Category: তালা

  • তালা পানি কমিটি ও শালতা রিভার বেসিন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ .]
    তালা উত্তরণ আইডিআরটিতে তালা উপজেলা পানি কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা ও শালতা অববাহিকা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। পানি কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম। সভায় বক্তব্য রাখেন পানি কমিটি নেতা প্রভাষক রেজাউল করিম, তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মোঃ ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, গাজী জাহিদুর রহমান প্রমূখ। সভায় শালতা নদীর প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে একটি মণিটরিং কমিটি গঠণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
    এছাড়া উক্ত সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে, শালতা নদীর প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু ও কপোতাক্ষ নদের ক্রসড্যাম স্থাপন সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি উত্থাপনের মাধ্যমে পানি কমিটির আন্দোলন সফল হয়েছে বলে জানান। তাছাড়া পানি কমিটির আয়োজনে উক্ত সভাতে শালতা নদীর পুনর্জীবনে সরকারের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন চলমান থাকায় সভা থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি শালতাসহ শিবসা নদীর অববাহিকায় টিআরএমকে যুক্ত করার জন্য সভা থেকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর এখনই দরখাস্ত প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

  • তালায় বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম: বৈরী আবহাওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষক

     
    সেলিম হায়দার ॥
    এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় । উপজেলার বিলগুলোতে যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। সব এলাকায় সবুজ ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমির ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক দিন গুণছে। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেতের ধানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের সকল পরিচর্যা শেষে ধান তোলার সময় শিলা বৃষ্টি কৃষকের হাসি ম্লান করে তুলেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের মাঠের ধান হেলে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি জমে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর অধিক জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর চাষাবদের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপকহারে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। অনেক নিচু এলাকার জমিতেও চাষাবাদ হয়েছে।
    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বিলে বোরো চাষে সবুজ ফসলের সমারোহ। উপজেলার শতকরা ৮০জন কৃষকই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৯হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া তালা, জালালপুর, মাগুরা, খলিলনগর, খেশরাসহ উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে।
    তালা উপজেলার নলতা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া ও প্রকৃতির কারণে এবছর আমাদের ব্লকে গতবারের চেয়ে বর্তমানে ধান ভাল বুঝা যাচ্ছে। এ বছর আমার ব্লকে ব্রি-ধান ২৮ বেশ ফলেছে। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় বেশ দূচিন্তায় আছি, ধান ঘরে না উঠা পর্যন্ত চিন্তার শেষ নেই। অপরদিকে গোপালপুর গ্রামের কৃষক গণেশ রায় জানান, গত বছরের তুলনায় ধান ভাল না তবে রোগ বালাই কম আছে। হাজরাকাটি গ্রামেে আফজাল সরদার জানান, এবছর আমাদের এলাকায় ধানের ফলন খুব ভাল দেখা যাচ্ছে, যদি এভাবে শেষ নামে আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে বাম্পার ফলন হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
    তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ে কিছু কিছু এলাকায় ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার সকল এলাকায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করায় রোগ বালাই কিছুটা কম আছে। আগাম পরামর্শ দেওয়ায় ব্লাস্ট রোগ তেমন চোখে পড়েনি।
    তবে মাগুরা ও জালালপুর এলাকায় কিছু জমিতে রোগ দেখা দিয়েছে তবে তা চোখে পড়ার মত না। এবছর উপজেলায় ব্রি-ধান ২৮ বেশি পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে তাছাড়া ৬৭, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষ্ণু ধান চাষাবাদ হয়েছে।

  • চারটি ঘর মূল্যবান কাগজপত্র ও সম্পদ ভষ্মীভূত সাতক্ষীরার তালায় খ্রীস্টান মিশনে আগুন

    চারটি ঘর মূল্যবান কাগজপত্র ও সম্পদ ভষ্মীভূত সাতক্ষীরার তালায় খ্রীস্টান মিশনে আগুন


    আব্দুল জলিল সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মহান্দি গ্রামে খ্রীস্টান মিশনে আগুন লেগে চারটি ঘর ভষ্মীভূত হয়েছে। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও মিশনের মূল্যবান কাগজপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
    বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেয়। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
    স্থানীয় খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। একই কথা জানিয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি রাসেল বলেন তারপরও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। তবে মিশনের পালক অনাদি মোহন জানান তার সাথে গ্রামের কয়েকজন খ্রীষ্টান সদস্যের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে এ ঘটনা ঘটেও থাকতে পারে। তিনি জানান আগুনে ২০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে।
    মিশনের পালক অনাদি মোহন জানান গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে অচেতন তখনই এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান মুহুর্তেই টিন শেডের চারটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে আটটি কমপিউটার , দুটি ল্যাপটপ, কয়েকটি সিলিং ফ্যান এবং ২৩৩ জন শিশুর জন্য রাখা শিক্ষা উপকরন, ব্যাগ, শুকনো খাবার ও স্বাস্থ্য সেবার যাবতীয় উপকরণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরও জানান ‘মহান্দি এজি মিশন’ নামের এই খ্রীস্টান মিশনটি ১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। এখানে রক্ষিত এতো দিনের যাবতীয় ডকুমেন্ট আগুনে পুড়ে গেছে। টিন শেডের এই ঘরের মধ্যে রয়েছে বাঁশের চাচের বেড়া। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও জানান এই মিশনে খ্রীস্টান শিশুদের লেখাপড়া শেখানো, তাদের স্বাস্থ্যসেবাদান এমনকি মেয়েরা বিবাহযোগ্য হওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব পালন করা হয়ে থাকে। তার অভিযোগ এসব নিয়ে তার সাথে স্থানীয় কয়েকজন খ্রীষ্টান সদস্যের মত বিরোধ চলছিল।
    মিশনের নৈশপ্রহরী আসগর আলি জানান রাতে পাহারাকালিন তিনি কিছুক্ষণের জন্য তন্দ্রালু হয়ে পড়েন। হঠাৎ আগুন দেখে তিনি চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসে।
    এদিকে পালক অনাদি মোহন আরও জানান সর্বশেষ তার নিজ ঘরে আগুন লাগার আগেই তিনি তার মোটর সাইকেল, টিভি ,ফ্রীজ বের করে আনেন। তিনি জানান আগুন লাগা ঘরগুলি তালাবদ্ধ ছিল। এর জানালাগুলিও ভেতর থেকে ভালভাবে লটকানো ছিল। এ জন্য সেখানকার কোনো সম্পদ তিনি চেষ্টা করেও বের করে আনতে ব্যর্থ হন।
    সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান জানান ‘ আমিসহ আমার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিশনের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করার আগেই বেশিরভাগ সম্পদ পুড়ে যায়। পরে আগুন পূর্ন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়’।
    অগ্নিকান্ডের এ ঘটনায় তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের কার্যক্রম চলছে বলে জানান পালক।

  • সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : মরণদশায় খননকৃত ৯০ কিমি নদ ক্রসড্যাম নেই, কপোতাক্ষে ফের পলি

    সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : মরণদশায় খননকৃত ৯০ কিমি নদ ক্রসড্যাম নেই, কপোতাক্ষে ফের পলি


    নিজস্ব প্রতিনিধি। খননকৃত কপোতাক্ষ নদে ফের পলি জমতে শুরু করেছে। মরণদশা থেকে বেঁচেও এরই মধ্যে ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদ আবারও মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ২৫ লাখ জনগোষ্ঠীর কপোতাক্ষ অববাহিকার বাসিন্দারা বলছেন কপোতাক্ষ রক্ষায় টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা জোয়ারাধার) প্রকল্প চালু করেও এবার নদের মাঝ বরাবর ক্রসড্যাম না দেওয়ায় তালা উপজেলার পাখিমারা জোয়ারাধারে পলি অবক্ষেপিত হ”েছ না। একইভাবে কপোতাক্ষে জোয়ারে আসা পলি জমে এ অব¯’ার সৃষ্টি হচ্ছে। এখনই এই পলি জমা রোধ করতে না পারলে এখানকার টিআরএম প্রকল্প ভেস্তে যেতে পারে এমন আশংকা তাদের। তারা আরও বলেন এ ধরনের জটিলতার কারণে যশোরের বিল খুকশিয়া ও বিল কপালিয়ার জোয়ারাধার প্রকল্প লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একই কারণে এলাকাবাসী কপোতাক্ষ অববাহিকায় আগের মতো ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রিয় পানি কমিটি সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে যে নিয়ম অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের দিকে পলি আসার আগে নদীতে ক্রসড্যাম দিতে হয়। কয়েকমাস পর বর্ষা মওসুম শুরু হতেই তা অপসারন করে নদী উন্মুক্ত করে দিতে হয়। তারা জানান এবার ৬৪ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়ে ক্রসড্যামের কাজ শুরু করলেও তা এখনও শেষ হয়নি। অথচ বর্ষা মওসুম আগত প্রায়। ফলে কপোতাক্ষে পলি জমা হ”েছ শত শত টন। অন্যদিকে এর সাথে সংযুক্ত পাখিমারা জোয়ারাধার প্রকল্পে পলি অবক্ষেপিত হতে পারছে না। ফলে সেখানে মাটি ভরাটও হ্রাস পেয়েছে। জোয়ারাধার প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। নদীতে ৮০ ভাগ পলি আসে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। তারা আরও জানান জোয়ারাধার বা টিআরএম এর প্রধান লক্ষ্য হ”েছ খননকৃত নদী যাতে ফের পলি পড়ে ভরাট না হয়। একই সাথে সাগর থেকে আসা পলি যাতে টিআরএম বিলে অবক্ষেপিত হয়ে বিলটি দ্রুত ভরাট হতে পারে। তারা জানান যথাসময়ে ক্রসড্যাম নির্মিত না হওয়ায় এরই মধ্যে খননকৃত নদের এক তৃতীয়াংশ পলি দ্বারা ভরাট হয়ে গেছে। তারা আরও বলেন নদের মুখে কাটপয়েন্টের উজানে ক্রসড্যাম নির্মান জরুরি ছিল। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সেক্রেটারি মীর জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দিন জোয়ার্দার ও অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রী বরাবর এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রসড্যাম সম্পন্ন করা সহ তিন দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ খনন এবং টিআরএম বাস্তবায়নে যেসব শর্ত ছিল তার মধ্যে প্রতি
    বছর শত ফুটেরও বেশি চওড়া ক্রসড্যাম দেওয়া ও তা যথাসময়ে অপসারনের বিষয় উল্লেখ ছিল। গত বছর এ কাজে বরাদ্দ ছিল ৮৬ লাখ টাকা। অথচ এবার কোনো কাজই দৃশ্যমান না হওয়ায় কপোতাক্ষ ফের
    মরণ দশার দিক ঝুঁকে পড়ছে বলে জানিয়েছেন ¯’ানীয়রা। কপোতাক্ষ সংযুক্ত পাখিমারা টিআরএম প্রকল্পে ক্রসড্যাম না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মো. সাঈদুর রহমান জানান ক্রসড্যাম আমরা ফেব্রুয়ারিতে শুরু করেছিলাম। কিš‘ কপোতাক্ষ খননের পর এর পানির ভলিউম এবং স্ধেসঢ়;্রাত ও জোয়ারভাটা বেড়ে গেছে। ফলে চাকলা ব্রীজের কাছে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পাখিমারা ক্রসড্যামও ধসে গেছে। বৃষ্টির কারণে নতুন করে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। ফের কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই ক্রসড্যাম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

  • সংগীতে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন তালার দুই ছাত্রী

    সংগীতে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন তালার দুই ছাত্রী


    সেলিম হায়দার ॥
    জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সংগীতে খুলনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তালার দুই কৃতী শিক্ষার্থী। তারা তালা গণসাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ছাত্রী। এরমধ্যে কলেজ পর্যায়ে তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেবশ্রী পাল উচ্চাঙ্গ সংগীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এবং স্কুল পর্যায়ে তালা শহীদ আলী আহমেদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়িতা দেবনাথ নজরুল সংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। শুক্রবার বয়রা সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এবং সদস্য সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর হারুনর রশীদ তাদের হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন।


  • পাউবি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতায় ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ পারের ২০ লাখ মানুষ


