Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 26 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহবানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

    রবিবার বিকালে সুশীলন কার্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি আলোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি সাতক্ষীরার আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সরকারি কলেজে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ,  সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদন কল্যাণ ব্যানার্জী,  সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. সুশান্ত ঘোষ,  স্বদেশের পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, এজি চার্চ পাস্টর আলফ্রেড রায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি সাতক্ষীরার সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কাওসার আলী, সুশীলনের মনিরুজ্জামান,  উন্নয়ন কর্মী শম্পা গোস্বামী, উদীচীর সিদ্দিকুর রহমান,  ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ,  সনাকের সভাপতি পবিত্র মোহন মল্লিক, নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি  প্রমুখ। বক্তরা বলেন, সারাদেশে যেভাবে যেভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।  দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সাম্প্রদিকসম্প্রীতি রক্ষার লক্ষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। আমাদের  জেলায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে  ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জেলাবাসীকে সজাগ থাকার পাশাপাশি সকল স্তরে সহাবস্থান ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান বক্তরা। আগামী ৪ আগস্ট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০ টা মানববন্ধনের আহ্বান করা হয়েছে। 

  • বিশ্বাস গার্ডেনে জেলা সাংবাদিক পরিষদের
    শিক্ষাসফর ও পুণর্মিলন অনুষ্ঠান

    দিনব্যাপি জেলা সাংবাদিক পরিষদের আয়োজনে বার্ষিক শিক্ষাসফর ও পূণর্মিলন অনুষ্ঠান গতকাল বিশ্বাস গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন খেলাধুলা, শিক্ষানীয় অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, র‌্যাফেল ড্র সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ আছাফুর রহমানের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন সুযোগ্য সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন ও বিশ্বাস গার্ডেনের পরিচালক ক্যামেলিয়া জাহান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদ মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ আল- মাসুদ, মোঃ ইউসুফ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সোহাগ, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আঃ হামিদ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল বাসার, রবিউল ইসলাম, রিনি, মনিরা, নাসরীন, মিঠু, রমজান, আজগর, ইব্রাহিম প্রমূখ। অনুষ্ঠান্তে র‌্যাফেল ড্র- এ ১ম পুরস্কার ১টি মোবাইল সেট প্রাপ্ত হয় সংগঠনের সদস্য হাসান রেজা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • শহীদ জায়েদার আত্মত্যাগ: সাতক্ষীরার খাসজমির আন্দোলন এবং বর্তমান পেক্ষাপট শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক

    শহীদ জায়েদার আত্মত্যাগ: সাতক্ষীরার খাসজমির আন্দোলন এবং বর্তমান পেক্ষাপট শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক


    প্রেসবিজ্ঞপ্তি :
    শহীদ জায়েদার আত্মত্যাগ ও সাতক্ষীরার খাসজমির আন্দোলন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা খামারবাড়ির মিলনায়তনে উত্তরণের আমার প্রকল্পের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় ভুমি কমিটি এ বৈঠকের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সভাপতি এড.আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম।
    তিনি বলেন, জায়েদার আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরার ভূমিহীনদের আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিলো। সেই সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজেই এসে ভূমিহীনদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। আবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। ১৫২৭ একর খাস জমি প্রভাবশালী ভূমিদস্যদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সেগুলো উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। কিছু সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে। কোন ভূমি কোন অবস্থায় আছে সেটার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। কোন ভূমিহীন কী সমস্যায় আছে, কীভাবে জমির নাম পত্তন করা যায়, যিনি দলিল পাননি তার দলিল হস্তান্তর করা যায়, কোন খাস জমি ভূমিদস্যুরা মিথ্যা মামলা করে তাদের দখলে রাখতে চায় সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। মোঃ নজরুল ইসলাম আরো বলেন সেই সময় যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আজও তিনি প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে এই সমস্যার সমাধান চাওয়া যেতে পারে। ভূমিহীন আন্দোলনের সাথে প্রথমে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের অনেক মারা গেছেন। আজ যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের নেতৃত্বে সরকারী প্রক্রিয়ায় বাকী খাসজমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্ঠন হবে এটা প্রত্যাশা করি।
    গোল টেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, শিক্ষাবিদ কিশোরী মোহন সরকার, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী প্রমুখ।
    মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জেলা ভূমি কমিটির সভাপতি মোঃ আনিসুর রহিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উত্তরণের প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামান জমাদ্দার।
    গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম মোল্লা, জেএসডির সাধারণ সম্পারক সুধাংশু শেখর সরকার, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, ভিপি এড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, স্বদেশের পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, দেবহাটা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, দেবহাটা-কালিগঞ্জের ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা ওহাব আলী সরদার, পৌর কাউন্সিলর রাবেয়া পারভীন, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল, দেবহাটার সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, পৌর কাউন্সিলর নুর জাহান নুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, গণফোরামের সভাপতি আলী নুর খান বাবুল, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সাত্তার, নোড়ারচক ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মোশারাফ হোসেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির একাংশের সভাপতি কওসার আলী, আশাশুনি উপজেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া ইকবাল, ফরিদা আক্তার বিউটি, এড. জাফর উল্লাহ ইব্রাহীম, উদিসীর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, প্রভাষক ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়না প্রমুখ।
    গোল টেবিল বৈঠকের বক্তারা বলেন, ১৯৯৮ সালের আন্দোলনের পূর্বে দেবহাটা-কালিগঞ্জের খাস জমিতে বসবাসকারীদের অধিকাংশই দরিদ্রসীমার নিচের মানুষ। ঐ সময় ভূমিহীন গণনাকালে ঐ এলাকায় বসবাসকারদের মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতো এমন পরিবারের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৭৬টি। কিন্তু জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার পর এখন তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। পরিবার প্রতি বন্দোবস্তকৃত প্রায় এক একর জমির মধ্যে বাড়ি-ঘর ছাড়া বাকি জমিতে ক্ষেত খামার ও মাছ চাষ করে তারা প্রত্যেকেই এখন স্বাবলম্বি। অনেকের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিখে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ভূমিদস্যুরা ঐ জমিতে যে পরিমান ফসল ফলাতো ভূমিহীনরা এখন তার কয়েকগুন বেশি ফসল ফলিয়ে জাতীয় উন্নয়নে অধিকতর ভূমিকা রাখছে। বক্তারা দেবহাটা-কালিগঞ্জের খাসজমিতে বসবাসকারীদের মধ্যে যারা জমি পেয়েছে তাদের জমির নামপত্তন করা এবং যারা এখনো জমি পাননি তাদেরকে অতিদ্রুত জমি দেওয়ার আহবান জানান। এছাড়া জেলার অন্যান্য এলাকার খাসজমি উদ্ধার করে তা ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি আহবান জানান।
    গোল টেবিল বৈঠক শেষে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

  • লাজ ফার্মা লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার শুভ উদ্বোধন

    লাজ ফার্মা লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার শুভ উদ্বোধন


    আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা ঃব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে লাজ ফার্মা লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালের সাতক্ষীরা জজ কোর্ট এর বিপরীত পাশে শাখাটির উদ্বোধন করেন লাজ ফার্মা লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লাজ ফার্মার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাশেদ মল্লিক, ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল আলম খোকন, এহসানুল হক বাবুসহ লাজ ফার্মার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল আলম খোকন বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ঔষধ সামগ্রী পাওয়া যাবে। এছাড়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি পণ্য সরবরাহ করা হবে। সাতক্ষীরার মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

  • সাতক্ষীরা কলারোয়া ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট পদে নিয়োগে উৎকোচ, ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন জেলা প্রশাসক


    খান নাজমুল হুসাইনঃ সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে  তিনটি নিয়োগের পুর্বে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ৩৫ লক্ষ টাকার উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি খান নাজমুল হুসাইন এবং জাতীয় দৈনিক অন্যধারা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে  প্রতিকার চেয়ে লিখিত পৃথক তিনটি  অভিযোগ দেন।  কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর তিনটি সৃষ্টা পদে  নিয়োগ বোর্ড বসার পুর্বেই  ৩ জন কে অর্থের বিনিময়ে মনোনীত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,  যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার  সাগরদাড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে তারেক হোসেন কে সাতক্ষীরা কলারোয়া ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের জন্য তার নিকট থেকে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান ও সভাপতি মোঃ রওশন আলী উৎকোচ গ্রহণ করেন। একই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বেনজির হোসেন এর স্ত্রী রুমি আক্তার কে উল্লেখিত বিদ্যালয়ের আয়া পদে নিয়োগের জন্য তার নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করেন। সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার সেনেরগাতি গ্রামের হোসেন মল্লিকের ছেলে আশিকুর রহমান চঞ্চল কে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য উৎকোচ গ্রহণ করেন৷ উল্লেখিত বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য তিন জন প্রার্থীর কাছ থেকে  যথাক্রমে ৩৫ লক্ষ টাকার ঘুষ গ্রহণ করেন।  এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান এর  সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে চারটি নিয়োগ পদের বিপরীতে ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি  কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করিনি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রওশন আলীর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি উৎকোচ আদায়ের ব্যপারে অস্বীকার করেন এবং কৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ নিয়োগ বানিজ্য করে থাকে তা হলে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের জন্য ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দুইজন কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন জেলা প্রশাসক আমাকে ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর সৃষ্ট পদে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি কতৃক নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং  বিদ্যালয়ের সভাপতি কতৃক ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন কে নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ এবং তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো বলে তিনি জানান দেন। এদিকে স্থানীয় ও সুশীল সমাজ ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • আমি যে ভাবে দেখেছি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোড়লকে

