1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
২৯ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ📰ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে📰সুন্দরবনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু📰সাতক্ষীরার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণ📰এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায়📰কালিগঞ্জে একই পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট📰আশাশুনির বেতনা নদীর চাপড়া ও নওয়াপাড়ায় বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন📰সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক কমিটির সভা, ১৩ জুলাই স্মারকলিপি প্রদান📰বিজিবির অভিযানে প্রায় কোটি টাকার পণ্যসহ আটক ৩📰সাফের শুরুতেই কাঁপন: শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ!

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯
  • ১৯৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ডেস্ক নিউজ : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন বজ্রকণ্ঠে এই উচ্চারণ করেছিলেন, সেদিনই এ দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছিল পাকিস্তানের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সময় এসেছে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিই আসলে বাঙালির পরাধীনতা মুক্তির সনদ। আজ ঐতিহাসিক সেই দিনটির ৪৮তম বার্ষিকী।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদযাপন করবে।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভাষণ দিতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর আগে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের কারণে পুরো জাতি মুখিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শোনার জন্য। সেদিন রেসকোর্স ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর বজ্রকণ্ঠে সেদিন পুরো জাতিকে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। ঐতিহাসিক সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনাগুলো দেন পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিন পর্যন্ত সেভাবেই দেশ পরিচালিত হতে থাকে। এ ভাষণটি পুরো জাতিকে এমনভাবে উজ্জীবিত করেছিল যে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের ওপর হামলে পড়লেও বাঙালি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করতে পেরেছিল।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিপাগল জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐ ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে—বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।’

তিনি বলেন, “দেরিতে হলেও ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর এই ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড ডেমোক্রেসি হ্যারিটেজ’-এর মর্যাদা দিয়ে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে। বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের বড় অর্জন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমাদের ইতিহাস এবং জাতীয় জীবনের এক অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য অধ্যায়; যার আবেদন চির অম্লান।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কালজয়ী এই ভাষণ বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষের সব সময় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অন্যান্য কর্মসূচি: সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমিতে অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের একক বক্তৃতা আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। বিকেল ৫টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘সত্যযুগের সত্যরাজা’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ’ শীর্ষক তথ্য ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

এ ছাড়া চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd