বালিয়া ডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপহার সামগ্রী প্রদান করছেে হাসমিুখ সঞ্চেুরী সাতক্ষীরা পরচিারক ও আওয়ামী লীগরে বানজ্যি সম্পাদক শেখ এজাজ আহম্মেদ স্বপন। হাসমিুখ সঞ্চেুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে ৩০ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় বালিয়া ডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রিদের মাঝে হাসিমুখ উপহার প্রদান করা হয়।উপহার সাসগ্রী বিতরন করেন হাসিমুখের পক্ষ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান,আবু তাহের এবং সাহাঙ্গীর কবির বাবু।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মিজানুর রহমান ,সহকারি শিক্ষক জনাব বিধান চন্দ্র , রিজিয়া খাতুন , রুমানা পারভীন ও শাহিনুর রহমান , এছাড়াও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পদক জনাব মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ,, দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি জনাব অহিদুজ্জামান ২ নং ওয়াডের মেম্বর জনাব হান্নান। হাসমিুখ সঞ্চেুরী সাতক্ষীরা পক্ষ থেকে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রিদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরন করা হয় ।
Category: বিশেষ সংবাদ
-
বালিয়া ডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাসিমুখ উপহার প্রদান
-
প্রথম আলোর সম্পাদক ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী বামমোর্চা’র তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের, পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নেওয়া ও পরে একই আইনে মামলা করার ঘটনায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী বামমোর্চা তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে।
আজ ৩০ মার্চ ২০২৩ ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর আহŸায়ক সন্তোষ গুপ্ত, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহŸায়ক ইমাম গাজ্জালী গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দমন পীড়নের সকল সীমা অতিক্রম করেছে। এমন ঘটনাও আছে শত চেষ্টা করেও মামলা নেওয়া হয় না। আর অন্যদিকে রাত একটার পর মামলা, ভোর না হতেই তল্লাশি চালিয়ে আটক। যা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। এভাবে গভীর রাতে একজন সংবাদকর্মীকে আটক, সংবাদপত্র ও বাকস্বাধীনতার উপর এক চরম ফ্যাসিবাদী আঘাত।
নেতৃবৃন্দ প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং সকল প্রকার দমন পীড়নের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানান। -

ব্রয়লার মুরগি ও নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি ক্যাবের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: যেসব অসাধু ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অন্যথায় সারাদেশে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, সিপিবি এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তরুন সংঘে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ফজলুল হক ও ন্যাপের সংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান। এসময় ক্যাবের অন্যান্য সদস্য এবং সাধারণ ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। শুনেছি প্রতিযোগিতা কমিশনে সিন্ডিকেট তৈরিকারী করপোরেট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে মামলার মেরিট কোন দিকে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান আছি। আমার চাই বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এ বিষয়ে পরিষ্কার করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির সিন্ডিকেট যারা করেছে তাদের নাম সরকারের কাছে পৌছেছে। এখন সরকারের সদিচ্ছা যদি থাকে তবে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নাজের হোসাইন বলেন, আমাদের দাবি একটাই, যারা ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়ি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। প্রতিকী মামলা দিয়ে যেন পার পাইয়ে দেওয়া না হয়।
হুশিয়ার দিয়ে তিনি বলেন, এই মানববন্ধনের পর যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয় তবে ক্যাবের পক্ষ থেকে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন করা হবে।