    আমি যে ভাবে দেখেছি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোড়লকে


    অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী

    আমার রাজনৈতিক জীবনে মোড়ল আব্দুস সালামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব অনেক ও দীর্ঘ । আমি রাজনৈতিক ধারায় যুক্ত হই ৬৮ সালের গণ আন্দোলনের শুরুর দিকে। তখন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ও আগরতলা মামলা শুরুর শুরুর সময়কাল। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালী জাতির সকল ধারাকে পরিবর্তন করে। স্বাধীনতার পর দুটো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আনে। একটি পাকিস্তানের কাছে যা পাওয়া যায় নি সেই সংবিধান রচনা। অন্যটি একটি সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির জন্ম। যার নেতৃত্বে থাকে সদ্য যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা একদল মুক্তিযোদ্ধা, যাদের রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ৬২ সালের তিন তরুণের স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ বোনার (পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াস বা বিএলএফ) মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু, মুজিব বাহিনীর সফল এবং দীর্ঘ সংগ্রামের প্রস্তুতির প্রশিক্ষনের ধারায় সমাজতান্ত্রিক চেতনার সাথে পরিচিত ও সম্পৃক্ত বাংলার তারুন্য দৃপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এনে দেয় দেয় নূতন উৎমাদনা। স্বাধীনতার পর সেই তারুণ্য দীপ্ত উৎমাদনা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের লক্ষ্যে জন্ম দেয় বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি নূতন রাজনৈতিক দলের। “আমাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র” স্লোগানকে ধারণ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ নামে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
    পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের ৭০ সালের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য হিসেবে প্রচার সম্পাদক শহীদ স্বপন কুমার উত্থাপিত স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দেন। আব্দুস সালাম মোড়ল এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে। স্বাধীনতার পূর্ব সমরয় রাজনৈতিক চারণ ক্ষেত্র ছিল বাগেরহাট। যুক্ত ছিলেন ছাত্রলীগের অভ্যান্তরে নিউক্লিয়াসের সাথে। আব্দুস সালাম মোড়ল মুক্তিযুদ্ধে তার জন্মএলাকা তালা অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এ আলোচনায় মুজিববাহিনীর বিষয়টি প্রাসঙ্গিক থাকলেও সময়ের কারণে সেটিকে বাদ রাখলাম। আগামীতে সময় সুযোগে আলোচনা করা যাবে।
    ১৯৭৮ সালের পর থেকে খুলনা অবস্থানের সময় কালের বেশিরভাগ সময় কেটেছে এ নেতার সান্যিধ্যে। এসময় খুলনাতে আমি ও আবু কাজী মিলে আমরা একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলি। উদ্ভাস সম্মিলিত সাহিত্য আসর যার নাম ছিল। মুলত: আমরা জাসদের ধারার সাথে মিলে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলি। আব্দুস সালাম মোড়ল, বিপ্লব কান্তি মন্ডল প্রমুখ সংগঠনটির উপদেষ্ঠা ছিলেন। আমি ও আবু কাজী দুজনই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম।
    জাসদ প্রতিষ্ঠার সময় ঘোষনা করা হয় জাসদ একটি সমাজতান্ত্রিক গণসংগঠন। এ সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি বিপ্লবী পার্টি গঠন করা হবে। মুলত সেই সময়ে জাসদের উপলব্ধি ছিল দেশে যতগুলো বামধারার রাজনৈতিক দল ছিল তাদের সমাজ বিশ্লেষন সঠিক ছিল না। তত দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটে গেছে। কিন্তু সকল বাম রাজনৈতিক দলের বিশেষন ছিল ‘ বাংলাদেশ একটি আধা উপনিবেশ ও আধা সামন্ততান্ত্রিক দেশ’। এ সময়ে জাসদের অন্যতম সহ-সভাপতি ও তৎকালিন একজন প্রথম শ্রেনীর অর্থনীতিবীদ ড. আখলাকুর রহমান একটি লেখার মাধ্যমে প্রমান করেন যে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি পুঁজিবাদের দিকে মোড় নিয়েছে। তিনি ‘কৃষিতে ধনতন্ত্রের বিকাশ’ নামে একটি গবেষনাপত্র লেখেন। জাসদ এ বিশ^াসকে ধারণ করে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কর্মসুচি ঘোষনা করেন। এবং এ বিপ্লব সম্পন্ন করার জন্য একটি বিপ্লবী পাটি গঠনের কথা বলেন। জাসদ যার প্লাট ফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে দলের অভ্যন্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    জাসদ জন্ম লগ্ন থেকেই ‘সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রেনী সংগ্রামকে তরানিত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা’ এর সংগ্রাম করার কথা ঘোষনা করে। ’৭৩ সালের মধ্য সময় কাল থেকে সে প্রক্রিয়া শুরু হয় কি না আমি জানি না। তবে এ সময় জাসদের অভ্যন্তরে নূতন একটি রাজতৈকি ধারা শুরু হয়, দলের অভ্যন্তরে পাটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে সেল গঠন করা হয়। শ্যামনগর থানাতে সে সময় ৬ জনের একটি সেল গঠন করা হয়। যার সাথে আমাকে যুক্ত করা হয়। এর কার্যক্রমটা ছিল অনেকাংশেই গোপনীয়। দলের সকলে এর সাথে যুক্ত ছিলেন না, এমনি কি জানতেনও না।

    জাসদের বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের এ প্রক্রিয়ার মূল নেতা ছিলেন শেখ কামরুজ্জামান টুকু। এবং তাঁর দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন মোড়ল আব্দুস সালাম। মোড়ল আব্দুল সালাম কখনই প্রকাশ্য নেতা ছিলেন না। তিনি এ প্রক্রিয়ার অন্যতম ত্বাত্তিক নেতা ও খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার, নড়াইল, মাগুরা, যশোর এলাকার মুল সংগঠক ছিলেন। সাতক্ষীরা অঞ্চলের এ প্রক্রিয়্ার প্রধান ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শ্যামনগরে ছিলেন জি,এম আবু বকর সিদ্দিক (্এ্যাড)। ৬৯ সালে সাতক্ষীরা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমানের উদ্যোগে এ কমিটিতে সভাপতি রবীন্দ্র নাথ, নজরুল ইসলাম সেক্রেটারী ও জি এম আবুবকর সিদ্দিক কে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। তিন জনই শ্যামনগরের।
    সিদ্দিক ভাইয়ের মাধ্যমে আমার সাথে পরিচয় হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতা ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভাইয়ের সাথে। তিনি ও শেখ কামরুজ¥ামান টুকু ভাই একদিন আমাকে ডেকে নেন সিদ্দিক ভাইয়ের বাড়িতে। সে সময় সেটি ছিলো আমাদের একটি অঘোষিত যোগাযোগ কেন্দ্র। মনে রাখতে হবে এসময় জাসদ প্রকাশ্য রাজনৈতিক দল ছিলো। টুকু ভাই বললেন, একটি গাড়িতে অনেকে উঠেন কিন্তু একজন ড্রাইভার থাকেন তিনি পথ দেখিয়ে গন্তবে নিয়ে যান। আমরা সে যাত্রা শুরু করেছি তোমাকে তার সাথে যুক্ত হওয়ার তালিকায় রাখতে চাই।’
    রাজনীতিতে আমার স্বপ্নের মানুষগুলোর সামনে বসে আমি কথা বলছি, তারা যা বলবেন তা করতে আমার কোন আপত্তি নেই- এরকম একটি মানষিক প্রস্তুতি আমার। শ্যামনগরে সেল গঠন করা হয় ৬ জনকে নিয়ে। বাবু বিশ^নাথ দাশ (থানা জাসদের সাধারন সম্পাদক), শেখ হারুন-অর-রশীদ( সাংগঠনিক সম্পাদক), জি এম আবু বকর সিদ্দিক (রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র), শেখ আবুল কালম আযাদ(সদ্য থানা ছাত্রলীগের দায়িত্ব ছেড়ে কৃষকলীগের দায়িত্বে) আর ছাত্রদের মধ্যে আমি ও শেখ শফিকুর রহমান খোকন। বয়সে সবচেয়ে কম। তখনও কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম না, ৭৩ সালের শেষ দিকে আমাকে থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে তৎকালিন কমিটিতে কো-অপট করা হয়। সম্মেলনের মাধ্যমে ১৯৭৪ সালে থানা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাই।

    ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে শ্যামনগর থেকে বাবু বিশ^নাথ দাশ (তৎকালিন থানা জাসদের সাধারন সম্পাদক)নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের পর থেকে দ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে থাকে। ৭৪ সালের প্রথম দিকে আমরা সক্রিয়ভাবে সেল যুক্ত ছিলাম এবং নিয়মিত সভা হতো।

