নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৬ জুলাই) বেলা ১১টায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাব’ুর সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর দেবাশীষ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভাগ ওয়ারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম তুলে দলা হয়। এ ছাড়াও সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলার মাসিক রাজস্ব সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাসহ পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শ্যামল, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), আলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুর রউফ, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
Category: প্রশাসন
-
সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা
-

আশাশুনিতে ইউএনও’র খাদ্য গুদামপরিদর্শনসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে বিভিন্ন খাদ্য গুদাম পরিদর্শন সহ মোবাইল কোর্টে চার ব্যক্তিকে ৪০০ টাকা জরিমানা আদায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা আশাশুনি খাদ্য গুদাম ও বড়দল খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় মুখে মাক্স না থাকায় বড়দল ইউনিয়নের আব্দুর রশিদের পুত্র মোজাম্মেল হোসেনকে ১০০ টাকা, খোরশেদ আলমের পুত্র আবুল হোসেনকে ৫০ টাকা, জিয়ারুল ইসলামের পুত্র মিলনকে ৫০ টাকা, নিরঞ্জন মন্ডলের পুত্র কিংকর মন্ডলকে ২০০ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার আহবান জানান এবং সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ঔষধের দোকান ব্যতিত অন্যান্য সকল দোকান পাট বন্ধ রাখাসহ অহেতুক ঘোরাফেরা না করার নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় পিআইও সোহাগ খান, ফুড অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও অফিস সহকারী আব্দুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
-

সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে লাবসা ব্লকের নলকুড়া মাঠে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, আধুনিক প্রযুক্তর মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. শামিউর রহমান, লাবসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু, উপসহকারি কৃষি অফিসার অমল ব্যানার্জী, উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. আনিছুর রহমান, উপসহকারি কৃষি অফিসার আব্দুস সাত্তার ও ব্লকের কৃষক মো. আরিজুল ইসলাম প্রমুখ। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবসে ৫০ জন কৃষক ও কৃষাণী অংশ নেয়। -

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে তিনজনকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বৈশ্বিক মহামারিতে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় মাস্কবিহীন উপজেলা ভূমি অফিসে অযথা ঘোরাঘুরি করার অপরাধে তিনজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে জরিমানাসহ সর্তক করলেন সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) দুপুরে সদর ভূমি অফিসের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক বিহীন ঘোরা-ঘুরি করছিল। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় মাস্কবিহীন উপজেলা ভূমি অফিসে অযথা ঘোরাঘুরি করার অপরাধে তিনজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সদরের কুখরালী এলাকার জামশেদ এর ছেলে রুহুল কুদ্দুস, সদরের মাগুরা গ্রামের মেছের আলীর ছেলে কবির ও শহরের পলাশপোল এলাকার হাসান গাজীর ছেলে নজরুল ইসলামকে দন্ডবিধির ১৮৬০ আইনে প্রত্যেককে ২০০ শত টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এসময় ঐ তিন ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। -

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জরুরী সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সভাপতিত্বে জেলা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সাতক্ষীরা-২ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, মেয়র সাতক্ষীরা পৌরসভা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, ডিডি এন এস আই, উপপরিচালক- স্থানীয় সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ডিআরআরও এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুমের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ
০১। প্রাণ সায়েরের খাল (সাতক্ষীরা খাল) এর মধ্যের বাঁধ কেটে দেওয়া হবে।
০২। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যাতিত প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
০৩। সকল পর্যায়ে ড্রেন, নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর হতে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করা হবে।
০৪। সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ড/ পাড়া/মহল্লা ভিত্তিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির আশে পাশের ঝোপঝাড় পরিস্কারসহ মশার জন্মানোর স্থান সমূহে কীট নাশক স্প্রে করার কার্যক্রম শুরু হবে।
০৫। সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পূর্বে গঠিত কমিটি কর্তৃক লার্ভিসাইড প্রয়োগের মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে আগামী ০৩ জুন বুধবার সকাল ৭.০০ টায় প্রাণ সায়েরের খালের একটি অংশ চিহ্নিত করে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকমীদের নিয়ে এবং একই দিনে অর্থাৎ বুধবার সকাল ৭.০০ টায় প্রতিটি উপজেলা , ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পূর্বে গঠিত কমিটি কর্তৃক ফগার মেশিন ও স্প্রে মেশিন নিয়ে লার্ভিসাইড প্রয়োগের মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে ব্যানার ও লিফলেটসহ ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান শুরু হবে।
০৬। এডিস মশা সাধারণত সকালে এবং সন্ধ্যায় চলাফেরা করে বিধায় এডিস মশার চলাফেরার সময়ে অর্থাৎ সকালে ১ ঘন্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘন্টা আবশ্যিকভাবে কীট নাশক স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
-

