Category: সাতক্ষীরা
-

এইচটিআই এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে রাজশাহী মহানগরীতে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন এইচটিআই (হ্যান্ডস টুগেদার ইনিশিয়েটিভস) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫ সকাল ১১:০০টায় রাজশাহী শহরের সিএন্ডবি মোড় সংলগ্ন পলিমাটি চত্ত্বরে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, রাজশাহী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুঃ রেজা হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, রাজশাহী’র সহকারী প্রকৌশলী এ,কে,এম আনোয়ার হোসেন এবং এইচটিআই এর উপদেষ্টা উপ প্রকৌশলী আলিফ মাহমুদ।এইচটিআই এর সভাপতি ও রেজিস্টার্ড নার্স, বিএনএমসি মো: নাহিদ হোসেন, নার্সিং শিক্ষার্থী মাহিম, ফারিয়া, সুরাইয়া, কোহিনুর, সুমাইয়া, ঐশি, আশিক, ওমিও, সৈকত ও সাইফ এর সার্বিক সহযোগিতায় আম, আমড়া, জলপাই, কাঁঠাল, চালতা, পেয়ারা, মেহগনি ও অর্জুন গাছসহ ২৫০ টি বিভিন্ন ফলদ ও ঔষধি গাছ জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা হয়। -

বৈকারি ইউনিয়নে আসক ও স্বদেশ সংস্থার উদ্যোগে মানবাধিকার বিষয়ক সিভিক কমিটি গঠন।
৬ আগষ্ট বুধবার ২০২৫ স্বদেশ-সাতক্ষীরায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত ”জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের নারী পুরুষ এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা- নাগরিকতা প্রকল্পটি দাতা সংস্থা এম্বাসি অব সুইজারল্যান্ড ও গ্লোবাল এফেয়ার্স ক্যানাডা এর অর্থায়নে মানবাধিকার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী পুরুষ ও অন্যান্য প্রান্তিক জণগোষ্ঠিকে ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এরই অংশ হিসাবে আজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নে মানবাধিকার সংরক্ষন পরিষদের আহবায়ক সোঃ হাবিবুর রহমান এবং শারসিন সুলতানাকে মানবাধিকার নারী পরিষদের আহবায়ক করে ১২ জন করে মোট ২৪ জনের ২টি কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যয়ে এম.এন.পি ও এম.এস.পি স্থানীয় ভাবে জেন্ডার সমতা ও নারীর অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে যৌন হয়রানি (শারীরিক, মৌখিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সাইবার) এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষার জন্য কাজ করবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও এ বিষয় নিয়ে সচেতনতা তৈরীর মাধ্যমে সকলের সামাজিক দায়বদ্ধতার মনোভাবকে প্রসারিত করার জন্য কাজ করবে। এছাড়াও মানবাধিকার সুরক্ষা-পরিবেশকে বিস্তৃতি ও অক্ষুন্ন রাখার জন্য স্থানীয় বিভিন্ন অংশীজনকে সম্পৃক্ত করবে। এসময় উপস্থিত থেকে সহায়কের ভুমিকা পালন করেন নাগরিকতা প্রকল্পের প্রগ্রাম অফিসার মোঃ আজহারুল ইসলাম ও প্যারালিগ্যাল শরিফুল ইসলাম।
-

সাতক্ষীরায় কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিতে কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) পরিচালিত এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।শ্যামনগরের ১৪টি গ্রামের ৩১ জন কৃষকের অংশগ্রহণে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থাপন করেন বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন বারসিকের উপকূলীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার।গবেষণায় দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকরা ধান ও সবজি চাষে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছেন, যার মধ্যে অনেক সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ও মারাত্মক বিষাক্ত পণ্যও রয়েছে। এসাটপ, ক্যারাটে, ডেল এক্সপার্ট, ফার্মকট, জোয়াস, কনজাপ্লাস, মিমটক্স, মর্টারসহ বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক সরাসরি ফসলে প্রয়োগ করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৃষকরাই এসব স্প্রে করছেন এবং তারা বিষক্রিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত নন।ফলে অনেক কৃষক দীর্ঘদিন ধরে ত্বক, চোখ, শ্বাসতন্ত্র ও লিভারজনিত জটিলতায় ভুগছেন। কারও কারও চিকিৎসা ব্যয় ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ ব্যয় মেটাতে অনেককে সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে কিংবা ঋণ নিতে হয়েছে।এছাড়া কীটনাশকের প্রভাবে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি এবং জলজ প্রাণির মৃত্যু, শিশু ও বৃদ্ধদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকি ক্ষেতের সবজিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষক নজরুল ইসলাম, গহর কয়াল, গোপাল মন্ডল, কেনা মন্ডল ও কওছার তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা জানান, অধিক ফলনের আশায় বিক্রেতাদের পরামর্শেই এসব বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিলন, প্রতিমা রাণী চক্রবর্তী, স্থানীয় সাংবাদিক, যুব সংগঠক ও কৃষক প্রতিনিধিরা।বারসিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে উপকূলীয় জনপদ ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সহজ নির্দেশনা প্রদান, গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার, স্প্রে কাজে নিয়োজিতদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন এবং জৈব কৃষি পদ্ধতির প্রসারে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা জোরদারের দাবি জানান।গবেষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ব্যক্তি নয়, সমগ্র সমাজ ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে এখনই দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণ করা সময়ের দাবি। -