    সেল গঠনের পর আমাদের কাজের ধারায়, অধ্যায়নে পরিবর্তন আসে। আমার অ-প্রকাশ্য দায়িত্ব আসতে শুরু করে। সেল এর মিটিং সমুহ রাতেই সাধারনত হতো। এ সময়ে একজন ব্যক্তি শ্যামনগরে আসেন। সেল এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার দায়িত্ব পড়ে তার সাথে যাওয়া। চুল দাড়িতে ঢাকা এক লোককে আমার সাথে দেওয়া হয়। আসল নাম পরে জানতে পারি। তিনি ছিলেন মোড়ল আব্দুস সালাম। অত্যান্ত ধীর স্থির ব্যক্তিত্বসম্পন্ন । কথা বলেন আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রনে। দিনের বেলায় বাইরে কম বের হতেন, অধিকাংশ সময়ে বিাভন্ন ব্যক্তি ও নেতৃবৃন্দের সাথে বলতেন যাদের অধিকাংশকেই আমি চিনতাম না। এর পর আসেন আরো একজন। তিনি আসেন টুকু ভাইয়ের সাথে। সিদ্দিক ভাইয়ের বাড়ীতে বৈঠক শেষে আমার উপর দায়িত্ব পড়ে। তাকে বেদকাশী(কয়রা) নিয়ে যাওয়ার। তিনি ছিলেন বিপ্লব কান্তি মন্ডল। এভাবেই একের পর এক বিপ্লবী ব্যক্তিদেও সাথে পরিচয় হতে থাকে আর আলোচনার মাধ্যমে আমার জ্ঞানের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এই প্রথম কয়রা যাওয়া। কয়রার দিঘির জল খুব প্রশিদ্ধ ছিল। দীঘি থেকে উঠিয়ে আনা পানি গ্লাসে করে খেতে দিত। আমিও আট আনা দিয়ে এক গ্লাস পানি কিনে খাই। বেকাশীতে সোলাইমানের বাড়ী আসি। অমল, মাহবুব ও কবিরের সাথে পরিচয় হয়।
    আমিও আস্তে আস্তে বিপ্লবী গণবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে পড়ি। তবে আমার কাজটা ছিল প্রকাশ্য। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চে পর জাসদ এর উপর চরম নির্যাতন নেমে আসে। এ সময় অনেকেই গ্রেফতার হন। প্রকাশ্য রাজনীতি করা কঠিন হলেও জাসদ বাকশাল গঠনের আগ পর্যন্ত প্রকাশ্য রাজনীতি অব্যাহত রাখে। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের গণবাহিনীর অন্যতম কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল ঢালীসহ তার বাহিনীকে শ্যামনগরে গ্রহণ ও থাকার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পরে। জালাল ঢালী তখন অপ্রকাশ্য ভাবে থাকেন। এক রাতে জালাল ঢালী, অমল, সোলাইমান, মাহবুব, সহ চুনানদী পার হয়ে আসেন। সকলে স্বশস্ত্র ছিল। আমি রাতেই তাদের নিয়ে হোমিও ডাক্তার ছালাম ভাইয়ের বাড়ী নিয়ে যাই। অস্ত্র গুলো ধানের গোলায় রাখি। আর সকলকে আক(ইক্ষু) বাগানে থাকার ব্যবস্থা করি। পরে সিদ্দিক ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেই। সিদ্দিক ভাই পুরো গ্রুপকে জয়ন্ত কাকা (বিশিষ্ট আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্র্যোপধ্যায়) বাড়ীতে সেল্টার করিয়ে দেন।
    গণবাহিনী স্বশস্ত্র হলেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল। গণবাহিনীর খুলনা বিভাগীয় প্রধান ও কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি ছিলেন শেখ কামরুজ্জামান টুকু। খুলনা জেলার দায়িত্বে ছিলেন বিপ্লব কান্তি মন্ডল, সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোড়ল আব্দুস সালাম ছিলেন আঞ্চলিক সমন্বয়কারী। এ অঞ্চলের গণবাহিনীর সামরিক প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টার। সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন জালাল ঢালী, আবুবকর সিদ্দিক (এড.), আশাশুনিতে মোসলেম উদ্দীন (এড.), কয়রায় কেরামত হোসেন (এড.) প্রমুখ।
    আগস্টে আমাদের একটি দল নিয়ে আমরা হরিনগর এলাকাতে সেল্টার নেই। আমার এ দলে অমলসহ কয়রার বেশ জনের স্বশস্ত্র বাহিনীর একটি দল ছিল। এ সময় সুন্দরবন এলাকায় ডাকাত দলের উপদ্রুপ খুব বেড়ে যায় এবং ডাকাতরা অধিকাংশ সময় জাসদের নাম ব্যবহার করে মানুষের বাড়ীতে ডাকাতি করতো। ফলে তাদের দমন করা জরুরী হয়ে পড়ায় আমাদের এ এলাকায় আসা। আমাদের সাথে স্থানীয় ভাবে মুজিবুল হক, জাবের মোড়লসহ কয়েকজন যুক্ত হয়। আর শ্যামনগর থেকে গমআব্দুস সালাম, সম আতাউর রহমান, আবুল কালাম গাইন প্রমুখ ছিল। স ম আতাউর রহমান, আবুল কালাম গাইন স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্য। প্রথম রাতে জেহেরডাকাতসহ দুজন দুরান্ত ডাকাতকে ধরা ও হত্যা করা হয়। এলাকায় এ ঘটনা দারুন আলোড়ন সৃষ্টি করে ফলে আমাদের সেল্টারের সংকট কমে আসে। তবু আমরা বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য ভিতরে মড়গাঙ্গে দিকে যেয়ে সহকর্মি — বাড়ী যেয়ে আশ্রয় গ্রহণ করি। বাড়ীতে অতিরিক্ত ঘর না থাকায় গোয়ালঘর পরিস্কার করে প্রথমে চুলাই ছাই ছিটিয়ে তার উপর বিচলি পেতে আমাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১৫র মত ছিল। এতজন লোকের পরপর তিন বেলা খাওয়ানো সকলের সামর্থ ছিল না। দিনে বাইরে গণবাহিনীর স্বশস্ত্র দের বের হতে দেওয়া হতো না। এক দিন পর আমরা একই এলাকার রমেশ বাবু বলে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তার বাড়ীতে সেল্টার নেই অনেকটা জোর করে। আমরা ব্যাগ বোচকা রেখে সন্ধ্যায় মুন্সিগজ্ঞ বাজারে আসি নেতৃবৃন্দ এসেছেন কথা বলতে। সেখানে আবু বকর সিদ্দিক ভাই ও কয়রার মাহবুব অপেক্ষা করছিলে। যাওয়ার পর কয়েকটি প্রয়োজনীয় কথা শেষে বলেন তোমাদের গ্রুপকে এখনই এ এলাকা ত্যাগ করতে হবে। নির্দেশ মত আমাদের সকলকে সেল্টার পরিবর্তনের বিষয় জানানো হলো, তবে তাদের পুরাতন সেল্টারের মালামাল আনার বিকল্প ব্যবস্থতা করে মালসামাল আনতে গেলাম।
    ৭৪ সালে উপক’লের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দূর্গম ছিল। এলাকার একমাত্র বাহন হেলিকপ্টার (সাইকেলের পিছনে তক্তা দিয়ে বসার ব্যবস্থা)। আমি মালামাল আনতে যাওয়ার সময়ে ঘটে যায় একটি বড় দুর্ঘটনা। মুন্সিগজ্ঞ এলাকা সুন্দরবন সংলগ্ন হওয়ায়, স্থানীয় গরীব মানুষেরা সুন্দরবন হতে সহজে ‘ছিটে’ (গোড়ান গাছের ডাল) কাঠ সংগ্রহ করে আনতো। যা জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার করতো। আর এসময় থানার একদল পুলিশ ছিল, যারা সুযোগ পেলে আসতো এদের ধরে দ’ু পাঁচ টাকা নিতে। এদিনও দুজন পুলিশ আসে বাজারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। কারণ পুলিশ তত দিনে গণবাহিনীর নাম জেনে গেছে। ফলে তারাও পারত পক্ষে জাসদদের লোকদের এড়িয়ে চলতো। কিন্তু এদিন ঘটলো বিপরীত ঘটনা। সম্ভবত নূতন আগত ছিল তারা। আমাদের বাহিনী সদস্য কালামকে বাজারে দোকানে বসায় অবস্থায় কেহ একজন গোপনে উষ্কে দিলে পুলিশ আটক করায়। ঘটনাটি দ্রুত বাহিনীর সদস্যদের পৌছে গেলে পুলিশদের নিকট থেকে কালামকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেহেতু আবু বকর সিদ্দিক ভাই অবস্থান করছিলেন এলকাতে, ফলে তার মতামতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশদ্বয় কালামকে সাথে নিয়ে গ্রামে ভিতরে চলে যাওয়ায় তাৎক্ষনিক একটু সমস্যা তৈরী হয়। আজকেরমত বৈদ্যুতিক আলো না থাকায় গ্রাম এলাকায় সন্ধ্যার পর পরই ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসতো। ফলে কালামকে নিয়ে পুলিশরা কোন দিকে গেছে সেটি জানতে বেশ সময় চলে যায়। কালামকে পুলিশ নিয়ে গেলে নির্যাতনের মুখে সকল তথ্য বলে দিতে পারে। ফলে নেতৃবৃন্দ নির্দেশ দেন যেকোন প্রকারে কালামকে মুক্ত করতে হবে। পরে জানাগেল যে পুলিশ কালাম সহ গ্রামের মধ্যে গেছে। ফেরার পথে এ্যামবুশ করা হলো, পুলিশ কাছাকাছি আসলে কৌশলে ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
    একাতে থাকা নিরাপদ না হওয়ায় সিদ্দিক ভাই ও মাহবুব মুল বাহিনী নিয়ে কয়রার দিকে চলে যায়। আমাকে তাদের সাথে না যেয়ে এলাকাতে ফিরবার সিদ্ধান্ত দেন। এ সময় আমার দায়িত্ব ছিল প্রকাশ্য দলের কাজ করা। তখন শ্যামনগরে তত দিন পর্যন্ত গণবাহিনীর প্রকাশ্য কাজের দায়িত্বে ছিলেন শেখ আবুল কালাম আযাদ, নওশেরম আরশাদ, শেখ শফিকুর রহমান, শেখ ফিরোজ প্রমুখ। কিন্তু বাড়ীতে পৌছে বুঝতে পারলাম এখানে থাকা নিরাপদ নয়। আমার আব্বা আমাকে পরের দিন ভোরে একজনকে সাথে দিয়ে সাতক্ষীরাতে রওনা করে দেন। আমরা গুমানতলী গ্রামের পিছন দিয়ে কৃষ্ণনগরের মানপুরে আমাদের জোরদার আহম্মদ চাচার বাড়ী আসি, তিনি সহ ঘোলা খেয়া পার হয়ে ব্যাংগদহ হয়ে দুদিন ধরে হেটে সাতক্ষীরার সুলতানপুরে এসে আমার এক ভগ্নিপতি কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবুল কাশেমের বাসাতে উঠি। আমার আব্বা মুলত এখানে থাকার ব্যবস্থা করেন। আমি এ সময় সাতক্ষীরা কলেজের ছাত্র। কয়েক দিনের মধ্যে সাতক্ষীরার গোলাম রসুলের সাথে যোগাযোগ হয়। পরে হাসনে জাহিদ জজ ভাইয়ের মাধ্যমে কামরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ হয়। কামরুল ইসলাম খান কোটের সামনে একটি দোকান ছিল। এটাই মোটামুটি যোগাযোগের কেন্দ্র ছিল। আর একটি কেন্দ্র ছিল চৌধুরী পাড়ার মধ্যে ক্লাব ঘর। এখানে সান্টু চৌধুরী, যঙ্গু ও নান্নাসহ অনেকেই থাকতো।
    ১৯৭৫ সালের আগষ্ট মাসের প্রথম দিকে গোলাম রসুল (পরে কাউন্সিলার হন) একদিন জানান নেতৃবৃন্দ তালার মুড়োগাছিতে আছেন, সেখানে কয়েকটা অস্ত্র নিয়ে যেতে হবে। কারন জাসদ নেতা লতিফ ও হাতেমকে হত্যার মুলব্যক্তি নূর খাঁ চেয়ানম্যানকে অপারেশন করতে হবে। সে সময় তালা, আশাশুনি, শ্যামনগর, কয়রা, পাইকগাছা, দেবহাটা এলাকা ক্যাপ্টেন শাহজাহান, আবু বকর সিদ্দিক ও জালাল ঢালীদের নিয়ন্ত্রনে ছিল। এরা বেশীর ভাগ সময় এ সকল প্রত্যান্ত অঞ্চলে বাহিনী নিয়ে অবস্থান করতেন।