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জুম মিটিং
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালয়ের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রণ বিতরণ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা-২ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, মেয়র সাতক্ষীরা পৌরসভা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, ডিডি এন এস আই, উপপরিচালক- স্থানীয় সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ডিআরআরও এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুমের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
-
জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তি
এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর কোন ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। জেলার সকল মসজিদে নিম্নোক্ত নিয়মাবলী/নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক ঈদের জামাতের আয়োজন করতে হবে।
(১) শহর ও গ্রামের সকল মসজিদে সকাল ৭.০০ টা থেকে ১০.০০টা বা সুবিধাজনক সময়ে একাধিক জামাত আয়োজন করতে হবে।
(২) প্রতিটি মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মুসল্লিগণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানি দ্বারা হাত ধৌত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(৩) সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ বাসা থেকে ওযু সেরে নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে মুখে মাস্ক পরিধানপূর্বক মসজিদে আগমন করবেন।
(৪) মসজিদে কার্পেট রাখা যাবে না এবং নামাজের পূর্বে প্রতিটি মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
(৫) নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব ( প্রত্যেককে কমপক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব) ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
(৬) জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
(৭) শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ্য ব্যক্তিদেরকে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
(৮) করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিটি জামাত শেষে আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।
(৯) সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিৎকল্পে জেলা/উপজেলা প্রশাসন , স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা
অবশ্যই অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে।
(১০) স্ব-স্ব মসজিদ কমিটি উপরোক্ত নির্দেশনাসমুহ প্রতিপালন নিশ্চিত করবেন।
(১১) ঈদের প্রাক্কালে সকল প্রকার উচ্চশব্দ বিশিষ্টি পটকাবাজী নিষিদ্ধ করা হলো।
(১২) ঈদের ছুটি চলাকালীন বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো এবং শালীনতা বিরোধী সকল কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হলো।
(১৩) ঈদের দিন বা ঈদ পরবর্তী সময়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে ভ্রমণ বিরত রেখে নিজগৃহে অবস্থান করতে হবে।
(১৪) ঈদের দিন বা ঈদ পরবর্তী সময়ে দর্শণীয় স্থানে/যে কোন ধরণের জনসমাগম থেকে বিরত থাকতে হবে।
“ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন”
জনস্বার্থে এ আদেশ জারী করা হলো । আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এস এম মোস্তফা কামাল
জেলা প্রশাসক
ও
সভাপতি
দেশের অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাস
প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি
সাতক্ষীরা
ফোন : ০৪৭১ ৬৩২০১ (অফিস)
মোবাইল : ০১৭১৫ ২১২২৭৭
ইমেইল :dcsatkhira@mopa.gov.bd
-
ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গতকাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে দুর্যোগের প্রস্তুতি বিষয়ে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-২ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিমনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, সিপিপি, খুলনা এর উপ-পরিচালক, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জনস্বাস্হ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ডিআরআরও এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা/ প্রতিনিধিগণ সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুমের মাধ্যমে সভায় অংশ গ্রহণ করেন। তারা সভায় স্ব স্ব বিভাগীয় পূর্বপ্রস্তুতি তুলে ধরেন ও মতামত ব্যক্ত করেন।
উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্যামনগর এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), শ্যামনগর উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় অবস্হান করে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী এবং গর্ভবতী নারীদেরকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছেন।
গতকাল রাতে স্যামনগর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় “আম্পান” পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা, উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য পরিচালনা বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা, শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিজিবি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব শাহ কামাল মহোদয় এবং বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মহোদয় গত ১৬ তারিখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করেন। গতকাল দুপুর ১২.০০ টায় জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সভাপতি, সিনিয়র সচিব, শাহ কামাল মহোদয়ের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় “আম্পান” মোকাবেলায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। এ সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক জনাব শেখ ইউসুফ হারুন, সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং কমিশনার, খুলনা বিভাগ, খুলনা জনাব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে বিভিন্ন অসুবিধা ও প্রতিকূলতার বিষয় বোর্ড সভায় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়ের নিকট তুলে ধরেন। উপকূলীয় জেলা প্রশাসকগণকে ভিডিওর মাধ্যমে উক্ত সভায় সম্পৃক্ত করা হয়। উক্ত সভা থেকে যে মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয় তা সভাপতি সভায় তুলে ধরেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেছেন যে, উপকূলীয় এলাকার শতভাগ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের গরু ছাগলসহ নিরাপদ স্হানে স্হানান্তর করতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূল সহ বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলাসহ নিকটবর্তী জেলাসমূহে বুধবার ভোর রাতে আঘাত হানার আশংকা রয়েছে। ভারতে আঘাত না হেনে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানলে আমাদের জন্য একটি বিপদজনক পরিস্হিতি তৈরি হতে পারে।
সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ঃ
০১ শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের; আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ঝুকিঁপূর্ণ ইউনিয়নের সকল লোকজনকে গবাদী পশুসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একজন লোককেও অনিরাপদ অবস্হায় রাখা যাবেনা। ০২ জেলায় মোট ১৪৫টি বন্যা / ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রসহ 1700 প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। চাবি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের নিকট সংরক্ষন করা হয়েছে। নৈশ প্রহরীকে সার্বক্ষর্ণিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্হানসহ মোবাইল সচল রাখতে হবে। জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করবেন। ০৩ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা এর অফিস কক্ষে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। (কালেক্টরেট ভবন, কক্ষ নম্বর ২২৪, টেলিফোন নম্বর ০৪৭১-৬৩২৮১)। উপজেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলতে হবে এবং উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটির সভা করে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণপূর্বক সভার কার্যবিবরণী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বরাবর প্রেরণ করতে হবে। ০৪ প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রে একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রয়োজন অনুসারে মিড ওয়াইফারী নিয়োগের বিষয়ে সিভিল সার্জন উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এর সাথে সমন্বয় করে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন। ০৫ গাবুরা, পদ্মপুকুর, প্রতাপনগরসহ ঝুকিঁপূর্ণ বেড়ীবাঁধ মেরামতে জরুরি কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ০২ দিন (ROUND THE CLOCK) ২৪ ঘন্টা কাজ চলমান রাখতে হবে। স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হবে, ঝুকিঁপূর্ণ এলাকায় বিভাগীয় জনবলের উপস্হিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আপদকালীন তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। ০৬ সিপিপি-র স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী উপকূলীয় এলাকায় হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালানোসহ সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে। রেডক্রিসেন্ট এবং এনজিও কর্মীদের সমন্বয়ে প্রচারণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ০৭ ইতোমধ্যে ৯৪% ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। কলারোয়া ও সদর উপজেলায় কিছু বাকী আছে। মাইকিং করে ধান কাটা সম্পন্ন করার জর্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আগামী ০২ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা নিশ্চিত করতে হবে। ০৮ গবাদী পশু নিরাপদে স্হানান্তরের সাথে সাথে পশু খাদ্য নিরাপদ সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ০৯ ইউপি চেয়ারম্যান, সিপিপি এর স্বেচ্ছাসেবক এবং মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ঘুর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ১০ আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে পরিবারের সকল সদস্যকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক স্হানে রাখতে হবে। বৃদ্ধ, শিশু, নারী, প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। তবে সর্দি কাশি ও শ্বাস কষ্টের রোগীদের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্হা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। ১১ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা খাতে প্রদত্ত বরাদ্দ হতে খাদ্য বিতরণ করতে হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের চাহিদার বিপরীতে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যশস্য সরবরাহ প্রদান করবেন। ১২ সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট এর স্বেচ্ছাসেবক, এনজিও প্রতিনিধি, রোভার স্কাউট এবং বিএনসিসি সমন্বয়ে প্রচার প্রচারণা, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ১৪ আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর টিম প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কর্মী বাহিনীসহ উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুত রাখতে হবে। দ্রুত রাস্তা চালু করতে হবে। ১৫ প্রত্যন্ত অঞ্চলের গবাদী পশুর নিরাপদ স্হানান্তর নিশ্চিত করতে হবে। ১৬ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্হানান্তরের হাল নাগাদ তথ্য প্রতি ০১ ঘন্টা অন্তর জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে। ১৭ ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের নিজস্ব কর্মী বাহিনীসহ সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। 18 উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষকে নিয়ে আসার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। 19 প্রয়োজনে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আগত মানুষের জন্য ইফতার ও সেহরীর ব্যবস্থা করতে হবে। 20 প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সাবান ও মাস্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হবে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। আশ্রয় গ্রহণকারীদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। 21 সিপিপি ভলেন্টিয়ারদের মোবাইলে রিচাজ প্রদান করা হলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। 22 ঝড় থামার আগে কেউ আশ্রয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে পারবে না। ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় উপজেলাওয়ারী প্রস্তুতিঃ
তথ্য সংগ্রহঃ ১৯ মে, ২০২০ বেলা ৫ টা।
সাতক্ষীরা জেলায় মোট আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৪৫ টি। তন্মদ্ধে, আশাশুনি উপজেলায় ২০৫ টি, দেবহাটা উপজেলায় ১৪৭ টি, কলারোয়া উপজলেয়ায় ২৮৩ টি, কালিগঞ্জে ২৭৫ টি, সাতক্ষীরা সদরে ৩৯১ টি, শ্যামনগরে ৩৬৮ টি ও তালায় ১৭৭ টি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৭,৫০,০০০ জন। ১৯ মে, ২০২০ বেলা ৫ টা পর্যন্ত আশ্রিত লোকসংখ্যা জন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ২৭১০ টি। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে মাস্ক ও সাবানের ব্যবস্থা আছে এবং আইসোলেসন রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
-

