নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার গণকবর, বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন খড়িবিলা বিল আবাদানীর ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা’র নেতৃবৃন্দ। গত রোববার সকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, নিত্যানন্দ সরকার, চারুশিল্পী এম এ জলিল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’র সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, এড. মুনির উদ্দিন, রওনক বাসার, লোকী ইকবাল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল খুলনা, বাগেরহাট, ৯৬ গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৬০০-৭০০ নির্যাতিত মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্তমানে ওই স্থানে বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। দীনেশ কর্মকার তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন। এই পুকুর ও ডোবার অংশটুকু চলে গেছে জনৈক ব্যক্তির দখলে। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে।
সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নিচে ফেলে দিত। এ অংশটুকু এখন এক প্রভাবশালীর দখলে চলে গেছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় বৃহৎ গণকবর হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও এখন এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে। পরে তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় ও রূপালী ব্যাংকের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। এসব গণকবরগুলোরও কোনো চিহ্ন নেই। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে।
গত ৯ বছর ধরে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এখানকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ অনেকে জানেনা মুক্তিযুদ্ধের ওই ইতিহাসের কথা। এসকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আজও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বর্তমানে ইতিহাস গাঁথা ওই সব গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চলে গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে। সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমির বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো। আর বধ্যভূমির বিষয়গুলো যেন নতুন প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পলাশপোল মৌজার খড়িবিলা বিল আবাদানির ১০০ একর সরকারি খাস সম্পত্তি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত খাস জমি সাতক্ষীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ এখনো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য সুদুর রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই সাতক্ষীরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ।
Category: শ্যামনগর
-

বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
-

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাঙালি সংস্কৃতির ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই আবাহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগ্রত হয়েছে গোটা জাতি। পহেলা বৈশাখ, একটি নতুন দিন। একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই-জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি।
সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ‘বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের’ খবর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষ্যে নতুন করে সজ্জিত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিনভর জেলাব্যাপি পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসেন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।
জেলা প্রশাসকের বাঙলোয়: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে বাঙালী আনায় বৈশাখী উদ্যাপন করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জেলা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাবের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাংলো মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় সকলেই সমবেত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক দেশী ফলের সমাহারে অতিথি পরায়ণতার মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান। খই, দই আর পান সুপারী, চিড়া, মুড়ির মোয়া, হরেক রকম মিষ্টি-মিঠাই আরো ছিল ঘোল, ডাব, তরমুজ, শাহী গজা আর হাওয়াই মিঠাই, ছিল বেলের সরবত। শনিবার সকালে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসকের বাংলোর এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশাখী এ অনুষ্ঠানে সকল অতিথিদের মাঝে পান্তা ও বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারতহমিনা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশের আয়োজনে: জেলা পুলিশের আয়োজনে দুস্থ ও এতিম শিশুদের বৈশাখী আনান্দ উপভোগ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বৈশাখী ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ সুপার পত্মী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, সদর সারকেল মেরিনা আক্তার প্রমুখ। এ সময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখের আনান্দ যেমন প্রতিটা মানুষ উৎযাপন করছে তখন আমাদের দায়িত্ব ছিল সমাজের দুস্থ অসহায় ও এতিম শিশুদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাথে আনান্দ ভাগা, ভাগি করে নেয়া, তাই নিজের দায়িত্ব বোদের জায়গাথেকে মানুশেন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: খরতপ্ত রুদ্র বৈশাখের প্রথম দিন শনিবার প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীঘির জলে ঢেউ তুলে ভেসে আসা দখিনা বাতাসের প্রাণ জুড়ানো দোলায় ক্লাব ভবনে সকালেই বসেছিল এ উৎসব। শিশু থেকে বুড়ো বুড়িরাও প্রেসক্লাবের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। উৎসবে আসা সকলকেই বাঙ্গালির চিরন্তন খাবার পান্তা ভর্তা আর নারকেল ও গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
প্রেসক্লাবের এই উৎসবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, শেখ হারুনার রশীদ, সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রেসক্লাবের প্রাণের মেলা বৈশাখি উৎসবের সাথে নিজেদের একাকার করে বরণ করে নেন নতুন বছরকে।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক ঝরা, অগ্নিশ্নানে সুচি হোক ধরা,’ শিক্ষার্থীরা নাচে ও গানে নতুন বছর ১৪২৫ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। উৎসবের আমেজে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বৈশাখী অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস.এম আফজাল হোসেন, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক আমানুল্লাহ আল হাদী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শণ করে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির হাড়িতে মন্ডা মিঠাই বিশেষ মোড়কে প্রধান অতিথিকে উপহার দেওয়া হয়। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: নতুন বছর ১৪২৫ বরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ক্যাম্পাসে বাঙালীআনা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও একাডেমিক ইনচার্জ প্রকৗশলী ড. এম.এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অলোক সরকার, ফারুক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন, ছিদ্দিক আলী, বিল্পব কুমার দাস, এনামুল হাসান কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটাল বিভাগীয় প্রধান এবিএম ছিদ্দিকী, আর.এসি বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার মো. হেলালে হায়দার।
সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানানমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার সকালে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে। পরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির মেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী শামীমা রুমা, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা, উম্মে হাবিবা, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ, পহেলা বৈশাখ উদয়াপন কমিটির আহবায়ক সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান।
সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ: সাতক্ষীরা ল কলেজের আয়োজনে ল স্টুডেন্টস ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে আলোচনা, বাঙালী খাবারের আয়োজন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়, বাংলাদেশ হাইকোর্টের ডেপুটে অ্যাটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আ ক ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজ, ল কলেজের প্রভাষক এড. অরুন কুমার ব্যানার্জী, এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন. এড. শহীদ হাসান, এড. হোসনেয়ারা, এড. লাকী ইয়াসমিন, এড. নাঝমুন নাহার ঝুমুর, এড. শরীফ আজমীর হোসেন রোকন, ল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ মোখলেছুর রহমান, জান্নাতুন নাহার, আলমগীর কবীর সুমন, মোখলেছুর রহমান, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এসএম বিপ্লব হোসেন, কার্তিক চন্দ্র সাহা, প্রবল কুমার, পাপিয়া সুলতানা, সোহেলী পারভীন, বিন্তু পারভীন, মুন্সি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, রোজিনা পারভীন, কার্তিক চন্দ্র, কাকলী, শাওন, তাহসিন কবীর খান, তাসনিম সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, তাজনিম সুলতানা, সাথী, মামুন, তাজ নোভা, ইকতিয়ারসহ সাতক্ষীরা ল কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পতœী সালেহা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাক্কার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, শেখ হারুণ অর রশিদ, কবির হোসেন, নূরুল হক, রহমান, মনোয়ার হোসেন, নূরুল হুদা রনি, আলিফ, আশিক প্রমূখ।
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন-চার্জ এ.এইচ.এম. মুঞ্জুর মোরশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিনব্যাপী বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙ্গালী সাংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
বিকালে এনইউবিটিকের ছাত্রদের সেকশন-বি ও ওয়েব ব্যান্ড দল এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ কনসার্টে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি নিজেই সঙ্গিত পরিবেশন করেন। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এস.এস. আলী এন্ড কোং, লেক্সিকন, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আবির্স।
নবজীবন ইন্সিটিটিউট: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার নবজীবনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ ১৪২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবন ইনস্টিটিউটের উদ্দোগে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সাথে নিজস্ব ব্যানারে একটি বর্ণিল ও মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা বের করে। শোভা যাত্রায় বিশেষ আকর্ষন হিসাবে যোগ করা হয় গ্রামীন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য মন্ডিত গরুর গাড়ী,ঢেকী,হরিন,বিশাল আকৃতির ডাক ঘুড়ি,পালকি,ঘোড়ার গাড়ী, হাতি,বাঘ,বাঘ শাবক,হালখাতা মহরত,রিকসা,বেদেনী,নৌকা,সহ নানান আয়োজন। তালে তালে বাজানো হয় ঢাক, ঢোল ও ভেপু। দীর্ঘ এবং বর্নিল সাজের শোভা যাত্রাটি দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রশাসনের বিচারক মন্ডলি সহ হাজার হাজার দর্শক ও শ্রোতা। শোভা যাত্রাটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌছালে মঞ্চ থেকে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকারের ঘোষনা দেওয়া হয় । আনুষ্ঠানিক ভাবে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং পুরস্কার গ্রহন করেন নবজীবনের নির্বাহী পরিচালক ও নবজীবন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তাারেকুজ্জামান খান, এসময় বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ,সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ,নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,উপাধ্যক্ষ মীর ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ, শিক্ষক শেখ বোরহান আলী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নবজীবন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে চিংড়ী পান্তা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এসময় নবজীবনের সকল কর্মকর্তা,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক গন উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ: বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের পৌর শাখার আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পানতা ইলিশ ভোজ , র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, আমন্ত্রতি অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক এড, আজাহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব সেলিম হোসেন,অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সাংগঠনিক আমিনুল ইসলাম সেলিম, কুটির শিল্পী সম্পাদক মৌচাক সরদার, সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাফিজ, রোকনউদ্দীন প্রমূখ।