    আমি সুলতানপুর হতে বের হয়ে ভোরে পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ গোলাম রসুলের বাড়ীতে পৌছাই। রসুলের বাড়ীতে পান্তা ভাত খেয়ে আমরা পিছনের বিল দিয়ে পানিতে নেমে হাটতে শুরু করি। অস্ত্র গুলো বস্তার মধ্যে ভরে পর্যায় ক্রমে মাথায় ঘাড়ে করে হাটতে শুরু করি। এক কোমর পানি দিয়ে হাটা সহজ সাধ্য ছিল না। মাঝে মধ্যে কিছুটা উচু পথ পাওয়া যেত বটে তবে সে পথ অপেক্ষা পানির মধ্য দিয়ে হাটা সহজ ছিল। তালা অঞ্চলে তখন ইপিসিপি/নকশালদের অবস্থান শক্তিশালী ছিল। এনারা জাসদকে সা¤্রাজ্যবাদের দালাল মনে করতো। তাদের কাছে জাসদ, গনবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা শ্রেনী সংগ্রামের অংশ ছিল। ফলে সাবধানতা অবলম্বন ছিল শ্রেয়। তালার বিলে জোক ছিল মারাত্মক ধরনের। ইতোমধ্যে কতগুলো জোঁক যে সঙ্গি হয়েছে, তা হিসাব করে বের করা মুসকিল। যত কষ্ট হোক নিরাপত্তার জন্য এ পথেই চলতে হবে। কিন্তু পথ আর কমে না। ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রাম নেব, সে সুযোগ বা স্থান নেই। ফলে প্রায় মন খানেক মালামাল মাথায় ঘাড়ে পিঠে করে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মুড়াগাছি মুক্তিযোদ্ধা সুজাত মাষ্টারের বাড়ীতে পৌছাই। সে রকম নির্দেশই ছিল। এ সময় আমাদের আপ্যায়ন করবে বাড়ীতে সে অবস্থা নেই। বাড়ীতে এক জন নারী সন্তান জন্ম দিতে যেয়ে বিপদজনক অবস্থার মধ্যে আছে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে সে নারী। নারী মর্মান্তিক আত্মচিৎকার আমারা শুনতে পাচ্ছিলাম। ফলে বাড়ীর অবস্থা প্রতিকুল। এর মধ্যে সুজাত ভাই অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদের গ্রহণ করেন ও খেতে দেন। আমাদের যে সময়ে পৌছানোর কথা ছিল তা থেকে অনেক পরে পৌছাই। ফলে আমাদের গ্রহণকারী দল ফিরে গেছেন সেল্টার এলাকায়। আমাদের জন্য নির্দেশ হলো এ রাতেই কাদাকাটি মুরতোজা ভাইয়ের বাড়ীতে পৌছাতে হবে। আমরা খেয়ে দেরী না করে বের হয়ে পড়ি এবং ভোর রাতে মুর্তুজা ভায়ের বাড়ী পৌছে হাতমুখ ধোয়ার সুযোগ পাই। মুর্তুজা ভাইয়ের বাড়ীতে আসার পর তার এক বোনের নার্সিং এ কিছুটা জোকে কাটা রক্ত পড়া বন্ধ হলো। এক সপ্তাহ পরে সাতক্ষীরা ফিরি। ফেরার দুদিন পরেই ঘটে যায় জাতীয় বিপর্যয়।
    ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামীগের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে।ঁ ৭৩ সালের র্ন্বিাচনে জাসদ প্রার্থী ডা. আজহার উদ্দীনের জয়কে ছিনতাই করে অতিউৎসাহী আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ পরাজিত খন্দকার মোস্তাককে বিজয়ী ঘোষনা করতে নির্বাচনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদেও বাধ্য করেন। সেই খন্দকারই জাতীর জনককে স্ব-পরিবারে হত্যার প্রধান সুফল ভোগী। রেডিওতে খবর শোনার পরপরই আমাদের মধ্যে একধরনের সংশয় সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় সুলতানপুরের আমার বাসার কাছাকাছি স্থানে আস্তে আস্তে জড়ো হয় কোকিল, মোহাম্মদ আলী, গোলাম রসুল, মাইকেল প্রমুখ। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশ জানার জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত জানার দ্রুত সকলে একত্রিত হব বলে গোলাম রসুল জানান। গোলাম রসুল তখন মুলত সকল সংযোগ রক্ষা করে সমন্বয় করতো শহরের কাজগুলো।
    ৩০সেপ্টেম্বরের ও ১অক্টোবর, এ দুদিন তালার মুড়াগাছিতে জাসদ গণবাহিনীর বিশেষ সভা হয়। সভায় কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে শরীফ নূরুল আম্বীয়া ও খুকু (পরবর্তিতে সাবেক বাসদ নেতা আ ফ ম মাহাবুবুল হকের স্ত্রী) শেখ কামরুজ্জামন টুকু, জালাল ঢালী, ক্যাপ্টেন শাহাজান মাষ্টার, আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুস সালাম, কেরামত আলী ও মোসলেম উদ্দীর প্রমুখর সমন্বয়ে দু দিস ব্যপি বিশেষ সভা হয়। সভা শেষে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এলাকা ত্যাগ করে । ২ অক্টোবর ছালাম ভাই, শাহজান স্যার সিদ্দিক ভাই ও জালাল ঢালী, মনোরজ্ঞন বড়দলে কার্তিক মন্ডল (সাবেক চেয়ারম্যান) এর বাড়ীতে যাওয়া উদ্দেশ্যে রওনা হন। কোন প্রস্তুতি ছাড়াই তাদের যাত্রা। পথে সকাল ৭ টার দিকে তারা খড়িহাটি, আশাশুনিতে বিশাল পুলিশ বাহিনীর মুখোমুখি হন। পুলিশ হঠাৎ শাহজাহান স্যারকে লক্ষ কওে গুলি ছোড়ে, স্যার গুলিবৃদ্ধ হয়ে গড়ে যান, একই ভাবে জালাল ঢালী ও আবু বকর সিদ্দিক ভাইকে গুলি করা হয়। ৩ গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন গ্রেফতার হন। সালাম ভাই গুলিবিদ্ধ ছিলেন না। তবে পুলিশের লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে গ্রেফতার হন। সেখান থেকে নৌকা করে তাদের আশাশুনি। আশাশুনি থেকে পরের দিন ৩ অক্টোবর লঞ্চে সাতক্ষীরা থানায় নিয়ে আসা হয়। আমরা রাতে খবর পাই। কিন্তু কোন নির্ভর যোগ্য খবর পাই না। পরদিন ভোরে হাটতে হাটতে পলাশপোল চৌধুরী পাড়ায় আসি। সান্টু ভাইসহ কয়েক জনের সাথে কথা হয়। সকলেই একই ধরনের খবর শুনেছে। ইতোমধ্যে খবর পাই তাদেরকে সাতক্ষীরাতে নিয়ে আসছে।
    আমি খবরটা নেওয়ার জন্য পাকা পোল এলাকাতে আস্তে আস্তে আসি। বেলা তখন দুপুরের কাছাকাছি। লোকেলোকারণ্য সমগ্র এলাকা। পুলিশ থানার কাছাকাছি কাউকে ভিড়তে না দেওয়ায় থানার চারধারে লোক ভর্তি। তার মধ্য দিয়ে ঠেলে কোন মতে থানার কাছাকাছি আসি। থানার পশ্চিম দিকে দরজা তখন দরজা ছিল। সামনের দিকটা তারের ঘেরা। আমি কাছাকাছি যেয়ে দেখি চারজন পরপর শুয়ে আছে। হাতে সেলাইন লাগানো তিনজনের। তিনজনই বিশাল দেহের অধিকারী হওয়ায় পা সকলের বাইরে চলে এসেছে। জ্ঞান আছে বলে মনে হলো না। মানষিক ভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। কোন মতে নিজেকে সামলে ফিরে আসি। এদিন বিকালে তাদের খুলনা নিয়ে খুলনা জেলে নেওয়া হয়।
    খুলনা থেকে ৩১ অক্টোবর ঢাকা সেন্টাল কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ তিন জনের চিকিৎসা জেলের মধ্যে করা হয়, যা কোন কাজে আসে না। ইতোমধ্যে ক্ষত স্থানে পচন ধরে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা জেল কতৃপক্ষ করতে পারে না। এ সময়ে সাতক্ষীরা আতিয়ার রহমান (যিনি শাহজান মাষ্টারের এলাকার বন্ধু ও সহযোদ্ধা ছিলেন) তিনি পোস্ট মাষ্টার জেনারেল ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। কিন্তু তত দিনে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সকলের পায়ের ক্ষতস্থানের হাড় বাদ দিতে হয়।
    কারাগারে ছালাম ভাইয়ের জীবনে একটি নূতন যাত্রা শুরু হয়। কারাগারে পরিচয় ঘটে আর এক বিপ্লবী নারী নেত্রীর সাথে। আমিনা সুলতানা বকুল নামের এ মেয়েটিও কারাগারে আসেন। জাসদ ও গণবাহিনীর সক্রিয় নেত্রী হওয়ায় দলের সকলে তারপ্রতি আন্তরিক ছিলেন। দু জনের ভালোলাগা ও নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে ৭৭ সালে তাদের কারা অভ্যন্তরে বিয়ে হয়। আসম রব সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর খুলনাতে শেখ আব্দুল কাইয়ুম ভাইয়ের বাসাতে আবার আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়।
    ৭৮ সালের প্রথম থেকে জাসদ নেতৃবৃন্দ কারাগার থেকে ছাড়া পেতে শুরু করে। ছালাম ভাইও এ সময় মুক্ত হন। ছালাম ভাই এ সময় পর্যন্ত জাসদের কোন কমিটিতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার পর গঠিত আওয়ামীলীগের সহযোগি প্রথম কৃষক সংগঠন জাতীয় কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি। আওয়ামীলীগের অনেক নেতাদের বিরোধীতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু প্রথম কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক করেন খন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ ও হাসানুল হক ইনুকে। ৮০ সাল পর্যন্ত আব্দুস সালাম মোড়ল কৃষক লীগের কেন্দ্রিয় কমিটিতে ছিলেন।
    ৭৯ সাল থেকে জাসদ অভ্যন্তরে দুটি ধারা প্রবল আকার ধারন করে । গনতান্ত্রিক জাতীয় সরকারের পক্ষে ও বিপক্ষ। সংক্ষেপে বলাহতো ডিএনজি ও এন্টি ডিএনজি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মান্না-আকতার এন্টিডিএনজির পক্ষে থাকায় ছাত্রলীগের অধিকাংশই এর পক্ষে ছিলেন। জাসদ কেন্দ্রিয় কমিটিতে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা এ ধারার পক্ষে অবস্থান নেন। দলের মধ্যে বিপ্লবী দল গঠনের দাবী প্রবল হয়। এ অবস্থায় জাসদ কেন্দ্রিয় কমিটি ১২ নেতাকে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে। এ কমিটির পক্ষ হতে বৃহত্তর জেলা গুলোতে কর্মি সমাবেশ করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলনাতে প্রথম সভা হওয়ার কথা নির্দ্ধরিত হয়। নির্দ্ধারিত দিনে খুলনা রেলওয়ে অডিটরিয়াম মিলনায়তনে সভা শুরু হয় কিন্তু কর্মিদের নানান প্রশ্ন, প্রশ্নের জবাব চাওয়া ইত্যাদি কারনে সভা ভালো ভাবে শেষ হয় না। পরে দায়িত্বশীল ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও জেলা নেতাদের নিয়ে মিটিং করা কথা থাকলেও মিটিং শেষে ফিরে যাওয়ার পথে একেজন বাস থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করারায় নেতৃবৃন্দ নিহত ছেলের বাড়ীতে তাৎক্ষনিক যাওয়ায় মিটিং আর হয় না। এ ঘটনার কয়েক দিন পরে জাসদের কেন্দ্রিয় সমন্বয় কমিটির পক্ষ হতে ডাকসুর ভিপি মাহামুদুর রহমান মান্না ও জিএস আক্তারুজ্জামানকে ছাত্রলীগের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের মধ্যে এ ঘটনা মারাত্মক বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। প্রায় সকল কমিটির পক্ষ হতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবী জানাতে শুরু। কোন কোন এলাকা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানায়। এ সময় জাসদ কেন্দ্রিয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য খালেকুজ্জামান ভূইয়া, আব্দুল্লাহ সরকার, ময়নুদ্দিন খান বাদল, মতিয়া চৌধুরীসহ ১১ জন পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবী জানান। খুলনা থেকে আব্দুস সালাম মোড়ল, বিপ্লব কান্তি মন্ডল, আবম নূরুল আলম সহ ১১ জন জেলা নেতৃবৃন্দ একই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জাসদের পক্ষ হতে ঘোষনা করা হয় এর পর এ ধরনের বিবৃতি যারা দেবেন তারা আপনা আপনি দলথেকে বহিস্কার হয়ে যাবেন। ফলে জাসদের ্িবভক্তি চুড়ান্ত হলো।

    ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর নূতন একটি সমাজতান্ত্রিক পাটির আত্মপ্রকাশ হলো খালেকুজ্জামান ভুইয়াকে আহ্বায়ক করে। কেন্দ্রিয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে মোড়ল আব্দুস সালাম ও মো¯তাফিজুর রহমান খুলনা সাতক্ষীরাতে অর্ন্তভুক্ত হন। আব্দুস সালম মোড়ল সক্রিয় ভাবে সকল কার্যক্রমে অংশ নিতেন। বাসদের দলগঠন, দলের প্রক্রিয়া ও কিছু ব্যক্তিগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উপস্থাপিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দলের দায়িত্ব থেকে মাহমুদুর রহমান মান্না ও খুকু আপাকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয় ৮৪ সালের দিকে। পরে ৮৪ সালের নভেম্বরের দিকে আফম মাহবুবুল হকের পক্ষ হতে মাহমুদুর রহমান মান্না ও খুকু আপাকে সাময়িক অব্যহতি প্রত্যারের বিষয়ে বাসদ কেন্দ্রিয় কমিটির তলবী সভা আহ্বান করা হয়। এ সময় ছালাম ভাই, বাদল ভাই সিদ্দিক ভাইসহ শ্যামনগরে চিংড়ী চাষের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে শ্যামনগরে বেশী সময় অবস্থান করতেন। শ্যামনগর হতে ছালাম ভাই ও বাদল ভাই ঢাকাতে যেয়ে এ সভায় যোগ দেন ও পৃথক বাসদ গঠন করেন। ছালাম ভাই তখন খালেকুজ্জামান ভাইদের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে মাহবুবুল হক ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বাসদে যোগ দেন এবং একই ভাবে কেন্দ্রিয় কমিটিতে থাকেন।
    ৮০ সালে জিয়া হত্যার পরে বিচারপকি আব্দুস সাত্তারের কাছ থেকে এরশাদ ক্ষমতা দক্ষল করে নেয়। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাসদ ভেঙে যায়। রব ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন জাসদ এরশাদের পক্ষে থাকে। কিন্ত কাজী আরিফ, হাসানুল ইনু জাসদ (ইনু) নামে মুল জাসদ ধারার প্রতিনিধিত্ব করে। কাজী আরিফ, হাসানুল ইনু নেতৃত্বাধীন জাসদ (ইনু) এরশাদ বিরোধী বাম জোটের সাথে থাকে।
    ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাসদে আবার বিভক্তি হয়। কাজী আরেফ, শাহাজান সিরাজ, ইনু ভাইয়ের নেতৃত্বে প্রধান ধারার জাসদ। মূলত সিরাজুল আলম খান এরশাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় নেওয়ায় এ বিভক্তি সৃষ্টি হয়। রব ভাই, জিকু ভাই সিরাজুল আলম খানের সিদ্ধান্তের দিকে থাকেন। এর পরপরই সালাম ভাই বাসদ (মাহবুব) ত্যাগ করে রব ভাইয়ের সাথে যুক্ত হন। ৮৬ সালে এরশাদেও নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনের সুচনাকালে তিনি জাসদ রব গ্রুপে যোগদেন এবং জাসদ রবের পক্ষে সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়া আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
    আসম আব্দুর রব ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন জেএসডিতে যোগ দেওয়ার পরপরই সালাম ভাইয়ের জীবনে পারিবারিক বিপর্যয় নেমে আসে। এ সময় বকুল ভাবি সালাম বাইকে ছেড়ে চলে যায়। একমাত্র কন্যা মায়ের সাথে থেকে যান। পরবর্তীতে সালাম ভাই বিয়ে করেন জিকু ভাইয়ের নিকট আত্মীয়কে। এ বিয়ের পওে সালাম ভাই কানাইদিতে ফিওে আসেন। এখানে তার পৈত্রিক বাড়ী। পাইকগাছা আদালতে প্রাকটিস করার জন্য আগেই ফিরে বিপ্লব কান্তি মন্ডল কপিলমুনি(নাসিরকুড়), পাইকগাছাতে বসবাস শুরু করেন। মোড়ল আব্দুস সালাম এর স্ত্রী বিপ্লব মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করে কয়েক কাটা জমি ক্রয় করে সেখানে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন।
    জেএসডির সাংগঠনিক কাঠামোয় থাকলেও তিনি বাসদ কেন্দ্রিক বাম ধারার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন আবারও। সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল প্রগাঢ়। যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। র্প্বূ পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাথে তাঁর সম্পর্ক ও মুক্তিযুদ্ধে তার ভ’মিকা এ আলোচনায় বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর পূর্ণাঙ্গ জীবন আলোচনায় সেটি সম্পৃক্ত করা হবে।
    এক বনাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সংগ্রামী মানুষ ছিলেন সালাম ভাই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে জীবনের বিলাসিতার সকল সুযোগকে অবলিলাক্রমে ঠেলে দিতে পেরেছিলেন। জীবনের একমাত্র চাওয়া সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাংখায় আপোষহীন থাকতে নূতন করে পথ খুজে ফিরেছেন। নানান পথ পরিক্রমায় আকা বাকা রাস্তা দিয়ে চললেও কখনো ব্যক্তি লোভ, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠার সুবিধাবাদী চিন্তায় নিজেকে যুক্ত করেন নি। সৎ, নির্লোভ এবং বৈষম্যহীন সমাজের মূল্যবোধের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন সেই পথেই তিনি হেটেছেন মাথা উচু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় মানুষের সংকট সমস্যায় তিনি একজন সক্রিয় সমাজ সংস্কারের ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু এখানেও তিনি ছিলেন সামাজিক মূল্যবোধের ধারক। এ সময় তিনি ব্যপক পড়াশুনা শুরু করেন।
    তাকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার কথা শেষ করছি।

