Category: সদর /পৌরসভা

  • ভূমিহীন চিহ্নিতকরণ ও ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বণ্টন করা হবে:জেলা প্রশাসক

    ভূমিহীন চিহ্নিতকরণ ও ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বণ্টন করা হবে:জেলা প্রশাসক

    বৈষম্যহীন ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার বৃদ্ধি এবং সরকারি খাস সম্পত্তি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বণ্টনের সহযোগিতা ও সরকারি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করণের লক্ষে সাতক্ষীরায় উত্তরণ’র ‘অপ্রতিরোধ্য’ প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘উত্তরণ’ দীর্ঘদিন এ জেলায় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম ইতিবাচক বলে আমার মনে হয়েছে। ‘অপ্রতিরোধ্য’ প্রকল্পের মাধ্যমে আশাশুনি উপজেলায় ভূমিহীন চিহ্নিতকরণ ও প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বণ্টন করা হবে। যাতে দারিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন হয়। সাতক্ষীরা জেলায় ভূমিহীনদের সংখ্যা অনেক বেশি, আবার ভূমি দস্যুদের সংখ্যাও কম নয়। সর্পরই এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভূমিহীন পরিবারগুলো সুবিধা ভোগ করবে। উত্তরণের অপ্রতিরোধ্য প্রকল্পের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।’ Access to public resources and opportunities to increase the right of the discriminated hindered and oppressed শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উত্তরণের ‘অপ্রতিরোধ্য’ প্রকল্প সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান জমাদ্দার। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অবহিত করণ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, এনটিভি ও যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, এটিএন বাংলা ও সমকাল’র জেলা প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, আশাশুনি উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা, দেবহাটা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, ওহাব আলী সরদার, আলীনুর খান বাবলু প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, দৈনিক কাফেলার মফস্বল বার্তা সম্পাদক এম রফিক, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহমান,সাংবািদিক ইব্রাহিম খলিল উত্তরণের লিগ্যাল এডভাইজার মুনিরুদ্দীন, সহকারী সমন্বয়কারী বিলকিস, ম্যানেজার সেলিম আহমেদ, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ “খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথা ভাবুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    পুষ্টি সমন্বয় কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে জেলা নাসিং ইনষ্টিটিউটে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল-কাফি, সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবায়ের আহমেদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক জগদীশ চন্দ্র হাওলাদার, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর খাতুন প্রমুখ।
    আলোচনা সভায় বক্তারা পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

  • নাগরিক  মত বিনিময়

    নাগরিক মত বিনিময়


    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ॥ ২৩ এপ্রিল সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও
    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম দরপত্র আহবান ও সরবরাহে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাতক্ষীরা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাংবাদিক এম জিল্লুর রহমান, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, মশিউর রহমান পলাশ, অ্যাড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৮ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করা হলেও টেণ্ডারে উল্লেখিত জিনিসপত্রের মূল্য প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের আইসিইউ না থাকার পরও আড়াই কোটি টাকা মূল্যে তিনটি ভেন্টিলেশন মেশিন কেনা হয়েছে। প্রয়োজন অতিরিক্ত ছয়টি প্রটেবল এক্সরে মেশিন, চারটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও দু’টি জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন কেনা হয়েছে। উপরন্তু মালামাল সরবরাহ করা না হলেও মালামাল বুঝিয়া পাওয়ার ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরারকে সাত মাস আগে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় নাগরিক মঞ্চ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা, মতবিনিময় সভার পাশপাশি আগামি ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করা হবে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

    শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ প্রকাশ বৃটিশ কাউন্সিল ও প্রগতির সহযোগিতায় এবং সিএসআরএল ও জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে আগামী বিভিন্ন কার্যক্রম সমূহের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় প্রগতির কার্যালয়ে জলবায়ু পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জলবায়ু পরিষদের সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় এবং জলবায়ু পরিষদের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুপর্ণা, সদস্য রফিকুল ইসলাম ও সদস্য বেল্লাল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এফজিডির শেয়ারিং মিটিং, আইলা দিবস পালন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, ইউপি নারী সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভা, জলবায়ু মেলা এ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে সম্ভাব্য সময় নির্ধারন করা হয়। এসকল বিষয়ে সামগ্রিক মতামত পেশ করেন উপস্থিতিদের মধ্যে জলবায়ু পরিষদের সদস্য শেখ হারুণ-অর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক আবু সাঈদ, সাংবাদিক আনিছুজ্জামন সুমন, সাংবাদিক আবু তালেব, ডাঃ আলী আশরাফ, চন্দ্রিকা ব্যানার্জি, শম্পা গোস্বামী, এ্যাড. মনসুর রহমান, পিজুস বাউলিয়া পিন্টু সহ জলবায়ু পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও ভলেন্টিয়ারবৃন্দ।