আসনের সীমানা পরিবর্তনে বৈষম্যের শিকার আশাশুনি-শ্যামনগরের মানুষ
সাতক্ষীরার দুটি সংসদীয় আসন পুনর্ববিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক খসড়া গেজেট প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈষম্যের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে তারা প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আসন বিন্যাসের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে আসন বিন্যাসের খবর জানার পরপরই বুধবার রাতে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়। একই সাথে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আশাশুনি উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে উপজেলা বিএনপি।
সাতক্ষীরা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর উত্তরে যশোর, পূর্বে খুলনা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধে ভরপুর এ জেলা। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা গঠিত হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে ১টি আসন বিলুপ্ত করে, করা হয় ৪টি আসন। যা এই অঞ্চলের সঙ্গে বৈষম্য এবং মানুষের মধ্যে একটি ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ফের সাতক্ষীরার দুটি আসন বিন্যাসের খবরে নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ডক্টর মনিরুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে আমরা প্রয়োজনে শ্যামনগরের সর্বস্তরের জনসাধারণকে সাথে নিয়ে শ্যামনগর থেকে ঢাকা পর্যন্ত লং মার্চ করব।
শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির বলেন, আমরা এই আসন বিন্যাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনারের গেজেট বাতিল করে পূর্বের আসন বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত আমরা মানবো না। কেননা শ্যামনগরের সাথে আশাশুনি উপজেলার কোন যোগাযোগ নেই। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব। এছাড়া নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছি।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমির তারিকুজ্জামান তুষার বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এই আসন বিন্যাসের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবি আশাশুনিকে পূর্বের মতো আলাদা একটি আসন করে ৫ টি সংসদীয় আসন করা হোক। আশাশুনির সাথে শ্যামনগরকে নিয়ে আসন বিন্যাস আমরা মানব না। আমরা এ বিষয় নির্বাচন কমিশনের দ্রুত অভিযোগ করব।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিভিন্ন জেলায় পরিবর্তন এনে বুধবার (৩০ জুলাই) সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে সরকার। কিন্তু সেখানে আবারও সাতক্ষীরার মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।
শ্যামনগর দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি জনপদ। একইভাবে আশাশুনিও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি উপজেলা। দুটি উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান বা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। উপজেলা দুটির মানুষও কখন এমন আসন বিন্যাসের কথা চিন্তা করেনি। এখানে দুটি আলাদা সংসদীয় আসন অতিব জরুরি।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক প্রতিটি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সাতক্ষীরার মানুষ সবসময় সামনের কাতারে থেকেছে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের এই আত্মত্যাগ ও অবদানের মধ্যে ইতিহাসে সামনের পাতায় থাকবে সাতক্ষীরা। তাই ৪টি নয় ৫টি সংসদীয় আসন চায় সাতক্ষীরাবাসী। এটি এ অঞ্চলের প্রাণের দাবি।
সাতক্ষীরার ৪টা আসনের মধ্যে তালা-কলারোয়া (১), সদর (২) আসন সীমানা নিয়ে কারোরই কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বিপত্তি, ৩ এবং ৪ আসন নিয়ে। এই দুই আসনের সীমানা পরিবর্তন করে ৩টি আসন করা যায়। যেমনটি সাতক্ষীরার শুরু থেকে হয়ে আসছিল। ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণতা এবং জনসংখ্যা বিবেচনায় সাতক্ষীরায় ৫টি সংসদীয় আসন করার জোর দাবি জানায়।
কারণ, আসনের সীমানা পরিবর্তন করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে সাতক্ষীরার মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এই বৈষম্য দূর করে, এই মজলুম জনপদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি সকলের। সাতক্ষীরার মানুষ প্রত্যাশা করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন আসন বন্টনের খসড়া পুনঃ বিবেচনা করবে। সেই সাথে সাতক্ষীরায় ৫টি সংসদীয় আসন করে সীমানা নির্ধারণ করবে।
-

সাতক্ষীরায় ৩৯জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের “পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি এডুকেশন স্কিম (এসইডিপি)” প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরায় ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুফতী আব্দুল খায়ের এবং সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোশাররফ হোসেন, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ডঃ মুফতি আক্তারুজ্জামান, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন, রসুলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুর রহমান, ঘোনা হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম, অভিভাবক হাবিবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মঞ্জুরানী দেবনাথ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক সমন্বয়ক আরাফাত হোসেন, কৃতি শিক্ষার্থী ওয়ালিদ হাসান ও আনতারা আনিকা প্রমুখ।
বক্তব্যে অতিথিরা বলেন, শিক্ষার্থীরা শুধু শ্রেণিকক্ষে নয়, তাদের আচরণ, সততা, ও মানবিক গুণাবলি দিয়েও সমাজকে আলোকিত করবে। তাদের প্রতিভা যেন দেশ ও জাতির সম্পদ হয়ে ওঠে, সেই আশাই আজকের এই আয়োজনের মূল প্রেরণা।
অনুষ্ঠানে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বোর্ড সেরা এসএসসি, দাখিল, ভোকেশনাল, এইচএসসি, আলিম ও কারিগরি পর্যায়ের ৩৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি’র ১০ জন, এইচএসসি’র ১০ জন এবং ২০২৩ সালের এসএসসি’র ১০ জন ও এইচএসসি’র ৯ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। এসব শিক্ষার্থীকে পূর্বেই তাদের ব্যাংক হিসাবে এককালীন বৃত্তি বাবদ এসএসসি পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা এবং এইচএসসি পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়, যা ছিল তাদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি।
শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎসাহে ভরপুর এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র সম্মাননা প্রদানের আয়োজন ছিল না, বরং এটি ছিল এক মানবিক ও আলোকময় যাত্রার শুরু। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে শিক্ষা, সততা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা শিক্ষা অফিস। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক।
-

কোস্ট গার্ডের অভিযানের সুন্দরবন থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
সুন্দরবনের মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে কোস্ট গার্ড কৈখালী স্টেশনের সদস্যরা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন সময়ে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আত্মসমর্পণ আহ্বানে কোস্টগার্ড দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এসময় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে বনের ভেতর পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ব্যাগটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
-