    লেখক: ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রিয় কমিটি।

  • সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন 


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গৌরবোজ্জল, সংগ্রাম ও সাফল্যের ২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বুধবার (২৭ জুলাই) বিকালে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দলীয়  পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে এ-উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালিবের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। 
    পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম খান বাবুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ এহসান হাবিব অয়ন এর সঞ্চালনায়  আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। 
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা কাজী আকতার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, সদস্য ও অতি: পিপি এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু,  কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতার প্রধান সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী হেদায়েত হোসেন (রাজ)।
    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন, জেলা তরুণ লীগের সাবেক সভাপতি শেখ তৌহিদুজ্জামান চপল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, সদর উপজেলা যুবলীর যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হোসেন, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন ও রবিউল ইসলাম, ফিংড়ি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের শেখ আজাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শাহিদ হাসান দোলন প্রমুখ।

  • চালতেতলা বায়তুল আমান মসজিদে শহীদ জায়েদা’র স্মরণে দোয়া

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

    শহরের চালতেতলায় শহীদ জায়েদা’র ২৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) বাদ আছর চালতেতলা বায়তুল আমান জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন, আকবর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পান্না, নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম, সদস্য ইয়াছিন আলী, শুকুর আলী, হায়দার, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গ্রাম্য ডা. গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা বাকি বিল্লাহ।

    উল্লেখ্য যে, ১৯৯৮ সালের ২৭ শে জুলাই ভুমিহীনদের স্বার্থরক্ষার আন্দোলনে ভুমিদস্যু সন্ত্রাসীদের গুলিতে জাহেদা খাতুন শাহাদৎ বরণ করেন।

  • সাহিত্যিক বাবর আলীর সুস্থতা কামনায়
    জেলা সাহিত্য পরিষদের বিবৃতি

    জেলা সাহিত্য পরিষদ কালীগঞ্জ শাখা কমিটির প্রচার সম্পাদক মোঃ বাবর আলী সরদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মোঃ শহিদুর রহমান, সহ- সভাপতি আব্দুর রব ওয়ার্ছী, ড. দিলারা বেগম, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, হেনরী সরদার, দিলরুবা বেগম, জি,এম হুমায়ুন কবির, সৈয়দ একতেদার আলী,মনিরুজ্জামান মুন্না, নাজমুল হাসান, মহাসিনূল ইসলাম, সালাহউদ্দীন রানা, মোঃ আব্দুল আজিজ, রবিউল ইসলাম, রফিকুল বারী, গাজী মনির, খাইরুল বাসার, ইকবাল হোসেন, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ আল- মাসুদ, আঃ রহমান, ইব্রাহিম খলিল, হাবীবুর রহমান সোহাগ, তাজেল হোসেন, আব্দুল কাশেম, আলামিন, রবিউল ইসলাম রবি, মোঃ রহমত উল্লাহ, মহাদেব কুমার, তপু মন্ডল, জয়ন্ত্রী মন্ডল, রিতা হক, নাসরীন, নুরজাহান, মোঃ আবু সিদ্দীকি, ফারহানা ফাহিম, তাসনীম রাইসা, শাহাবুদ্দীন, আবু তালেব, মনিরা পারভীন, নার্গিস আক্তার, প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

  • নবম সেক্টরের প্রতিষ্ঠাতা ও জাসদ সাতক্ষীরা জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টারকে শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরন করলেন সর্বস্তরের জনমানুষ

    নিজস্ব প্রতিনিধি:

    নবম সেক্টরের প্রতিষ্ঠাতা, সাবসেক্টর কমান্ডার ও জাসদ সাতক্ষীরা জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টারকে শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরন করলেন টাউন শ্রীপুর হাইস্কুল চত্বরে সর্বস্তরের জনমানুস। গতকালের ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকীর দিনব্যাপি কর্মসুচিতে মহান নেতার গ্রামে মাজার প্রাঙ্গনে সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। কর্মসুচির মধ্যে ছিল মাজারে পুষ্পস্তবক, জিয়ারত, আলোচনা সভা, তাবারক বিতরন পরিবারের সদস্যদের সাথে মত বিনিময়। সকাল থেকে মরহুমের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এক এক করে তার বাড়ীতে আসেন ও মরহুম জননেতার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সবশেষ কমিটির কমান্ডার ও ক্যাপ্টেন সাহজাহান মাষ্টারের সার্বক্ষনিক সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান মশু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ইউনুস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন, জেএসডি কেন্দ্রিয় নেতা মীর জিল্লুর, জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রিয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব প্রমুখ।

    জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলগের সাধারন সম্পাদক জননেতা আলহাজ নজরুল ইসলাম আমগনের পরপর মরহুম মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। এসময় অন্যাদের মধ্যে ছিলেন জেলা আওয়ামীগের দপ্তর সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা শেখ হারুন-অর-রশীদ, ত্রান ও সমাজকলান সম্পাদক এড. আজহার হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদাউস আলফাসহ নেতৃবন্দ। এরপর খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজের রোভার দল নেতা শিক্ষক আবু তালেবের নেতৃত্বে মাজারে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

    দুপুর ১২ টায় স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনজেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আ’লীগ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন মশু, জেলা জাসদের সহ-সভাপতি, দক্ষিনের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেএসডি কেন্দ্রিয় নেতা মীর জিল­ুর রহমান, আলী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শ্রমিক নেতা শেখ হারুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক এ্যাড. আজাহার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. ইউনুস, প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী মাষ্টার, প্রাক্তন কমান্ডার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাক্তন চেয়ারম্যান আঃ বারী মোল­্যা, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদৌস আলফা, ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রমু

    ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক আঃ কাদের মেম্বর ও প্রাক্তন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওহাবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান অতিথি সহ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। কেবিএ কলেজের রোভার দল । শাহাজাহান মাষ্টার স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মরহুমের সহধর্মিনী রাবেয়া শাহাজাহান, পুত্র বেতার প্রতিনিধি ফারুক মাহবুবুর রহমান, সদস্য আফছার আলী মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওহাব, সরদার আমজাদ হোসেন, আবু তালেব মোল­্যা, হাজি জামাল উদ্দীন, সহ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ক্যাপ্টেন শাহজাহানা মাষ্টার স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের সাধারন সম্পাদক জানান পরিবারের সামগ্রীক সহযোগিতা দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সফলে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আগতদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পরিবার ও স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ।

    অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার সিনিয়র সাংবাদিক রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী, কাজী শওকত হোসেন ময়না, কাজী শহিদুল হক রাজু, আসাদুজ্জামান, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক কেএম রেজাউল করিমসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিস সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনমোর্তজা হাসান লিটু সভাপতি ও জেসমিন নাহার সম্পাদক নির্বাচিত

    সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিস সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন
    মোর্তজা হাসান লিটু সভাপতি ও জেসমিন নাহার সম্পাদক নির্বাচিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিস সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রেজিষ্ট্রি অফিসের তৃতীয় তলায় সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু বিরতীহিনভাবে চলে বেলা সাড়ে ১ টা পর্যন্ত। এবার নির্বাচনে ১০৫ জন ভোটারের মধ্যে ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
    ৯টি পদের বিপরীতি সভাপতি পদে ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মীর মোর্তজা হাসান লিটু। তার প্রতিক ছিলো দোয়াত কলম মার্কা। নিকটতম প্রার্থী চেয়ার প্রতিকের আমানুর রহমান সুমন পেয়েছেন ২৭ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেসমিন নাহার, সহসভাপতি পদে উভয় ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম ও মো: সাইফুল্লাহ। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবু রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির আলম, কোষাধ্যক্ষ মো: শরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাহিত্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনল কৃষœ রায়, কার্যকরি সদস্য খুরশিদ আলম, সদস্য ময়নুদ্দিন ও অলোক বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
    নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন পরিমল চন্দ্র, সহকারি প্রিজাইডিং এর দায়িত্ব পালন করেন প্রদিপ কুমার, পলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও পংকজ কুমার হালদার। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন জেলা নকল নবিস সমিতির সভাপতি নাজমুস জামান সুমন ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এর দায়িত্বে ছিলেন জেলা নকল নবিস সমিতির সম্পাদক লাভলু হোসেন।

  • নড়াইলসহ দেশজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন

    নড়াইলসহ দেশজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন


    নড়াইলের মীর্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষকে জুতোর মালা পরানো ও আশুলিয়ার শিক্ষককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা ও লোহাগড়ার দীঘলিয়া সাহাপাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ দেশজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরা- আশাশুনি সড়কে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
    মানবাধিকার সংগঠণ স্বদেশ, এইচ আর ডিএফ সাতক্ষীরা, আসক, এইচআরডি সিএসও কোয়ালিশন, এইচআরডি নেটওয়ার্ক, এডাব , বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম. সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহম্মেদ, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না দত্ত, গণফোরামের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি আলী নূর খান বাবুল, এমএসএফ এর অ্যাড. মুনিরউদ্দিন, উত্তরণের কর্মকর্তা মনিরউজ্জামান জমাদ্দার, ফরিদা আক্তার বিউটি, পিপি পোদ্দার, আঞ্জুয়ারা বেগম , সাংবাদিক আব্দুল জলিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, ভূমিহীন নেতা আব্দুল ওহাব সরদার, কওছার আলী, আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, মহানবীকে কটুক্তি ও ইসলাম ধর্মের অবমাননার ঠুনকো অভিযোগ তুলে কোন প্রকার যাঁচাই বাছাই করার আগেই সংখ্যালঘুদের উপর দিনের পর দিন নির্যাতন , নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। ভাঙা হচ্ছে মন্দির, প্রতিমা। ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। সম্প্রতি নড়াইলের মীর্জাপুরের কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে কোন কারণ ছাড়াই জুতোর মালা পরানো হয়েছে। আশুলিয়ার কলেজ শিক্ষক উৎপল সরকারকে তার ছাত্র পিটিয়ে হত্যা করেছে। বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার শের ই বাংলা কলেজ ছাত্রী রণিত বালা রণি, সেলুন কর্মী কিশোর রায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকীপুরের দেবাশীষ মিস্ত্রীকে ধর্ম অবমানরার গুজব ছড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ ১৫জুলাই নড়াইলের লোহাগড়া থানার দীঘলিয়া সাহাপাড়ায় শতাধিক হিন্দু বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সব ঘটনাসহ মুন্সিগঞ্জের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মন্ডল, নওগাঁর শিক্ষক আমোদিনী পাল, ঢাকার লতা সমাদ্দারসহ বিভিন্ন স্থানের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। এসব ঘটনায় উগ্র মৌলবাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আওয়ামী লীগ যে সংখ্যালঘু নির্যাতনকে সমর্থন করে না তা ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে প্রমাণ দিতে হবে। সম্প্রতি দেবহাটার পারুলিয়ায় তপন বিশ্বাসকে জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা, সদরের কুলতিয়ায় অরবিন্দ ঘোষের জমি জবরদখলের চেষ্টা ও তালার ধানদিয়ার মুক্তিযোদ্ধা ললিত মোহন সাহা পরিবারের উপর তবিবর বাহিনীর নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানানো হয়।

  • সহকারী জজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে কুচক্রী মহল কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনকারীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদরের শিবপুরের সন্তান সহকারী জজ আজহারুল ইসলাম সোহাগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে কুচক্রী মহল কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনকারীবিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জগন্নাথপুর গ্রামের মো: রুহুল আমিনের পুত্র মনিরুল ইসলাম আলিম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের শহীদুল ইসলামের পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগ আনুমানিক ২০১৯ সালে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ পেয়ে সুনামের সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসার পাশাপাশি ছুটিতে বাড়ি এসে মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু অত্র এলাকার স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তার এসব মানবিক কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চক্রান্ত করতে থাকে। এছাড়া গত ইউপি নির্বাচনে চাচা জুলফিকার মেম্বর পদে ভোটে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে কাজী আবু সুলতান তুষার অংশগ্রহণ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলে তারা জজের পরিবারকে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে একই এলাকার ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ফকির আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম, সায়েম, হাবিব, কাজী মিজানুর রহমান, মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল, মোকলেছুর রহমান, জামায়াত ইসলামীর সংগঠক মো: আসমত আলী ও ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম, মো: আব্দুর রহমান এবং আব্দুল জাহাঙ্গীর। এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ জগন্নাথপুর ঈদ গাহে হওয়ার কথা থাকলেও ঈদগাহটিতে সংস্কার কাজ চলার কারনে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে কয়েকজন মুসুল্লী নামাজের তাকবির সঠিকভাবে শুনতে না পাওয়ায় তাদের নামাজে ব্যঘাত ঘটলে তারা হট্টগোল শুরু করে। সেখানে উপস্থিত থাকা জজ সাহেবসহ মুসুল্লীরা দ্বিতীয় জামায়াত করার তাগিদ দেন এবং বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশের এস আই তন্ময় ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঘটনার বিস্তারিত উপস্থিত মুসুল্লীসহ সকলের কাছে শোনেন এবং অশান্তি সৃষ্টি না করতে অনুরোধ জানান। এর পর থেকে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছিল। জামায়াত নেতার পুত্র নজরুল ইসলাসহ তার সহযোগীরা চক্রান্ত অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে জজ সাহেব এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী অধিকাংশ শিবপুরের লোক নন। এছাড়া মানবববন্ধনে বক্তব্য দিয়ে অজয় সরকার দাবি করেছেন তাকে এবং মহাদেবকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন জজ সাহেব এবং তার পরিবার। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অজয় নিজেই একজন ভূমিদস্যু। সে নিজের বিধবা কাকীর সম্পত্তি দখল চেস্টাসহ অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষদের উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম জজ সাহেব এবং তার পরিবারকে জামায়াত পরিবার দাবি করেছে। অথচ জজ সাহেবের পিতা শহীদুল ইসলাম ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্যভুক্ত হয়ে অদ্যবধী আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তার পুরোপরিবার আওয়ামীলীগের সদস্য। তাকে কেন আওয়ামীলীগের প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে এ নিয়েই মিথ্যাচার করেছেন নজরুল গং। ২০১৩ সালে নজরুল ইসলাম গং গাছকাটা, নাশকতা মূলক কর্মকান্ড চালিয়েছিল। কয়েক দিন পূর্বেই ইউনিয়নের সরকারি গাছ কেটে আত্মসাত করে কাজী মিজান। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার নং- জিআর- ১৯৩/২২, সদর থানার মামলা নং- ২৮/২২। তিনি কুচক্রী মহল এবং তাদের ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সাতক্ষীরায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

     সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
    ঢাকা থেকে প্রকাশিত সকালের সময় ও রাজধানী টাইমস এর সাতক্ষীরা  জেলা প্রতিনিধি এস কে কামরুল হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে শীর্ষ চোরাকারবারী ও বিজিবি সদস্য জব্বার হত্যা মামলার  চার্জশিট ভুক্ত   আসামী আব্দুল আলিম। গতকাল  (রোববার) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে দেবহাটার শাখরাকোমরপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এসময় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়। 
    এ বিষয়ে সাংবাদিক কামরুল হাসান জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা সিমান্ত দিয়ে  অবৈধ ভাবে ভারতীয় রেনু প্রবেশ করছে বিষয়ক অনুসন্ধানী রির্পোট করার জন্য বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য আলিমের নাম শোনা যায়। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে কোন প্রকার উত্তর না দিয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকে তোর এখানে আসার সাহস কে দিয়েছে? তুই আমাকে চিনিস, আমি কে? আমাকে প্রশ্ন করার তুই কে? আমার নামে যদি কোন প্রকার রির্পোট করিস তাহলে তোকে দুনিয়া ছাড়া করব। এ কথা বলতে বলতে সে তার লাঠিয়াল বাহিনি নিয়ে আক্রমন করতে উদ্যত হয়।  এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায়  জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়  যার নম্বর   ১০৬৭। 

  • সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর সুস্থতা কামনায়
    জেলা সাংবাদিক পরিষদের বিবৃতি

    সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের বার বার নির্বাচিত সাবেক সভাপতি এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তের জেলা প্রতিনিধি, জেলা সাংবাদিক পরিষদের প্রধান উপদেষ্ঠা প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী গুরুত¦র অস্স্থ্যু হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি শেখ আছাফুর রহমান, সহ-সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম মোঃ মুজিবুর রহমান, সেলিম শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ন সম্পাদক আল মাসুদ, মোঃ ইউসুফ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান সোহাগ, মোঃ আঃ রহমান, মোঃ ইব্রাহিম খলিল, মোঃ হোসেন আলী, গাজী মনির, মোঃ খাইরুল বাসার, ইকবাল হোসেন, প্রশান্ত কুমার পাল, জাহাঙ্গীর হোসাইন, শামীম হোসেন, এ্যাড নজরুল ইসলাম, তাজেল হোসেন, নাজমুল হাসান, আবুল খায়ের, আজগর আলী, রাশিদা আক্তার, আব্দুল হামিদ, এম এম মনির, হাসানুর রহমান, প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

  • বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কলকাতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

    বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কলকাতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল ভারতের কলকাতার একাদেমি অফ ফাইন আর্টস এর কনফারেন্স রুমে সম্মানিত অতিথি হিসেবে চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক ড. পবিত্র সরকার ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্র দূত শ্রী আন্দালিব ইলিয়াস।
    এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেতনায় একাত্তর বইয়ের লেখক সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এমপি তার বক্তব্যে বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে সহযোগিতা করেছে। তাদের কাছে আমরা ঋণী। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা বাংলাদেশ কখনও ভুলবেনা। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তাদের জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম যত জানবে তত বেশি তারা দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বগাথা লেখা বইগুলি পড়তে সকলকে উদ্বুর্দ্ধ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাকে অর্থপূর্ণ করতে হলে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের সাহিত্যিক ড. নজরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ ড. সুবীর মৈত্র প্রমুখ। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে চেতনায় একাত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাহিত্যিক অমর মিত্র, সাহিত্যিক অনিন্দিতা গোস্বামী, গবেষক অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমানসহ অন্যান্য সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও অন্যান্য সম্মানীয় গুণী ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠান শুভ সূচনা আগে গার্গী চক্রবর্তীর শিউলি ভট্টাচার্যের একটি সুন্দর সংগীত পরিবেশিত হয় এবং তার সাথে সাথে সম্মানীয় ব্যক্তিদের একটি করে গাছ উপহার দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। সকল সম্মানীয় অতিথিদের একটি বার্তা যেভাবে এখানকার মানুষ বাংলাদেশের বইগুলিকে সম্মান দিলেন এবং এখানে প্রকাশিত করলেন আমরা গর্বিত আমরা কৃতজ্ঞ, এখানেও যে মানুষ বাংলাদেশের বই ভালোবাসে এবং বই পড়তে ভালবাসে তার উদাহরণ আজ আমরা পেলাম, আশা করি বইগুলি পড়লে আরো ভালো লাগবে এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন বাংলাদেশ সম্বন্ধে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গবেষক পার্থ বন্দোপাধ্যায়।

  • পুরাতন সাতক্ষীরায় অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও শরীকদের সম্পত্তি দখলের পায়তারা

    পুরাতন সাতক্ষীরায় অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও শরীকদের সম্পত্তি দখলের পায়তারা


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন সাতক্ষীরায় অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও পৈতৃক সম্পত্তিতে আপন দুই ভাইয়ের প্রাপ্ত অংশ দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে ছোট ভাই রাজিউল হাসান। এব্যাপারে বাঁধা প্রদান করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, হত্যা, গুমসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদান করছে রাজিউল হাসান ও রবিউল ইসলাম। নিরুপায় হয়ে রফিকুল হাসান সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে দুই জনের বিরুদ্ধে নন জিআর মামলা করেন। মামলা নং- ৯৩/২২। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজিউল হাসান। আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখার নামে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও ব্যাংকের নামে নামপত্তনকৃত সম্পত্তি ভোগ দখল ও স্থাপনা গড়ে তোলার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে রাজিউল হাসান ও রবিউল ইসলাম।
    সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে আব্দুর রকিব ও রফিকুল হাসানের অংশ বাদ দিয়ে বাকি সাত জনের অংশ দুই বাড়ি থেকে প্রাপ্ত পিতার এস.এ রেকর্ডীয় ৩ একর ৮১ শতক সম্পত্তি বন্ধক রেখে এড. আব্দুর রউফ সুন্দরবন রাইচ মিলের নামে ১৯ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখা থেকে ঋণ নেয়। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ আদালতে মামলা হয়। মামলা নং- ৩/২০০৩। উক্ত মামলা ২৫ মে ২০০৪ সালে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়। এরপর জারি মামলা হয়। মামলা নং- ২/২০১১। এই মামলা ২০১১ সালের ২৪ জুলাই নিস্পত্তি হয়। অপরদিকে ১৯৯৫ সালে মো. রাজিউল হাসান রাজারবাগানের মায়ের ৮০ শতক ও পুরাতন সাতক্ষীরা কলবাগানের ৫৩ শতক সম্পত্তিসহ মোট ১৩৩ শতক সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে নিউ সাতক্ষীরা ব্রিকসের নামে অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখা থেকে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। যথা সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ মামলা হয়। মামলা নং- ২/২০০৩। পরবর্তীতে সেটা জারি মামলা হয়। মামলা নং- ৩/২০১১। এই মামলা ২৭ অক্টোবর ২০১১ সালে নিস্পত্তি হয়। পরবর্তীতে খারিজ খতিয়ানের মাধ্যমে ব্যাংক নিজ নামে নামপত্তন করে। যার খতিয়ান নং- ৮৯৯/১/১, তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭ এবং সেই মোতাবেক ব্যাংক ১৪২৫, ১৪২৬ ও ১৪২৭ বঙ্গাব্দের খাজনা পরিশোধ করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে রাজিউল হাসান আকলিমা খাতুনের অংশের বন্ধকীয় সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পত্তি মিলে ২ একর ৬৭ শতক সম্পত্তি ছলচাতুরি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্টার অফিস হতে দলিল তৈরি করে নেয়। দলিল নং- ৩৬৩১/২০২০। এরপর তথ্য গোপন করে নামপত্তন করে। যার খতিয়ান নং-২১৮৬, জমির পরিমাণ: ২ একর ৬৬ শতক। ভূয়া নামপত্তনের বিরুদ্ধে মিস কেস করার পর এসিল্যান্ড সুমনা আইরিন ১৯/৪/২২ তারিখে উক্ত নামপত্তন বাতিল করেন। মিস কেস নং- ২১/২০২১-২০২২ এবং এই দলিলের বিপক্ষে আব্দুর রকিব ও রফিকুল হাসান বাদী হয়ে সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ১ম আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছেন। মামলা নং- ৯০/২১। এ ছাড়া দেওয়ানী মামলা ৩০/২২ উক্ত আদালতে চলমান রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজসে রাজিউল হাসান উভয় ঋণের আওতাধীন আনুমানিক ২০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫ বিঘা বন্ধকীয় সম্পত্তি ৩৬৩১/২০২০ নং দলিল দ্বারা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, আব্দুর রকিব ও রফিকুল হাসানের সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা এবং জমির ফল-ফলাদি জোর পূর্বক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে রাজিউল হাসান ও রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। পৈতৃক সম্পত্তি বন্টন সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলমান কাজ বন্ধ রাখার জন্য এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মো. রফিকুল হাসান।

  • প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ্য

    প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ্য


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী অসুস্থ্যতাজনিত কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শ^াসকষ্ট, কিডনিতে সমস্যা, ফুসফুসে পানি জমাসহ হার্টের নানা সমস্যায় বেশ কিছুদিন যাবৎ ভূগছেন এই প্রবীন সাংবাদিক। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার পক্ষ হতে তাঁর সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।