থানাঘাটা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির ফজর আলী, ইয়াকুব হোসেন, মহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, শফীকুল, আব্দুল্লাহ, গোলাম রসুল প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মোঃ আসাদুজ্জামান।
তালা: তালায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী সোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্চ্ছো খানম,তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানসহ ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সামাজিক সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি তালা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পান্তা ভোজ, পুকুরে হাঁস ধরা,লাঠিখেলা, ইত্যাদি। এছাড়া জালালপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ সাহিত্য সংসদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পাটকেলঘাটার,কুমিরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
পাটকেলঘাটা: ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ বরণের এ গানের মধ্যদিয়ে পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও মন্দিরে খাতা পুজা ও ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা,মধ্যদিয়ে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ । পাটকেলঘাটাস্থ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার বটমুলের সবুজ চত্বরে বর্ণিল মঞ্চে ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
পাটকেলঘাটায় দিনব্যপী বিভিন্ন বৈশাখী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শিল্পী, সাংবাদিক,শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, নারী পুরুষ,শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাঙালীর চিরচেনা ঢাক-ঢোল,কাঁশর,সানাই,ঘোড়াগাড়িসহ বিভিন্ন সাজে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিরা সহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র সদনে এসে সমবেত হয়। এরপর সেখানে পান্তা ইলিশ ভোজনের সাথে সাথে মঞ্চে চলতে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত.নজরুলগীতি পল¬ীগীতি,লালনগীতিও বাউলসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। এরই মাঝে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আসাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ মাহাতা, দেবজিৎমিত্র, অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,ড. বিধান চন্দ্র ঘোষ, মোস্তাফিজুর রহমান,নারায়ন মজুমদার, বিশ্বাস আতিয়ার রহমান প্রমুখ । জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর নেতৃত্বে র্যালি ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশাল র্যালী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করে । এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ বর্ষবরণ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮ টায় পালকী, গরুর গাড়ি ও নানারকম বাদ্যের তালে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবি বটতলায় শেষ হয়। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য পান্তা উৎসবের আয়োজন ছিল। পান্তা খাওয়া শেষে আনুষ্টানিকভাবে দেশীয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি বর্ষবরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরজ্জামান মনি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী. সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমত আরা বেগম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নোহাগ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, সাতার সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়।
বহেরা এ.টি মাধ্যমিক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা এ,টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আছাদুল হক এর সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। শোভা যাত্রা শেষে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউপি এর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকারের সভাপতিত্বে ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা, ইউপি সচিব সহ কর্মচারী বৃন্দ।
কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শেষে কুলিয়া শহীদ মিনার চত্বরে পান্তা উৎসব উৎযাপন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ এর অর্থসম্পাদক মো. আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আযহারুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সহ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগন।
পুষ্পকাটি সমবায় সমিতি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলানববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিনুজ্জামান রিপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষের পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আ”লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, কুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা ফতেমা খাতুন প্রমুখ।
কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ সকাল ৮ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালী কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তারের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফুলতলায় উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহামেদ মাছুম, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নববর্ষে উক্ত মঞ্চে বাউল ও লোকজ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কুশুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা সকাল হতে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া সোতা-বেনাদনা মাঠে দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসা, কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্ষবরণ উদ্যাপন করে।
শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাড়ম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শ্যামনগরে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। কর্মসূচির মধ্যে লক্ষনীয় বিষয়গুলো ছিল বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৬ টায় সানাই, কাসাই ও ঢোল বদনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। সকাল ৭ টায় মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপজেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী সংস্থা নববর্ষের ব্যানার সহ অংশ গ্রহনে এক বিশাল শোভাযাত্রা সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্তরে সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল ৮ টায় ছাতিম তলায় অনুষ্ঠিত হয় পান্থা ভোজ উৎসব, সকাল ৯ টায় উপজেলা চত্ত্বরে বৈশাখী মেলা উদ্ভোধন, সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, বেলা ২ টায় জারী গান, ৩ টায় সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সাংবাদিক বনাম সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রিতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ টায় র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারহে বর্ষ বরণ ১৪২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে-৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন এবং হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথ ভাবে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছে। এছাড়াও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জহিরনগর দাখিল মাদ্রাসা, সুন্দরবন শিশু শিক্ষা নিকেতন ও বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী মুন্সীগঞ্জ কুলতলী বর্ষবরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলি সকালে বর্ণাঢ্য র্যালীর মাধ্যমে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরমধ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমীর বর্ণাঢ্য র্যালীটি সবার নজর কাড়ে। এরপর পান্তা ভাত, কাঁচা ঝাল ও চিংড়ি মাছ পরিবেশন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী সন্ধ্যায় তাদের নিজস্ব শিল্পীদের সমন্নয়ে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চুনকুড়ি কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠিত হবে যাত্রানুষ্ঠান “কালো মেয়ের রাঙা পা।”
আশাশুনি:
বড়দল: আশাশুনির বড়দলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে এদিন সকাল ৭টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ডাঃ আলহাজ্ব এস এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবউদ্দীন, সকল সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাদাকাটি হাইস্কুল: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান। সহকারী শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, সুনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, রসময় মন্ডল, মিলন কুমার, শিরিন আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিমসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুল্যা: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ফিরোজ হোসেন মালীর নেতৃত্বে আরার গোবিন্দপুর লাঠি খেলা দল ও বাহাদুরপুর লাঠি খেলা দল অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত থেকে লাঠি খেলা উপভোগ করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মেম্বর আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মেম্বর আনোয়রা বেগম, সমাজ সেবক ইয়াহিয়া মোল্যা, আহাদ আলী প্রমুখ। এসময় লাঠি খেলা দেখতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রচুর দর্শক হাজির হন। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা। -
সুন্দরবন রক্ষায় ৭৬ টি ক্যাম্পে পাহারায় মাত্র ১৭৮ বনরক্ষী
নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র,র্ পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়েি চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষার্ কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়েি চলছে এর রক্ষাণাবক্ষণে। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধাি থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশনেংি ও ঝুঁকভািতা,র্ সবন¤œি বতনে স্কলে নয়েি বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারননো সরকারি ছুটগুিলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবািরকে দয়ো হয়না কোন বতনে-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকূিলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষার্ কাযক্রম।
বন বভািগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমািণ ৪ হাজার ১৪৩র্ বগ কলোিমটাির। আর জলভাগরে পরমািণ ২ হাজার ৮৭৪র্ বগ কলোিমটাির।র্ পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভক্তি সুন্দরবন বনবভািগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছ।েে সুন্দরবনরে মধ্য দয়েি শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহত।ি এ সকল খাল-নদী পর্রদশিনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলয়িেি বন প্রহরী রয়ছনেে মাত্র ১৭৮ জন। বর্স্তীিণ সুন্দরবনরে নরািপত্তায় নরস্ত্রি অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়েি পাহারার্ কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
সূত্র জানায়,র্ পার্শ্ববতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশের্ কর্মরতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভািগ খুলনা রঞ্জরেে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বর্নকমী বলন,ে বনরে ভতরে নয়মিতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নই।ে এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তেি দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতরে সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটর্ওেয়াক।
