প্রজ্জলিতকারী ব্যক্তিত্ব ও ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব কুরবান আলী সরদারের স্মৃতিময় স্থানকে স্থায়ী করতে এ ফলক উম্মোচন করা হয়। ফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর মহাসিন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মো. নাজিমুদ্দিন। জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি শাহান হামিদ, জাসদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশীদ, নকিপুর হরিচরন সরকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, নকিপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, আতরজান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবপ্রসাদ মন্ডল, মুন্সিগজ্ঞ কলেজের অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি ডা: আলী আশরাফ, সাংবাদিক শেখ আফজালুল রহমান, সাংবাদিক আবু সাইদ, শিক্ষক সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণ, প্রগতির সমন্বয়কারী শেখ রফিকুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মি পিযুষ আউলিয়া, শিক্ষক আশুতোষ হালদার, নমিতা মন্ডল ও প্রগতির কর্মকর্তা সুপর্ণা কর্মকার, মাসুম বিল্লাহ বেলাল প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে নানা প্রশংসায় অভিষিক্ত হলেন অতিথিরা। তাদের মুখের ভাষায় অভিষেক হলো সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন নির্বাচিত কমিটির ১৩ কর্মকর্তার। উন্মুক্ত দীঘির শ্রান্ত বাতাসে মুকুলের সুবাসে ফুলেল শুভেচ্ছা আর সম্মাননা ক্রেস্টের ঝিলিকে চমকে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মিলনায়তন। মঙ্গলবার সুর ও ছন্দের আবেশে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। বর্ণিল এই আয়োজনের প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান উপমহাদেশের শীর্ষ শ্রেষ্ঠ শল্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার আফম রুহুল হক বলেন, ‘আমি যখন ম্যাট্রিক পরিক্ষা দিয়েছিলাম তখন নৌকায় এসেছিলাম সাতক্ষীরায় গফুর সাহেবের বাড়ির ঘাটে। এখন সে নদী আর নেই। এ নদী খনন করতে হবে। তবেই হবে সাতক্ষীরার উন্নয়ন’। তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সড়ক পথে সুন্দরবন। পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ভোমরা বন্দরমুখী সড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে হবে। আমরা চিংড়িতে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দিচ্ছি। বিপুল পরিমান সাদা মাছের জন্ম দিচ্ছি, রপ্তানি করছি। প্রয়োজনের কয়েকগুন বেশি কৃষি ফসল সবজি দিচ্ছি। আমাদের আম যাচ্ছে ইউরোপ। তবু সাতক্ষীরার উন্নয়ন নেই এই আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কোনো কোনো স্থানে তিনজন আওয়ামী লীগ এমপির মধ্যে একজন মন্ত্রী। আর আমাদের চারজন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির মধ্যে একজনও মন্ত্রী না। আমরা তো এভাবেই বঞ্চিত হচ্ছি দাবি করে তিনি বলেন এ থেকে আমাদের উত্তরন চাই। এ অঞ্চলকে একটি ইকোনমিক জোনে পরিণত করতে হবে। ইকো ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এসব সম্ভাবনার দ্বার খোলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন সবগুলি নদীর মুখ স্লুইস গেটে বন্ধ হয়ে আছে। এগুলি সরাতে হবে নদীকে জীবন্ত করতে হবে। দুর করতে হবে জলাবদ্ধতার অভিশাপ। সবাই মিলে সাতক্ষীরাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সাথে আছি। সাথে থাকবো। সেমিনার করে উন্নয়নের তাৎপর্য তুলে তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা কথিত মারামারি কাটাকাটির গর্তে পড়ে আছে। আমাদেরকে এই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই আসবে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন। সাংবাদিকদের জন্য আবাসন আমিও চাই। আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। আমাদের সঠিক পরিচয় সাংবাদিকরাই পারেন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে। তিনি বলেন সাতক্ষীরায় ভাল ভাল সাংবাদিক আছেন। তারা দেশের উচ্চ মিডিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার ক্লাস এইট পাস মহা মহা সাংবাদিকও উঁকি দেয়। তিনি বলেন, ‘উই হ্যাভ টু কন্ট্রোল দেম’। না হলে প্রকৃত সাংবাদিকরা বিভ্রান্ত হবেন। আপনারা মুক্তভাবে লিখুন। সমাজকে এগিয়ে নিন। দেশের উন্নয়নে কাজ করুন। ডা. রুহুল হক আরও বলেন আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রেসক্লাবকে আগেও সহযোগিতা করেছি, আবারও করবো। আপনাদের সাথে আছি, থাকবো।
    অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার বলেন, ‘মামা আমায় কথা দিয়েছেন। তিনি গেটলক খুলে দেবেন’। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে এসএম জগলুল হায়দার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের হাতে আঞ্চলিক বা এলাকা ভিত্তিক উন্নয়ন ক্ষমতা রয়েছে। চাইলেই আমরা এমপিরা অনেক কিছু পারিনা। তবে চার এমপি সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্যের সহযোগিতায়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীকে ধরতে পারলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উন্নয়ন অবশ্যই কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছাবে। জগলুল হায়দার আরও বলেন, আমি জাতীয় সংসদে প্রেসক্লাবের উন্নয়নে কথা বলেছিলাম। এখন প্রেসক্লাব উন্নয়নের কিছু কাগজপত্র লাল ফিতায় আটকা পড়েছে। আমরা এই লাল ফিতা ছিন্ন করতে চাই। আমরা কেউ ভুল ত্রুটির উর্ধে নই জানিয়ে তিনি বলেন গত ১৫ বছর যাবত সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি হয়ে আছে বাস মালিকদের কাছে। তিনি সাতক্ষীরা শ্যামনগর রুটের গেটলক খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অধ্যক্ষ আবু আহমেদকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এখন মুক্ত মনে লিখতে পারছেন। তবে কিছু কিছু সাংবাদিক হুট করে না জেনে না শুনে কিছু একটা লিখে দিলেই সকালে ঘুম থেকে দেখবেন আপনার মান সম্মান সব শেষ। এমন হাতে গোনা কয়েকজন সাংবাদিক থাকলেও সাতক্ষীরার বেশিরভাগ সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনেক ঐতিহ্য, অনেক পরিচিতি। সুসময়েই নয় শুধু মানুষের দুঃসময়ে দুর্যোগে দুর্বিপাকে তারা মন প্রাণ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তারা তাদের লেখনী দিয়ে গনমানুষের কল্যাণ করছেন। তারা লিখলে প্রশাসনের টনক নড়ে । রাজনীতিবিদ সমাজ কর্মী সবাই নড়েচড়ে বসে। সবাই সচেতন হয়। এ সময় প্রকৃত চাহিদা বেরিয়ে আসে । আমরা সবাই উপকৃত হই। আপনাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। আমরা সব সময় আপনাদের সাথে আছি।
    বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমগুলি অসংখ্য ধুলি কণা তুলে ধরতে পারে। এজন্য তারাই সবচেয়ে বড় দর্পনের কাজ করে। এই দর্পনকে স্বচ্ছ রাখা দরকার’। আর এ কারণেই সমাজের নিন্দুকদের কাছে তারা অনেক সময় চক্ষুশূল হয়ে পড়েন। তবু প্রকৃত সাংবাদিকরা অপসাংবাদিকতার প্রশ্রয় দেন না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে সমাজের প্রকৃত চেহারা ফুটে ওঠে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একপেশে খবর, খবর নয়। স্বাধীন গন মাধ্যম যদি যথাযথ ভূমিকা রাখতে না পারে তাহলে সেই সমাজ পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। সঠিক সংবাদে সমাজের কল্যাণ হয় । আর অনভিপ্রেত সংবাদ সমাজের ক্ষতি করে। সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের সাথে আমার প্রফেশনাল ঘনিষ্ঠতা খুব বেশি মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক বলেন আপনাদের দক্ষতার প্রসার ঘটাতে হবে। উৎকর্ষ সাধনের জন্য আরও প্রয়াস চালাতে হবে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মশাল প্রজ্জ্বলিত। এই মশালকে এগিয়ে নিতে হবে। গভীর প্রফেশনাল সম্পর্ক নির্মাণ করতে হবে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জেলা প্রশাসক হিসাবে আমার যতো করনীয় তা করবো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
    অভিষেক অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ‘ফোর্থ স্টেট’। এখানে আছে গণতন্ত্রের অবাধ চর্চা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। যারা এই পেশায় রয়েছেন তাদের সাথে পুলিশের মিল রয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন প্রেস ও পুলিশ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দেশ ও জনগনের উন্নয়নে তারা অনবরত কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আরও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে। স্বাধীনতার মাস এই মার্চে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে আমাদের পথ চলতে হবে। তিনি নব নির্বাচিত কমিটির সাফল্য কামনা করেন।
    অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে। আমরা জনগণের কল্যান ও উন্নয়নের পক্ষে। আমরা জনপ্রতিনিধিদের সাথে মিলিত হয়ে উন্নয়ন কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, প্রেসক্লাব উন্নয়ন বঞ্চনায় রয়েছে। এই বঞ্চনা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। আমরা চাই সাংবাদিক প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন। এই বন্ধন হবে দৃঢ়, উল্লেখ করেন তিনি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহীর সঞ্চালনায় স্বচ্ছ বৈকালিক এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইতিহাস ঐতিহ্য অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ড ছাড়াও ভবিষ্যত কর্মযজ্ঞের কথা তুলে ধরে বক্তৃতা করেন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা প্রমূখ সুধিজন। অতিথিরা নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এর আগে অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন প্রেসক্লাব সদস্যগণ।
    সন্ধ্যায় দীপালোক একাডেমির পরিচালক ৭১ টিভির বরুন ব্যানার্জির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