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, এই রমজান মাসে সংযম করার কথা, কিন্তু তারা তা না করে ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার কষ্টের টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সিপিবি এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশের বাজারে অনেক চেহারা উন্মোচন করে দিয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর আগে প্রমাণ করে দিয়েছে একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করতে কতো টাকা খরচ হয় এবং বাজারে কতো টাকা বিক্রি হয়। এই একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কি পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে তা আমরা বুঝলাম। সরকারের সংস্থায়ই এটা প্রমাণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির আড়ালে চিনি সিন্ডিকেট আড়াল হয়ে গেলো, ব্রয়লার মুরগি আড়ালে বড় বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আড়াল হয়ে গেলো। তাদের অনেকই ব্রয়লার মুরগী নিয়ে আজ কথা বলছেন কিন্তু নিজের লুটপাটের কথা বলছেন না। আমি পরিষ্কার বলতে চাই- রমজান মাসে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রমজানের এক মাস পূর্বেই জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ট্যারিফ কমিশন খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মিলে বহু বৈঠক অনুষ্ঠিত করে। কিন্তু এ সকল বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করেনি উল্টো কর অসুবিধা নিয়ে তাদের নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। একশ্রেণীর অতি মুনাফা খোর মজুদার ও কর্পোরেট সিন্ডিকেট কারীরা হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে লোপাট করল। প্রতিযোগিতা কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও এখন পর্যন্ত সেই মামলা আলোর মুখ দেখছে না। আজ পর্যন্ত বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার দায়ে একজন ব্যবসায়ী বা কার সাথে কারীদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
-

‘৬৭ বছর : অনেক কথা’ অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সাথে কথোপকথনে আমরা ম্যানগ্রোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরাতে ম্যানগ্রোভ গত ২৩ মার্চ সভাঘরে একটি সৃজনশীল ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল। আয়োজনের শিরোনাম ছিল ‘ ৬৭ বছর : অনেক কথা’ অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সাথে কথোপকথনে আমরা ম্যানগ্রোভ । অনানুষ্ঠানিক আয়োজনমালার আনুষ্ঠানিকতার সুত্রপাত ঘটান ম্যানগ্রোভ এর স্বত্যাধিকারী কবি প্রকাশক স ম তুহীন। বলেন প্রচলিত ধারার বাইরে এসে আমরা একজন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিতের বর্ণাঢ্য জীবনের কথা জানবো তার সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে। অতিথি মঞ্চের সে রকম নির্দ্ধারিত অতিথি না হলেও আলোচ্য ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বয়সের তিনজন গুনি ব্যক্তিত্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবীদকে সম্মানত অতিথির আসনে পেয়ে নিজেরাই গৌরাবান্নীত হয়েছি। সাতক্ষীরার সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জাসদ কেন্দ্রিয় উপদেষ্ঠা বীরমুক্তিযোদ্ধ কাজী রিয়াজ, বধ্যভুমি সংরক্ষন কমিটি ও জেলা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার এবং সাতক্ষীরা প্রবীন শিক্ষাবীদ সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল হামিদ।
কথাপোকথনে অংশ নেন কবি সুফিউল্লাহ ফারুকী(আবু কাজী), নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এড. আযাদ হোসেন বেলাল, বাসদ সংগঠক নিত্যানন্দ সরকার, জাসদ জেলা কমিটির সভাপতি শেখ ওবায়েদ সুলতান বাবু, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ইুদ্রস আলী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা প্রধান প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, বাসদ (মাক্সবাদী) নেতা চিত্তরজ্ঞন সরকার, এড. খগেন্দ্র নাথ সরকার, শিক্ষক নেতা ও সনাক সভাপতি অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাশ, সাতক্ষীরা দিবানৈশ্য কলেজের উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ময়নুল হাসান, ব্যঘ্রতটের প্রধান ও দৈনিক ডেইলী সাতক্ষীরা সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেতা নূর মোহাম্মদ পাঁড়, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান, সীমান্ত আর্দশ্য কলেজের অধ্যাপক ও ক্যাব সাতক্ষীরা সদরের সভাপতি হাবিবুর রহমান, উদীচী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জাসদ জেলা সাধারন সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর, সাংগঠানক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, কবি , অধ্যাপক কৃষ্ণপদ সরকার, কবি মোকাম আলী খাঁন, কবি মন্ময় মনির, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক পত্রদূতের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সরদার মধু, প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি কেডি, সেতুর কর্মসুচি সমন্বয়কারী আব্দুল করিম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শচীন্দ্র নাথ পাইক মন্ডল, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সহ-সম্পাদক আবু হাসান প্রমুখ।