তনিি আরো বলন,ে নয়মিতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমররিে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকূিলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলন,ে দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরওে কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররণোর অভাবে কখনো কখনো তারা নরুিৎসাহতি হয়ে পড়ন।ে ভুক্তভোগী বর্নকমীরা জানান, পুলশি বভািগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশনে, ঝুঁকি ভাতা,র্ কমরত অবস্থায় নহতি পরবািররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভািগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগর্ দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখতিি আবদনে করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকটিা হলওে হতাশ তারা।
বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতরিি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়দৈ অলয়াির রহমান মলনি সাংবাদকদিরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতেি করা আবদনেটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতািয় আটকে গছেের্ অথ মন্ত্রণালয়।ে
পশ্চমি সুন্দরবনরে বভগিীয় বনর্ কর্মকতা বলন,ে বন বভািগরে স্টাফদরে দাবরি বষয়িটি বভন্নিি সময়র্ ঊধ্বতনর্ কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছ।েে
িিজিস্ব প্রতবিদেক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র, র্পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়িে চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষা র্কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়িে চলছে এর রক্ষাণাবক্ষেণ। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধিা থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশেনংি ও ঝুঁকভিাতা, র্সবন¤িœ বতেন স্কলে নয়িে বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারনেনা সরকারি ছুটগিুলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবিারকে দয়ো হয়না কোন বতেন-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকিূলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষা র্কাযক্রম।
বন বভিাগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমিাণ ৪ হাজার ১৪৩ র্বগ কলিোমটিার। আর জলভাগরে পরমিাণ ২ হাজার ৮৭৪ র্বগ কলিোমটিার। র্পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভিক্ত সুন্দরবন বনবভিাগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছে।ে সুন্দরবনরে মধ্য দয়িে শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহতি। এ সকল খাল-নদী পরর্দিশনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলিয়িে বন প্রহরী রয়ছেনে মাত্র ১৭৮ জন। বস্তর্িীণ সুন্দরবনরে নরিাপত্তায় নরিস্ত্র অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়িে পাহারা র্কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
সূত্র জানায়, র্পাশ্বর্বতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশে র্কমর্রতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভিাগ খুলনা রঞ্জেরে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বনর্কমী বলনে, বনরে ভতের নয়িমতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নইে। এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তিে দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতের সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটেওর্য়াক।
তনিি আরো বলনে, নয়িমতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমরিরে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকিূলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলনে, দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরেও কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররেণার অভাবে কখনো কখনো তারা নরিুৎসাহতি হয়ে পড়নে। ভুক্তভোগী বনর্কমীরা জানান, পুলশি বভিাগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশেন, ঝুঁকি ভাতা, র্কমরত অবস্থায় নহিত পরবিাররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভিাগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগ র্দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখিতি আবদেন করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকিটা হলওে হতাশ তারা।
বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতিরি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়ৈদ অলয়িার রহমান মলিন সাংবাদকিদরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতিে করা আবদেনটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতিায় আটকে গছেে র্অথ মন্ত্রণালয়।ে
পশ্চমি সুন্দরবনরে বভিগীয় বন র্কমর্কতা বলনে, বন বভিাগরে স্টাফদরে দাবরি বষিয়টি বভিন্নি সময় র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছে।ে -

জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা
ডেস্ক রিপোর্ট: জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। বক্তব্য রাখেন মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএসি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ. সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, এনএসআই সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, পিপি এ্যাড. ওসমান গণি, সড়ক ও জনপদ সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ গনি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, শামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরদার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্র নাথ দাস, বিআরটিএ’ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ্য ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু প্রমুখ। জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে, শহরের যানজট নিরসন, সাতক্ষীরা পৌর এলাকা সিসি টিভির আওতায় আনা প্রসঙ্গ, আগামী ২০ মে’র মধ্যে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক প্রাথমিক পর্যায়ে চলাচলের উপযোগি করে তোলা, বিনেরপোতায় অবৈধ স্থাপনা ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলার থানা ওয়ারী মামলা অনুযায়ী মার্চ ২০১৮ মাসে মোট মামলা হয়েছে ২শ’ ৪৮টি মামলা হয়েছে। এসময় সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার।
-
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি হরিনগর বধ্য ভূমি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও শ্যামনগর উপজেলার হরিনগরের বধ্যভূমিটি এখন পর্যন্ত সংরক্ষণে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শ্যামনগরের এ স্থানে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী এক সঙ্গে ২৮ জনকে বেধে গুলিকরে হত্যা করেছিল। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ৫ জন। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর সোমবার পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, নিলম্বর মন্ডল, জিতেন্দ্র মন্ডল, অজিত মন্ডল, সুরেন্দ্র মন্ডল, খগেন্দ্র মন্ডল, রামেশ্বর মন্ডল, কালীপদ মন্ডল, হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, ড. বিহারী মন্ডল, অধীর মন্ডল, অধর মন্ডল, বিপিন মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল, দাউদ গাজী, হাতেম গাজী, আদম গাজী, সৈয়দ গাজী, বিপিন পাটনী, আঃ বারী সানা, কৃষ্ণপদ গাইন, ধীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাষ প্রমুখ। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন গিরেন মন্ডল, বাবুরাম মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, বৈষম মন্ডল ও সূর্য কান্ত মন্ডল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এ অঞ্চলে একেবারেই ছিলনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। যে কারণে শ্যমনগরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সুন্দরবনের নদী খাল অথবা গ্রামের গাঘেষা নদী ব্যবহার করে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর আস্থানা গেড়েছিল তৎকালীন শ্যানগর থানার বর্তমান উপজেলার মুন্সীগঞ্চ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে। পানি উন্নায়ান বোর্ডর বাংলোতে ও হরিনগর মথুরাপুর গ্রামের কয়েকটি স্থানে ব্যাংকার খুড়ে সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করতো। আর পাখির মতো হত্যা করতো ঐ এলাকার নিরীহ সংখ্যালঘু মানুষসহ সাধারণ মনুষ কে।
এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন, আব্দুল ওয়াজেদসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অরক্ষিত বধ্য ভূমিটি সংরক্ষণের দাবি বার বার তুলে ধরেও ব্যর্থ হয়েছেন। আজ পর্যন্ত একাত্তরের পরবর্তী সময়ে যারাই সরকার পরিচালনা করেছে কেওই নজর দেয়নি এই আলোচিত বধ্যভূমির দিকে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীঘ্রই হরিনগর বধ্য ভূমিটি দৃশ্যমানভাবে সংরক্ষণ করা হবে। -
পুলিশের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ আটক-৬৮
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের দুই নেতা-কর্মীসহ ৬৮ জন আটক করা হয়েছে।
গত বোরবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদকদ্রব্য। পরে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৬ জন, কালিগঞ্জ থানা ১১ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -
কাশিমাড়ীতে পুকুরে বিষ দিয়েছে দূর্বৃত্তরা
কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর জয়নগর পলি¬তে পুকুরে বিষ দিয়েছে দূর্বত্তরা। ফলে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন হয়েছে বলে দাবি করছেন পুকুরের মালিক। জানা যায়, কাশিমাড়ী ইউপির ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোল্যা জহুরুল ইসলামের ৫ বিঘা জমির একটি পুকুরে রবিবার মধ্যরাতে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে। এতে ঐ পুকুরে আবাদ করা রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস ও শিং মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার সাদা মাছ মরে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ। তার সাথে ছিলেন ইউপি সদস্য রাজগুল ইসলাম, অবঃপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহজাহান কবির প্রমুখ। এ ব্যপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ বলেন, যারা এই মাছ চাষের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে তাদের কে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, যারা এই সমস্ত কাজের সাথে জড়িত তারা সমাজের শত্রু তাদেরকে খুজেবের করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যপারে পুকুরের মালিক ইউপি সদস্য মোল্যা জহুরুল ইসলাম জানান, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছি। হটাৎ গত রবিবার রাতের আধারে কে বা কারা শত্রুতামূলক ভাবে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে। কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে তা এখনো উৎঘাটন করা যায়নি এমনটা জানান পুকুরের মালিক মোল্যা জহুরুল ইসলাম।
-
শ্যামনগরে মৎস্যঘের লুটের অভিযোগ
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের এবাদুল মোল্যার ছেলে বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে মৎস্যঘের লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ঘের মালিক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালীনগর গ্রামের মো. লুৎফার মালির ছেলে সিরাজুল, মো. ইসহাক মল্লিকের ছেলে বকুল, মোহাম্মাদ আলী মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন ও ই¯্রাফিল হোসেন তাদের সহযোগীদের নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ২৭ মার্চ উপজেলার বংশীপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মৎস্যঘের লুট, ঘেরের বাসা ভাংচুর করে নগদ টাকা সহ ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় বেল্লাল বাদি হয়ে ৩ এপ্রিল লুটকারীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত পূর্বক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
-
শ্যামনগরে মৎস্যঘের লুটের অভিযোগ
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের এবাদুল মোল্যার ছেলে বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে মৎস্যঘের লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ঘের মালিক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালীনগর গ্রামের মো. লুৎফার মালির ছেলে সিরাজুল, মো. ইসহাক মল্লিকের ছেলে বকুল, মোহাম্মাদ আলী মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন ও ই¯্রাফিল হোসেন তাদের সহযোগীদের নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ২৭ মার্চ উপজেলার বংশীপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মৎস্যঘের লুট, ঘেরের বাসা ভাংচুর করে নগদ টাকা সহ ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় বেল্লাল বাদি হয়ে ৩ এপ্রিল লুটকারীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত পূর্বক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
-

জেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