    মো. মুশফিকুর রহমান রিজভি: পাউবি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতায় ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ পারের ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ব্যর্থ হতে বসেছে সরকারের ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার প্রকল্প। কপোতাক্ষ নদীতে ক্রসড্যাম স্থাপনে কালক্ষেপণ করায় নদীটি মরে যাওয়ার আশক্সক্ষা দেখা দিয়েছে।
    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কপোতক্ষ নদের নব্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাহ তৈরী লক্ষ্যে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে এ প্রকল্পের আওতায় মূলত দুটি কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার একটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন এবং অন্যটি টিআরএম এলাকা থেকে উজান অংশের ৯০ কিলোমিটার নদী খনন।
    টিআরএম (ঞরফধষ জরাবৎ গধহধমবসবহঃ) হচ্ছে জোয়ার-ভাটার নদী ব্যবস্থাপনা বা জোয়ারাধার ব্যবস্থাপনা। মূলত টিআরএম হলো বিলের মধ্যে জোয়ার ভাটা চালু করা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নদী তীরের বাঁধ কেটে সরাসরি বিলের মধ্যে জোয়ার প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে নদীর সাথে-সাথে বিলের মধ্যেও রাতদিনে ২৪ ঘন্টায় ২ বার জোয়ার এবং ২ বার ভাটা সংঘটিত হবে। এতে জোয়ারের সাথে আগত পলি বিলের মধ্যে জমা হবে এবং ভাটার সময় পলিমুক্ত পানি নদীতে বের হয়ে যায়। এতে নদী বক্ষে পলি অবক্ষেপিত হতে পারবে না বরং নদী গভীর থেকে গভীরতর হবে এবং নিচু বিলে পলি জমে সারা বছর চাষাবাদের উপযোগী হবে।
    পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় খননকৃত নদী রক্ষার কৌশল হিসেবে টিআরএম চলাকালে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম (বাঁধ) নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম বিলে প্রবেশ করানো হবে এবং বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পুনরায় ক্রসড্যাম তুলে দেয়া হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। এবং উন্নয়ন বোর্ডকে প্রকল্পবাস্তায়রে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
    সরকারে এ পরিকল্পনা এবার ব্যর্থ হওয়ার আশংক্ষ্যা দেখা দিয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুম আগত হলেও এখন পর্যন্ত ক্রসড্যাম নির্মাণ করাই হয় নি। অভিযোগ আছে পানি উন্নয়ন বোডের্র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিআরএম প্রযুক্তিকে ব্যার্থ প্রমাণ করতে ক্রসড্যাম নির্মাণে অবহেলা করছেন। অনেকের ধারণা, টিআরএম ব্যর্থ হলে কপোতাক্ষ নদী মারা যাবে আর এ মরা নদী ইজারা দেওয়া হবে মাছ চাষের জন্য। এমনটি হলে আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে নদীর অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রসড্যাম নির্মাণের মূল কাজ শুরুই হয়নি। আর নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা সংবাদকর্মীদের আগমনের খবর পেয়ে আগে থেকেই স্থান ত্যাগ করেন। তবে জানা গেছে, এবছর ক্রসড্যাম নির্মাণ কাজটি ‘অনুন্নয় রাজস্ব খাতের আওতায় পাখিমারা টিআরএম বিলের লিংক ক্যানেলের উজানে কপোতাক্ষ নদীতে অস্থায়ীভাবে ক্লোজার নির্মাণ ও অপসারণ কাজ’ নামে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্যাকেজ নং-‘ই-টেন্ডার জেএনডিআর-০১/ও টিএম/২০১৭-২০১৮’ ওয়ার্ক অর্ডার হয়। মেসার্স মাইশা ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬২ টাকার কাজটি প্রাপ্ত হন।
    ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ২ সপ্তাহ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লোজার সমাপ্ত করা এবং ২৫ জুন ১৩৫ দিনের মধ্যে অপসারণসহ কাজ সমাপ্তির নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ক্লোজার নির্মাণের সময় শেষ হয়ে আরো ১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি।
    নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনও পর্যন্ত কেন ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে এ কাজের সাব-কন্ট্রাক্টর তোজাম আলী বলেন, কিছু দিন আগেই আমরা ক্লোজার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছিলাম। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ করার আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য আবার প্রথম থেকে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এবারই প্রথম ক্লোজার নির্মাণ করছি। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কিনতে দেরি হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।
    এদিকে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘উত্তরণ’র তথ্যমতে, পলিযুক্ত জোয়ারবাহিত প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি নদীতে অনুপ্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে জোয়ারবাহিত আগত প্রচুর পলি নদী বক্ষে পতিত হয়ে নদীর তলদেশ অনেকাংশ ভরাট করে ফেলেছে। অন্যদিকে পানিতে পলির আধিক্যতায় এলাকাবাসীর আশংকা যে, এভাবে পলির অবক্ষেপন ঘটলে নদী এ বছরই মারা যাবে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত ক্রসড্যাম সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
    এ ব্যাপারে নদী তীর সংলগ্ন বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আরশাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ করা হলো না আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এখন আতংকে আছি আবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় কিনা।
    এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, আমরা ক্লোজার নির্মাণের স্থানটি ঘুরে দেখেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের ডেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছি। মূলত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতির কারণে সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জোয়ারের আগেই ক্লোজার নির্মাণ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।