  • ছনকায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারের পথসভা

    নিজস্ব প্রতিনিধ:  উপজেলার ছনকা বাজারে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা উড়োজাহাজ প্রতিকধারী কাজী আকতার হোসেন এর নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছনকা বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদউদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, এড. সাইদুজ্জামান জিকো, কাজী ইকবাল হোসেন, তুুহিন, মাসুদ, বিমান, বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন, শুকুর মাহমুদ, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, নাহিদ প্রমুখ।

    আক্তারের নির্বাচনী গণসংযোগে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আশাশুনির সরাপপুরে লাল্টু বাহিনীর সন্ত্রাস

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আশাশুনির সরাপপুরে লাল্টু বাহিনীর সন্ত্রাস


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
    সন্ধ্যা হতেই এলাকার চিংড়ি ঘেরগুলি হয়ে যায় লাল্টু বাহিনীর। ইচ্ছামতো লুটপাট করে লাল্টু ও তার বাহিনী। ১৩ টি নাশকতার মামলার এই দুর্ধর্ষ আসামি লাল্টু পথে ঘাটে যাকে তাকে মারধর করে এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সে এলাকায় চাঁদা দাবি করে থাকে। চাঁদা না দিলে উল্টো মারধর করে। প্রতিবাদ করলেও বাহিনী নিয়ে হামলা করে।
    মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক হুমায়ুন কবির। তিনি ফিংড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। এ সময় তার সাথে চিলেন এলাকার মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আলমগীর কবির, মো. নাসরুল্লাহ ফিরোজ, মো. শহিদুল ইসলাম ও বায়েজিদ শরাফিসহ এলাকার কয়েক ব্যক্তি।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার ছেলে আবেদিন শরাফী ব্যাংদহা কউিনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে কর্মরত। গত নভেম্বর মাসে তাকে সরাপপুরের শাহাদাত হোসেনের পুত্র লাল্টু এলাকার ঘের তেকে লুটপাট করে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় সে ও তার দুই সহযোগী রশিদ ও সাইফুল্লাহ ভেলু আবেদিন শরাফীকে মারধর করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হলে সে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিতে থাকে। এরপর আরও একদিন আবেদিনকে মারধর করার চেষ্টা করলে তার স্ত্রীর বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। লাল্টু এলাকার মানুষের গরু ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। বাধা দিলে বলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবো। বাড়াবাড়ি করলে লাশ ফেলে দেবো। এ নিয়ে সাতক্ষীরার পত্র পত্রিকায় রিপোর্টও প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির আরও বলেন গত ১০ মার্চ তার পুত্র আবেদিন শরাফি শান্ত অফিসে যাচ্ছিল। এ সময় লাল্টু , সাইফুল্লাহ ভেলু ও রশিদ তাকে লোহার রড, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তার হাত পা ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
    হুমায়ুন কবির এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান । তিনি এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি বলেন কেবলমাত্র প্রতিবাদ করায় তার ছেলের ওপর হামলা হয়। তিনি লাল্টু ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

  • সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে বিজিবি-বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে বিজিবি-বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে বিজিবি-বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতমঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ভোমরা স্থল বন্দর কাষ্টমস হাউস সম্মেলন কক্ষে উক্ত পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকটি শেষ হয় বিকাল ৪ টায়।
    চার ঘন্টার এই পতাকা বৈঠকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে গুলি বর্ষনে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
    বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের ২৬ সদস্য দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার মোঃ আরশাদুজ্জামান খান। এ সময় তার সাথে আরো ছিলেন, খুলনা বিজিবি (পিবিজিএমএস) ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার, সাতক্ষীরা নীলডুমুর ১৭ ব্যাটেলিয়নের অধিনায় লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ মোস্তফা আসাদ ইকবাল, যশোর বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সেলিম রেজা ও রিভাইন বর্ডারগার্ড কোম্পানীর অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার এম মিল্টন কবির এবং বিএসএফ এর ১২ সদস্যের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র কোলকাতা সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি শ্রী রাজিবা রঞ্জন শর্মা। এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ষ্টাফ অফিসার (এডমিন) শ্রী তারনী কুমার তিউ, কমান্ডিং অফিসার শ্রী মনোজ কুমার বানোয়াল, কমান্ডিং অফিসার জেএস সান্ধু, কমান্ডিং অফিসার শ্রী অরুন কুমার, কমান্ডিং অফিসার শ্রী সুরেন্দ্র শিং, কমান্ডিং অফিসার শ্রী রবি ভূষন, কমান্ডিং অফিসার শ্রী বিজয় ডিমরি প্রমুখ।
    বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, আলোচনায় ভারতীয় মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারে সরকারের জিরো টলােেরন্স নীতি পূনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিএসএফকে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে। এ ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশরোধ, অবৈধ অস্ত্র পাচার এবং নারী ও শিশু পাচার রোধে দুই পক্ষই একমত পোষন করেছে। ভারতীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চোরাচালানিরা প্রায়ই বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা করে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ আরও সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশে চারঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সমন্বয় বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তের অপরাধ দমনে নিজ নিজ ভূখন্ডে অবস্থান করে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের এ পতাকা বৈঠকে সীমান্তে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য অপরাধ দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) একযোগে কাজ করবে বলে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।