সভায় আলাপচারিতার মধ্যদিয়ে বলা হয়, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী একজন মুক্তমনের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ব্যক্তি। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম কাতারে সবসময় থাকেন। তারুন্যদিপ্ত এ মানুষটি পরিবেশবাদী ও নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতা। ব্যক্তিগত আকাংখামুক্ত সামাজিক মালকানায় বিশ্বাসী সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্ররাম্ভে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় ৬৭ বছর সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য। -
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অসত্য মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের ব্যানারে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অসত্য মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের আহবায়ক কমিটি। ২৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো: সালাউদ্দীন লিটন ও সদস্য সচিব মো: রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত একপত্রে উক্ত কথিত সভার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, গত ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখে সম্পূর্ণ শিষ্টাচার বর্হিভূত ভাবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের ব্যানারে কথিত প্রতিবাদ সভার আড়ালে কতিপয় নিস্ক্রিয় কয়েকজনকে ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের কিছুকর্মী যারা কোন দিন কৃষকদলের সাথে জড়িত ছিল না তাদের কে সাথে নিয়ে জেলা কৃষকদলের সাবেক আহবায়ক আহসানুল কাদির স্বপন বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ও যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবসহ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও মান হানিকার বক্তব্য প্রদান করেন। যা সম্পূর্ণ দলীয় পরিপন্থি। আমরা জেলা বিএনপি ও কৃষকদলের সৎ ও কর্মীবান্ধব নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া উক্ত আলোচনায় কৃষকদলের যে সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে দল বিচ্ছিন্ন উক্ত আহসানুল কাদির স্বপনকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানে সহায়তা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
-
জেলা সাহিত্য পরিষদের সমন্বায়ক কবি পল্টু বাসারের সুস্থ্যতা কামনা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : জেলা সাহিত্য পরিষদের সমন্বায়ক কবি ও সংস্কৃতিজন পল্টু বাসার অসুস্থ্য হয়ে ঢাকা শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সকল সদস্য কার্যনিবার্হী কমিটির সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমান, সহ সভাপতি ড. দিলারা বেগম, আব্দুর রব ওয়ার্ছী, অধ্যাপক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান, জি,এম হুমায়ন কবির, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, খাজা শাহাবুদ্দীন, দিলরুবা বেগম, মঞ্জুরুল হক, শামীমা পারভীন রত্না, রফিকুল বারী, মনিরুজ্জামান মুন্না, আবু তালেব আজাদ, মাহফুজ শিকারী, কামরুন নাহার কচি, সাইদুল ইসলাম, সালাহ উদ্দীন রানা, মোঃ খাইরুল বাসার, ইকবাল হোসেন, প্রশান্ত কুমার পাল, রবিউল ইসলাম, আসাফুর রহমান, আঃ হামিদ, রিনি সুলতানা, গুলশান আরা, নাসরীন নাজরানা, নারায়ন সাধু, ইউসুফ আলী, মোঃ আমিরুল ইসলাম, রমজান আলী, শাহিদুর রহমান শামীম, তাসনীম রাইসা, ফারহানা ফাহিম, মহাসিনুল ইসলাম, মাসুদ আলী, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মহাদেব কুমার, সীমা মন্ডল নিঝুম, ক্যামেলিয়ান জাহান, আলী সোহরব, আজিজুর রহমান প্রমুখ। -
গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল,আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
রিজাউল করিম: গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল,তেল,আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দদলীয় নিরপেক্ষ তত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার, দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বিকালে ৪টায় জেলা বিএনপির আয়োজনে সাতক্ষীরা সংগীতা মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহম্মেদ মানিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী সদস্য কাজী আলাউদ্দীন।এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী সদস্য ডা: শহিদুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ তারিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম মৃণাল কান্তি রায় জেলা ছাত্রদলে সভাপতি শরিফুজ্জামান সজিবসহ পৌর বিএনপি, থানা বিএনপি, বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির নের্তীবৃন্দ।
এসময় বক্তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল,তেল,আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দদলীয় নিরপেক্ষ তত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার, দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান।
-

শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বেড়ীবাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ !
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস.ও সাজ্জাদুর রহমান ও অফিস পিয়ন খোরশেদ আলম এর বিরুদ্ধে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসী মহাপরিচালক পানি ভবন ও চেয়ারম্যান দুদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই অভিযোগপত্রে বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এস এম রবিউল ইসলাম সহ কয়েকজন ইউপি সদস্য এস.ও এবং পিওনের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত সুপারিশ করেছেন।
গাবুরা ইউনিয়ন সাইফুল ইসলাম ও গোলাম কিবরিয়া, জি এম মাছুম বিল্লাহসহ এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সুন্দরবন উপকূলীয় আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী ও দ্বীপ ইউনিয়নের গাবুরা আওতাধীন ৫ ও ১৫ নং পোল্ডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও অফিস পিয়ন খোরশেদ আলম টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণে চরম অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নের তিনটি ইউনিয়নে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আমরা ভীতু না হলেও দুর্বল বেড়ীবাঁধের কারনে আতংকে থাকতে হয়। টেকসই বেড়ীবাঁধ না থাকায় যখন তখন অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ও নদী ভাঙ্গনে এলাকা প্লাবিত হয়। এতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলম তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে এবং পকেট ভারী করার জন্য বাহিরের ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজসে তাদের কাজে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ না দিয়ে পিয়ন খোরশেদ আলমের পরিচালনায় যেনতেন ভাবে বেড়ীবাঁধ সংস্কার করেন। ফলে প্রবল ও জোয়ারে নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় এবং পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়। আমরা ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে লড়াই করে অতিকষ্টে জীবন যাপন করিতেছি। শ্যামনগর উপজেলার এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলমের নিকট শিডিউল ও ডিজাউন অনুযায়ী কাজ দেখতে চাইলে আমাদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন একই এলাকায় কর্মরত থাকার কারনে কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম করে আসছে। এস ও সাজ্জাদুর রহমান এবং খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বলেন, খোরশেদ আলম একজন পিয়ন হলেও খোরশেদের হাতে জিম্মি এসও, এসডিও সাহেবরা। খোরশেদ আগেই জানেন সাতক্ষীরায় কোন ঠিকাদার কাজ পাচ্ছে। এসও, এসডিওরা ঠিকাদারকে বলেন, খোরশেদ আলমের মাধ্যম দিয়ে আসলে আপনি আমাদের সবাইকে পাবেন। খোরশেদ আলমের উপর বিরক্ত হয়ে তার কার্যক্রম স্থাগিত করার জন্য উপজেলা পরিষদে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের দাবি মুখে রেজুলেশন করেছি।
এবিষয়ে শ্যামনগর পাউবো’র এস,ও সাজ্জাদুর রহমান বলেন অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
পাউবো’র অফিস পিয়ন খোরশেদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই। দুদকে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ভাই আপনার মোবাইল নাম্বারটি সংরক্ষন করে রাখছি। সাতক্ষীরা শহরে আসলে আপনার সাথে দেখা হবে। -

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়নাকে স্মরণ
আমাদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলে আমরাও সফল হব।
আবু নাসিম ময়না শুধু একজন ব্যক্তি নয়, তিনি একটি বিপ্লবের নাম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর। যৌবনে অস্ত্র হাতে ’৭১ সালে দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন রণাঙ্গনের প্রথম সারির এই যোদ্ধা। মেধা, সততা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার সঙ্গে সাতক্ষীরার উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামী ছিলেন তিনি। সাতক্ষীরায় রেল লাইন, বাইপাস সড়ক, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভোমরায় পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দরসহ বিভিন্ন স্বপ্ন ছিল তার।
বক্তরা বলেন, আবু নাসিম ময়না গণমানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। গরীব অসহায় ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। সচেতন মানুষদের উদ্বুদ্ধ করে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়না আজ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর কর্মময় জীবন, সংগ্রামী চেতনা ও দরদি মানসিকতা আমাদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তাঁর প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা।