    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ॥ ২৩ এপ্রিল সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও
    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম দরপত্র আহবান ও সরবরাহে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাতক্ষীরা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাংবাদিক এম জিল্লুর রহমান, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, মশিউর রহমান পলাশ, অ্যাড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৮ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করা হলেও টেণ্ডারে উল্লেখিত জিনিসপত্রের মূল্য প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের আইসিইউ না থাকার পরও আড়াই কোটি টাকা মূল্যে তিনটি ভেন্টিলেশন মেশিন কেনা হয়েছে। প্রয়োজন অতিরিক্ত ছয়টি প্রটেবল এক্সরে মেশিন, চারটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও দু’টি জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন কেনা হয়েছে। উপরন্তু মালামাল সরবরাহ করা না হলেও মালামাল বুঝিয়া পাওয়ার ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরারকে সাত মাস আগে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় নাগরিক মঞ্চ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা, মতবিনিময় সভার পাশপাশি আগামি ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করা হবে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

  • শোকবার্তা


    প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় সাতক্ষীরা পলাশপোল চৌরঙ্গী মোড় নিবাসী ডা: শেখ আকরাম হোসেন-(৬২) ২০ এপ্রীল ২০১৯ শনিবার বিকাল ৩.৩০ টায় যশোহর সিএম এইচ-এ চিকিৎসা রত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না-লিল্লাহ ইন্নিইলাহে রাজেউন্। তিনি তার শৈশবকাল থেকে সাতক্ষীরা’র ঐতিহ্যবাহী ক্লাবপার্ক একাদশ ও পিকে, ইউনিয়ন ক্লাবের নিয়মিত ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন এবং কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি সোনালী অতীত ফুটবল খেলোয়াড় এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার হয়ে বিভিন্ন স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের হয়ে এ্যাথলেট ও ফুটবল খেলায় কৃর্ত্বিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ১ কন্যা- স্ত্রী ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পিকেইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি বদরুল ইসলামখান, সাধারন সম্পাদক আ: মোমেন খান সান্টু, যুগ্ম সম্পাদক মাধব চন্দ্র দত্ত, ডিএফএ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, সোনালী অতীত ফুটবল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রেজোয়ান খান চৌধুরী মুন্না, সহপাটি খেলোয়াড় আহম্মদ আলী সরদার, শামসুদ্দোহা দুলু, ড. রবিউল ইসলাম খান, বাবলু চৌধুরী, মেহেদী হাসান, কবীর উদ্দিন, শফিউল ইসলামখান, মমতাজ হাসানখান, লিটন খান, মিল্টন খান, শেখ মাসুদুর রহমান, রফিকুর রহমান লালটু, ওলিয়ার রহমানসহ পিকেক্লাবের সকল সহযোগী সমর্থক ও অংগসংগঠনেরপক্ষ থেকে তার বিদেহীআত্মার শান্তি কামনা কওে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে।

  • জামিন পেয়েও বাড়ি উঠতে পারছে না, তল্পিতল্পা নিয়ে প্রেসক্লাবে: সন্ত্রাসী হামলা ও মামলার মুখে সাতক্ষীরার পাঁচটি সংখ্যা লঘু পরিবার জিম্মি

    জামিন পেয়েও বাড়ি উঠতে পারছে না, তল্পিতল্পা নিয়ে প্রেসক্লাবে: সন্ত্রাসী হামলা ও মামলার মুখে সাতক্ষীরার পাঁচটি সংখ্যা লঘু পরিবার জিম্মি