হার্ডলাইনে সাতক্ষীরা প্রশাসন, চলাফেরায় সর্বোচ্চ বিধিনিষেধ
তালা প্রতিনিধি ॥
সরকারের সিদ্ধান্তের পর ঈদ কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেয় সরকার। তবে দোকানপাট খুলে দেয়ার পরই শুরু হয় ক্রেতাদের উপড়েপড়া ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরার সব কাপড়ের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো হার্ডলাইনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার অভ্যন্তরীণ উপজেলাতেও যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর জেলার সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে জেলার ৩০টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় যেতে দিচ্ছে না প্রশাসন। মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালও। নিজেও রাস্তায় নেমে জনসাধারণের চলাফেরার তদারকি করছেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাফেরা তদারকি করছে প্রশাসনিক টিম। এরমধ্যে তালা উপজেলা সীমান্তবর্তী ৯ টি স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম, তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল ও পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদের নেতৃত্বে ৯ টি চেকপোস্টে জনসাধারণের চলাফেরায় রয়েছে কঠোর তদারকি।
শনিবার (১৬ মে) সকালে সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার সংযোগস্থল বিনেরপোতা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহার নেতৃত্বে চলছে চেকপোস্ট কার্যক্রম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেয়ার পর প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যেখানে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাপড়ের দোকানপাট বন্ধসহ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।
তিনি বলেন, অন্য জেলার মানুষ সাতক্ষীরায় প্রবেশ করতে না পারে একই সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ এক উপজেলার মানুষকে অন্য উপজেলায় যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজন ও সরকারি নির্দেশনার আলোকে চলাচল করা যাবে। কঠোরভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কেউ সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রশাসনের এত তৎপরতার পরও মানুষ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। তালা উপজেলার শিবপুর এলাকা থেকে সাতক্ষীরা শহরে এসেছেন ফারুক খান। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা প্রবেশের সঠিক কারণ তিনি জানাতে পারেননি। এছাড়া ইজিবাইক-মাহিন্দ্র, মোটরযান ও ট্রাকে করে মানুষকে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঈদ কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে জেলার কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জেলার কাপড়ের দোকান বন্ধ ঘোষণাসহ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। -