ডেস্ক রিপোর্ট: জেলার এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শুরু হলে বেশ কিছু জায়গায় অনুপস্থিতির ঘটনা ঘটেছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় আজ সোমবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমনা পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। জেলায় এবার ৩৮ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৬১৭জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে। এদিকে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্ত, ফাঁসের গুজবমুক্ত এবং সুষ্ঠ ও সম্পূর্ন নকলমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। তবে, প্রশপত্র ফাঁস ও নকল আতঙ্কে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল।
এবার শুধুমাত্র সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৮ টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৩জন, সরকারী মহিলা কলেজে ১ হাজার ৭৬২ জন, সিটি কলেজে ৮০৩ জন, দিবা-নৈশ কলেজে ৩৫০জন, ভালুকা চাঁদপুর কলেজে ২৬৬ জন, আলিয়া মাদ্রাসায় ৩৮৬ জন, পিএন স্কুল এন্ড কলেজে ৮৬২ জন ও সরকারী টেকনিক্যাল কলেজে ১০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন জানান, নকল ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে যা যা করা দরকার সব করা হযেছে। পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা না নিলে কেন্দ্র বাতিলের সুপারিশ করা হবে। তিনি আরো জানান, বিষয় ভিত্তিক কোন শিক্ষক যাতে পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন করতে না পারে তার জন্য সকল কেন্দ্র সচিবকে জানানো হয়েছে।
দেবহাটা প্রতিনিধি জানান: দেবহাটায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া ১ম দিনের পরীক্ষা নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় শুরু বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৭৬১ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৫ জন। এর মধ্যে দেবহাটার সখিপুর খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজ কেন্দ্রে ১৯১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন অনুপস্থিত ছিল। হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৪৩২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২জন অনুস্থিত ছিল। দেবহাটা কলেজ কারিগরি (ভোকাশনাল) কেন্দ্রে ১৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ২জন। প্রথম দিনের পরীক্ষা নকলমুক্ত ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট প্রতিটা কেন্দ্রে যেয়ে তদারকি করেন। পরিদর্শন কালে নির্বাহী কর্মকর্তা হল সুপার, সহকারী হল সুপার, পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষাগুলো সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন।
কলারোয়া প্রতিনিধি জানান: কলারোয়ায় সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ ২ এপ্রিল সোমবার পরীক্ষার প্রথমদিনে অনুপস্থিত ছিলো ৩২জন পরীক্ষার্থী।এইচএসসি, এইচএসসি (বিএম) ও আলিম পরীক্ষায় কলারোয়া সরকারি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ ও আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩০২৮ জন। এর মধ্যে প্রথম দিনে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিলো ২৯৪৮জন। অংশ নেয় ২৯১৬ জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার মোট ১১টি কলেজ থেকে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো এইচএসসিতে ১৬জন ও এইচএসসি (বিএম)-এ ১৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে বিএম শাখায় সকাল সেশনে দ্বাদশ শ্রেণীর ও বিকেল সেশনে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রে সূত্রে জানা গেছে- কলারোয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৪৮৮জন। তাদের মধ্যে ৮০জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী। ফলে প্রথম দিনের নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিলো ৪০৮জন।বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮৩০জন। অনুপস্থিত ছিলো ১১জন।শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ কেদ্রে মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ২৯২জন। অনুপস্থিত ছিলো ৫জন। আর বিএম পরীক্ষায় সকাল সেশেনে (দ্বাদশ শ্রেণি) পরীক্ষার্থী ছিলো ৪৯৭জন। অনুপস্থিত ছিলো ৬জন। সেখানে বিকালে সেশেনে বিএম পরীক্ষায় (একাদশ শ্রেণি) মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৪৭০জন।আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে বিএম পরীক্ষার সকাল সেশনে (দ্বাদশ শ্রেণি) মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২২৪জন। অনুপস্থিত ছিলো ১জন। বিকেল সেশনে বিএম পরীক্ষায় (একাদশ শ্রেণী) মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২২৭জন। অনুপস্থিত ছিলো ৯জন।এদিকে, পরীক্ষা শুরু ত্রিশ (৩০) মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীরা স্ব স্ব কেন্দ্রে প্রবেশ করে। উপজেলার সব কেন্দ্রে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করে সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন। আইন-শৃংখলা বাহিনী, কক্ষ পরিদর্শকসহ পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সকলে ছিলো অত্যন্ত সতর্কতায়। দরগাহপুর প্রতিনিধি জানান: দেশের সকল স্থানের ন্যায় দরগাহপুর কলেজিয়েট বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুটি ভেনুতে গত কাল সোমবার শান্তিপূর্ণ ভাবে এইচ এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে সকল কলেজ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন তারা হলেন বড়দল আফতাব উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ হতে ১৭৭ জন, শালিখা কলেজ হতে ১৮৬ জন ও দরগাহপুর কলেজিয়েট বিদ্যালয় হতে ৪৭২ জন। সর্বমোট-৮৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্র কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। তার মধ্য হতে অনুপস্থিত-৪ জন। পরীক্ষায় হল সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আলী, ভেনু হল সুপার মাহবুবার রহমান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে আছেন সহকারী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ রায়, প্রভাষক শাহাবুদ্দীন মোড়ল, সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান। পরীক্ষা চলাকালীন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট দেওয়ান আকরামুল হক, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভিজিলেন্স অফিসার বিজন কুমার মিত্র, ইউ এন ও প্রতিনিধি ভেটেনারী সার্জেন ডাঃ মিজানুর রহমান ও পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা এ বি এম ফিরোজ আহম্মেদ পরীক্ষা চলাকালীন সময় পরিদর্শন ও দায়িত্ব পালন করছেন। অত্র কেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নকল মুক্ত ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। -

সামান্য বাতাসেই নেই হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ!
মো. মুশফিকুর রহমান রিজভি: একটু বৃষ্টি শুরু হলে কিংবা একটু জোরে বাতাস হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। পৌরসভায় মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা দেখা গেলেও ইউনিয়নের অবস্থা আরো বেগতিক। একবার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলেই ১০-১২ ঘণ্টা আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না।
গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যার পর আকাশ একটু মেঘাচ্ছন্ন সাথে একটু জোরে বাতাস হতেই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। জেলার পৌরসভার আওতাভুক্ত এলাকায় রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলা করলেও স্থায়ীভাবে থাকেনি বেশিক্ষণ।
অন্যদিকে ইউনিয়নগুলোতে সন্ধ্যার পরেই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। পরে সারা রাত আর দেখা মেলেনি বিদ্যুতের। বিদ্যুতের দেখা মিলেছে পরদিন (২ এপ্রিল) সকাল ৯ টার পর।
এব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিস সংশ্লিষ্টদের মত, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিভিন্ন স্থানে লাইনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। সেগুলো মেরামত করে সংযোগ পুনরায় চালু করতে গিয়ে দেখা দিয়েছে এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যাতিত অন্য সময়ে নিয়মিত লোডশেডিং এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের মন্তব্য, এখন আর আগের মত বেশি লোডশেডিং হয় না। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ একটু কম থাকার কারণে এরূপ লোডশেডিং হয়।
কিন্তু জনসাধারণের বক্তব্য ভিন্ন, তারা বলছেন, গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গেছে লোডশেডিং। বিদুতের এমন লুকোচুরি খেলায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জেলাবাসীকে। গত ১ এপ্রিলের এরূপ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে এইচ.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এইচ.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম পরীক্ষার আগের দিন এরূপ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি।
এব্যাপারে এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী নাজরাণ হোসেন রকি বলেন, সারা রাত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কাক্সিক্ষত পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছি। আরেক পরীক্ষার্থী তাজিম হাসান শাওন বলেন, চার্জার লাইটে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু চার্জার লাইটের চার্জ ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরীক্ষা প্রস্তুতি সন্তোষজনক হয়নি।
বিদুতের এমন লুকোচুরিতে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রেস ব্যবসায়ী, কলকারখানা, বেকারীসহ সকলপ্রকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের জনসাধারণ। এমন লোডশেডিং এর কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা খাদ্যদ্রব্য।
এব্যাপারে কদমতলা বাজারের ব্যাবসায়ী আশরাফুজ্জামান বলেন, সামান্য মেঘ-বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাদের ব্যাবসায়ীদের জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাট সরকারের সকল উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছে।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবারাহ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বন্ধ ছিল। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকলেও প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকার কারণে সৃষ্টি হয় এরূপ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের।
রাতভর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার ব্যাপারে কালিগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তুষার কান্তি মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যাতিত অন্য সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর আগের মতো লোডশেডিং থাকেনা। পিক আওয়ারে সামান্য লোডশেডিং থাকে।
গত ১ এপ্রিল রাতের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য আবহাওয়াকে দায়ী করছেন ঝাউডাঙ্গা বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান। তার মতো পাটকেলঘাটা বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজারও প্রাকৃতিক দূর্যোগকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য। নিয়মিত লোডশেডিং এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, লোডশেডিং এখন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এ লোডশেডিং এর পেছনে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দায়ী কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ একটু তো কম আছেই। তবে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনেক কমে গেছে।
-

বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে স্থানীয় সরকার পরিষদকে সম্পৃক্ত করতে হবে
শহর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকির মুখে থাকা সাতক্ষীরার উপকূলীয় বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে জলবায়ু পরিষদ। একই সাথে বাঁধের সাবেক নকশা পরিবর্তন করে আর এল ৪ দশমিক ২০ এর স্থলে ৫ দশমিক ২৭ করারও দাবি জানিয়েছে পরিষদ। তারা বলেন, বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