  • ফলোআপ: বাড়িতে চলছে শোকের মাতম, খুলনায় নিহত হাবিবুর রহমানের লাশ সাতক্ষীরার ওমরাপাড়ায়

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে পাঁচখন্ড করা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউুনয়নের ওমরাপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের(২৬) লাশ শনিবার সন্ধা ৬টায় তার নিজ বাড়িতে আনার পর চলছে শোকের মাতম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নামাজে জানাযা শেষে সবুজের লাশ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
    শনিবার সকালে ওমরাপাড়া গ্রামে গেলে নিহত সবুজের বোন মনিরা খাতুন জানান, তারা দু’ভাই বোন। সম্প্রতি একই উপজেলার দামারপোতায় খাঁন গোলাম মোস্তফার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। ভাই সবুজ আশাশুনি উপজেলার গুনাকারকাটি গ্রামের নানার বাড়ি থেকে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এইচএসসি ও পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করার পর ঢাকার মীরপুর বাংলা কলেজে মাস্টার্স এ ভর্তি হয়। তবে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের আব্দুল আওয়ালের মেয়ে মারিয়াকে এক বছর আগে বিয়ে করলেও দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে মেনে নিয়ে বাড়িতে তোলা হয়। বর্তমানে মারিয়া আন্তঃস্বত্বা।
    মা রাবেয়া খাতুন জানান, স্নাতক পাশ করার পর সবুজ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য তার সেঝ মামা রফিকুল ইসলাম ও বাবার কাছ থেকে নেওয়া ১৫ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি করেছে। কয়েক বছর আগে পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে খুলনা প্রাইট সিকিউরিটি সার্ভিসের চাকুরি নেয়। সেখান থেকে বের হয়ে সে পাটকেলঘাটায় হারবাল চিকিৎসা করতো। প্রতিবেশি নুর আলী গাজীর ছেলে বড়বাজারে কাঁচা মালের আড়তে কর্মরত ওবায়দুল্লাহ তার খুব ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। তার (রাবেয়া) গলায়, ঘাড়ে ও মাথায় এক ধরনের গ্লা- বড় আকারে দেখা দেওয়ায় তাকে নিয়ে ভারতের ভেলোরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সবুজ। ১৩ মার্চ তাদের পাসপোর্ট পাওয়ার কথা ছিল।
    রাবেয়া খাতুন আরো জানান, আউট সোসিং এ চাকুরি দেওয়ার নামে ২২ লাখ টাকা সবুজ নিয়েছে এমন অভিযোগে খুলনার হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি এক বছর আগে কলারোয়া উপজেলার কয়লা গ্রামের মুরাদসহ ৭/৮জন প্রতিবেশী জহুর আলী সানার ছেলে আবু জাফরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। এর পরেও কয়েকবার ওই চক্রটি তাদের বাড়িতে এসে টাকার দাবিতে হুমকি দেয়। টাকা ফেরৎ না দিলে সবুজকে কেটে টুকরো টুকরো করা হবে বলেও জানায় তারা। এ ঘটনায় সবুজ বাদি হয়ে হুমকিদাতাদের নামে সাতক্ষীরা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্্েরট আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা করে। মামলাটি আজো বিচারাধীন। তবে ২৫ লাখ টাকার দাবিতে হাফিজুর রহমান খুলনা কোর্টে মামলা করলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় সবুজের বিরুদ্ধে। আদালতে আত্মসমর্পণ করলে এক মাস পর সবুজ জামিনে মুক্তি পায়। এরপরও হুমকি ধামকি অব্যহত ছিল।

  • আর্ন্তজাতিক নারী দিবস : মূল্যবোধ, বাস্তবতা -অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী


    সংগ্রাম ও প্রতিবাদ আর আত্মত্যাগ। এ ভাবেই পৃথিবীতে শ্রমজীবি মানুষ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আদায় করেছে অধিকার। মানুষের কোন অধিকার সাধারণভাবে অর্জিত হয়েছে, এমন নজির পৃথিবীতে বিরল। আর এ সংগ্রাম একদিনের আকর্ষিক কোন বিষয় ছিল না। ছিল মানুষের পুঞ্জিভুত তীল তীল ক্ষোভের সম্মিলিত বহিপ্রকাশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সুত্রপাত একক থেকে শুরু হয়ে লক্ষতে পৌঁছেছে। বেশীর ভাগের ক্ষেত্রে প্রথম বিদ্রোহী একককে জীবন দিয়ে অন্যদের বুঝাতে হয়েছে, শ্রমজীবিদের স্বাধীনতা নেই, মর্যাদা নেই, বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আর একক রক্ত ত্যাগ, রক্ত বীজ হয়ে সমাজ অভ্যন্তরে, রাস্ট্র অভ্যন্তরে বৃহৎ মহির জন্ম দিয়েছে।
    ১৮৫৭ সালে ৮ মার্চ সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা কাজের ঘন্টা কমানো, কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তাপূর্ণ মজুরীর দাবীতে রাস্তায় মিছিল করে। এ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় ও গুলি করে। ফলে নারীর রক্তে রাজপথ ভিজে যায়। মার্কিন রাস্ট্রের নিউওয়ার্ক শহরে রাস্তায় নারীদের এ মিছিল ও আত্মত্যাগের ঘটনাটি ঘটে। আসলে এ দিন কি প্রথম নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হয়েছিল ? না, সেটি নয়। অর্থাৎ কারাখানা শুরু থেকে কম মজুরি দেওয়া আর বেশী সময়ে কাজ করিয়ে ঘটনা শুরু হয়। শ্রমিকদের সংগঠিতভাবে প্রতিবাদ করার বাস্তবতা না থাকায় একক প্রতিবাদ আর নিগৃত হতে হতে এক সময় রাজপথে নামে নারী শ্রমিকরা।
    উনবিংশ শতাব্দির শুরুর সময়কাল। শ্রমিকরা তখন গড়ে ১২ ঘন্টার অধিক সময় ধরে কাজ করতে বাধ্য হতেন। বিনিময়ে যে মজুরী প্রদান করা হতো তা খুবই নগন্য। মালিকরা পুরা লাভটি নিয়ে নিত। শ্রমিকদের জীবনযাবন ছিল মানবেতর। উপরন্ত ছিল মালিকদের সীমাহীন নির্যাতন। কখনো কখনো তার রুপ ছিল ক্রীতদাসসম।
    ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চের আন্দোলন তখনকার শাসকগোষ্টি ও মালিকপক্ষ পুলিশ আর প্রশাসনকে দিয়ে সাময়িক ভাবে নির্মম নির্যাতনের স্ট্রীম রোলারের চাকায় পিষ্ট করতে পারলেও যে রক্তবীজের জন্ম হয়, তা পরবর্তিতে পৃথিবীব্যপি ছড়িয়ে পড়ে। অর্জিত হয় দাবী সমুহ।
    ১৮৬০ সালে ৮ মার্চ নিউওয়ার্কের সুতা কারখানার শ্রমিকরা ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ স্মরণে প্রথম শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলে। এ ভাবেই সুতা কারখারার নারী শ্রমিকের রক্ত দানের ঘটনার মধ্যদিয়ে শ্রমিক আন্দোলন দানা বাধতে শুরু করে। এক সময় এ আন্দোলন কারখানার গন্ডি পেরিয়ে, দেশ পেরিয়ে আর্ন্তজাতিক মহলে ঝড় তোলে। এ সময় পৃথিবীতে সমাজতন্ত্রের আন্দোলন গড়ে উঠা শুরু হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে কমিউনিস্ট পাটির জন্ম হয়েছে। জার্মান কমিউনিস্ট পাটির নেত্রী ক্লারা জেটকিনের উদ্যোগে প্রথম আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলন জার্মানীতে অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে নারী শ্রমিকদের নায্য মুজুরী, কর্মঘণ্টা ও ভোটধিকারের দাবী উত্থাপন করা হয়। ১৯১০ সালে ২য় আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলন ডেনমার্কেও কোপেনহেগেন এ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ৮ মার্চকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পর থেকে পৃথিবীর কমিউনিস্ট পাটি সমুহ স্ব স্ব দেশে ৮ মার্চ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করে আসতে থাকে। রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর থেকে সামাজতান্ত্রিক দেশ গুলো বেশ গুরত্ব দিয়ে দিবসটি পালন করা শুরু করে।
    সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের প্রভাবে ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিবসটি পালন করা শুরু করে। তবে জাতীসংঘের সাধারন পরিষদে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাভ করে ১৯৭৭ সালের ১৬ ডিশেম্বর। এ সময় জাতীসংঘ সদস্য দেশ সমুহকে দিবসটি তাৎপর্য তুলে ধরে পালনের অনুরোধ করে। ফলে অধিকার বঞ্চিত নারী সমাজের রাজনৈতিক, অর্তনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির পথ সগম হয়। আর্ন্তজাতিক ভাবে নারীর অধিকার মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত হয়।
    বাংলাদেশের সংবিধানে নারী পুরুষের সমমর্যাদার কথা বলা আছে। কেবলমাত্র নারী হওয়ার কারনে কেউ যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় তার সুরক্ষা আইনে দেওয়া হয়েছে। নারী নিরাপত্তায় বিশেষ বিশেষ আইন প্রনয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান শিল্প পোশাক শিল্প, যার অধিকাংশ শ্রমিকই নারী। পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা এবং ন্যায্য মজুরী পাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ গুরুত্বের সাথে দেখে থাকে। যে নারী শ্রমিকদের মধ্য থেকেই দিবসটির উৎপত্তি হয়েছিল, বাংলাদেশে বর্তমানে সেরূপ নারী শ্রমিক রয়েছে কয়েক লক্ষ। নিউ ইউয়র্কের সেদিনকার সূচ কারখানার নারী শ্রমিক ও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিক যেন একই সুত্রে গাঁথা। সময় ঘন্টা, মজুরী আর কাজের পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন এখনও করতে হয়, রাজপথে রক্ত দিতে হয়। বাংলাদেশ প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে থাকে। কিন্তু এখানকার নারী পোশাক শ্রমিকেরা কতটা সুরক্ষিত তার প্রশ্ন থেকেই যায়। বাংলাদেশে নারীদের জন্য অনেক আইন ও বিধি বিধান থাকলেও বাস্তব ক্ষেত্রে এখনও নারীরা উপেক্ষিত। নারীদের গৃহস্থালী কাজের অর্থনৈতিক স্বীকৃতি নেই। তালিকাভুক্ত নয় এমন শিল্প কারখানার নারী শ্রমিকেরা পর্যাপ্ত সুরক্ষা পায় না। তাদের ন্যায্য মজুরীর অভাব, মাতৃত্বকালীন ছুটির অভাব, নিরাপত্তার অভাব ইত্যাদি লক্ষ্যণীয়। জাতীসংঘের সদস্য রাস্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে দিবসটি সরকারী ব্যবস্থাপনায় বর্নাঢ্য ভাবে পালিত হওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নারী দিবসের আবেদন ও মূল্যবোধ এ সকল অনুষ্ঠানগুলোতে পাওয়া যায় না। বিষয়টা হচ্ছে বৈষম্যে কারণ যে বৈষম্যযুক্ত রাস্ট্র কাঠামো, তা পূর্বের অবস্থায় বিদ্যমান রেখে নারীর প্রতি বৈষম্য বন্ধ করা সম্ভব নয়। আবার এই বৈষম্যময় রাস্ট্র কাঠামো টিকিয়ে রেখেছে বর্তমান আমলাতন্ত্র ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাস্ট্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা সকল গণ আন্দোলন, নায্য আন্দোলন এ পেটোয়া বাহিনী কতৃক নিয়ন্ত্রন করে থাকে শাসক মহল। তা সে শাসক যে দলের হোক না কেন ?
    আসলে বৈষম্যময় রাস্ট্র কাঠামো টিকিয়ে রেখে, বর্তমান আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য থেকে নারীর সামগ্রিক মুক্তি আনা সম্ভব নয়। প্রয়োজন মনন জগতের পরিবর্তন। মানুষ হিসেবে দেখার মানুষিকতা। যা মুনাফা ভিত্তিক সমাজে বহুলাংশে কাঠালের আমসত্ত্ব।
    নারীর সামগ্রিক মুক্তি নিহিত আছে পুরুষতান্ত্রিক শোষন মুলক বর্তমান রাস্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের মধ্যে। সে জন্য প্রয়োজন সাম্যের নৈতিক মুল্যবোধ ধারনকৃত রাজনৈতিক শক্তির নেতৃত্বে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের মাধ্যমে বর্তমান রাস্ট্র কাঠামো ভেঙ্গে মানবিক, বৈষম্যহীন রাস্ট্রকাঠামো গড়ে তোলা। সকল মানুষের মৌল অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানের। জাতী, গোত্র, বর্ন ও লিঙ্গ ভেদের বৈষম্যের অবসান ঘটানো।