শনিবার (১১ মার্চ) সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে বিশিষ্ঠ রাজনীতিবীদ, জেলা নাগরিক কমিটির সাবেক আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসিম ময়নার সপ্তম মত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন ও শেখ আবু নাসিম ময়না শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আজাদ হোসেন বেলাল। আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন। বরেণ্য অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশের পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিত্যানন্দ সরকার, জেলা সিপিপির সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষক সম্পাদক এড: ওসমান গনি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অনিত কুমার মুখার্জী, জেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, জেলা জাসদের সভাপতি ও ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ সরদার, শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি, ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা কাউছার আলী, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জিএম মনিরুজ্জামান, নদী বন ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা আদিত্য মল্লিক, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সাত্তার, আওয়ামী লীগ নেতা এড: আজহারুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুনসুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলিনুর খান বাবুল। -

শ্যামনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস পালিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ “স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি এর যৌথ আয়োজনে দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবস- ২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড মহড়া, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, বিভিন্ন দপ্তরের নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবন্দের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা চত্ত্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভায় হাজির হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উজ জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্র্তা তুষার মজুমদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জিএম আকবর কবীর, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সঞ্জীব মন্ডল, সিপিপি’র উপজেলা সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান মুকুল প্রমুখ। উল্লেখ্য অনুষ্ঠান শেষে সিলিন্ডারের গ্যাসে অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে তাৎক্ষনিক করনীয় বিষয় প্রদর্শন করেন অগ্নি নির্বাপক কর্তৃপক্ষ। -
শ্যামনগরে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির
মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকায় ইট ভাটায় ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। তিন ফসলি জমি থেকে বছরে একাধিকবার ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইট ভাটায়। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ায় কমে যাচ্ছে ফসলের উৎপাদন। সেইসাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। খোঁজ নিয়ে যানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা সদর ঘেঁষে বিভিন্ন গ্রাম এলাকার কৃষি জমিতে একের পর এক গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা। আর ইট তৈরির জন্য মাটি নেয়া হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি থেকে। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীন সড়ক। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সর্বত্রই প্রতিদিন অবৈধভাবে আবাদি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। কৈখালী এলাকা থেকে ভেকু মেশিন (খনন যন্ত্র) দিয়ে অবৈধভাবে মাটি খনন করে গাড়িতে কৈখালী এবং গোডাউন মোড় থেকে নূরনগর পর্যন্ত নতুন নির্মিত রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি নেয়ার কারণে রাস্তার দুই পাশ ভেঙে যাচ্ছে। এছাড়া জমির উপরের অংশের উর্বর মাটি ইটভাটায় চলে যাওয়ায় ফলন কমে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকার জমির মালিক ও কৃষকরা।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, শ্যামনগর উপজেলায় ১৪টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অধিকাংশের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। একেকটি ইট ভাটার কারণে কমপক্ষে তিন একর ফসলি জমি নষ্ট হয়। এভাবে ১৪টি ইট ভাটায় প্রায় ৪২ একর জমি নষ্ট হয়েছে। এসব তিন ফসলি জমিতে বছরে প্রায় ৪ হাজার মন চাল উৎপাদন করা যেতো। একদিকে ভাটার কালো ধোঁয়া, অন্যদিকে মাটি ও ইট বোঝাই ট্রাকের কারণে শব্দ ও বায়ু দূষণ চরম আকার ধারণ করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। অধিকাংশ ভাটায় সামান্য কয়লার সাথে ব্যবহার হচ্ছে কাঠ ও টায়ারের কালি। এতে আশপাশের এলাকার মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এসব ইট ভাটা কৃষি জমির অপূরণীয় ক্ষতি করছে। স্থানীয়রা জানান, ইটভাটায় চলাচলকারী ট্রাকের কারণে সৃষ্ট ধুলায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ট্রাকে মাটি বহনের ফলে ওই মাটি রাস্তায় পড়ে রাস্তার ক্ষতিসহ বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এছাড়া যে হারে ফসলি জমি থেকে মাটি নেয়া হচ্ছে তাতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি আর অবশিষ্ট থাকবে না বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইট ভাটার কারণে ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এনামুল ইসলাম বলেন, এসব অবৈধ ইটভাটা খুব দ্রুত বন্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া দরকার। এভাবে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি ব্যবহার করা হলে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাটার জন্য মাটি কাটা হচ্ছে এমন একটি ফসলি জমির মালিক কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী গ্রামের রোজিনা খাতুন বলেন, মাটির ভালো দাম পাওয়ায় জমির মাটি বিক্রি করে দিয়েছি ভাটা মালিকের কাছে। জমির ফসলে তেমন লাভ না হওয়ায় মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করছি। উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের শ্যামাপদ সাহা বলেন, আমরা কৃষিকাজ করছি শৈশবকাল থেকেই। দাদা-বাবার হাত ধরে কৃষি কাজে হাতেখড়ি। আগে যে পরিমাণ জমিতে আমাদের পরিবার চাষাবাদ করত, এখন তার এক পঞ্চমাংশ জমিতে ফসল ফলাই। ইট ভাটায় মাটি নেয়ার কারণে এসব ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় পরিবেশ কর্মী মোহন কুমার মন্ডল বলেন, শ্যামনগরের উপকূলীয় এ অঞ্চল এমনিতেই নিচু। তাতে যদি এই এলাকার মাটি কেটে আরো নিচু করা হয় তাহলে এ অঞ্চল বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তিনি আরো বলেন কৃষি জমির মাটি কাটার ফলে প্রতিবছর বেশ কয়েক শতাংশ হারে কমছে এ উপজেলার আবাদি জমির পরিমাণ। এছাড়া প্রতিবছর নদী ভাঙন ও নানা ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এই এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দূযোর্গের কারণে কৃষকরা তাদের জমিতে ঠিকমত ফসল উৎপাদন করতে পারে না। তার উপর এভাবে ইটভাটার জন্য ফসলি জমির মাটি কাটা অব্যহত থাকলে কৃষকরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি ফসলি জমিতে ইটভাট বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

সাতক্ষীরায় বিজিবির পৃথক অভিযানে ৮টি স্বর্নের বার ও ১.৯ কেজি রুপার গহনাসহ আটক -১
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঃ ভারতে পাচারকালে ৮টি স্বর্নের বারসহ মোঃ আমির হোসেন (৪৫) নামের এক চোরাচালানীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)। রবিবার সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙা সীমান্ত থেকে এ স্বর্ন আটক করা হয়। এছাড়া রবিবার সকালে বৈকারী সীমান্তে ১.৯ কেজি রূপার গহনা আটক করা হয়েছে। তবে কোন চোরাচালানীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আটক চোরাচালানী আমির হোসেন কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে।
বিকাল ৫টায় এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক(পিএসসিজি)। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে সোনার বার পাওয়া গেছে। আটককৃত স্বর্নের ওজন ৯৩৩ গ্রাম যার বর্তমান বাজারমূল্য ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৩০ টাকা। আটককৃত আসামীকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত স্বর্ন ট্রেজারী অফিসে জমা করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক আরও জানান, বেলা ১২টা ৫ মিনিটে বৈকারি সীমান্তের সীমানা পিললারর ৭/৪০-এস হতে ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১.৯ কেজি রূপার গহনা জব্দ করা হয়েছে। তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। # সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। -

সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মো.আনিসুর রহিমের নাগরিক স্মরণসভা আগামী ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি
সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মো.আনিসুর রহিমের নাগরিক স্মরণসভা আগামী ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা-স্কাস চেয়ারম্যান এবং রিফিউজি অপারেশন্স অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন টিমের ন্যাশনাল এনজিও বিষয়ক প্রতিনিধি জেসমিন প্রেমা, উদীচীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুখেন রায়, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, বিএফইউজের সহসভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, ওয়াটারকিপার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও বাপার কেন্দ্রীয় নেতা মো. নূর আলম শেখ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব হেদায়েত হোসেন মোল্লা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি ও লেখক-গবেষক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, পার্লামেন্ট নিউজের উপ-সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র প্রমুখ।
স্মরণসভায় স্থানীয় রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। উক্ত স্মরণ সভায় সংশ্লিষ্ঠ সকলকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন “মো.আনিসুর রহিমের প্রয়াণে নাগরিক স্মরণসভা আয়োজক কমিটি” এর আহবায়ক বিশিষ্ঠ সমাজসেবক, রাজনীতিবীদ ও আনিসুর রহিমের বাল্য বন্ধু শেখ আজাহার হোসেন এবং সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। -