    নিজস্ব প্রতিনিধি। পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সৃষ্ট মামলায় জামিন পেয়েও বাড়িঘরে উঠতে পারছেন না সাতক্ষীরার পাঁচটি পরিবারের সদস্যরা। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার মুখে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকছেন। তারা তাদের দোকান পাট খুলতে পারছেন না। তাদের শিশুরাও স্কুলে যেতে পারছে না।
    শুক্রবার এসব পরিবারের বেশ কয়েকজন নারী ও পুরুষ সদস্য তাদের তল্পিতল্পা নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আশ্রয় নিতে এসে বলেন ‘ আমাদের নিরাপত্তা নেই । আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না’।
    আতংকিত এসব পরিবারের সদস্যদের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামে। আখড়াখোলা বাজারে বাড়ি সংলগ্ন দোকানপাট রয়েছে তাদের। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাধন সাধু, কার্তিক সাধু, সন্তোষ সাধু ও নিমাই সাধু। তাদের সাথে তাদের স্ত্রী চায়না রানী, স্বপ্না রানী, রমা রানী ও লক্ষ্মী রানী উপস্থিত ছিলেন।
    তারা বলেন পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৩০ শতক জমির ওপর তাদের শরিকদের বসবাস ও দোকানপাট। তাদের একজন শরিক দুলাল সাধুর ১০ শতাংশ জমি জবর দখলের লক্ষ্যে পাশর্^বর্তী এগারো আনি গ্রামের মো. আলাউদ্দিন সরদার তার ছেলে সুমনকে অপহরন করেন। পরে তাকে জিম্মি করে রেখে দুলালের কাছ থেকে ১০ শতক জমি জোর করে লিখে নেন। দুলাল এ ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান। আর তিনি ফিরে আসেননি।
    এদিকে জমির দলিল হাজির করে মো. আলাউদ্দিন সরদার ওই জমি দখল করে নেন। এ জমির শরিকদের অভিযোগ আলাউদ্দিন তার ১০ শতক জমির বাইরে দু’টি দাগে আরও ছয় শতক জমি জবর দখল করে নিয়েছেন। এরই মধ্যে সেখানে দোকান তৈরির লক্ষ্যে আলাউদ্দিন সরদার পাশর্^বর্তী শরিক তুলশি সাধুর টালির ছাউনির ঘরের একাংশ জোর করে কেটে ফেলেন। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশদাররা মীমাংসা করার লক্ষ্যে তাদের ন্যায্য পাওনা জমি ও ঘরে পুনঃদখল করিয়ে দেন। ভুক্তভোগী সদস্যরা জানান এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে আলাউদ্দিন ১১জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ঝাউডাংগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রমজান আলি , সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ অনেকেই। মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
    গ্রামবাসী আরও জানান আলাউদ্দিন সরদার তাদের পরিবারগুলিকে হেনস্থা করার লক্ষ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে আখড়াখোলা গ্রামের তুলশী চরন সাধু, মধুসূদন সাধু, সাধন চন্দ্র, কার্তিক চন্দ্র, দেবচন্দ্র, মিলন চন্দ্র, সন্তোষ চন্দ্র ও নিমাই চন্দ্র সাধুকে । তাদের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্রও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আলাউদ্দিনের দোকানের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরন, দোকানের মালামাল ভাংচুর, আলাউদ্দিনকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা, তার স্ত্রীর গলার চেইন ছিনিয়ে নেওয়া ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত। এই মামলায় আদালতে জামিন নিতে আসা আটজনের মধ্যে সাতজন জামিন পান। প্রধান আসামি তুলশি চরনকে আদালত জেল হাজতে পাঠান।
    জামিন প্রাপ্তরা জানান জামিন পেয়েও তারা বাড়ি ঘরে উঠতে পারছেন না। বিশেষ করে তারা রাতে ঘরে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন আলাউদ্দিন সরদারের দুই ছেলে সেলিম ও ডালিম তাদের লোকজনের সাথে এখন লোহার রড লাঠিসোটা ও হকিস্টিক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়ি ফিরলে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে তিনি হুমকি দিচ্ছেন। তাদের ভয়ে সাধু পরিবারের লোকজন তাদের দোকানপাটও খুলতে সাহস করছেন না। নিরুপায় হয়ে তারা সাংবাদিকদের জানাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে তল্পিতল্পাসহ চলে এসেছেন। আলাউদ্দিন তাদের দেশত্যাগের হুমকি দিয়ে বলেছেন ‘অন্যথায় সবাইকে ফের জেলে ঢুকাবো। আর বের হতে পারবি না’। গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন এর আগে আইন শৃংখলা বাহিনীর ভয় দেখিয়ে আলাউদ্দিন সরদার ভারতীয় চোরাচালানের পণ্য ধরে লুটপাট করতেন। তার বিরুদ্ধে একজন ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে দাবি করে তারা বলেন চোরাচালানের পথ ধরে তিনি এখন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান জমির শরিকরা। তিনি পাশর্^বর্তী আরও অনেক শরিকের জমি দখল করে নেবেন বলে চেষ্টা করছেন।
    তবে জমি দখল , হয়রানি মূলক মামলা দেওয়া এবং কয়েকজন শরিককে দেশত্যাগের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে আলাউদ্দিন সরদার বলেন ‘ আমি নিয়ম অনুযায়ী জমি কিনেছি। দুলালের ছেলে অপহরনের বিষয়ে আমি জড়িত নই। আমার পাওনা জমি আমি দখল করছি। শরিকদের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ওই জমি হজম করার পাঁয়তারা করছেন। আমি চোরাচালানি ছিলাম না। চোরাচালানের মালও মারিনি। কোনো ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার সাথেও আমি জড়িত ছিলাম না। বরং অভিযোগকারীরা আমার দোকানে হামলা করেছে। তাদের কারণে আমি দোকান খুলতে পারছি না’।
    বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন ‘ আমি তাদের মধ্যে মীমাংসা করতে সালিশ বসিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আলাউদ্দিন সরদার সালিশ মানেননি। বরং তিনি সম্মানিত সালিশদারদের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন’। পুলিশ আইনের পক্ষে আছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন ‘আলাউদ্দিন সরদার তার শরিকদের কোনো ধরনের হুমকি দিয়ে থাকলে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