প্রেস নোট : যান ও জন চলাচল বন্ধে আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা প্রবেশদ্বারে কঠোর নজরদারি
সাতক্ষীরা: করোনা সংক্রমণ রোধে যান ও জন চলাচল বন্ধে সাতক্ষীরার সব প্রবেশদ্বারসহ আন্তঃউপজেলা প্রবেশ পথে চেক পোস্ট বসিয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
এসবে চেক পোস্টে আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা যান ও জন চলাচল বন্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল লাবসা বাইপাস মোড়ে এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় যশোর থেকে আসা কয়েকটি গাড়িকে যশোরে ফেরত পাঠানো হয়। একই সাথে বেনাপোল, সৈয়দপুর ও ঢাকা থেকে পিকআপ যোগে আসা কয়েকজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে আন্তঃজেলা ও জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যান ও জন চলাচল বন্ধের বিকল্প নেই। -

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক টিম
প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষকে সচেতন করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি সচল রাখতে সাতক্ষীরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক এবং খোলা ছাতা ব্যবহার করতে হবে। ক্রেতাদের নিজ এলাকায় কেনাকাটা করতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লোবস ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবসায়ীরা নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবে। আর এসকল কার্যক্রমে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে মনিটরিং করবে জেলা প্রশাসনের গঠিত স্বেচ্ছাসেবকরা। তরুণদের দৃঢ় বিশ্বাস, আস্থা এবং মনোবলই আমাদের শক্তি। আগামী ১৫ মে থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জেলা এবং উপজেলা সীমান্ত এলাকা, মার্কেটসমূহ এবং ভ্রাম্যমাণ টিম হিসেবে জেলাব্যাপি কাজ করবে। জনসচেতনতার মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বাধ্য করা হবে। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলাকে করোনামুক্ত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।’ বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহমুদুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলার স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। -
জেলা প্রশাসনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত, বিতরণ ও মজুদ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ত্রাণ কার্য (নগদ) হিসেবে মোট ৮০,৫০,০০০/- টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে । এর মধ্যে ৬৬,১০,০০০/- টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে মজুদ আছে ১৪,৪০,০০০/- টাকা । এছাড়া ত্রাণ কার্যে ১৬০০.০০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে । যার মধ্যে বিতরণকৃত ১৩০০.০০০ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে মজুদ আছে ৩০০.০০০ মেট্রিক টন চাউল । শিশু খাদ্যক্রয় বাবদ বরাদ্দ ২০,০০,০০০/- টাকা । যার মধ্যে বিতরণকৃত ১৫,৯৯,৯৩১/-টাকা এবং মজুদ আছে ৪,০০,০৬৯/- টাকা।সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে ২২৫ মেঃ টন চাল, ৯,৮৩,৫০০/- টাকা নগদ অর্থ ও ২,৮০,৪৫৬/- টাকা শিশু খাদ্য বাবদ বিতরণ করা হয়েছে । কলারোয়া উপজেলাতে ১৪২ মেঃ টন চাল, ৭,১৫,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৫৯,৪৪৮/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । তালা উপজেলাতে ১৬৩ মেঃ টন চাল, ৮,২৭,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৬১,৪৪৮/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । আশাশুনি উপজেলায় ১৫১ মেঃ চাল, ৮,১৮,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৬১,৮৭০/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । দেবহাটা উপজেলায় ৯৬ মেঃ টন চাল, ৫,৫৭,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,১৯,৫৮৬/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫৪ মেঃ টন চাল, ৭,৯৪,৫০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৬৮,৪৪৮/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । শ্যামনগর উপজেলায় ১৭৬ মেঃ টন চাল, ৮,৯০,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ২,৮০,৪৫৬/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । সাতক্ষীরা পৌরসভায় ১৪২ মেঃ টন চাল, ৭,৫৭,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৯৫,৪৯৫/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । কলারোয়া পৌরসভায় ৫১ মেঃ টন চাল, ২,০৮,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ৭৯,৭২৪/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে ।
-