    : পাউবি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতায় ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ পারের ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ব্যর্থ হতে বসেছে সরকারের ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার প্রকল্প। কপোতাক্ষ নদীতে ক্রসড্যাম স্থাপনে কালক্ষেপণ করায় নদীটি মরে যাওয়ার আশক্সক্ষা দেখা দিয়েছে।
    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কপোতক্ষ নদের নব্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাহ তৈরী লক্ষ্যে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে এ প্রকল্পের আওতায় মূলত দুটি কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার একটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন এবং অন্যটি টিআরএম এলাকা থেকে উজান অংশের ৯০ কিলোমিটার নদী খনন।
    টিআরএম (ঞরফধষ জরাবৎ গধহধমবসবহঃ) হচ্ছে জোয়ার-ভাটার নদী ব্যবস্থাপনা বা জোয়ারাধার ব্যবস্থাপনা। মূলত টিআরএম হলো বিলের মধ্যে জোয়ার ভাটা চালু করা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নদী তীরের বাঁধ কেটে সরাসরি বিলের মধ্যে জোয়ার প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে নদীর সাথে-সাথে বিলের মধ্যেও রাতদিনে ২৪ ঘন্টায় ২ বার জোয়ার এবং ২ বার ভাটা সংঘটিত হবে। এতে জোয়ারের সাথে আগত পলি বিলের মধ্যে জমা হবে এবং ভাটার সময় পলিমুক্ত পানি নদীতে বের হয়ে যায়। এতে নদী বক্ষে পলি অবক্ষেপিত হতে পারবে না বরং নদী গভীর থেকে গভীরতর হবে এবং নিচু বিলে পলি জমে সারা বছর চাষাবাদের উপযোগী হবে।
    পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় খননকৃত নদী রক্ষার কৌশল হিসেবে টিআরএম চলাকালে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম (বাঁধ) নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম বিলে প্রবেশ করানো হবে এবং বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পুনরায় ক্রসড্যাম তুলে দেয়া হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। এবং উন্নয়ন বোর্ডকে প্রকল্পবাস্তায়রে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
    সরকারে এ পরিকল্পনা এবার ব্যর্থ হওয়ার আশংক্ষ্যা দেখা দিয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুম আগত হলেও এখন পর্যন্ত ক্রসড্যাম নির্মাণ করাই হয় নি। অভিযোগ আছে পানি উন্নয়ন বোডের্র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিআরএম প্রযুক্তিকে ব্যার্থ প্রমাণ করতে ক্রসড্যাম নির্মাণে অবহেলা করছেন। অনেকের ধারণা, টিআরএম ব্যর্থ হলে কপোতাক্ষ নদী মারা যাবে আর এ মরা নদী ইজারা দেওয়া হবে মাছ চাষের জন্য। এমনটি হলে আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে নদীর অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রসড্যাম নির্মাণের মূল কাজ শুরুই হয়নি। আর নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা সংবাদকর্মীদের আগমনের খবর পেয়ে আগে থেকেই স্থান ত্যাগ করেন। তবে জানা গেছে, এবছর ক্রসড্যাম নির্মাণ কাজটি ‘অনুন্নয় রাজস্ব খাতের আওতায় পাখিমারা টিআরএম বিলের লিংক ক্যানেলের উজানে কপোতাক্ষ নদীতে অস্থায়ীভাবে ক্লোজার নির্মাণ ও অপসারণ কাজ’ নামে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্যাকেজ নং-‘ই-টেন্ডার জেএনডিআর-০১/ও টিএম/২০১৭-২০১৮’ ওয়ার্ক অর্ডার হয়। মেসার্স মাইশা ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬২ টাকার কাজটি প্রাপ্ত হন।
    ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ২ সপ্তাহ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লোজার সমাপ্ত করা এবং ২৫ জুন ১৩৫ দিনের মধ্যে অপসারণসহ কাজ সমাপ্তির নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ক্লোজার নির্মাণের সময় শেষ হয়ে আরো ১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি।
    নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনও পর্যন্ত কেন ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে এ কাজের সাব-কন্ট্রাক্টর তোজাম আলী বলেন, কিছু দিন আগেই আমরা ক্লোজার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছিলাম। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ করার আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য আবার প্রথম থেকে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এবারই প্রথম ক্লোজার নির্মাণ করছি। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কিনতে দেরি হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।
    এদিকে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘উত্তরণ’র তথ্যমতে, পলিযুক্ত জোয়ারবাহিত প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি নদীতে অনুপ্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে জোয়ারবাহিত আগত প্রচুর পলি নদী বক্ষে পতিত হয়ে নদীর তলদেশ অনেকাংশ ভরাট করে ফেলেছে। অন্যদিকে পানিতে পলির আধিক্যতায় এলাকাবাসীর আশংকা যে, এভাবে পলির অবক্ষেপন ঘটলে নদী এ বছরই মারা যাবে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত ক্রসড্যাম সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
    এ ব্যাপারে নদী তীর সংলগ্ন বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আরশাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ করা হলো না আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এখন আতংকে আছি আবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় কিনা।
    এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, আমরা ক্লোজার নির্মাণের স্থানটি ঘুরে দেখেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের ডেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছি। মূলত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতির কারণে সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জোয়ারের আগেই ক্লোজার নির্মাণ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।

  • তালায় সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ

    তালায় সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুজুনশাহা ঋর্ষি পাড়া এলাকায় সড়কের পাশের ৪টি মেহগনি গাছ কাটার সময় বুধবার সকালে বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এরপর থেকে গাছ মালিক ফের গাছ কাটার জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে।
    জানা গেছে,তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজুনশাহা ঋর্ষি পাড়া এলাকায় সরকারী রাস্তার লাগানো ৪টি মেহগনি বড় সাইজের গাছ যার মূল্য ৪০ হাজার টাকার স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ী উজিরের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে সুজুনশাহা গ্রামের মহাসীন শেখ ।
    বুধবার সকালে কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কাটতে থাকলে এলাকাবাসী উপজেলা সহকারী ভুমি অফিসে জানায়। সহকারী ভুমি কমিশনার অনিমেষ বিশ্বাস স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভুমি অফিসার ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।
    ঐ ৪টি গাছের মধ্য থেকে দু’টি গাছ আগেই নিয়ে যায় কাঠ ব্যবসায়ী। গাছ কাটা বন্ধ করার পর থেকে গাছ মালিক গাছগুলো তার নিজের দাবী করে বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। তবে গাছের মালিক মহাসীন শেখ তার নিজের জমিতে গাছ দাবি করেছেন।

  • প্রতি ১ লিটার পানিতে ঢুকছে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি ॥সরকারের অর্ধকোটি টাকা গচ্চার পাশাপাশি মূল লক্ষ্য হারাবে খনন কার্যক্রম ॥ তালায় কপোতাক্ষ নদে ক্রসড্যাম উঠিয়ে দেয়ার সময় আসলেও নির্মান কাজ শেষ হয়নি ?

    প্রতি ১ লিটার পানিতে ঢুকছে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি ॥সরকারের অর্ধকোটি টাকা গচ্চার পাশাপাশি মূল লক্ষ্য হারাবে খনন কার্যক্রম ॥ তালায় কপোতাক্ষ নদে ক্রসড্যাম উঠিয়ে দেয়ার সময় আসলেও নির্মান কাজ শেষ হয়নি ?