  • কুশখালী ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের কমিটি অনুমোদন


    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ২নং কুশখালী ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ এর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি পদে ডাঃ রেজাউল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ সোহাগ হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ আব্দুস সালাম কে মনোনীত করা হয়।
    গত ১৯ এপ্রিল -২০১৯ শুক্রবার বিকাল ৫টায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে উক্ত ইউনিয়ন কমিটি হস্তান্তর অনুষ্ঠান সদর উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি এডভোকেট আল মাহমুদ পলাশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আরো বক্তব্য রাখেন পৌর সহ-সভাপতি ইদ্রিসুল ইসলাম, পৌর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কুশখালী ইউনিয়ন কমিটির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আক্তারুল ইনলাম, মোঃ কবিরুল ইসলাম, মোঃ সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • রাফি হত্যায় দোষীদের শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট এনসিটিএফ’র স্মারকলিপি

    রাফি হত্যায় দোষীদের শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট এনসিটিএফ’র স্মারকলিপি


    স্টাফ রিপোর্টার: রাফি হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা এনসিটিএফ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা এনসিটিএফ মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্রী রাফি হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার বরাবর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ’র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। সকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এনসিটিএফ সদস্যরা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা অফিসে এসে জড়ো হয়। সকাল ১১টায় এনসিটিএফ সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল নিকট মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্রী রাফি হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান করেন। এরপর জেলা এনসিটিএফ সদস্যরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ এর নিকট দোষী দের শাস্তির দাবীতেও স্মারক লিপি প্রদান করে। জেলা এনসিটিএফ সভাপতি পুজা দাশ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে এনসিটিএফ সদস্যরা দেশের সকল শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান, তারা শিশুদের উপর শারিরীক ওমানসিক নির্যাতনসহ যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করার দাবী জানান। শিশুদের নির্যাতনকারী ঐ সকল নরপিশাচদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন পূজা, সুজিত, আশা, রাখি, লিটন, মামুন, বাবু, শ্রাবন, মিনু , রাজিব, কৃষ্ণ, প্রীতমসহ জেলা এনসিটিএফ এর সদস্যরা ।

  • আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    পুরাতন সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবা দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুরাতান সাতক্ষীরার নূর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন সাতক্ষীরা সদরের দহাকুলা মৌজার জি, এস ৯৭৫/৪ এস এ খারিজ খতিয়ান নং- ৯২৯/৫/১ সাবেক ২৯২৩ বর্তমান ৯২০৮ দাগে ১শতক জমি আমার দেবর রফিকুল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন। আমার শ^শুরের মৃত্যুর পর দেবর রফিকুল ইসলাম তার ভাগের সম্পত্তি গোপনে বাগানবাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী আনজুয়ার পারভীনের কাছে বিক্রয় করেন। জমি বিক্রয়ের কয়েকদিন পর আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তি ফেরতের জন্য সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে টাকা জামানাত করেন। আদালত আমার স্বামীর জামানতের মামলাটি গ্রহণ করে সকল কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে ০৮.০৬.২০০৪ সালে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের স্ত্রীর টাকা ফেরত পূর্বক সম্পত্তি আমার দখল নেওয়ার জন্য রায় দেন। ১৪/২/২০০৭ সালে সাতক্ষীরা জজকোর্ট এবং ১.০১.২০১৮ তারিখে হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দেন।
    তিনি আরো বলেন আদালতের রায় থাকার পরও আমরা এখনো পর্যন্ত ওই সম্পত্তিতে যেতে পারিনি। আমরা আর্থিকভাবে অসচছল এবং অসহায় হওয়ার কারণ ওই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অগাদ টাকার মালিক হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আমার স্বামীকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করছে। ওই সম্পত্তিতে গেলে আমাদের স্ব পরিবারে হত্যা করবে, মারপিট করবে এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৩/০৪/২০১৯ তারিখে আকস্মিকভাবে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে তার পুত্র শেখ মমিনুর রহমান তপু, শেখ জামিনুর রহমান অপু, শেখ ইহছানুর রহমান দিপুসহ ১০/১৫ জন ব্যক্তি অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার স্বামীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের লোহার রড নিয়ে তাড়া করে। আমাদের ডাক চিৎকারে ¯’ানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে। এতে আমার স্বামী নুর ইসলাম গুরুতর আহত হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপরও তারা প্রকাশ্যে আমাদের খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাছে। আমরা তাদের ভয়ে ভীতুসস্থস্ত্র হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। সংবাদ সম্মেলনে মো. লাবলু ও মো. ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
    এব্যাপারে তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী ওই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং পুত্ররা কর্তৃক মারপিট ও হুমকি ধামকির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সাতক্ষীরায় বর্ষবরণ: সরকারী স্কুল