গত সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি তুলে ধরেন পরিষদ কর্মকর্তারা। তারা বলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উপকূলীয় বাঁধের দৈর্ঘ্য ১৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার। ২০০৯ সালের আইলার আঘাতে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ এসব বাঁধ যে কোনো মুহুর্তে ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত করতে পারে বিস্তীর্ন জনপদ। তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সাতক্ষীরা অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় প্রায়ই আঘাত করে। এসব দূর্যোগে সাগর হয়ে ওঠে উত্তাল। জোয়ারের পানি বেড়ে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রধান রক্ষাকবচ উপকূলীয় বাঁধ নাজুক অবস্থায় থাকায় সম্পদ ও জীবন রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ কর্মকর্তারা আরও জানান, উপকূলীয় বাঁধের ৫ নম্বর পোল্ডারের আওতায় ঘোলা, বিড়ালাক্ষি, কুপট, পূর্বদূর্গাবাটী, ভামিয়া, নীলডুমুর, দাঁতিনাখালি, কালিকাপুর, হরিনগর, সিংহরতলী, চুনকুড়ি, জ্যোতিন্দ্রনগর, পারশেখালি, টেংরাখালী ও কৈখালি গ্রাম মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ১৫ নম্বর পোল্ডারের আওতায় ডুমুরিয়া, চকবারা, জেলেখালি, লেবুবুনিয়া, পারশেমারি, নাপিতখালি, চাদনীমুখা, গাবুরা গ্রাম এর বাঁধ যেকোন সময় ভেঙে যেতে পারে। একই অবস্থায় রয়েছে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের সবগুলি গ্রাম। সেখানকার বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
কর্মকর্তারা বলেন, দুর্যোগকালে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ প্রথমেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বরদের সহযোগিতা চায়। কিন্তু তাদের হাতে যথেষ্ট অর্থ না থাকায় সমস্যার সমাধান করতে হিমশিম খেতে হয়। এমন অবস্থায় উপকূলীয় বাঁধের রক্ষনাবেক্ষনকারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘বরাদ্দ নেই’ এই অজুহাত দিয়ে বাঁধ নির্মাণ থেকে বিরত থাকে। ফলে জনগনের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। এমন অবস্থায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মান সংস্কারের সাথে যুক্ত করা গেলে জনগনের ভোগান্তির লাঘব হতে পারে। এসব বিষয় সামনে রেখে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের হাতে বাঁধ নির্মান সংস্কারের বরাদ্দ দেওয়ারও দাবি জানান। আপদকালীন এবং স্থায়ী ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ইউনিয়ন পরিষদকে যুক্ত করার দাবি জানিয়ে জলবায়ু পরিষদ কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে তারা উল্লেখ করেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ দ্রুত নির্মাণ সংস্কার, এর সাথে ইউনিয়ন পরিষদকের সম্পৃক্ত করা এবং বাঁধের পূর্বতন নকশা পরিবর্তন করে তা ৫ দশমিক ২৭ মিটারে উন্নীত করা। মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আবু আহমেদ, সুভাষ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচি, মমতাজ আহমেদ বাপী, এম কামরুজ্জামান, রুহুল কুদ্দুস, গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সমে¥লনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জলবায়ু পরিষদ সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদ সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জলবায়ু পরিষদ সদস্য জাসদ শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশীদ, জলবায়ু পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নূরুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি ও জলবায়ু পরিষদ সদস্য শাহানা হামিদ প্রমুখ। -

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় যাওয়ায় গতকাল বিভিন্ন স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানের আনন্দ র্যালি এবং শোভাযাত্রা নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উদ্যেগে গত বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোডিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব শেখ আশরাফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর খুলনা উনন্নয় সংগ্রাম সমন্ময় কমিটি। প্রধান অতিথি বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক অর্জন যা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো: ইব্রাহীম। সভাপতি বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ যে একটি সম্ভবনাময় দেশ তার বড় প্রমান এই অর্জন।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনইউবিটি খুলনার রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) এ.এইচ.এম মুঞ্জুর মোরশেদ, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. রবিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যপক জনাব রাজীব হাসনাত শাকিল। শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যাক ছাত্র-ছাত্রী স্বতঃর্স্ফূত অংশ গ্রহণ করেন ।
উল্লেখ, গত ১৭ মার্চ শনিবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ ¯ী^কৃতি প্রদান করেন।
তালা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের অভিযাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। এ উপলক্ষে তালা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তালা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে উপ-শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে যেয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু’র পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুনেচ্ছা খানম,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প.প কর্মকর্তা কুদরত-ই-খোদা, কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান,শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান,তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ । শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তালা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও, ব্যানার ও ফ্যাস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।শ্যামনগর: ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ ‘‘নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্মমধ্য আয়ের দেশ’’ উত্তরণে জাতি সংঘ কর্তৃক স্বীকৃতির অর্জনকে স্মরনীয় করতে ২০-২৫ মার্চ ২০১৮ প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন। সপ্তাহ ব্যাপি এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাচন অফিস, কৃষি অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, শ্যামনগর পৃথক পৃথক ব্যানার সহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্বরে আলোচনা সভায় অংশ নেয়। প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য এস,এম, জগলুল হায়দার উপস্থিত না থাকায় আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম, মহাসীন উল মুলুক, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড: জহুরুল হায়দার বাবু। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থা শ্যামনগর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা সাহানা হামিদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবু বাসার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.কা. রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী চৌধুরী আশিক রেজা, নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসাইন সাগর, ওসিস কর্মকর্তা প্রনব বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ, এ্যাড: শোকর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাগো যুব ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ ফারুক হোসেন।
দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বল্পোন্নত দেশের স্টাটাস থেকে উত্তরনের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উপলক্ষ্যে র্যালী, সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে উপজেলা পরিষদ থেকে র্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে উপজেলা মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ। পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। এছাড়া ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল্লাহ আল তারিক, ইউপি সদস্য নির্মল কুমার, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কে.এম রেজাউল করিম, আব্দুর রব লিটু, আকবর আলী, সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন, শিক্ষক আকতার রেজা বাবুল প্রমুখ।
কুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় কুলিয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দ র্যালি পালিত হয়েছে। জাতিসংঘের কাছ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আনন্দ র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, চিত্র প্রদর্শনী, ছবি আঁকা ও রচনা প্রতিযোগিতা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির, শিক্ষক ইউনুছ আলী, মনিরুল ইসলাম, ক্রিড়া শিক্ষক রফিকুল ইসলাম খান, মুজিব উদ-দৌলা, সেলিমুজ্জামান, রুবেল হাসান , মুশফিকুর রহমান, হাফিজা খাতুন, সাফিয়া খাতুন, জ্যোতি রানী সহ সকল শিক্ষক- শিক্ষাথীবৃন্দ। এছাড়া শোভাযাত্রা পালন করেন সূর্বনাবাদ সেন্টাল হাই-স্কুল, বহেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলিয়া স্যার আনছার আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহেরা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসা, খাসখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুষ্পকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রমুখ।
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজ: বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মাথাপিছু বার্ষিক আয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার হার, খাদ্য ও পুষ্টি, জলবায়ু, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি চাষ, বিদ্যুৎ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহ প্রায় ক্ষেত্রে সূচক উর্ধ্বগামির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন সখিপুরের ঐতিহ্যবাহী খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের আয়োজনে উৎসবমূখর পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- কলেজের আইসিটি হল রুমে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, আনন্দ শোভাযাত্রা এবং সবশেষে মিষ্টান্ন বিতরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। আইসিটি হল রুমে প্রথমে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মহসিন’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্য থেকে আলোচনা রাখেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান মো. আকবর আলী। সদ্য যোগদানকৃত ন্যাশনাল সার্ভিস স্টাফদের মধ্যে বক্তব্য দেন রুকসানা নাহিদ। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখে একাদশ বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সালমা খাতুন ও মো. আলমগীর হোসেন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন একাদশ শ্রেণির সাফিয়া বিনতে নাহার এবং গীতা পাঠ করে একই বর্ষের শ্যামলী নন্দী। রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় যথাক্রমে অপূর্বা মল্লিক, সাগর কুমার দত্ত ও আরজুনা পারভীন। কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম কুলসুম পারভীন, ২য় মাহবুব আলম এবং ৩য় সাগর কুমার দত্ত। অনুষ্ঠানে এবং অনুষ্ঠান শেষে আনন্দ শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আলহাজ্জ মো. আব্দুল মজিদ, সহকারী অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান, পীযূষ কান্তি মল্লিক, আলহাজ্জ এস এম হারুন অর রশিদ, মোল্লা সাবির হোসেন, মো. কামিদুল হোসেন, মো. আজহারুল ইসলাম, মো. আব্দুল আজিজ, ফেরদৌসী আক্তার পপি, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মইনুদ্দিন খান, মো. আছফারুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, শাহানুর রহমান, রন্জন কুমার মন্ডল, আলহাজ্জ মাসুদ করিম, নাজমুল হুদা ডালিম, মো. আবু তালেব, দৌলতুন্নেছা পারুল, রিতা রানী, রাবেয়া খাতুন, এস এম ফিরোজ আহম্মেদ, আনোয়ারা খাতুন সহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এদিকে ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হওয়ায় একই অনুষ্ঠানে দিবস সম্পর্কেও শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আলোচনা রাখেন।