সাতক্ষীরায় জলবায়ু বিষয়ক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকায় চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থদের জীবনমান উন্নয়ন, নিরাপদ পানি,স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থায় সহনশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রকল্পের এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার হল রুমে জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়ানে ও ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড (সিবিএফ) এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাইনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এবং প্রকল্পের অংশগ্রহণকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহমেদ, আইনুল ইসলাম নান্টা, শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নুর জাহান বেগম, রাবেয়া পারভীন, পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান সহজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা, পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এনজিও প্রতিনিধি সহ উপস্থিত থেকে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবলোক পরিষদের সহকারী পরিচালক ফাহমিদা সুলতানা। প্রকল্প বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন নবলোক পরিষদ ও ব্র্যাক (ইউপিজিপি) প্রতিনিধিবৃন্দ। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা পৌরসভার মোট ৬টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় নবলোক পরিষদ এবং ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড (সিবিএফ) এর সহযোগিতায় ব্র্যাক (ইউপিজিপি) উক্ত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করছে।
-
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও নিজ এলাকায় উন্নয়নের দায়িত্ব পালনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়নে ডক্টরেট এবং বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ২০১৫ সালে ‘গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল’ সম্মাননায় ভূষিত হাছান মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে এখন সম্মান শ্রেণিতে বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন।
করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি অনলাইনে পাঠদান করেছেন। মহামারির প্রকোপ কমে এলে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন। দিনে দিনে বেড়ে যাওয়া ব্যস্ততার মধ্যেও অধ্যাপনা অব্যাহত রেখেছেন। কৌতুহল উদ্দীপক আঙ্গিকে পাঠদানের জন্য শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয় ড. হাছান জানান অনলাইনের চেয়ে সরাসরি ক্লাস নেওয়াই তার বেশি পছন্দ।
উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ-সাউথ ও ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ (এনডিসি) দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ লেকচার দিয়েছেন তিনি। -

বহি:শক্তির আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
বহি:শক্তির আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত শক্তির যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাইনা। আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ^াসী। কিন্তু বহি:শক্তির যে কোন আক্রমণ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে (ইবিআরসি) ‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ এর ‘দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রুপান্তরিত করতে চাই। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জণগণের পাশে আছে। যেকোন দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়ায়, শুধু দেশে নয় বিদেশেও।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বন্ধু প্রতীম কোন দেশে দুর্ঘটনা ঘটে তখনই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে যায় এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও সেবা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনী গৌরবজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার কাজে সফলভাবে অংশগ্রহণের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার হৃদয়ের খুব কাছের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ তার দুই ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এই রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পুনর্মিলনীতে যোগ দেয়া একদিকে আমার জন্য বেদনাদায়ক, অন্যদিকে আনন্দের’।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জীপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর সাথে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা এদেশকে গড়ে তুলেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময়ই তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন এবং সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেন।
সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৪ সালেই জাতির পিতা কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’র শুভ উদ্বোধন করেন এবং কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল ও সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। তিনি ভারত ও যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করেন। ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘১৯৭৫ সালে আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কলঙ্কলিপ্ত হয় । জাতির পিতাকে হত্যার পর সমস্ত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যায় এবং আমাদের স্বাধীনতার আদর্শ প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়’।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বচিত করা হলে ছয় বছর প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়ার পর ১৯৮১ সালে একরকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এমন একটি দেশে ফেরেন যেদেশে তাঁর পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিলনা। খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরী দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ’৭১ এর পরাজিত শক্তি এবং ’৭৫ এর ঘাতকরা রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার সময় তিনি ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও সেই দীর্ঘ সময় আর দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা।