    সাতক্ষীরায় বর্ষবরণ: সরকারী স্কুল

    র্বণাঢ্য আয়োজনে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বদ্যিালয়ে উদযাপতি হয়ছেে বাঙালরি প্রাণরে উৎসব পহলো বশৈাখ। এ উপলক্ষে প্রতি বছররে ন্যায় এবারও নানানমুখী র্কমসূচি হাতে নয়িছেে বদ্যিালয়ট।ি রোববার সকালে একটি র্বণলি শোভাযাত্রা বরে কর।ে পরে বদ্যিালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতকি প্রতযিোগতিা ও বভিন্নি রকম পঠিা পুলরি মলোর আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বদ্যিালয়রে প্রধান শক্ষিক সমরশে কুমার দাশরে সভাপতত্বিে প্রধান অতথিি হসিবেে বক্তব্য রাখনে সহকারি প্রধান শক্ষিক মো. আব্দুল হামদি, সনিয়ির শক্ষিক ইয়াহয়িা ইকবাল, মো. সরিাজুল ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, গাজী মোমীন উদ্দনি প্রমুখ। । আলোচনা সভা শষেে বদ্যিালয়রে শক্ষর্িাথীদরে পরবিশেনায় পরবিশেতি হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান।

  • সাতক্ষীরায় বর্ষ বরণ

    সাতক্ষীরায় বর্ষ বরণ

    সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে বর্ণিল আয়োজন ও ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নানা উৎসবে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস ও লোকজ ঐতিহ্য বহনের ১৪২৬ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালী জাতির জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এ উপলক্ষে সকালে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পান্তা উৎসব এবং পরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের হলরুমে অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চীফ ইন্সট্যাক্টর মো. মশিউর রহমান, ইন্সট্যাক্টর মো. আনিছুর রহমান, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুল আলিম, জুনিয়র ইন্সট্যাক্টর মো. মাসুদ রানা, ভাষা শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম, মানবিক শিক্ষক বিষ্ণ চন্দ্র পাল, খন্ডকালীন শিক্ষক মাওলানা রুহুল কুদ্দুস প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

  • চারটি ঘর মূল্যবান কাগজপত্র ও সম্পদ ভষ্মীভূত সাতক্ষীরার তালায় খ্রীস্টান মিশনে আগুন

    চারটি ঘর মূল্যবান কাগজপত্র ও সম্পদ ভষ্মীভূত সাতক্ষীরার তালায় খ্রীস্টান মিশনে আগুন


    আব্দুল জলিল সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মহান্দি গ্রামে খ্রীস্টান মিশনে আগুন লেগে চারটি ঘর ভষ্মীভূত হয়েছে। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও মিশনের মূল্যবান কাগজপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
    বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেয়। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
    স্থানীয় খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। একই কথা জানিয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি রাসেল বলেন তারপরও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। তবে মিশনের পালক অনাদি মোহন জানান তার সাথে গ্রামের কয়েকজন খ্রীষ্টান সদস্যের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে এ ঘটনা ঘটেও থাকতে পারে। তিনি জানান আগুনে ২০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে।
    মিশনের পালক অনাদি মোহন জানান গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে অচেতন তখনই এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান মুহুর্তেই টিন শেডের চারটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে আটটি কমপিউটার , দুটি ল্যাপটপ, কয়েকটি সিলিং ফ্যান এবং ২৩৩ জন শিশুর জন্য রাখা শিক্ষা উপকরন, ব্যাগ, শুকনো খাবার ও স্বাস্থ্য সেবার যাবতীয় উপকরণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরও জানান ‘মহান্দি এজি মিশন’ নামের এই খ্রীস্টান মিশনটি ১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। এখানে রক্ষিত এতো দিনের যাবতীয় ডকুমেন্ট আগুনে পুড়ে গেছে। টিন শেডের এই ঘরের মধ্যে রয়েছে বাঁশের চাচের বেড়া। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও জানান এই মিশনে খ্রীস্টান শিশুদের লেখাপড়া শেখানো, তাদের স্বাস্থ্যসেবাদান এমনকি মেয়েরা বিবাহযোগ্য হওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব পালন করা হয়ে থাকে। তার অভিযোগ এসব নিয়ে তার সাথে স্থানীয় কয়েকজন খ্রীষ্টান সদস্যের মত বিরোধ চলছিল।
    মিশনের নৈশপ্রহরী আসগর আলি জানান রাতে পাহারাকালিন তিনি কিছুক্ষণের জন্য তন্দ্রালু হয়ে পড়েন। হঠাৎ আগুন দেখে তিনি চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসে।
    এদিকে পালক অনাদি মোহন আরও জানান সর্বশেষ তার নিজ ঘরে আগুন লাগার আগেই তিনি তার মোটর সাইকেল, টিভি ,ফ্রীজ বের করে আনেন। তিনি জানান আগুন লাগা ঘরগুলি তালাবদ্ধ ছিল। এর জানালাগুলিও ভেতর থেকে ভালভাবে লটকানো ছিল। এ জন্য সেখানকার কোনো সম্পদ তিনি চেষ্টা করেও বের করে আনতে ব্যর্থ হন।
    সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান জানান ‘ আমিসহ আমার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিশনের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করার আগেই বেশিরভাগ সম্পদ পুড়ে যায়। পরে আগুন পূর্ন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়’।
    অগ্নিকান্ডের এ ঘটনায় তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের কার্যক্রম চলছে বলে জানান পালক।

  • পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ ঘুড়ি উড়ানো উৎসব


    আগামী ১৩ এপ্রিল,২০১৯ শনিবার বিকাল ৩-০০ টায় সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ উপলক্ষ্যে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনেচ্ছুদের নিজ নিজ ঘুড়িসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে ঐদিন বিকাল ৩-০০টায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হল।

  • বাগান বাড়ি সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগ : মানা হচ্ছেনা এলজিইডির নির্দেশ, ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œ মানের খোয়া

    বাগান বাড়ি সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগ : মানা হচ্ছেনা এলজিইডির নির্দেশ, ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œ মানের খোয়া


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা থেকে মন্টু সাহেবের বাগান বাড়ি সড়কের কাজে ত্রুটির কারনে (নি¤œ মানের খোয়া ব্যববহার করায়) উক্ত মালামাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক অপসারনের নির্দেশ দিলেও তা যথাযথ মানা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
    স্থানীয় এলাকাবাসী সোমবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, কিছু দিন বন্ধ থাকার পর নি¤œমানের সেই খোয়া আবারও দেয়া হচ্ছে সড়ক নির্মান কাজে।
    এর আগে স্থানীয়দের দেয়া অভিযোগে ভিত্তিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী তারিখের ৪৬. ০২. ৮৭০০. ০০১. ০৯. ১৯৮. ১৮ নম্বর স্মারকে এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার কুন্ডু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার বাগড়ীবাজারের নাসির উদ্দীন আকনের মালিকানাধীন মেসার্স আকন ট্রেডিং এন্ড কোম্পানীকে সড়কের কাজে ত্রুটির কারনে (নি¤œ মানের খোয়া ব্যববহার করায়) উক্ত মালামাল অপসারনের আদেশ দেন।
    তিনি ওই স্মারকে উল্লেখ করেন, বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ফিংড়ি এফআরবি সালাম ঢালীর বাড়ি থেকে ওয়াপদা ঁেবড়িবাধ ভায়া নজরুল সড়ক, কদমতলা বাজার হতে রাজনগর বাজার ভায়া লবসা ইউপ অফিস এবং শহরের ইটাগাছা আরএন্ডডি উপজেলা হেড কোয়াটার থেকে ঘোনা ইউপি সড়ক পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৩’শ ২ মিটার নির্মান কাজের ত্রুটি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দেয়া অভিযোগে ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন। এমতাবস্থায় তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারী শহরের ইটাগাছা (মন্টু সাহেবের বাগান বাড়ি সড়ক) আরএন্ডডি উপজেলা হেড কোয়াটার থেকে ঘোনা ইউপি সড়কের নির্মান কাজ পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান সেখানে ব্যবহৃত খোয়া সিডিউল ও স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত যা অপসারন করা প্রয়োজন।
    এমতাবস্থায় নি¤œমানের ওই খোয়া অপসারন পূর্বক সিডিউল ও স্পেসিফিকেশন মোতাবেক খোয়া মজুদ করে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষান্তে সন্তোষ জনক ফলাফল সাপেক্ষে কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ দেন। এতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ব্যর্থতায় সিডিউল/স্পেসিফিকেশন বহির্ভুত মালামাল ব্যবহারে বাস্তবায়িত কাজের কোন বিল প্রদান করা হবেনা।
    স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর কিছুদিন নি¤œমানের খোয়া ব্যবহার বন্ধ থাকে। কিন্তু বর্তমানে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর আদেশ উপেক্ষা করে আবারও সেখানে নি¤œমানের সেই খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী সিডিউল অনুসারে যথাযথ ভাবে সড়ক নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    এ বিষয়ে জানার জন্য মেসার্স আকন ট্রেডিং এন্ড কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দীন আকনের কাছে ফোন দিলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
    এ ব্যপারে এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার কুন্ডু জানান, নি¤œমানের খোয়া অপসারনের আদেশ দেয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই সময় সেখান থেকে সেগুলো অপসারন করেন। তবে, বর্তমানের আবারও সেখানে নি¤œমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

  • বাঁশদহে সনাতন ধর্মালম্বীদের যজ্ঞ অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান বাবুর মতবিনিময়

    বাঁশদহে সনাতন ধর্মালম্বীদের যজ্ঞ অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান বাবুর মতবিনিময়


    বাঁশদহে সনাতন ধর্মালম্বীদের যজ্ঞ অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। রোববার সন্ধ্যায় বাঁশদহ ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত যজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মতবিনিময় করেন। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনছার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমানসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে যার ধর্ম, সে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। এখানে আর কখনো সম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’র উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’র উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা টাউন সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতœা আক্তার শরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে কৃমিনাশক ট্যাবলেট তুলে দিয়ে উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল অব মেয়র আলহাজ¦ কাজী ফিরোজ হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের সভাপতি শেখ মারুফুল হক, পৌর সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম বিশ^াস, পৌরসভার টিকাদানকারী সুপারভাইজার মোঃ ইবাদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক পারভীন শাহানা আক্তার, পারভীন আক্তার, মারিয়া সুলতানা, মনিরুজ্জামান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কাজী সাহাবুদ্দিন, ভেকসিন পরিবহনকারী আতিকুল ইসলাম। ৬ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ থেকে ১৬বছর বয়সী সকল শিশুকে একটি করে মেবেন্ডাজল ৫০০ এমজি কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। সাতক্ষীরা পৌর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্ডেন, মাদ্রাসা ও ব্র্যাক স্কুলের সর্বমোট ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীকে এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