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা
সাম্প্রতিক সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে করনীয় নির্ধারণে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা আজ বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরার সভাপতিত্বে উক্ত মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইলতুতমিশ, সভাপতি- চেম্বার অফ কমার্স, শপিং মল সত্ত্বাধিকারীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সভার শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা সবাইকে পড়ে শুনানো হয়। জেলার শপিংমলগুলোতে হাত ধোওয়া এবং স্যানিটাইজার এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একদরে পণ্য বিক্রি, ব্যবসায়ীদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণ এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়টি সাতক্ষীরা-২ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য সভায় তুলে ধরেন। সাতক্ষীরা-১ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য সভায় সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রনে কাপড় ব্যবসায়ী, জুতা ব্যবসায়ীদের সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম বা পিটিআই মাঠে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়টি তুলে ধরেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দোকানদারদের সচেতনতা এবং একদরে পণ্য বিক্রি করার বিষয়টি তুলে ধরেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, প্রতি দোকানে সিসিটিভি যুক্ত করতে হবে। সিভিল সার্জন সবাইকে ভিড় এড়িয়ে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন।
-

ভূক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে জেলা প্রশাসক: দুঃখ প্রকাশ
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গেটে চিকিৎসা না পেয়ে ভ্যানের উপর সন্তান প্রসব করার ঘটনা জানতে পেরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, ৫ মে সকালে ভূক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি হতদরিদ্র ঐ পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য সহায়তা সামগ্রী পৌঁছে দেন। নবজাতকের জন্য শিশুখাদ্য এবং তার মায়ের জন্য পুষ্টি সহযোগী খাবার ক্রয় করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা এঁর পক্ষে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসক দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঐ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এঁর নেতৃত্বে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
-

উপহার সামগ্রী নিয়ে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে দেখতে গেলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোটার ঃ উপহার সামগ্রী নিয়ে করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের টেকনেশিয়ান মাহমুদুল হক সুমনকে দেখতে গেলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। রোববার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়াস্থ তার ভাড়া বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী সুমনকে তিনি দেখতে যান।
এ সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে জেলা প্রশাসক সুমনের সাথে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থাসহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক তাকে সাহস যুগিয়ে বলেন, গোটা সাতক্ষীরাবাসী তোমার সাথে আছে। মনোবল দৃঢ় রাখ। অবশ্যই আমরা এই বিপর্যয় থেকে মুক্তি পাবো। জেলা প্রশাসক তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশিত পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কর্মী মাহমুদুল হক সুমনের ছেলেকে চকোলেট, বিস্কুট ও ফলসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসকের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। -

করোনাকে ঘিরে ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করলেই ব্যবস্থা —— ——————-সাতক্ষীরায় জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ
স্টাফ রিপোটার ঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেছেন, ত্রাণ নিয়ে আমরা সজাগ রয়েছি, কোন জনপ্রতিনিধি যদি ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগনকে ঘরে রাখতে তাদের প্রতি সম্মান রেখে সহনীয় পর্যায়ে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কি কি করা দরকার সেসব বিষয় নিয়ে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে।
দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা বিষয়ক কমিটির সভা শেষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। বিকালে ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান।
সভায় সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ঃ করোনাকে ঘিরে সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্ব¡াবধান ও পর্যবেক্ষণের জন্য জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সরকারিভাবে দায়িত্বে রয়েছেন। -

সীমান্তে চেকপোস্ট, কঠোর নজরদারি
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, তালা, আশাশুনি ও শ্যামনগর সীমান্তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও এনজিও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা থেকে কোন মানুষ বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের জেলা থেকে কেঊ সাতক্ষীরায় প্রবেশ করতে পারবেন না। জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা সার্বক্ষণিক বিষয়টি তদারক করেছেন।