  • দেবহাটায় চেয়ারম্যান প্রার্থী গনির নির্বাচনী পথসভায় মনসুর আহম্মেদ ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে আ.লীগ মনোনীত প্রর্থীকে বিজয়ী করতে হবে

    দেবহাটায় চেয়ারম্যান প্রার্থী গনির নির্বাচনী পথসভায় মনসুর আহম্মেদ ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে আ.লীগ মনোনীত প্রর্থীকে বিজয়ী করতে হবে

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দলীয় ভেদাভেদ,ব্যাক্তিস্বার্থ ও কোন্দল ভুলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার মনোনীত দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল গনিকে বিজয়ী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহম্মেদ। শুক্রবার বিকাল ৩টায় দেবহাটার পারুলিয়াস্থ শহীদ আবু রায়হান চত্বরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল গনির নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে সকল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি এ আহবান জানান তিনি। মনসুর আহম্মেদ বক্তৃতায় আরো বলেন,ব্যাক্তিগত ও দলীয় কোন্দলকে নির্বাচনের মাঠে দেখাতে গিয়ে শেখ হাসিনার নৌকার ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না। শত্রুতা প্রার্থীর সাথে থাকতে পারে কিন্তু সেই শত্রুতা নৌকার সাথে করবেন না। নির্বাচনে নৌকা ছেড়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে মাতামাতি করা কখনোও কোন আদর্শবান আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় হতে পারে না। যারা ২০১৩ সালে নৃশংসভাবে আওয়ামী লীগের নিবেদিত সৈনিক আবু রায়হান, আব্দুল আজিজ, আলমগীর হোসেন বাকুমকে হত্যা করেছিলো, আওয়ামী লীগকে দ্বিধা বিভক্ত করত তারাই মদদ দিয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী খাড়া করেছে। তারা নৌকাকে পরাজিত করতে তারা যে স্বপ্ন দেখছে তা দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে। তাছাড়া নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলেও এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের হুশিয়ারী করেন তিনি। পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পথ সভাটিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধাা সাংসদের ইউনিট কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুস শাহাদাত,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক বাসুদেব সরকার,সদস্য অহিদুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আবু রাহান তিতু,উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ ঘোষ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বিশ্বাস,নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু,আলমগীর হোসেন সাহেব আলী,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কেল্টু,শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম। এসময় আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্যামনগরে আতাউল হক দোলনের নির্বাচনী পথ সভা

    শ্যামনগরে আতাউল হক দোলনের নির্বাচনী পথ সভা

    শ্যামনগর ব্যুরো: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আতাউল হক দোলনের পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ৮মার্চ শ্যামনগর উপজেলা বংশীপুর মোড়ে নির্বাচনী পথ সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল সহকারে দলে দলে সমর্থিত জনগন হাজির হয়ে পথ সভাকে জনসমুদ্রের সৃষ্টি করে। এ জনসমুদ্রের জন সভায় সভাপতিত্ব করেন, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. শোকর আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, যুব নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা (বাংলা) ও শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কালিগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রধান মন্ত্রীর মনোনীত নৌকা প্রতীকের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী এস, এম, আতাউল হক দোলন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু বক্কার সিদ্দিক, জেলা পরিষদ সদস্য এস, এম গোলাম মোস্তফা মুকুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী আনিসুজ্জামান, নির্বাচন কমিটির নুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহম্মেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সম আব্দুস সাত্তার, সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেদা আইয়ুব ডলি, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরুজ্জামান টুটুল সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সম্পাদক ও সমর্থিত জনগন। বক্তাগন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহব্বান জানান।

  • সুন্দরবনের বনদস্যু জামু আটক

    শ্যামনগর ব্যুরো: সুন্দরবনের দস্যু বাহিনীর প্রধান জামির আলী ওরফে জামুকে শ্যামনগর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এলাকা সূত্র জানায়, শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের গাঁ ঘেষা দ্বীপ পল্লী গোলাখালি গ্রামের ছেমুদ্দি মোল্যার পুত্র সুন্দরবনের বনদস্যু জাকির আলী জামুকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় ভেটখালি বাজার থেকে শ্যামনগর থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে। এলাকাবাসী জানায়, একাধিকবার ধৃত হয়ে জামু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা আরও জানায় জামুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও জেলে বাওয়ালিদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আছে। জামুকে আটকের খবর পেয়ে বনজীবিদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। থানাসূত্র জানায়, ওয়ারেন্ট ভুক্ত মামলার আসামী হিসাবে জামুকে আটক করা হয়েছে।

  • শ্যামনগরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে  আলোচনা সভা

    শ্যামনগরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

    শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত।
    বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় চত্ত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী আনিছুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা নেতা কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এস এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য এস এম গোলাম মোস্তফা মুকুল, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক স,ম আব্দুস সত্তার, গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা, নুরুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭১-এর ৭ মার্চ ভাষনে উদ্বৃদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। সে স্বাধীনতার ফসল আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসেন, জাতির পিতাকে ভালোবাসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন। বক্তব্য শেষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতা কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা কোর্ট মসজিদের মুয়াজ্জিন।

  • তালায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা : আটক ৩

    তালায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা : আটক ৩

    নিজস্ব প্রতিনিধি: তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শামছুর শেখ (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিতা-পুত্রসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
    নিহত শামছুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ, তিনি স্থানীয় মাগুরা বাজার থেকে কেনা-কাটা করে বাড়িতে পৌছে বারান্দায় ওঠার সময় একই এলাকার আফাজ উদ্দীন শেখের ছেলে হায়দার শেখের নেতৃত্বে আফাজ নিজে, অপর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (২২), ফারুখ, মোস্তফা শেখের ছেলে নাদীম (২২) সহ অন্যান্যরা সংঘবদ্ধভাবে তার উপর হামলা করে পিটাতে থাকে এক পর্যায়ে তারা তাদের কাছে থাকা ফারাশি দিয়ে শরীরের মাজাসহ বিভিন্নস্থানে আঘাত করলে শামছুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
    নিহতের ছেলে সালাম শেখ ও স্ত্রী মোমেনা বেগম জানান, শামছুর রহমান প্রায় ২০/২৫ বছর ধরে মাগুরার মৌজার কাশিদা বিলের প্রায় ৫০ শতাংশ জমি সরকারের কাছ থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। প্রায় বছর খানেক হল, একই এলাকার আফাজ উদ্দীন শেখের ছেলে হায়দার শেখ ঐসম্পত্তির দখল নিতে নানা তালবাহানা ও গোলযোগ করে আসছিল। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা ঐঘটনা ঘটায়।
    এদিকে খবর পেয়ে এএসপি সার্কল অপু সরোয়ার, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ও তদন্ত (ওসি) কাজী শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক রঘুনাথপুরের মৃত মুনছুর আলী শেখের ছেলে আফাজ উদ্দীন (৭০), তার ছেলে হাবিবুর রহমান হবি ও মোস্তফা শেখের ছেলে নাদীম(২০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়েছে।
    এবিষয়ে তালা থানা অফিসার (ইনচার্জ) মেহেদী রাসেল জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় ১১দিন ব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় ১১দিন ব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বই কিনুন, বই পড়–ন ও প্রিয়জনকে বই উপহার দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ১১ দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ফেষ্টুন উড়িয়ে উক্ত বই মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আফজাল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্য আবু আহমেত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সৃজনশীল জ্ঞান প্রকাশনী সংস্থার সহ-সভাপতি খান মাহাবুব। প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, আগামী প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র বইই পারে সব ধরনের অপরাধ থেকে তাদেরকে দুরে রাখতে। তিনি আরো বলেন, আগামী প্রজন্মকে বইমুখী করতে পারলেই ভবিষ্যতে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে পারবো। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সময় জানানো হয়, আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিন ব্যাপি চলবে এই বই মেলা। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় দেশের খ্যাতিমান ৫০ টি প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি ইসলামী ফাউন্ডেশন, শিশু একাডেমী, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিসহ স্থানীয় লেখক ও সংস্থার বই থাকবে স্টলগুলিতে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে চলবে স্বনামধন্য শিল্পিদের সমন্বয়ে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

  • আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

    ডেস্ক নিউজ : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন বজ্রকণ্ঠে এই উচ্চারণ করেছিলেন, সেদিনই এ দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছিল পাকিস্তানের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সময় এসেছে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিই আসলে বাঙালির পরাধীনতা মুক্তির সনদ। আজ ঐতিহাসিক সেই দিনটির ৪৮তম বার্ষিকী।

    দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদযাপন করবে।

    ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভাষণ দিতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর আগে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের কারণে পুরো জাতি মুখিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শোনার জন্য। সেদিন রেসকোর্স ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর বজ্রকণ্ঠে সেদিন পুরো জাতিকে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। ঐতিহাসিক সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনাগুলো দেন পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিন পর্যন্ত সেভাবেই দেশ পরিচালিত হতে থাকে। এ ভাষণটি পুরো জাতিকে এমনভাবে উজ্জীবিত করেছিল যে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের ওপর হামলে পড়লেও বাঙালি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করতে পেরেছিল।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিপাগল জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐ ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে—বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।’

    তিনি বলেন, “দেরিতে হলেও ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর এই ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড ডেমোক্রেসি হ্যারিটেজ’-এর মর্যাদা দিয়ে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে। বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের বড় অর্জন।”

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমাদের ইতিহাস এবং জাতীয় জীবনের এক অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য অধ্যায়; যার আবেদন চির অম্লান।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কালজয়ী এই ভাষণ বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষের সব সময় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

    আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অন্যান্য কর্মসূচি: সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমিতে অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের একক বক্তৃতা আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। বিকেল ৫টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘সত্যযুগের সত্যরাজা’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ’ শীর্ষক তথ্য ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

    এ ছাড়া চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।