  • সংবাদ সম্মেলন : কুলিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে শর্ত ভেঙ্গে তিনতলা ভবন নির্মান চলছেই

    সংবাদ সম্মেলন : কুলিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে শর্ত ভেঙ্গে তিনতলা ভবন নির্মান চলছেই


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ পুরান সড়কের পাশে কুলিয়া মৌজায় জেলা পরিষদ মালিকানাধীন জায়গায় ‘ডিসিআর’ গ্রহনের নামে শর্ত ভঙ্গ করে একটি পাকা ¯’াপনা তৈরি করা হ”েছ। এমনকি শর্ত লংঘন করে ওই জমি অন্যের কাছে হস্তান্তরও করেছেন কথিত ডিসিআর গ্রহীতা। ২০১৮ সালের ৩০ জুন ডিসিআরের মেয়াদ শেষ হলেও ওই জমি নিজ দখলে রেখে এসব কাজ করেছেন গ্রহিতা মোছা. মেহেরুননেসা। তিনি দেবহাটার কুলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হকের স্ত্রী। এদিকে জেলা পরিষদের এই জমিতে অবৈধ ¯’াপনা নির্মানে বাধা দিতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য শাহনওয়াজ পারভিন মিলি ও তার পরিবার। সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল হক তাদেরকে মান হানিকর কথাবার্তার সাথে প্রান নাশের হুমকি দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান মিলি। এ সময় তার সাথে উপ¯ি’ত ছিলেন তার স্বামী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। জেলা পরিষদ সদস্য শাহনওয়াজ পারভিন মিলি জানান গত ২৯ মার্চ বিকালে তিনি কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাছে জেলা পরিষদের ২ নম্বর খতিয়ানের ৫৭৫,৫৭৬ ও ৫৭৭ দাগে দেড় হাজার বর্গফুটের ওই জায়গায় কিছু লোককে ঘর নির্মান করতে দেখেন। সেখানে উপ¯ি’ত লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ‘ জায়গাটি সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল হকের কাছ থেকে দুই মাসের জন্য আমরা ভাড়া নিয়েছি’। এ কথা জানার পর তিনি বিষয়টি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ও ¯’ানীয় জেলা পরিষদ সদস্যকে জানালে তাদের কথা মতো শাহনওয়াজ মিলি তাদের কাজ বন্ধ করতে বলে যান। এমনকি পরদিন তারা মালামাল সরিয়ে নেবেন বলেও জানান । সংবাদ সম্মেলনে শাহনওয়াজ মিলি আরও জানান পরদিন ৩০ মার্চ নির্মান সামগ্রী একই ¯’ানে রয়েছে দেখতে পেয়ে তাদেরকে ফের তাগাদা দেন তিনি। এ সময় তারা বলেন ‘ সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল আমাদের মালামাল সরাতে না করেছেন’। তবে তাকে চাপ দিয়ে বলার সাথে সাথে তিনি মালামাল নামিয়ে নিতে শুরু করেন। অভিযোগ করে শাহনওয়াজ মিলি বলেন কিছুক্ষন পর আসাদুল হক তাকে ফোনে ব্যঙ্গ করে বলেন ‘ আপনি জেলা পরিষদ সদস্য? সামনে আসেন আপনার চেহারাটা দেখি’। এরপরই তিনি আরও জানতে পারেন আসাদুল হক ৫০/৬০ জনের একদল লাঠিয়াল নিয়ে কাছাকাছি এলাকায় অব¯’ান করছেন। তিনি তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানকেও ফোনে হুমকি দিয়ে গালাগাল করছেন। ঘটনাটি দেবহাটা থানা পুলিশকে জানালে ঘটনা¯’লে আসেন এসআই মনির। তার আগেই আসাদুল হক লোকজন নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন বলে জানান মিলি।
    মিলি আরও জানান বিষয়টি জানানোর জন্য তিনি বারবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ফোন করেও তার সাথে কথা বলতে ব্যর্থ হন। এদিকে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুকে আসাদুল হক এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ‘ আমার বেয়াইয়ের কি শক্তি কমে গেছে, ধরে পিটিয়ে দিতে পারেন নি’। পরদিন আসাদুল একই কথার পুনরাবৃত্তি করে তার স্বামী মোস্তাফিজকে বলেন ‘চেয়ারম্যান আমাদের মারতে বলেছেন’। এ সময় আষ্ফালন করে আসাদুল হক আরও বলেছেন ‘ তোরা থানায় গিয়েছিস, আমিও তোদের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা দেবো। দেখা যাবে কার মামলায় কেরাম জোর’। মিলি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন তিনি আবারও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দেন। ১ এপ্রিল একই ¯’ানে ফের নির্মান কাজ শুরু করলে পুলিশের বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে আসাদুল হক তার স্ত্রীর নামে আগের বছর নেওয়া সেই ডিসিআর নবায়নের জন্য অনেকের দ্বার¯’ হতে থাকেন। অবশেষে তিনি জেলা পরিষদে প্রভাব খাটিয়ে আগামি সভার সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ৩ এপ্রিল ডিসিআর নবায়নের আদেশ নিয়েছেন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে। এর পর থেকে ডিসিআর পেয়ে গেছি বলে তোলপাড় তুলে জেলা পরিষদের সেই জমিতে শর্ত লংঘন করে তিন তলা ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেছেন আসাদুল হক।
    লিখিত বক্তব্যে শাহনওয়াজ পারভিন মিলি আরও বলেন ‘ আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র, ভূমি দস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের অধিকার আদায় করতে চেয়েছি। আসাদুল হক কিংবা তার স্ত্রী ওই জমির ডিসিআর গ্রহিতা হতেই পারেন । কিš‘ গত বছরের জুনে মেয়াদ শেষ হবার পর ২৯ মার্চ পর্যন্ত তো ওই জমি জেলা পরিষদেরই ছিল। অথচ কথিত ডিসিআর হোল্ডার সে জমি কারও কাছে যেমন হস্তান্তর করতে পারেন না , তেমনি সেখানে আইন ও শর্ত লংঘন করে তিনতলা পাকা ঘর নির্মান করতে পারেন না। এমনকি এ জমি তার নিজের বলে দাবিও করতে পারেন না। অথচ আসাদুল হক বারবার হুমকি দিয়ে বলছেন ‘ আমার জমিতে কেনো গেছিস’। শাহনওয়াজ পারভিন মিলি এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করে জেলা
    প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তিনি তার বক্তব্যে আরও অভিযোগ করে বলেন ‘ আসাদুল হক সাতক্ষীরা শহরে তার শরিক ফাঁকি দেওয়া জমিতে মার্কেট বানিয়েছেন। বাস টার্মিনালের পাশে সিরাজুল ইসলামের জমি দখল করে বাড়ি নির্মান করেছেন। তার সাবেক স্ত্রী দিলরুবা রুবির মালিকানাধীন ঘের লুট করতে গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়েছেন। ক্ষিপ্ত হলেই যাকে তাকে তিনি বলেন ‘ আমি তোর বাপ’। এমনকি তার ভাগনে মোস্তাফিজুর রহমান ( শাহনওয়াজ পারভিন মিলির স্বামী) কেও গালি দিয়ে বলেছেন ‘ আমি তোর বাপ’। প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন যার সন্তান ও পেটুয়া বাহিনী দিনে রাতে চাঁদাবাজি করে ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে জনজীবনে অশান্তি ডেকে আনছেন সেই আসাদুলের কাছে কারও চাঁদাদাবির অভিযোগ হাস্যকর।

  • সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বভার হস্তান্তর

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বভার হস্তান্তর


    স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আবুল হোসেন (২)। বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক এড. মো: তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আ.ক.ম রেজওয়ান উল্লাহ সবুজ, নির্বাচন কমিশনার এড. আব্দুল জলিল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি মহিতুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক পদে এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক (লাইব্রেরী) কোষাধ্যক্ষ ইউনুস আলী, সহ-সম্পাদক (ক্রীড়া) আকবর আলী, সহ-সম্পাদিকা (মহিলা) লাকী ইয়াছমিন, সদস্য শিহাব মাসউদ সাচ্চু, সাহেদুজ্জামান সাহেদ এবং রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এড. মো. জিয়াউর রহমান।

  • সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির পক্ষ থেকে মাত্র ২ দিনে ৮ ব্যাগ রক্ত প্রদান

    সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির পক্ষ থেকে মাত্র ২ দিনে ৮ ব্যাগ রক্ত প্রদান


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির পক্ষ থেকে অসহায় মুমূর্ষ রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত প্রদান করা হয়েছে। গত দুইদিনে ৮জন মুমূর্ষ রোগীকে রক্ত প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে এবি নেগেটিভ দিয়েছেন রবিউল ইসলাম, বি নেগেটিভ দিয়েছেন উজ্জল কুমার ও আশরাফুজ্জামান, বি পজেটিভ দিয়েছেন আব্দুল আলিম, এ পজেটিভ দিয়েছেন উজ্জল, ও পজেটিভ দীর্ঘদিন ধরে বিনামূল্যে অসহায় মুমূর্ষ রোগীদের রক্ত প্রদান করে যাচ্ছেন। রক্ত প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি ডাঃ ঈসরাইল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান জেমস, মহিবুল্লাহ, কামরুল হোসেন প্রমুখ।