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    কপোতাক্ষ উপকূলীয় জনপদের স্থায়ী জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কপোতাক্ষ খনন ও এর সফল বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা তালার পাখিমারা টিআরএম বিল ব্যবস্থপনা এলাকায় নদের উপর ক্রসড্যাম কর্তনের সময় চলে আসলেও এখন পর্যন্ত স্থাপনই করা হয়নি ক্রসড্যাম। এতে করে শুষ্ক মওসুমের জোয়ারবাহিত পলিতে ভরাট হয়ে কপোতাক্ষে তৈরী হয়েছে পূর্বের অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন বর্ষা মওসুমে পানি নিষ্কাশনে ক্রসড্যাম উঠিয়ে দিলে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকা গচ্চার পাশাপাশি মূল লক্ষ্য হারাবে খনন কার্যক্রম। ধারণা করা হচ্ছে,প্রকল্পভূক্ত টিআরএম প্রযুক্তিকে ব্যর্থ প্রমানে পরিকল্পিতভাবে ক্রসড্যাম স্থাপনে কাল ক্ষেপন হচ্ছে।
    জানাযায়,কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিগত ২০১১ সালে ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পে (১ম পর্যায়)’ মূলতঃ দুটি কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার একটি পাখিমারা বিলে টিআরএম স্থাপন এবং অন্যটি ৯০ কিমি. নদী খনন। পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় খননকৃত নদী রক্ষার কৌশল হিসেবে টিআরএম চলাকালে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম বিলে প্রবেশ করানো হয় এবং বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পুনরায় ক্রসড্যাম তুলে দেয়া হয়।
    প্রকল্পে ২০১৬-২০১৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কপোতাক্ষ অববাহিকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পায়। নদী রক্ষায় পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় ক্রসড্যাম স্থাপন একটি নিয়মিত কার্যক্রম হলেও চলতি বছর পলি মওসুমের অনেক আগেই নদীতে পলির আগমন ঘটেছে এবং প্রচুর পরিমাণে পলি টিআরএম এর উজান অংশে প্রবেশ করে নদীর তলদেশ ভরাট করেছে। এর পরি প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে অর্থাৎ শুষ্ক মওসুমের শুরুর এই সময়ে নদীতে ক্রসড্যাম না দিলে নদীকে রক্ষা করা যাবে না।
    উত্তরণের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে পলিযুক্ত জোয়ারবাহিত প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি নদীতে অনুপ্রবেশ করছে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত ক্রসড্যাম সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে উত্তরণ ও পানি কমিটি কর্তৃক গত ৫ জানুয়ারী ও ১০ মার্চ ২০১৯ তারিখ সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছিল। তখন পাউবো’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এ কাজটি খুব দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে, এখনও পর্যন্ত তা সম্পন্ন করা হয়নি। ইতোমধ্যে জোয়ারবাহিত আগত প্রচুর পলি নদী বক্ষে পতিত হয়ে নদীর তলদেশ অনেকাংশ ভরাট করে ফেলেছে। অন্যদিকে পানিতে পলির আধিক্যতায় এলাকাবাসীর আশংকা যে, এভাবে পলির অবক্ষেপন ঘটলে নদী এ বছরই মারা যাবে।
    উল্লেখ থাকে যে, গত বছরও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। জনগণের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে বাঁধ স্থাপন করতে পেরেছিল। নদী রক্ষায় যেহেতু এটা একটা নিয়মিত কার্যক্রম সেহেতু সময়মতো তার বাস্তবায়ন না ঘটলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রায় ২৬২ কোটি টাকার কপোতাক্ষ প্রকল্পের সুফল জনগণ বেশীদিন ভোগ করতে পারবে না বলে এলাকাবাসীর আশংকা। সেজন্য ক্রসড্যাম স্থাপন নিয়ে কোন রকম অবহেলা করা যাবে না। ফলে এ বিষয়টি যাতে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের আওতায় রাখা যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ অতি জরুরী।
    তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ২০২১ সাল পর্যন্ত টিআরএম চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতি দ্রুত কপোতাক্ষ নদের ২য় পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করা এবং গুরুত্ব প্রদান করে ভবিষ্যতে নদী রক্ষার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি বছর নদীতে ক্রসড্যাম স্থাপনের কাজ সমাপ্ত করা এবং যথাসময়ে তা অপসারণ করার দাবী জানান।
    এদিকে প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত টিআরএম প্রযুক্তিকে ব্যর্থ প্রমাণিত করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্রসড্যাম দেয়ায় বিলম্ব করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী মনে করছে। ক্রসড্যাম স্থাপনের ক্ষেত্রে ধীরগতি ও সময়ক্ষেপনে দ্রুত নদী ভরাট ও টিআরএম বিলে পলি ভরাট উভয় ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
    জানাযায়, ক্লোজার নির্মাণ কাজটি “অনুন্নয় রাজস্ব খাতের আওতায় পাখিমারা টিআরএম বিলের লিংক ক্যানেলের উজানে কপোতাক্ষ নদীতে অস্থায়ীভাবে ক্লোজার নির্মাণ ও অপসারণ কাজ” নামে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্যাকেজ নং ই-টেন্ডার জেএনডিআর ও ওয়ার্ক অর্ডার হয়। মেসার্স মাইশা ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬২ টাকার কাজটি প্রাপ্ত হন। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ২ সপ্তাহ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লোজার সমাপ্ত করা এবং ২৫জুন ১৩৫ দিনের মধ্যে অপসারণসহ কাজ সমাপ্তির নির্দেশনা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে ক্লোজার নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা তিন মাস পরও নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার জনগণ এর কারণ তদন্ত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
    এব্যাপারে সাব ঠিকাদার তোজাম আলী জানান, ক্রাসড্যাম স্থাপনার কাজ দ্রুত গতিতে চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ ঝড় এবং বৃষ্টির ফলে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটির নির্মান কাজ শেষ করা হবে।
    যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঠিকাদারা প্রতিষ্ঠানকে ডেকেছি এবং তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। আগামী গোন শেষ হলেই ক্লোজারের কাজ শেষ করতে হবে।

  • গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত(এসি) ঘর আর চোখে পড়েনা

    গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত(এসি) ঘর আর চোখে পড়েনা


    সুমন চক্রবর্তি ॥ আধুনিকতায় ছোঁয়া আর কালের আবর্তে পাটকেলঘাটায় গ্গ্রামের মানুষের এসি ঘর হিসেবে খ্যাত মাটির তৈরি ঘর। অতীতে মাটির ঘর গরিবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলা হত। কিন্তু এখন আর সেটা বলা যাচ্ছে না। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর। আগের মতো এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না এই মাটির ঘর-বাড়ি।
    জানা যায়, এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়-কুটা, টালী, অথবা ঢেউটিনের ছাউনি দেয়া হত। আর এই মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হয় এলাকা ভেদে, পাটকেলঘাটায় এমনটি নেই। সব ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আলপনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে ইট-সিমেন্টের ঘর নির্মাণে এখন উৎসাহী হচ্ছে মানুষ। এক সময় পাটকেলঘাটা থানার বিভিন্ন গ্রামের ও অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও প্রবল বর্ষণে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু কালের আবর্তে দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির ঘর।

  • রায়ের আগেই জমি জবরদখলের অভিযোগ: তালায় প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে একই জমির দ্বিতীয় দফায় বন্দোবস্ত গ্রহন ॥ উচ্চাদালতে আপীল


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরা তালায় কলাপোতা এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে প্রায় ১ বিঘা জমির বন্দোবস্ত নিয়ে অন্যের দখলীয় পুকুর থেকে মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভূক্তভোগী মহিউদ্দীন বিশ্বাস তালা থানায় উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন।

    ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগে প্রকাশ,তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের আ: মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মো: মহিউদ্দীন বিশ্বাস গং ১৯৪৭ সালের পূর্ব থেকে পৈত্রিক সূত্রে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ঐ সম্পত্তির দীর্ঘ দিন খাজনা বকেয়া থাকায় খাস খতিয়ানে চলে গেলে সরকার তা অন্যত্র ব্যাংক অব কমার্স খুলনার নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাংকের নিকট থেকে জনৈক বাদল চন্দ্র সাধ ও পরে ফের তারা বাদল চন্দ্রের নিকট থেকে কোবলা মূলে খরিদ করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ-দখল করে আসছিল।

    ইতোমধ্যে উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার জনৈক আ: সাত্তার গং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের ভূল বুঝিয়ে ও তথ্য গোপন করে ঐসম্পত্তির প্রায় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি ফের সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়। বিষয়টির খবর পেয়ে জমির মালিক মোছাম্মাৎ সখিনা খাতুন গং প্রথমে সাতক্ষীরা এডিশনাল জেলা ৩য় আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সরকারের পক্ষে রায় হলে পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

    সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার বিবাদমান সম্পত্তির পুকুরে স্যালো মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে তারা তাদেরকে পুকুরের পানি না সেচতে অনুরোধ করলেও তারা কারো কোন কথায় কর্ণপাত না করে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এমতাবস্থায় তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় তালা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

    এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দফায় দফায় শালিসী বসলেও তারা কারো কথা মানতে নারাজ। ভূক্তভোগী পরিবারসহ শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর দাবি,এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা আ: সাত্তার শেখ গংদের প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    এব্যাপারে তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাঈদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে তারা উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজ পত্রাদিসহ পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিে উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • তালায় পাটের গুদামে আগুন, পুড়ে গেছে দুই’শ মন পাট ও পাঁচটি গরু

    তালায় পাটের গুদামে আগুন, পুড়ে গেছে দুই’শ মন পাট ও পাঁচটি গরু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় পাটের গুদামে আগুন লেগে প্রায় দু’শত মন পাট পুড়ে ভুস্মিভুত ও পাঁচটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আগুনে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবী। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেরছি গ্রামে এঘটনা ঘটেছে।
    স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেরছি গ্রামের মৃত রাজ্জাক মোড়লের ছেলে আব্দুল হামিদ মোড়লের নিজ বাড়ীতে রক্ষিত পাটের গুদামে আগুন লাগে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ঘরে রক্ষিত প্রায় দু’শত মন পাট পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। সাথে সাথে ৫টি গরুও আগুনে পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কি কারণে আগুনের সুত্রপাত তা জানা যায়নি।

  • তালায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা : আটক ৩

    তালায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা : আটক ৩

    নিজস্ব প্রতিনিধি: তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শামছুর শেখ (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিতা-পুত্রসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
    নিহত শামছুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ, তিনি স্থানীয় মাগুরা বাজার থেকে কেনা-কাটা করে বাড়িতে পৌছে বারান্দায় ওঠার সময় একই এলাকার আফাজ উদ্দীন শেখের ছেলে হায়দার শেখের নেতৃত্বে আফাজ নিজে, অপর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (২২), ফারুখ, মোস্তফা শেখের ছেলে নাদীম (২২) সহ অন্যান্যরা সংঘবদ্ধভাবে তার উপর হামলা করে পিটাতে থাকে এক পর্যায়ে তারা তাদের কাছে থাকা ফারাশি দিয়ে শরীরের মাজাসহ বিভিন্নস্থানে আঘাত করলে শামছুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
    নিহতের ছেলে সালাম শেখ ও স্ত্রী মোমেনা বেগম জানান, শামছুর রহমান প্রায় ২০/২৫ বছর ধরে মাগুরার মৌজার কাশিদা বিলের প্রায় ৫০ শতাংশ জমি সরকারের কাছ থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। প্রায় বছর খানেক হল, একই এলাকার আফাজ উদ্দীন শেখের ছেলে হায়দার শেখ ঐসম্পত্তির দখল নিতে নানা তালবাহানা ও গোলযোগ করে আসছিল। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা ঐঘটনা ঘটায়।
    এদিকে খবর পেয়ে এএসপি সার্কল অপু সরোয়ার, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ও তদন্ত (ওসি) কাজী শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক রঘুনাথপুরের মৃত মুনছুর আলী শেখের ছেলে আফাজ উদ্দীন (৭০), তার ছেলে হাবিবুর রহমান হবি ও মোস্তফা শেখের ছেলে নাদীম(২০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়েছে।
    এবিষয়ে তালা থানা অফিসার (ইনচার্জ) মেহেদী রাসেল জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • তালায় ৮ মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাঁই, কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

    তালায় ৮ মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাঁই, কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

    তালা প্রতিনিধি: তালায় আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে ৮টি মুদি দোকান। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যাবসায়ি ইলিয়াস হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তালা কাঁচাবাজারের ৮টি দোকানে আগুন লাগে। আগুনে পুড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ি বিশ্বনাথ সাধু, শক্তি সাধু ও আব্দুল জলিলসহ ৮জনের দোকান। এ সময় গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে সবাই যে যার মত পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় ওই ৮টি দোকান। দোকানগুলোতে চাল, ডাল, আটা, তেল, চা, বিস্কুটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ছিল বলে জানান ব্যবসায়িরা। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, তালায় আগুন লেগে কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে। ব্যাবসায়িদের এতে কয়েক লক্ষ টাকার মুদি মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

  • রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে পাটকেলঘাটায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশ ও বেত শিল্প

    রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে পাটকেলঘাটায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশ ও বেত শিল্প