কালিগঞ্জ: নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্মমধ্য আয়ের দেশে অন্তরভূক্তি হওয়ায় সারা দেশ ব্যাপী প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপজেলা প্রাঙ্গন থেকে এক বণার্ঢ্য র্যালী ব্যান্ড বাদ্য বাজিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসানের¡ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর আহম্মেদ মাছুম, কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডর আব্দুল হাকিম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সমবায় কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ। কালিগঞ্জ প্রশাসনের আয়োজনে প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সকল অফিসের দপ্তরের সেবা সমূহ তুলে ধরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সেবাকুঞ্জ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ২৩ মার্চ উপজেলা পরিষদ মাঠে ফুটবল খেলা, ২৪ মার্চ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতা এবং ২৫ মার্চ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আশাশুনি: বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে আশাশুনিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সকাল সাড়ে ১০ টায় বাদ্য যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নয়নের বর্ণনা সহকারে র্যালীটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অরুণ কুমার ব্যানার্জী, সমাজসেবা অফিসার এমদাদুল হক, মৎস্য অফিসার সেলিম সুলতান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, কৃষকলীগ সভাপতি স ম সেলিম রেজা সহ স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নের চিত্র প্রদর্শন করা হয় ।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি: বাংলাদেশ নি¤œÑআয়ের দেশ থেকে নি¤œমধ্য আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হওয়ায় ২২ সে মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশেষ সপ্তাহ ১৮ উপলক্ষে র্যালী ও আলচনা সভা অনুিষ্ঠত হয়।র্যলিতে অংশগ্রহন করেন সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারি, সুধি জন, সংবাদিক সহ স্থানীয় বেক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন , ১৯৮২-২০১৫ সালে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ও ১৫-১৮ সালে ২ লক্ষ ৫ হাজার গ্রাহক সংখ্যা বাড়ে। মোট সংযোগ নির্মান ৬০০০ কিলোমিটার, সিস্টেম লস ১৪-১৫ সালে ১৫.১৩ %,বর্তমান উন্নীত হয়ে ৯.১৩ %আমরা রাত দিন আপনাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি সাইফুল্লাহ আজাদের সভাপতিত্তে বক্তব্য রাখেন ,জি এম নজরুল ইসলাম,শাহ আলম টিটো,আব্দুল গফুর মোড়ল,ডি জি এম জিয়াউর রহমান (ঝাওডাঙ্গা ব্রাঞ্চ),তুষার কান্তি মন্ডল(কালীগঞ্জ),গবিন্দ আগরওয়াল(কারিগরী সদর) ও সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা বৃন্দ, সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস।
কুশখালী: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মাথাপিছু বার্ষিক আয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার হার, খাদ্য ও পুষ্টি, জলবায়ু, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি চাষ, বিদ্যুৎ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহ প্রায় ক্ষেত্রে সূচক উর্ধ্বগামির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমূখর পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজ: সদরের সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ সিকদার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক শেখ শহিদুর রহমান, সহকারি শিক্ষক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র কুশখালী প্রতিনিধি মো. নাজমুল আরেফিন, শেখ সাব্বির রহমান, সুরাইয়া পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান।কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়: কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল জব্বার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক এ.এস.এম আব্দুল করিম, সহ-শিক্ষক মো. মুজিবর রহমান, মো. মফিজুল ইসলাম, আইনুন নাহার সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মোল্যা হায়দার আলী।বাশদহা বি.কে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়: স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উৎযাপন উপলক্ষ্যে বি.কে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা, র্যালী, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল কবীর, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আক্তারুল হক, সহ-শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান, মো. আছরোফ আলী, আশুতোষ কুমার সাধু, আলতাফ হোসেন, প্রবীর কুমার, আসমাউল হুসনা সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ।
গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা: বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষ্যে গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার মাও: সিদ্দিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, আবুল হোসেন মাস্টার, শিক্ষক শিরিনা, তানজিলা, আদিত্য, মাও. ইয়াছিন আলী, হাফেজ শওকত, আমানুল্লাহ, শহীদুল হক সিরাজী, গউছুল আযম। সভায় শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও. নজরুল ইসলাম। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিশু একাডেমি: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদ্যাপন উপলক্ষে প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের প্রভাষক মোশতাক আহমেদ, পিটিআইযের ইন্সট্যাক্টর শুভেন্দু কুমার দাস, শিক্ষক পল্টু বাসার ও মনিরুজ্জামান ছট্ট প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক।
-

জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে নির্মিত হচ্ছে স্লুইজ গেটের রেলিং
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: বৃহত্তর শ্যামনগর উপজেলার পর্যটন সড়ক মুন্সিগঞ্জ বাজারস্থ্য স্লুইজ গেটের রেলিং নির্মান কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে (গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে) মুন্সীগঞ্জ বাজারস্থ্য স্লুইজ গেটের রেলিং নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্যসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জলবায়ু পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপকুলীয় এলাকায় ৬০ এর দশকের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আওতায় কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে পোল্ডার বাঁধ নির্মিত হয়। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে প্রতি দিন শতশত ভারী যানবাহনে যাতায়াত করতে শুরু করে। এখানে ৪ টি ইউনিয়ন গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষ্যাধিক মানুষ এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে জেলা ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে। মুন্সীগঞ্জ বাজারটি নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রয়ের প্রান কেন্দ্র, এছাড়া অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ও ৩ টি স্থানে মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র, ৯ টি স্কুল, ২ টি কলেজের শিক্ষীর্থী, ৮ টি চিংড়ী ও কাঁকড়া হ্যাচারীর মালামাল এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে মানুষের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সাল বাংলাদেশকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করায়, পর্যটন শিল্পোউন্নতি করতে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলে সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পার্ক, হোটেল-মোটেল, কমিউনিটি গেষ্ট হাউজ, রেস্টুরেন্ট। রেলিং নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকে।
মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে কলবাড়ীতে প্রায় ৮০ একর জায়গাতে ৩ নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। এই বিনোদন মূলক পার্কে প্রতিদিন আগত দর্শনার্থীদের স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদ উপকূলীয় অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন, স্লুইচ গেট, জলাভূমি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমি তাদের কাজে সবসময় সহযোগীতা করি।
-

জেলাব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
ডেস্ক রিপোর্ট: যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলাব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন : রঙ ছড়ানো আলো লাল সবুজের বাংলাদেশ থাকবে শিশু ভালো’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রশাসন, এনজিও, সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ণাঢ্য র্যালি, কেক কাটা, শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও অবিসংবাদিত নেতা। এই মহান মানুষটির জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাঙালী জাতিসহ বিশ^বাসী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম রিফাত আমিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তাওহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, সহকারি পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাতক্ষীরা জেলার আবু জাহেদ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন, সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মাজেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাস, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, সদর উপজেলা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, জেলা স্কাউটস্ এর সম্পাদক এম. ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ।
শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাথেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এহছানুল কাদির ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রজ্ঞা পারমিতা রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসাইন।
পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে স্কুলের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মুজিবর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.এম.সি সদস্য মো. শাহ আলম হাসান শানু, রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নীলা চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান খান চৌধুরী, সুজাতা রানী রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, লক্ষী রানী রাহা, মনোতোষ কুমার দাঁ, অনিমা দাশ প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনা করেন ৯ম শ্রেনির ছাত্র সাগর দাস ও উজ্জল ঘোষ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শিক্ষক আব্দুল হামিদ আল হাফিজ। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষক আমিরুল ইসলাম।

ডিবি ইউনাইটে হাইস্কুল: সাতক্ষীরার ডিবি ইউনাইটে হাইস্কুলে কেককাটা, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ৯ নং ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সম জালাল উদ্দীন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ছাত্তার, অজিহার রহমানসহ স্কুলটির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার সকল স্তরের মানুষ।এরপর সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুল: জাতির জনকের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুলে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আনিছুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,স্কুলের উপাধ্যক্ষ সেলিনা খাতুন। শিক্ষিকা শিরিন শারমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রোজিনা খাতুন, সাথী দে, ফারহানা সিদ্দিকা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, পূর্নদেবপালসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ। চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয়।সাজেক্রীস: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কেক কেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, নির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, কাজী কামরুজ্জামান, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, মোঃ আলতাফ হোসেন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, কবিরুজ্জামান রুবেল, হাফিজুর রহমান খান বিটু, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মো. রুহুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, পৌরসভার কাউন্সিলর জোৎ¯œা আরা প্রমুখ।
রোজ গার্ডেন স্কুল: রোজ গার্ডেন স্কুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৯তম জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা ও সুন্দর হাতের লেখার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পরে বিদ্যাপিঠের শিক্ষক- শিক্ষিক,শিক্ষার্থীদের নিয়ে জন্ম দিনের কেক কাটা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক এস.এম. আনোয়ার হোসেন। প্রধান হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিদ্যাপিঠের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো: আনছার আলী।
আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ: আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আছাদুজ্জামান। তিনি তার আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বণার্ঢ্য জীবন ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক এই ভুখন্ডের জন্ম হতো না। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা সাহিত্যের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন।