তিনি বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণ আড়াই হাজার বছরে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর বিশ^ ঐতিহ্যে ঠাঁই পেয়েছে সে ভাষণ এবং জয়বাংলা শ্লোগানও এই দেশে নিষিদ্ধ ছিল। ’৯৬ সালে একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মানুষ আবার সেই সত্য ইতিহাস জানার সুযোগ পায়। পাশাপাশি তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুপ্রশিক্ষিত এবং শক্তিশালী ও আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
প্রথম মেয়াদে সরকারে থাকার সময় তাঁরা ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’, ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রথম মহিলা সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছি। আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন এবং ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে তাঁর সরকার সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং বরিশালে ৭ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। গত ৪ বছরে বিভিন্ন ফরমেশনের অধীনে ৩টি ব্রিগেড এবং ছোট-বড় ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশনের ফরোয়ার্ড বেস এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্তকরণ এবং প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করার পদক্ষেপ নেয়া হেেয়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌম্য, শক্তি, ক্ষিপ্রতা’- এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময় এবং ঐহিত্যপূর্ণ। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের এই রেজিমেন্টের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন কাজে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য সকলকে আমার আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি তাঁর গৃহহীণ ভূমিহীনকে ঘর করে দেয়ার আশ্রয়ন প্রকল্পসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন এবং দেশের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণেরও প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতি দেশ ও জাতির আস্থার স্বীকৃতি স্বরূপ এ পর্যন্ত ৩৫টি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জাতীয় পতাকা অর্জন করেছে, ২০১৪ সালে আমার হাতে এ প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩টি রেজিমেন্টের জাতীয় পতাকা গ্রহণের স্মৃতি আজ মনে পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান। তাদের সময়ে তারাও এই বাহিনীকে উন্নত করতে যতাযথ পরিশ্রম করেছেন। নিশ্চই আপনাদের সেই অভিজ্ঞতা আজকের প্রজন্ম স্মরণ করবে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আনন্দ ও উৎসবমুখর পুনর্মিলনী অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত সর্বস্তরের সদস্যদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও সুদৃঢ় করবে এই প্রত্যাশা করছি। আমাদের দেশ প্রেমিক ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যগণ জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত সকল দায়িত্ব সফলতার সাথে পালনে সক্ষম হবে এবং কর্মজীবনে সকল ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলেই আমি বিশ^াস করি।
তিনি আজকের অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করায় সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও ধন্যবাদ জানান।
করোনা মহামারী দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ^মন্দা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সকলকে কৃচ্ছতা সাধন এবং প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় এনে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবানেরও পুনরোল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটা ততদিন অব্যাহত রাখতে হবে যতদিন না এই যুদ্ধ থামে এবং এই মন্দার কবল থেকে বিশ^ মুক্তি পায়। তাঁর সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে, জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে কিন্তু এজন্য সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। -

ভারতের ‘ঢেঁকি’ আসছে বাংলাদেশে !
বিশেষ সংবাদ : এবার ভার থেকে বাংলাদেশে আসবে ‘ঢেকি’। তবে সেটি পায়ে চালিত নয়, ব্যাটারী দিয়ে চলবে। ভারতের বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা বিদ্যুৎচালিত ঢেঁকি পাড়ি দিচ্ছে বাংলাদেশ এমনই খবর। একসময় ঢেঁকিছাঁটা চাল খেতেই অভ্যস্ত ছিল বাঙালি। সময়ের বিবর্তনে মিলের চাল খেতে বাধ্য হয়েছে মানুষ৷ বর্তমানে পুষ্টির তাগিদে ঢেঁকি ছাঁটা চাল খেতে ইচ্ছে করলেও তা বেশ ব্যয় সাধ্য। কলেজের চেয়ারম্যান শশাঙ্ক দত্ত জানালেন, তাদের তৈরি বিদ্যুৎচালিত ঢেঁকির উৎপাদন ক্ষমতা যথেষ্ট হওয়ায় মিলের চালের দরেই ঢেঁকি ছাঁটা চাল মিলতে পারে।