৯ দিনেও সাতক্ষীরার মা মোটরস এর মালিক জিল্লুর রহমানের টিকি স্পর্শ করতে পারেনি প্রশাসন
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট লাঞ্ছিত
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতকারি সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত “মা মোটরস” এর স্বত্বাধিকারী ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমানের টিক্কি গত ৯ দিনেও স্পর্শ করতে পারেনি প্রশাসন। টাকা দিয়েই তার অপরাধ হজম করে ফেলবে এবং তার টিকি কেউ স্পর্শ করতে পারবে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ওই ব্যবসায়ি।
সাতক্ষীরা শহরের লাবনী মোড় এলাকার আখের রস বিক্রেতা মঞ্জুর হোসেনসহ কয়েকজন জানান, গত ২৩ জুলাই রাত ১০টার দিকে টাউন বাজার এলাকার “মা মোটরস” এর স্বত্বাধিকারী মেহেদীবাগ টিভি টাওয়ার এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান লাল রং এর একটি বিশেষ প্রাইভেটকারে করে নিউ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে একই দিক থেকে সাতক্ষীরা ফার্ম্মেসীতে ঔষধ কিনতে আসা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ এর মটর সাইকেলের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জিল্লুর রহমান গাড়ির ভিতর থেকে বের হয়ে ওই ম্যাজিষ্ট্রেটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তাকে টেনে কৃষ্ণচুড়ার গাছের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জিল্লুর। পথচারীদের বাধার কারণে জিল্লু তাকে ছেড়ে দিয়ে নিউ মার্কেটের দিকে চলে যায়। পরে ওই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাকেসহ বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জিল্লুর পরিচয় জেনে বিষয়টি তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বিষয়টি সেনাবাহিনীসহ আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। রাতেই জিল্লুর মা মোটরসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তালা লাগিয়ে দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অভিযান চালিয়েও বাড়িতে পাওয়া যায়নি জিল্লুরকে। এমনকি তার সকল মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান পায়নি আইনপ্রয়োগকারি সংস্থা। হয়নি থানায় মামলা।
এদিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনাকারি জিল্লুর রহমানের উত্থানের কাহিনী অনুসন্ধানে যেয়ে জানা গেছে, তাদের জন্ম বরিশালে। ছোট বেলা থেকে তারা দুই ভাই ও এক বোন মায়ের হাত ধরে সাতক্ষীরায় আসে। মায়ের বাসস্টা-ে ছিল চায়ের দোকান। ওই এলাকা মাদক বিক্রির জন্য আলাদা পরিচিতি আছে। মাদকাসক্ত হয় তার ভাই টিটু। ২০১০ সালে সার্কিট হাউজ মোড়ে বন্ধু মোটরস এর সঙ্গে ক্ষুদ্র পরিসরে রিক-িশন মটর সাইকেল বিক্রি শুরু করে। সেখানে সুবিধা না হওয়ায় সে অন্যত্র চলে আসে। একপর্যায়ে ২০১৪ সাল থেকে কাটিয়া টাউন বাজার এলাকায় মা মোটরস নামে একটি রিক-িশান মটর সাইকেল কেনা-বেচার দোকান নেয়। কিস্তি ভিত্তিক মটর সাইকেল বিক্রি করার নামে ক্রেতাদের ঠকানোই ছিল তার প্রধান কাজ ও আয়ের উৎস্য। কিস্তি বা বকেয়া আদায় করতে সে বাবু, হেলাল, বেলাল, শাহীনুর, আলোসহ ৮/১০ সদস্যের একটি বাহিনী তৈরি করে। শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরেও তার বাহিনীর সদস্যরা অপারেশ চালিয়ে মটর সাইকেল কেড়ে নিয়ে বেকয়া টাকার সঙ্গে দৈনিক ৫০০ টাকা ভাড়া বা চড়া সুদে টাকা আদায় করতো সে। অনেকে চড়া সুদ দিতে না পেরে মারপিটের শিকার হয়েছেন। মারপিট ও প্রতারণার শিকার হয়ে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার কাছে অভিযোগ করায় জিল্লুকে ২০১৬ সালে ধোলাই দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাসস্টা- এলাকায় তার দুটি দোকান আছে। নেপথ্যে থেকে স্বজনদের মাধ্যমে সে মাদক ও সোনা পাচারের কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে হু-ি ব্যবসার। পিঠের চামড়া বাঁচাতে জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষপর্যায়ের নেতাকে তার ভাই টিটুর মাধ্যমে ম্যানেজ করতো সে। গত ১০ বছরে জিল্লু তার বাড়ির পাশে ও বাইপাস সড়কে টাকা বাবুসহ একটি গোষ্ঠীর সহযোগিতায় কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার জমি ও ১০ টি আভ্যন্তরীন রুটের বাস কিনেছে। নিজের শক্তি সঞ্চয় করতে বিগত পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নং পৌর কাউন্সিলর হিসেব নির্বাচন করেছে। প্রতিপক্ষ শফিক উদ দৌলার জনপ্রিয়তার কাছে দুই বছরে জনসম্পর্ক গড়ে তুলতে কোটি টাকা খরচ করেও হেরে যায় জিল্লু। মাদক, হু-ি ও সোনা পাচারের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে তার ব্যবসা বিস্তারে বিদেশে থাকা বোন সহযোগিতা করে থাকে বলে প্রচার দিয়ে থাকে জিল্লু।
এদিকে গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জিল্লু নেতা পরিবর্তণ করে জেলা যুবদলের এক সাবেক নেতার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে। তার মাধ্যমে প্রশাসনে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, জিল্লুর গতিবিধির উপর নজর রাখছে প্রশাসন।
তবে ম্যাজিষ্ট্রেটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা জিল্লুর তার অবৈধ টাকা কাজে লাগিয়ে একটি মাধ্যম দিয়ে তৎপরতা চালিয়ে নিজেকে বাঁচানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে জিল্লুর রহমানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকার কারণে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শাহীনুর রহমান বলেন, বিষয়টি বাদ দিলে হয় না!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপর জিল্লুর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। -