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরা লিমিটেডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার যোহর বাদ হাসপাতালের কনসালটেন্ট চত্বরে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। হাসাপাতালের প্রশাসনিক ইনচার্জ (২) মো. আনোয়ারুল হুসাঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের হিসাব কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আওয়াল, ফিরোজ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং অফিসার আব্দুল হাকিম, ল্যাব ইনচার্জ আবুল কাশেম , হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়র এসএম আব্দুল আহাদ, সহকারি হিসাব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ওটি ইনচার্জ ফাতেমা খাতুন, সিসটার ইনচার্জ রওশানারা খাতুন, ফারুক হোসেন, আজিজুর রহমান, মনজিলা খাতুন মনি, আবুল হোসেন,ইসমাইলসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীগন। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা লাল সবুজের পতাকা পেতাম না। বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড বিশ্বের বুকে স্থান পেত না। তার জালাময়ী বক্তব্য ও সুকৌশল নেতৃত্বের কারনে শোষকের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালী জাতি তাদের বাংলা ভাষা ফিরে পেয়েছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে কাছ করছে। যে কারনে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ কহিনুর রহমান।
তালা: তালায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত শনিবার সকালে তালা উপ-শহরে র্যালি, শিশু সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, রচনা ও উপস্থিত বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে উপ-শহরে র্যালী শেষে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজউদ্দীন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তালা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী প্রমুখ।
কলারোয়া: ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন : রঙ ছড়ানো আলো, লাল-সবুজের বাংলাদেশে থাকবে শিশু ভালো’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জম্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পনসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করে উপজেলা প্রশাসন, আ’লীগ, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত ১৭মার্চ শনিবার সকাল থেকে দিনভর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে দিবসটির নানা কর্মসূচি পালিত হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবু নসর, অধ্যাপক এমএ ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ, কৃষিকর্মকর্তা মহাসিন আলী, কলারোয়া হাসপাতালের কর্মকর্তা কামরুল হোসেন, মহিলা কর্মকর্তা নুরুন নাহার, বি আর ডি বি কর্মকর্তা সন্ধীপ কুমার প্রমুখ। উপজেলা সমবায় অফিসার নওশের আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুধিজনেরা উপস্থিত ছিলেন।পরে সেখানে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এর আগে সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে স্থাপনকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল অর্পন শেষে আনন্দ র্যালি বের হয়।
অনুরূপভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, হিজলদী কমিউনিটি ক্লিনিক, বেত্রবতী হাইস্কুল,দেয়াড়া মাঃ বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ, কাজীরহাট ডিগ্রি কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি আ.লীগসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট ও অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।
শ্যামনগর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৯৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা, ছাত্রছাত্রীদের মঝে পুরুস্কার বিতরণ, কেক কাটা, রক্তদান, ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় সহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন রক্ত ছড়ানো আলো, লাল সবুজের বাংলাদেশে থাকবে শিশু ভালো।” এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার সহযোগয়ীতায় সাকল ১০ টায় উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শ্যামনগর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা হর রুমে আলোচনা সভায় অংশ নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম, আতাউল হক দোলন, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা মুকুল, বঙ্গবন্ধু জীবনের উপর আলোচনা করেন নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী আনিকা জামান মিমলা, নিশাদ, ঐশী খানম, মর্ডান স্কুলে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী তাছলিম জাহান, জয়ীতা প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মূখার্জী, জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সত্তার, সুশান্ত কুমার বাবু লাল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। আলোচনা শেষে কবিতা আবৃতি, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্য্যলয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমপি এস,এম, জগলুল হায়দার জন্মদিনের কেক কাটেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় হিতৈষী রক্তদান সংস্থার আয়োজনে শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রী কলেজে রক্তদান ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এমপি জগলুল হায়দার।
দুপুর ১২ টায় মানব সেবা রক্তদান সংস্থার আয়োজনে থানা সংলগ্ন হাফেজী মাদ্রাসার ছাত্রদের ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলন। অপর দিকে দুপুর ১২ টায় কাঁঠালবাড়ীয় এ,জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক কর্মকর্তা মিনা হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন সকল শিক্ষক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা শেষে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্যামনগর দেবীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক: শ্যামনগর উপজেলার দেবীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়োজনে ক্লিনিক চত্বরে কমিউনিটি গ্রুপ ও সাপোর্ট গ্রুপের সহযোগীতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস’১৮ উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক- অপূর্ব রঞ্জন মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক-আবুল খায়ের। ক্লিনিকের সিএইচসিপি অনিরুদ্ধ কর্মকার (সম্পদ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিজি গ্রুপের সহ-সভাপতি- ভুমিদাতা-রাজেন্দ্র মন্ডল, ধরিত্রী রাণী, পরিবার কল্যাণ সহকারী- নাজমা পারভীন, স্বাস্থ্য সহকারী- ছিদরাতুননেছা, ওয়াল্ড ভিশনের নবযাত্রা প্রকল্পের সিএনএফ কর্মী- অমিত কুমার মন্ডল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও এ দেশের প্রতি তার অবদান, শিশু দিবস, মা-শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেবীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তÍ মা ও শিশুদের বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।
কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ উপলক্ষে র্যালি, শিশু সমাবেশ, কেক কাটা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
উপজেলা প্রশাসন: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সকাল ৯ টায় র্যালি ও শিশু সমাবেশ, সকাল সোয়া ৯ টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সাড়ে ৯ টায় শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সকাল ১০ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান।

উপজেলা আওয়ামী লীগ: বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক শেখ ইকবাল আলম বাবলু’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মূখার্জ্জী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ প্রমুখ।এছাড়াও নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন।
রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ: উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবু’র সভাপতিত্বে র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুশলিয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা, কালিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. মুজিব-রুবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটা, বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে আলোচনা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কৃষ্ণনগর: ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত। এই দিনে সকাল ১০ টার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলণ সহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সহ চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগীতা সহ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বালিয়াডাংগা মাহমুদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা, মোহাম্মাদনগর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান, সোতা রাজনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেনাদনা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগীতায় শনিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে উপজেলা মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি।বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান ও উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা বিঞ্চুপদ বিশ^াস, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা প্রমুখ। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোকপাত করে তার আদর্শে জীবন গড়ার আহবান জানান। শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজ, সখিপুর মহিলা কলেজ ও ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হয়। ঈদগাহ স্কুলে আলোচনা সভায় হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন। এসময় অভিভাবক সদস্য সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নওয়াপাড়া: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বাঙ্গালী জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার বিকালে গাজীরহাটস্থ নওয়াপড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে র্যালী সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেক কাটা হয়। আলোচনা সভায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুধান চন্দ্র বরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম ঘোষ, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মামুন, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মহানন্দ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, যুগ্ন-সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আসমাতুল্লা আসমান, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল করিম, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুর রহমান, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মমিন গাজী, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্যাম মোল্যা, ইউনিয়ন পুলিশিং ফোরামের সভাপতি আসাদুর জামান রব, সাধারণ সম্পাদক আনিসউজ্জামান বকুল, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাগর হোসেন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছাব্বির হোসেন।
সখিপুর হাইস্কুল: সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের র্যালি, আলোচনা সভা, অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের হল রুমে প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রদিপ কুমার মন্ডল, নির্মল কুমার গাইন, আলমগীর কবির, ইয়াকুব আলী, সাহিনা আক্তার, মোসলেমা খাতুন, রেকসনা তরফদার, মনিকা রানী বসু প্রমূখ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেবহাটা: দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় সখিপুর মোড়স্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট সুপারভাইজার আবু ইউসুফ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওঃ ফজর আলী, নুরুল হক, আহমদ আলী । দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আব্দুস সত্তার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের কেয়ারটেকার নুরুল হক।