    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাটকেলঘাটা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পরিবেশবান্ধব গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বাঁশ ও বেত শিল্প।
    গ্রামীণ বাংলায় আবহমানকাল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় বাঁশ ও বেত দিয়ে প্রস্তুতকৃত শিল্প সামগ্রী ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আসছে। কালের গর্ভে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গিয়েছে সর্বত্র গ্রাম বাংলার চিত্র। দিন দিন বাঁশ ও বেত শিল্পের কদর কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি চরম দূর্দিন নেমে এসেছে শিল্পটির সাথে জড়িতদের। প্লাস্টিক সামগ্রীর জিনিস পত্র ব্যবহারই এ শিল্প ধংসের কারন কারন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
    সরেজমিনে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা থানায় এক সময় বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি নানা প্রকার শিল্প সামগ্রীর বেশ কদর ছিল। বাঁশ ও বেত দিয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত সামগ্রীর মধ্যে; ঝুড়ি, ডালা, কুলা, চাঙ্গারী, মুড়া, ঢুষি, হাতপাখা, চালোন, টোকা, বাঁশি, গোলা, ডোলা, আউড়ি, চাঁচ, ধামা, পাতি, চেয়ার, টেবিল, বই রাখার তাক সহ বিভিন্ন প্রকার শিল্প সামগ্রী ব্যবহার করা হত। ধনী-গরীবসহ সকল পেশার মানুষ কম বেশি অনায়াসেই বাঁশ ও বেত জাত সামগ্রী ব্যবহার করত। পাশাপাশি এ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা চালাতো অনেক সুন্দরভাবে। বর্তমানে সময়ের ব্যবধানে আধুনিক ষ্টীল, প্লাষ্টিকের তৈরি নিত্য নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন সামগ্রী খুব সহজে অনেক কম মূল্যে হাতের নাগালে টেকসই হওয়ার কারণে এবং প্রচুর পরিমানে এ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বাঁশ ও বেত দিয়ে প্রস্তুতকৃত শিল্প সামগ্রী সকলের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে বলে অনেকেই জানায়। সাথে সাথে এ শিল্পের কারিগররা সীমাহীন কষ্টের মধ্যে থেকেও পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে। অনেকে পেশা বদল করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত হয়েছে। পাটকেলঘাটার আশেপাশের বাঁশ ও বেত শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের প্রায় সবাই ঋষি সম্প্রদায়ের। এরা শুধু সমাজে অবহেলিত বঞ্চিতই নয়, পাশাপাশি সরকারের দেওয়া প্রায় সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা থেকেও অনেকটা বঞ্চিত বলে তাদের অভিযোগ। সাথে তাদের তৈরি শিল্প সামগ্রীর চাহিদা কালেরগর্ভে হারিয়ে যাবার কারণে অনেকে করছে মানবেতর জীবন-যাপন। থানার তৈলকুপি, যুগিপুকুরিয়া, কাশিপুর, ধানদিয়া, মিঠাবাড়ি, কাশিয়াডাঙা গ্রামসহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট রবিন দাস, প্রশান্ত দাস, আরতি দাসী, অনিমা দাসী, ভারতী রানী দাসী, হরিপদ দাস, কালীদাসসহ একাধিক কারিগররা বলেন, বাঁশ ও বেত সংগ্রহ করে বাড়িতে পরিবারের সবাই মিলে প্রস্তুত করে বাজারে বিক্রয় করে বেশি লাভ থাকে না। বাজারে একটি ধামা ৩৫০-৮শ, পাতি ৭০-২৫০, ঝুড়ি ৮০-১০০, দোলনা ২০০-২৫০, কুলা ৫০-৮০, মুরগী ঢাকা ঝুড়ি ৮০-১০০, মাপার জন্য পাল্লা ২শ থেকে ৪শ টাকায় বিক্রয় করা হয়ে থাকে। তৈলকুপী গ্রামের বৃদ্ধা তপন দাস বলেন, পূর্বপুরুষদের পেশা ধরে রেখে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি। আমাদের এ কাজের উপর কেহ ঋন দেয় না। সেই পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রেখে আজও বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশ ও বেত সংগ্রহ করে ঝুড়ি, ডালা, ধামা, পাতি, চাঁচ, কুলা সহ বিভিন্ন প্রকারের সামগ্রী তৈরি করে থাকি। এলাকায় ঝোপ-ঝাড় না থাকায় বেত অনেকাংশে পাওয়া যায় না। শিল্পের সামগ্রী জোগাড় করতে অনেক সময় ও অর্থ লেগে যায়। মহিলারা গৃহস্থলির কাজের পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের তৈরি সকল জিনিস তৈরিতে পুরুষের সমান পারদর্শী। মহিলারা পরিবারের বাড়তি আয় হিসেবে প্রতিদিন এই কাজ করে প্রায় পুরুষের কাজের পাশে বাড়তি আয় ১০০-১৫০ টাকা যোগ করে।
    সর্বপরি বাঁশ ও বেত শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কারিগর ও সর্ব মহলের ধারণা: আধুনিক সরঞ্জমের ব্যবহার কমিয়ে সরকারি, বে-সরকারিভাবে কারিগরদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বাঁশ ও বেত শিল্প অর্থাৎ আমাদের দেশের হস্তশিল্প টিকিয়ে রাখা এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।

  • উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোয়ন যাচাই বাছাই : চেয়ারম্যান পদে সদর- ২, শ্যামনগর-৩, তালা-২, কলারোয়া-২, দেবহাটা-৫, আশাশুনি-২, কালিগজ্ঞ-৩ বৈধ্য

    https://dakshinermashal.com/

    সাতক্ষীরায় ৫ম উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ২০১৯ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াারম্যান পদপ্রার্থীদের মনোয়নপত্র যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শ্যামনগরে একজন ও তালা উপজেলায় একজনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবির্ক ও রিটার্নিং অফিসার মো.বদিউজ্জামান সাতক্ষীরা সদর,আশাশুনি,কালিগঞ্জ ও দেবহাটা এই ৪ উপজেলার প্রর্থীদের মনোয়ন পত্র যাছাই বাছাই করেন।

    সাতক্ষীরা সদরে উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু ও বিদ্রোহী প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন। এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করে বৈধতা ঘোষণা পেয়েছেন।

    আশাশুনিতে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই বাছাইয়ে চুড়ান্ত ভাবে বৈধতা পেয়েছেন,

    আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দুবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম ও বিদ্রহী প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু। এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম সাহেব আলি (উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি), জি এম আক্তারুজ্জামান (উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি), এমডি ফিরোজ আহমেদ (ব্যবসায়ী), মতিলাল সরকার (উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক), উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান স. ম সেলিম রেজা সেলিম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: মহিলা আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত সদস্য মোছাঃ হেনা গাজী ও ইউনিয়ন যুব মহিলালীগ সাধারণ সম্পাদক মোসলেমা খাতুন।

    কালিগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পেয়েছেন। কালিগঞ্জে বৈধ প্রার্থী হলেন যারা আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আতাউর রহমান, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে কালিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান শেখ মেহেদী হাসান সুমন।

    পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও উজ্জীবনী ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক ইকবাল আলম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল আহাছান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জি,এম, জাহাঙ্গীর কবির, থানা আওয়ামীলীগে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডি,এম,সিরাজুল ইসলাম, মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ সরদার, জি,এম, আব্দুল কুদ্দুস, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে থানা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেবুন্নাহার জেবু, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দিপালী ঘোষ, আফসানা বেগম, এবং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফারহানা।

    দেবহাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী বৈধ ঘোষীত হয়েছেন। প্রর্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল গনি, সাইদ মাহফুজুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যড. সম গোলাম মোস্তফা, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন।

    ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, জাতীয় পার্টির (জাপা) আনিছুর রহমান বকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মিসেস আমেনা রহমান, প্রিয়াংকা রানী, জিএম স্পর্শ এবং আফরোজা পারভীন।

    এদিকে জেলা নির্বাচন অফিসের কার্যালয়ে সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল হাসান সকাল ১০ টা থেকে তালা,কলারোয়া ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মনোয়নপত্র যাচাই বাছাই করেন।

    তালায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন মনোনয়ন পত্র ৩টি পদের বিপরীতে ১১ জন প্রার্থী জমা দিলেও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী থেকে বাদ পড়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা এসএম ফজলুল হক ।
    জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু।

    ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে বৈধতা পেয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইখতিয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মোঃ আমিনুজ্জামান ।
    ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তারী সুলতানা পুতুল, খেশরা ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সদস্য মুরশিদা পারভীন পাপড়ি ও সাংবাদিক সাকিলা ইসলাম জুই ।

    কলারোয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বৈধতা পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন (আওয়ামী লীগ মনোনীত) ও আমিনুল ইসলাম লাল্টু।এছাড়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আরাফাত হোসেন, রবিউল আলম মল্লিক ও কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিনা আনোয়ার ময়না, শাহনাজ নাজনীন খুকু ও রোজিনা সুলতানা দুলালী।

    শ্যামনগর উপজেলায় যে সকল প্রার্থী বৈধতা পেয়েছেন তারা হলেন চেয়ারম্যান পদে আতাউল হক দোলন (আওয়ামী লীগ মনোনীত), বিএনপির জিএম সাদিকুর রহমান সাদেম ও জিএম ওসমান গনি বৈধ প্রার্থী ঘোষনা করলেও আয়কর দাখিল না করার কারণে চেয়ারম্যান পদ থেকে অবৈধ ঘোষীত হলেন জিএম আজিবর রহমান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধতা পেয়েছেন জিএম কামরুজ্জামান, মো. শহিদুজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান, মো. শাহজালাল ও স. ম আবদুস সাত্তার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন নাদিজা সুলতানা, পাপিয়া হক ও নুরজাহান পারভীন।

    উল্লেখ্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বচনে প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৭ই মার্চ ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৮ই মার্চ বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবির্ক ও রিটার্নিং অফিসার মো.বদিউজ্জামান।

  • পাটকেলঘাটা অঞ্চলের আম গাছগুলোতে মুকুলে ভরে যেতে শুরু করেছে : চলছে পরিচর্যার কাজ

    পাটকেলঘাটা অঞ্চলের আম গাছগুলোতে মুকুলে ভরে যেতে শুরু করেছে : চলছে পরিচর্যার কাজ

    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা অঞ্চলের আম গাছগুলোতে মুকুলে ভরে যেতে শুরু করেছে। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মৌমাছির দল গুন গুন শব্দে, মনের আনন্দে আহরণ করে মধু। মৌমাছির এ গুন গুন সুরও কেড়ে নেয় অনেক প্রকৃতি প্রেমীর মন। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন। এখন থেকেই গাছে মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরো বাড়ছে। এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি। আমচাষী এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং সময়মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আমচাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। পাটকেলঘাটা থানাসহ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই রয়েছে আমবাগান। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গড়ে ওঠা নতুন আম বাগানগুলোর প্রায়ই বনেদি জাতের। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, গোবিন্দ ভোগ, লতা, বোম্বায় লতা, ফজলি, হিমসাগর, আম্রপালি, কাঁচা মিঠা, আশ্বিনা জাতেরই গাছ বেশি হচ্ছে। পাটকেলঘাটার সরুলিয়া এলাকায় আম বাগানের সংখ্যা বেশি। ওই এলাকার আমচাষী পলাশ খান জানান, এ বছরের আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূলে রয়েছে। গত বছরের চেয়ে টানা শীত ও কুয়াশার তীব্রতা এ বছর অনেক কম। গতবারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টিও হয়নি। এরই মধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফালগুনের মধ্যে পাটকেলঘাটাসহ উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি। আমচাষী ব্যবসায়ী কুমিরার গফ্ফার ও তালার শামিম হোসেন জানান, কৃষি অফিসারদের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছি। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষকজাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যদি সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের ফলন কমে যাবে বলে জানান। এলাকার আম ক্রেতা আব্দুল লতিফ, নজরুল ইসলাম, হাদিউজ্জামান জানান, কৃত্রিমভাবে বিশেষ করে ফরমালিন যুক্ত আম মানুষের স্বাদ মিটালেও নানান অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হয়। সর্বপরি আশা করা যায়,বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।

  • তালায় ধানের ক্ষেতে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বত্তরা

    তালায় ধানের ক্ষেতে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বত্তরা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক ব্যক্তির এক বিঘা রোরো ধানের ক্ষেতে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বত্তরা। ফলে ক্ষেতের ধান গাছ মরতে শুরু করেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার শিরাশুনী গ্রামের পশ্চিম মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জমির মালিক আলমগীর শেখ বিচারের দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী আলমগীর শেখ জানান, এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি । জমিটিতে ঘের করতে প্রস্তাব দেন একই এলাকার আবুল কাশেম সরদারের ছেলে মানজুর সরদার। কিন্তু ঘের করার জন্য জমি না দেওয়ায় তারই জের ধরে শুক্রবার রাতে হিংসাত্বক ভাবে আমার রোপনকৃত বোরো জমিতে উচ্চমাত্রার ঘাস মারা বিষপ্রয়োগ করে পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় বিচারের দাবীতে প্রশাসনের উদ্ধর্তন মহলের হসক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তুভোগী আলমগীর শেখ। অভিযুক্ত মানজুর শেখের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

  • তালায় যাত্রীবাহী বাস খাদে : আহত ২৫

    তালায় যাত্রীবাহী বাস খাদে : আহত ২৫

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা-পাইকগাছা সড়কে তালা উপজেলা ধাপুরপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস নং (ঢাকা মেট্রো-ড-৮০৭৫) তালা-পাইকগাছা সড়কের ধাপুরপুকুর নামক স্থানে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় খুলনা টুটপাড়ার নগেন ভদ্রের ছেলে ফটিক ভদ্র (৫৬) ও পাইকগাছা দরগামহল গ্রামের রওশনারা বেগম (৫৪) সহ ২৫ যাত্রী আহত হয়। তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।