সাতক্ষীরায় কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ
সাতক্ষীরা সদরে (২০২৪-২৫) অর্থবছরে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রোপা আমন প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষি অফিস মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মনির হোসেন।উপজেলার কৃষি অফিসার মনির হোসেন বলেন, ‘ রোপা আমন আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪৫ জন কৃষককে ৩০কেজি ইউরিয়া, ২০ কেজি ডিএমপি, ১৫ কেজি এমওপি,১৫কেজি জিপসাম সার প্রদান করা হয়েছে।’তিনি আরও জানান , এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফলদ ও ভেষজ গাছ রোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। -

পরিবেশ রক্ষায় প্রাণসায়ের খাল পাড়ে বৃক্ষরোপণ
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সাতক্ষীরা জেলা। খুলনা ডিভিশন বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত” গ্রীন মিশন ফেস-১ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম ব্রিজসংলগ্ন প্রাণসায়ের খাল পাড়ে বৃক্ষ রোপন কওে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় ভিবিডির সদস্যরা একযোগে প্রাণসায়ের খাল পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভিবিডি খুলনা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন আলী।
তিনি বলেন, আজকের তরুণদের হাতে যদি পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব যায়, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা সম্ভব। সাতক্ষীরায় এই আয়োজন সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।
ভিবিডি সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের সভাপতি বলেন, গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, বাঁচিয়ে রাখে পৃথিবীকে। আমরা স্বপ্ন দেখি এমন একটি বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি তরুণ পরিবেশ রক্ষায় একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভিবিডি সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক অর্পণ বসু, ট্রেজারার নাইমুর রহমান, প্রজেক্ট অফিসার হৃদয় মন্ডল, কমিটির সদস্য শান্তা ও রোহান প্রমুখ।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ভিবিডি সাতক্ষীরা জানায়, ভবিষ্যতেও তাদের এই সবুজ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
-

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পালন উপলক্ষে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও মাদক বিরোধী থিমসং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন
নিজস্ব প্রতিনিধি : জুলাই গণঅভ্যুত্থান পালন উপলক্ষে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও মাদক বিরোধী থিম সং এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারি প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ৩০ জুলাই সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর আয়োজনে সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের হলরুমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী শহীদদের কথা ও আহত ছাত্রদের পঙ্গুত্ব জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এবং মাদকবিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিষয় উপস্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন ‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক বাবলু স্বর্ণকার, মোঃ রবিউল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক সম ওয়ালিদুর রহমান, সুদর্শন রপ্তান, মোঃ মনিরুজ্জামানসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। -

PROTECT- L&D: প্রকল্পের শিখন বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, এবং এর সরাসরি শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, বন্যা ও লবণাক্ততার মতো ঘন ঘন দুর্যোগ এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। যদিও বাংলাদেশ বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে অত্যন্ত ক্ষুদ্র ভূমিকা রাখে, তথাপি ক্ষতির মাত্রা বিশাল। এসব প্রেক্ষাপটে, ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক টেকসই কৌশল নির্ধারণে বাস্তবায়ন করেছে একটি পাইলট প্রকল্প ” PROTECT- L&D: জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য জনগণের সহনশীলতায় রূপান্তর ” প্রকল্প।
এই প্র কল্পটি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। আজ ৩০ জুলাই খুলনা সি এস এস আভা সেন্টারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা, অর্জিত শিক্ষা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে একটি লার্নিং শেয়ারিং মিটিং আয়োজন করা হয়। আজকের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)- বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় জনাব মোঃ হুসাইন শওকত, কান্ট্রি ডিরেক্টর- অ্যাকশন এইড জনাব নুজহাত জেবিন, উপ-পরিচালক- মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জনাব সুরাইয়া সিদ্দিকা, উপ-পরিচালক- জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর জনাব কানিজ মোস্তফা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক- বিভাগীয় কৃষি অধিদপ্তর জনাব মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় জনাব মমতাজ বেগম, সহকারী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড জনাব আব্দুস সোবহান হাওলাদার, খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি জনাব গৌরাঙ্গ নন্দী, খুলনা জে্লা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সম্পাদক জনাব মাহফুজুর রহমান মুকুল সহ আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব, উপকারভোগী এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
সভার সভাপতি লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহন কুমার মন্ডলের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। প্রকল্পের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন লিডার্সের ডিরেক্টর প্রোগ্রাম এ বি এম জাকারিয়া। তিনি বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসা ফলাফলের ভিত্তিতে বলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সাতক্ষীরা ও খুলনার উপকূলীয় পরিবারগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছর গড়ে ১,০২,৪৮৯ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু দুর্যোগ-পরবর্তী সহায়তা কার্যক্রমে বাস্তব ক্ষয়ক্ষতির প্রতিফলন হয় না। বেশিরভাগ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা কেবল অবকাঠামোর ওপর কেন্দ্রীভূত থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে চরম ঝুঁকিতে ফেলেছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই আমাদের টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে।”
বিশেষ অতিথি তাদের বক্তব্যে বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এসব মানুষের জীবনমান রক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।” আরেক বিশেষ অতিথি বলেন, “আমাদের এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন সময় এসেছে, তারা যেন সরাসরি সহায়তা পায় এবং নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে পারে।”
সভায় উপস্থিত একজন উপকারভোগী বলেন, “আগে দুর্যোগ আসলে আমরা শুধু ক্ষতির জন্য প্রস্তুত থাকতাম, এখন আমরা টিকে থাকার পথ জানি। এই প্রকল্প আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে দুর্যোগের পরও নতুনভাবে শুরু করা যায়।”
লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের দায় বাংলাদেশ বহন না করলেও, ক্ষতির ভার আমাদের কাঁধে। PROTECT- L&D: প্রকল্পের শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ অভিযোজন কৌশলের ভিত্তি তৈরি করবে।”
আজকের লার্নিং শেয়ারিং মিটিং-এর উদ্দেশ্য PROTECT- L&D হল প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা এবং চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের জন্য বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ প্রদান করা। ” PROTECT- L&D: ” প্রকল্প প্রমাণ করেছে যে, কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন, জ্ঞানভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার কার্যকর উপায় হতে পারে। এই প্রকল্পের শেখা ও অভিজ্ঞতা আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মূল্যবান অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
-

সাতক্ষীরার আলোচিত জনপদ খলিশাখালিতে পুলিশ ফাঁড়ি’র দাবী
মারপিট, হামলা-মামলার জন্য আলোচিত জনপদ সাতক্ষীরার দেবহাটার খলিশাখালি এলাকা। এই জনপদে অপরাধ দমনের জন্য একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এখন স্থানীয়দের সময়ের দবী।
জানা গেছে, খলিশাখালি একটি জনবহুল এলাকা। এই এলাকায় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা ব্যক্তিমালিকানাধীন ১৩’শ ২০ বিঘা জমি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আবাসন প্রকল্প করে দখল হয়ে আছে। বর্তমানে সেখানে মাদক আখড়াসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে।
এলাকাবাসীরা বলছেন, দেবহাটা থানা থেকে খলিসাখালির দুরুত্ব প্রায় ১০ কি.মি. হওয়ার কারণে প্রতিনিয়িত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের জন্য আইনের দ্বারস্থ হতে হিমশিম খেতে হয়। তাই এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হলে, এটি অপরাধ দমনে সহায়ক হবে এবং এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।
খলিশাখালি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান , সামাদ আলী, আশরাফ উদ্দীনসহ অনেকে জানান- এই এলাকায় ভুমিদস্যুরা মালিকানাধীন ভূমিগ্রাস করে এখানে অবস্থান করে সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ডের আস্থানা গেড়ে বসেছে। এই কারণে, এখানে অপরাধের সম্ভাবনাও বেশি। তাই এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হলে, পুলিশ খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে। এছাড়াও একটি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ সৃষ্টি করবে। যখন মানুষ জানবে যে তাদের এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি আছে, তখন তারা আরও বেশি নিরাপদ বোধ করবে এবং অপরাধের শিকার হওয়ার ভয় কম পাবে।
তাই এলাকাবাসীর দাবি, খলিশাখালি এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে সহায়ক হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মুকিত হাসান খাঁন বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ জনগনের সেবা দিতেই কাজ করে যাচ্ছে। সেবা নেওয়া স্বার্থে জনগনের কোন প্রত্যাশা থাকলে পুলিশ সেটি পূরণ করবে। তাছাড়া দেবহাটার খলিশাখালি এলাকায় সময় বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। স্থানীয়রা যদি সেখানে পুলিশ ফাঁড়ির দাবি করে সেটি সম্ভব। -

ইনতেফার উদ্যোগে সাতক্ষীরায় ফলজ,বনজ বৃক্ষের চারা বিতরণ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাতক্ষীরায় ইনতেফা কোম্পানির পক্ষ থেকে চার শতাধিক কৃষকদের মাঝে একটি করে ফলজ ও একটি করে বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।সোমবার ( ২৮ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে মেসার্স মায়ের দোয়া ট্রেডার্স প্রাঙ্গনে এ চারা বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।মেসার্স মায়ের দোয়া ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী প্রোঃ মোখলেছুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মনির হোসেন, ধুলিহর ইউনিয়নের কৃষি উপ সহকারী আসিফ পারভেজ, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের কৃষি উপ সহকারী সুমন,ইনতেফা কোম্পানির এরিয়া ইনচার্জ নাজমুল হোসেন, সহকারী মার্কেটিং অফিসার হাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মার্কেট প্রোমোটর অফিসার, আলমগীর কবীর, নাহিদ হাসান, নাঈম,মেসার্স মায়ের দোয়া ট্রেডার্স এর ম্যানেজার শাহজাহান আলী লিটন,শামীম টেইলার্স এর সত্ত্বাধিকারী ও ব্রক্ষরাজপুর পেশাজীবি পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শমাীম আহম্মেদ লাভলু,প্রানী চিকিৎসক হুমায়ুন কবীরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে গাছ রোপনের কোন বিকল্প নেই।আমাদের প্রত্যেক এর উচিত প্রতিবছর কমপক্ষে দুইটি করে চারা রোপন করা।গাছ আমাদের দেয় অতি মূল্য বান অক্সিজেন ও গাছ গ্রহন করে আমাদের থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড,গাছ রোপন করে গাছের প্রতি যত্নবান হতে হবে।গাছ আমাদের পরম বন্ধু,গাছ আমাদের ঝড়ঝাপসা থেকে রক্ষা করে। গাছের কারণেই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায়,আপনারা জানেন সাতক্ষীরার আম প্রতিবছর বাহিরের বিভিন্ন দেশে যায় সুতরাং এই আম ফলনকে যায় সুতরাং এই আম ফলনকে কিভাবে বিস্তৃতি করা যায় তার জন্য আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে আপনারা যে কোন সময় আসবেন পরামর্শ ও তথ্য সেবা গ্রহণ করবেন আর আমাদের কৃষি অফিসাররা আপনাদের সেবায় সব সময় নিজে থাকে তারা পরামর্শ প্রদান করে।ইনতেফা কোম্পানির এরিয়া ইনচার্জ নাজমুল হোসেন বলেন,ইনতেফা কোম্পানি কৃষকের কল্যানে অঙ্গীকারাবদ্ধ, আপনারা সবাই ইনতেফার পন্য ব্যবহার করবেন। এ সময় চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি মেহগনি গাছের চারা ও আম গাছের চারা। বিতরণ করা হয়। -

৮ দফা প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরার ডিসির কাছে সাংবাদিকদের আবেদন
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা নিরসনে সাংবাদিকদের ৮দফা প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরার ডিসি’র কাছে এক আবেদন করা হয়েছে। রবিবার (২৭ জুলাই ২০২৫) দুপুরে ডিসি’র অনুপস্থিতিতে তার সিও শহিদুল ইসলামের কাছে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন ও প্রাক্তন সদস্যদের পক্ষে সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোঃ মুনসুর রহমান এ আবেদন জমা দিয়েছেন। এতে সাংবাদিকদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকার প্রাক্তন জেলা প্রতিনিধি পল্টু বাসার, দৈনিক মনিংসান পত্রিকার প্রাক্তন জেলা প্রতিনিধি পবিত্র মোহন দাশ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সদস্য ও দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার প্রাক্তন জেলা প্রতিনিধি মোঃ আলি হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য বদিউজ্জামান, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (খোকন), এসএম মাহিদার রহমান, জহুরুল কবীর, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের সাহিত্য সম্পাদক শেখ সিদ্দিকুর রহমান, দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শেখ রেজাউল ইসলাম (বাবলু)। এছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন দৈনিক সাতনদী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রুবেল হোসেন, দৈনিক হৃদয় বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার প্রাক্তন স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হাসানুজ্জামান, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রাক্তন শহর প্রতিবেদক অরুণ বিশ^াস, সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার প্রাক্তন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ বায়েজীদ হাসান প্রমূখ।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের সিও শহিদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ স্যার অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকায় আবেদনটি রিসিভ করেছি। স্যার অফিসে আসলে স্বাক্ষর পরবর্তী আবেদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সংগঠন ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’। যা পেশাদার সাংবাদিকদের দ্বিতীয় গৃহ হলেও বিগতদিনে সংগঠনটি অপেশাদার সাংবাদিকদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছিল। তবে তাদের অধিকাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ, সর্বসময়ে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে তারা। এতে অন্যান্য পেশাদার সাংবাদিকরা বরাবরই বঞ্চিত থেকেছে।
২০০০ সালের পর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন নামে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে। সেমতে জেলায় বাড়তে থাকে সাংবাদিকের সংখ্যাও। তবে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রমতে ওইসব সাংবাদিকরা সংগঠনে সদস্যর্ভুক্ত হতে পারেনি; তাই বাড়তে থাকে সাংবাদিকদের মধ্যকার ক্ষোভ ও অভিমান। সেই থেকেই প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের উপর কয়েকবার ভাড়াটে বহিরাগতদের দ্বারা হামলা-মামলার উদ্ভব ঘটে। ইতোপূর্বে সংগঠনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ঐ সাংবাদিকদের সাথে কিছু সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতি বিগতদিনে কয়েকবার জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় মিমাংসাও হয়েছিল।
তবে পরের বছরও একই অবস্থা তৈরি করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এমনকি ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারী সগঠনের বাপী-সুজন কমিটি পরিষদের এক সভায় নতুন ১৩জনকে সদস্য পদ প্রদান করেন। তাদেরকে সংগঠনের সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদস্যপদ প্রদানের চিঠিও দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১০ জনের সসদস্যপদ পরে একটি সভা করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ওই পরিষদ নেতৃবৃৃন্দ। তাই নতুন সদস্যপদ প্রদানের পর কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে কাজী নাসির উদ্দীন দিং বাদী হয়ে আব্দুল গফুর সরদার দিং কে বিবাদী করে সিনিয়র সহকারী জজ, সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা আদালতে একটি দায়ের করেন। যার নং-দেওয়ীনী-২০৩/২২। ওই মামলা বাদীপক্ষ রায় পেয়েছিলো। সেই সময়ে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে খন্দকার আনিছুর রহমান সহ অন্য একজন বাদী হয়ে কাজী নাসির উদ্দীন সহ অন্য ২ জনকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। যার নং-মিস আপিল-২৯/২০২২। সেই মামলায়ও বিবাদীপক্ষ রায় পেয়েছিলো। তবে তা ভায়োলেট করে ঐ ১০জনকে সদস্যপদ না দিয়ে সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি মোমতাজ আহমেদ বাপী বাদী হয়ে কাজ নাসির উদ্দীনসহ ২জনকে বিবাদী করে উচ্চ আদালতের সিভি ডিভিশনে একটি আবেদন করেন। যার নং-৩৪১৭/২০২২। সেই আবেদন শুনানীন্তে বিচারক নিম্ম আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও উপরিউক্ত ঘটনায় আদালতের মামলা চলমান রয়েছে। এরপূর্বে দেওয়া আদালতের রায় না মেনে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ বিধ্বংসী কর্মকান্ডে মেতে উঠেছিলো ওই সাংবাদিক সিন্ডিকেটের নেতৃবৃন্দ। এবং প্রত্যেক বছর কতিপয় সিনিয়র সদস্যদের ইন্ধনে অবৈধভাবে সংগঠনের কমিটি পাল্টা কমিটি তৈরি হয়। ওই কমিটির নেতৃবৃন্দ নতুন নতুন পত্রিকার সাংবাদিকদের সংগঠনে সদস্যর্ভুক্ত করেন। তবে তাদের ঐক্যমত হলে নতুনদের প্রদানকৃত সদস্যপদ স্থগিত করে বারংবার সাংবাদিকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। আবারও তারা একই ষড়যন্ত্র লিপ্ত।
সম্প্রতি ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ ঘিরে সাংবাদিকরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট বিভেদ নতুন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত। এরই জেরে সকল পেশাদার-অপেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজমান। সেটিকে পুঁজি করে উভয় গ্রুপের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নতুন নতুন পত্রিকার পেশাদার-অপেশাদার সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে সদস্যপদ প্রদান করেছেন। এরমধ্যে কাশেম-আসাদ গ্রুপে ৭৫ জন ও আবু সাঈদ-আব্দুল বারী গ্রুপে ৩৬ জন রয়েছে। তবে উভয় গ্রুপ যে সভা, সমাবেশ ও আন্দোলন করছে, সেখানে সংগঠনের পুরানো সদস্যদের টানতে ব্যর্থ তারা। সেজন্য নতুন সদস্যদের নিয়ে উভয় গ্রুপের সদস্য সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সংকট নিরসনে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সার্বক্ষণিক সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত নহে, অনেকে কপি বা সিসি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে। এছাড়াও রয়েছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, ব¬াকমেইলার, নারী-লিপ্সু, ধর্ষণ চেষ্টাকারী, দালাল ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নামধারী সাংবাদিক। তাদেরকে বাদ দিয়ে মূলত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠনে যুক্ত করার দাবি করেন সাংবাদিকবৃন্দ।
আবেদন সূত্রে আরও জানা গেছে, সরকার নিবন্ধিত দেশের পাশাপাশি জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার প্রায় ৭’শতাধিক সাংবাদিক রয়েছে যারা সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রাপ্ত। তবে বিগত দিনে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ এর নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের মধ্যে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যর্ভুক্ত করেনি, তাই পৃথক পৃথক নামে সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তোলেন তারা। যার সংখ্যা বর্তমানে ৮১ এর অধিক। সেপ্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরা বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হলে এরই ছায়াতলে উপরিউক্ত সংগঠনগুলোর মধ্যকার পেশাদার সদস্য সাংবাদিকরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একীভূত হওয়ার সুযোগ পেতো, বন্ধ হতো সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও হয়রানি। গড়ে উঠতো জেলাব্যাপী একটি শক্তিশালী সাংবাদিক নেটওয়ার্ক। তবে নেতৃত্ব থাকা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ বিগতদিনেও তা করেনি। তাদের মধ্যে অধিকাংশ সাংবাদিক পক্ষপাতমূলত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। সেমতে অতিদ্রুত উভয় গ্রুপের সাংবাদিকদের ঐক্যমতের ভিক্তিতে সংগঠনের সদস্যপদ হালনাগাদ করে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
কার্যতঃ বিগতদিনে উভয় গ্রুপের সাংবাদিক নেতারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে চলেনি। সেজন্য ওই গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিকরা। এছাড়াও গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা জেলার বর্তমান পরিস্থিতি ও সাংবাদিকদের আকাক্সক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাই এগুলো সংস্কার বা সংশোধন করা প্রয়োজন। সেপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সুচিহ্নিত ৮ দফা প্রস্তাবনাসমূহঃ
(১) কন্ট্রোল কমিশন গঠনঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে একটি কন্ট্রোল কমিশন গঠন এর ধারা যুক্ত করা আবশ্যক। ওই কমিশনে জেলা প্রশাসক থাকবেন প্রধান, সদস্য থাকবে জেলা প্রশাসক মনোনীত ৬/৯জন। তারা সংগঠনের কোনো আপাদকালীন সময়ে সংকট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণকরতঃ উভয় গ্রুপের সাংবাদিকদের সাথে আলোচনান্তে সমাধান করবেন।
(২) পেশাদার সাংবাদিকঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে এক বছরের অধিক সময় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থাকলে তারা সাধারণ সদস্যের জন্য আবেদন করতে পারবে উল্লেখ রয়েছে। তবে এই ধারা পরিবর্তন যোগ্য হইতেছে। সেক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে প্রায় ৫/৮ বছর যুক্ত তাদেরকে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে চিহ্নিতকরতঃ সাধারণ সদস্য হিসেবে আবেদন করার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
(৩) শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়াদি যুক্ত নেই। সেমতে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় অবশ্যই গঠনতন্ত্রে যুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনার্স/সমমান/মাস্টার্স এবং সহযোগী সদস্যদের ক্ষেত্রে এইচএসসি/সমমান নির্ধারণ করা প্রয়োজন। (বিঃদ্রঃ আগামীতে যারা সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।)
(৪) সদস্যপদঃ গঠনতন্ত্রের ৪ ধারায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য মোট দু’ধরণের সদস্য থাকবে উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে তিন ধরণের করা প্রয়োজন। যেমনঃ উপদেষ্টা/সম্মানীয় সদস্য, সাধারণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য।
(৫) গঠনতন্ত্রের ৪.১ ধারা-সাধারণ সদস্য এর (ক) সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকদের সাধারণ সদস্য পদ উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে সরকার নিবন্ধিত সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদকদের জন্য উপদেষ্টা/সম্মানীয় সদস্য পদ সৃষ্টি করতে হবে।
(খ) গঠনতন্ত্রে সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক পত্রিকার সর্বোচ্চ ২ (দুই) জন বেতন উল্লেখ পূর্বক নিয়োগপত্র প্রাপ্ত সাংবাদিক সাধারণ সদস্য হতে পারবে উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে সরকার নিবন্ধিত প্রতিটি নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়প্রাপ্ত বা নিয়োগপত্রধারী এর মধ্যে পেশাদার সাংবাদিকদের সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
(গ) গঠনতন্ত্রে দৈনিক পত্রিকার নিয়োগপত্র প্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক ১ জন সাধারণ সদস্য হতে পারবে উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে সরকার নিবন্ধিত নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়প্রাপ্ত বা নিয়োগপত্রধারী এর মধ্যে পেশাদার ফটো সাংবাদিকদের সদস্য হিসেবে যুক্ত করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
(ঘ) গঠনতন্ত্রে আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্ববর্তী প্রতিমাসের ২টি করে ৬ মাসের মোট ১২টি সংবাদ যুক্ত করতে হবে তা উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে কপি বা সিসি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে না তা চিহ্নিতকরতঃ তার নিজ নামীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কপি আবেদনকারীর আবেদনের পূর্ববর্তী প্রতিমাসের ২টি করে ৬ মাসের মোট ১২টি সংবাদ যুক্ত করার বিধান চালু করতে হবে।
(৬) সংগঠনের সদস্যপদ প্রদানে সম্পাদকদের খেয়ালীপণা বন্ধ নিশ্চিতকরণঃ গঠনতন্ত্রে উল্লেখ্য রয়েছে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ ৩ জন সংগঠনের সদস্য হতে পারবে। সেপ্রেক্ষিতে বিগতদিনে সম্পাদক কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুসারে সংগঠনের সদস্যপদ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক সম্পাদকের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, ভাই-বোন, চাচা ও নিকট আত্মীয় রয়েছে। যারা কখনও সাংবাদিকতা বা সংবাদ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত ছিলো না। অতিদ্রুত তাদের পদ স্থগিতকরতঃ আগামীতে যেন এই ধরণের কাজ না করতে পারে তার বিধান যুক্ত করে সংগঠনের সদস্যপদ প্রদানে সম্পাদকদের খেয়ালীপণা বন্ধ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
(৭) নামধারী/কার্ডধারী সাংবাদিকদের দৌরত্ব বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়াঃ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সফল করতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিয়োগ প্রদান করেন। এতে জেলাব্যাপী ব্যবসায়ী নামধারী/কার্ডধারী সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও রয়েছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, ব¬াকমেইলার, নারী-লিপ্সু, ধর্ষক, ধর্ষণ চেষ্টাকারী, দালাল ও হরেক রকম সাংবাদিক। তাদের মধ্যে অনেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল/অন্যান্য মাধ্যম যোগে বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ। ওই নামধারীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না তারা। সেজন্য গঠনতন্ত্রে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, ব¬াকমেইলার, নারী-লিপ্সু, ধর্ষক, ধর্ষণ চেষ্টাকারী, দালাল ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নামধারী সাংবাদিকরা যাতে সংগঠনের সদস্যর্ভুক্ত হতে না পারে তার বিধান যুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সদস্যদের ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও উক্ত বিষয়াদি নিয়ে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সার্বক্ষণিক মতবিনিময় চলমান রাখা আবশ্যক।
(৮) সংগঠনের সদস্যদের নামীয় তালিকা সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণঃ সাংবাদিকতা মহান পেশা। ইতোপূর্বে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাদের অনেকে বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত নেই। এদের মধ্যে অনেকে বিগতদিনে সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তবে নানান কারণে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তাদের নামীয় তালিকা সংরক্ষণ করেনি। তাই তাদের নাম সংগ্রহপূর্বক সংরক্ষণ করা জরুরী প্রয়োজন।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সমাজের দর্পণ। নেতৃত্বের বিরোধে বিগতদিনের ন্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মধ্যে ঘাপটি মেরে বহিরাগত ভাড়াটিয়া এনে সাংবাদিকদের উপর হামলা-মামলার উদ্ভব ঘটাবে, একে অপরের বিরুদ্ধে বিষাদগার ছড়াবে এমনটি কাম্য নহে। সেমতে আপনি (জেলা প্রশাসক) সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে উপরিউক্ত সাংবাদিকদের দাবী ও প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন এটা বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন ও প্রাক্তন সদস্যদের বিশ^াস। -

কপোতাক্ষের বেঁড়িবাঁধে ছিদ্র, লোকালয়ে ঢুকছে নদীর পানি
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ের বিল এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেঁড়িবাঁধে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর থেকে বাঁধের ভেতর দিয়ে নদীর পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে বাঁধে ফাঁটল দেখা দেয়। এরপর থেকেই পানি ধীরে ধীরে ঢুকছে জনপদে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সঠিকভাবে বাঁধ মেরামত না করায় আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দায় এড়াতে পারে না।
বিষয়টি জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, বাঁধে পানি ঢুকছে, এমন তথ্য আগে জানতাম না। আমি এখনই ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতাপনগর এলাকা ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতি বছর বর্ষায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
এলাকাবাসী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-

সাতক্ষীরায় ধর্ষণের পর জোরপূর্বক গর্ভপাত, যুবক গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের পর জোরপূর্বক গর্ভপাত ও প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাব্বির আহমেদ (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তার সাব্বির কালিগঞ্জের নারায়ণপুর গ্রামের মহসিন গাজীর ছেলে।তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত সাব্বিরের সঙ্গে পরিচয় হয় সেই তরুণীর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে সাব্বির তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে।
একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে জোর করে উপজেলা একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করানো হয়।পরবর্তীতে ২১ জুন তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা ১ জুলাই পর্যন্ত একত্রে অবস্থান করে। সেই সময়েও সাব্বির তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায় এবং নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
পরে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ।কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহার দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আসামি সাব্বির আহমেদকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।আজ শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-

স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ (২য় পর্ব ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সাতক্ষীরায় শহীদ ও আহত পরিবারসহ সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।শুক্রবার (২৫ই জুলাই) সকালে শহীদ আসিফ চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বে স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মোস্তফা আল মামুন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আয়োজনে ও স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার সাতক্ষীরার সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক সুমাইয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক মাহিনুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদীন, যুগ্ম সদস্য সচিব ওমর তাসনিম রাহাত, আহত সদস্য আলিফ আরেফিন, মোঃ রাশেদ, সহ আরও অনেকে।আয়োজকরা জানান, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং সাতক্ষীরাবাসীর জন্য মানবিক সেবা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আজ আমরা সাতক্ষীরার ৫০ জন রোগীকে এই ফ্রি মেডিকেল সেবা প্রদান করা হয়। এর আগে গত ১১ জুলাই ২০২৫ প্রথম পর্বে ৫০ জন রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। -

জুলাই শহীদ দিবসে সাতক্ষীরার বাইপাস জিরো পয়েন্টে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট
“ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “জুলাই শহীদ দিবস এবং জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবস ২০২৫” উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও ওভারস্পিড রোধ কল্পে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে, সচেতনতা বৃদ্ধি ও খেলাপি মোটরযান বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৬ জুলাই ‘২৫) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বাইপাস জিরো পয়েন্টে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ওভারস্পিড গতিতে গাড়ি চালানো ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৬ টি মামলার বিপরীতে ২ হাজার ৬’শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাভিল হোসেন তামিম, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মোঃ ওবায়দুর রহমানসহ সঙ্গীয় ব্যাটালিয়ন আনসার ফোর্স।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে ঈদ পরবর্তী সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি যাত্রী সাধারণ যাহাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যে সকল যানবাহনের কাগজ পত্র এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নাই সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান চলমান থাকবে।