আশাশুনি: বিপুুুুল উদ্দীপনা উৎসবের সাথে আশাশুনিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০১৮ ব্যাপক পালিত হয়েছে। শনিবার উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন: সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে আনন্দ র্যালী বের করে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের নেতৃত্বে র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। ১০ টায় স্মৃতি সৌধ পাদদেশে শিশু সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর জীবনি নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মহিতোষ কর্মকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অরুন ব্যানার্জী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার, প্রেসক্লাব উপদেষ্টা একেএম এমদাদুল হক, অধ্যাপক তৃপ্তিরঞ্জন সাহা, কৃষকলীগ সভাপতি সেলিম রেজা সেলিম, শিক্ষক সেলিনা আক্তার। এরআগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। কুইজে আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হেলাল উদ্দিন ১ম, ফয়সাল ২য় ও রাখি ৩য় স্থান অধিকার করে। সবশেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, জন্মদিনের কেক কর্তন ও আলোচনা সভা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কেক কর্তন ও আলোচনা রাখেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। সিঃ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্যার সভাপতিত্বে সভায় সহ-সভাপতি রাজ্যেশ^র দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ সামাদ বাচ্চু, বিমল চন্দ্র গাইন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বুদ্ধদেব সরকার, কৃষকলীগ সভাপতি স ম সেলিম রেজা সেলিম, আ’লীগ সহ-দপ্তর সম্পাদক রাজু আহমেদ পিয়াল, যুবলীগ সভাপতি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, যুগ্ম সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মহিতুর রহমান, শ্রীদাম চন্দ্র বাছাড়, তাহমিদ হোসেন ডেভিট, আনিছুর রহমান বাবলা, দীপন কুমার মন্ডল, এম এম সাহেব আলি, নাজমুল হোসেন, শরীফুজ্জামান, জি এম মঞ্জুরুল ইসলাম, উজ্জল, রাজ, তারিক, শাওন প্রমুখ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন: আশাশুনি উপজেলা জামে মসজিদে রচনা, হামদ, কুইজ প্রতিযোগিতা, দোয়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। উপজেলা সুপার ভাইজার আবু হানিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক। বক্তব্য রাখেন মডেল কেয়ারটেকার মহিউদ্দিন। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওঃ আঃ গফফার।
বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল: জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাসুদ রানা ও গীতাপাঠ করেন অয়ন ব্যানার্জী। বক্তব্য রাখেন এস এম সিরাজুল ইসলাম, বৈদ্যনাথ দাশ, খান সালামত হোসেন ও মইনুল ইসলাম।
শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়: রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান শিক্ষক ভগিরথ বাছাড়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাসুদুল হক, তপন কৃষ্ণ গাইন ও পশুপতি সরকার। এছাড়া উপজেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় অনুরুপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দরগাহপুর: দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় এবার পালন হচ্ছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’র এর জন্মদিন ও শিশু দিবসটি ১৭ই মার্চ আশাশুনি উপজেলাধীন দরগাহপুর ও রাড়–লী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্জাদায় পালন করা হয়। দরগাহপুর কলেজিয়েট বিদ্যালয়’র হল রুমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল’র সভাপত্তিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর আলোচনা, গান, চিত্রাংকন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন সহ প্রধান শিক্ষক মনি মোহন মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রভাষক রবিন কর্মকার ও সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। শহীদ কামরুল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষর দীপংকর কুমার দত্ত’র সভাপত্তিত্বে র্যালি, আলোচনা, চিত্রাংকন, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুরুপ ভাবে দরগাহপুর সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাঃ রিয়াজুল ইসলাম’র সভাপত্তিত্বে র্যালি, আলোচনা, চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষক মাওঃ আঃ হাকিম, ৩৭নং দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ আঃ সাত্তার’র সভাপত্তিত্বে, ৩৮নং দঃ দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জি.এম মাছুম বিল্লাহ’র সভাপত্তিত্বে, ১৩১ নং পশ্চিম দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম’র সভাপত্তিত্বে ও কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান’র সভাপত্তিত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশু দিবসের আলোচনা, র্যালি, চিত্রাংকন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন মাষ্টার সাবিলুর রহমান ও অবনি কুমার মন্ডল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ক্রীড়া শিক্ষক মিলন সরকার। উল্লেখিত অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজ: ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৯৯তম জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ এ.আর.এম মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক রেজাউল করিম, অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম, অধ্যাপক বিজন কুমার মিত্র, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক আকবর হোসেন, অধ্যাপক অধ্যাপক আব্দুল আলিম, অধ্যাপক আনজুন নাহার, অধ্যাপক মলিদা আখতার, অধ্যাপক অধ্যাপক রাশিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক শরীফ আহমেদ।
বড়দল দারুসছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসা: আশাশুনি উপজেলার বড়দল দারুসছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টায় অত্র মাদ্রাসা হল রুমে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস সানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বড়দল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এস,এম আহছান উল্লাহ, মাওঃ মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ তামজীদুল ইসলাম, মোঃ আনারুল ইসলাম, মোঃ আইনুদ্দীন, মোঃ আব্দু রশিদ। অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলী, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক এ,বি,এম ফেরদৌস।
-

স্থানীয় সরকারের হাতে বাঁধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে-আশেক-ই-এলাহী
নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামে নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থানে স্থানীয় জনগন ও জলবায়ু পরিষদ কয়রা ও শ্যামনগরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এমানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর ও কয়রা জলবায়ু পরিষদের সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, উপাধ্যক্ষ্য নাজিম উদ্দীন, বিসিএএস এর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অভিজ্ঞ খন্দকার ফকরুল আলম, সিএসআরএল’র এমইএল কর্মকর্তা শোয়েব চৌধুরী, অধ্যাপিকা শাহানা হামিদ, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, জাসদ শ্যামনগর উপজেলার সভাপতি হারুন আর রশিদ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফ, রতœা রানী শীল, সুন্দরবন গবেষক পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, সহকারী অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ঝড় ও বর্ষা’র সময় আগত। কিন্তু কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ অবস্থায় পাউবোকে সরিয়ে স্থানীয় সরকারের হাতে বাঁধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তারা উপকুলীয় মানুষের রক্ষায় ন্যুনতম কোন প্রস্তুতি নেয়নি। সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে নিজেদের বাঁচার তাগিদে। লড়াই সংগ্রামের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের প্রধান সমস্যা নদী ও জলোচ্ছাস যে কারনে আইলা, সিডর এর মত প্রাকৃতিক আমাদের উপকুলে আঘাত হানলে নদী ভাঙ্গনের মত ঘটনা ঘটে। তাছাড়া উপকুলে বাঁধ গুলি দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কারের আভাবে ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০ কিলোমিটারের অধিক ঝুঁকিপূর্র্ণ বাঁধ রয়েছে। এছাড়া ভূক্তভোগী বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের বাঁধ আগের চেয়ে বেশি খারাপ হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি এই বাঁধগুলো ঠিক করা দরকার।
জলবায়ু পরিষদ কয়রা ও শ্যামনগরে প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুলি তুলে ধরে নদী ভাঙ্গন কবালিত ৫ টি স্থানে কয়রার দক্ষিন বেদকাশি, ঘড়িলাল, চোরামুখা, শ্যামনগরে দাতিনাখালী, গাবুরা, চকবারা, ৯নং সোরার নদী ভাঙ্গন স্থানে বসবাসরত সাধারণ জনগনের সাথে মতবিনিময় করেন।
-
শ্যামনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরের পল্লীতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই কন্যা শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা একে-অপরের চাচাতো বোন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্যাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত দুই শিশু, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্যাপাড়া গ্রামের নজরুল সানার মেয়ে মরিয়ম আক্তার সুমাইায়া(৫) ও নুরুজ্জমান সানার মেয়ে শাহনাজ আক্তার মিষ্টি(৬)।
নিহতদের স্বজনরা জানান, সকালে শিশু কন্যা সুমাইয়া ও মিষ্টি বাড়ির পাশে পুকুর ধারে খেলা করছিল। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ তারা পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাদের স্বজনরা তাদের মরাদেহ ওই পুকুর থেকে উদ্ধার করে। এদিকে, একই সাথে আপন দুই চাচাচতো বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা অবৈধ্য গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বিএনপি নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই প্রতিনিধি দলের সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে আসছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকার বিএনপি নেতা কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল।
কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকা মহানগরের সূত্রাপুুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ২০১৩-১৪ সালে সুত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ থাকায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ায় নাশকতার আসামি হয়েও বুলবুল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোনীত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুলবুল স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সারা বাংলাদেশব্যাপি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড সহায়ক পাঠ্য বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তার আর্শীবাদ পুষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ীরা তার কথামত জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই অন্তর্ভুক্ত করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেরুয়াারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মো. জাকির সাতক্ষীরায় অসাধু পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাতক্ষীরার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান আহবায়ক যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আপন ভাইপো ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু ও যুগ্ম আহবায়ক(১) বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাইয়ুম সরকারকে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।
কিন্তু এখনও জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই বই বাজারজাত করে ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত করতে সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় আগমন করছেন বিএনপি নেতা বুলবুল।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা বুলবুল সাতক্ষীরার উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সব গাইড জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার তদবির নিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ১৩ ধারা মোতাবেক সদস্য পদের অযোগ্যতা। জ) কোন প্রকাশনী ও পুস্তক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বই পাঠ্য করাইলে তার সদস্য পদ থাকবে না। ট) গ্রন্থসত্ত্ব আইন: রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই প্রকাশ ও বিক্রয় করিলে। কিন্তু সারা দেশব্যাপি প্রকাশকরা টাকার বিনিময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় বই পাঠ্য করায়। ফলে সংঘবিধি ১৩ জ ও ১৩ ট অনুযায়ী কোন প্রকাশনীর সদস্যপদ থাকার কথা না।
এঘটনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে বিএনপি করতাম। এখন করি না।’ ১৩’র জ ও ট সম্পর্কে বললে তিনি এড়িয়ে যান। এঘটনায় সাতক্ষীরার পুস্তক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে, সাতক্ষীরার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল।