Category: জাতীয়

  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

    ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে গর্বিত জাতি আজ ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করছে।
    যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হলো।
    সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
    এদিকে, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। এসময় সারাদেশে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হবে। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সম্ভব হলে বাংলাদেশের সাথে একই সময়ে এবং অন্যান্যরা একই দিনে সুবিধাজনক সময়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালন করবে।
    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান উঁচু ভবনসমূহে বৃহদাকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
    ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ (অ্যাম্পিথিয়েটার) থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌপথে বিশিষ্ট শিল্পীগণের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশিত হয়।
    দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
    এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুদিবা যত্ন কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ বিকাল ২টা হতে ঐদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
    বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশুকিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরে সকালে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে যে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলÑদীর্ঘ নয় মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।
    ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।
    সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
    মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুই দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

  • গ্যাসের দাম বাড়ালে কঠোর আন্দোলন : ড. কামাল

    গ্যাসের দাম বাড়ালে কঠোর আন্দোলন : ড. কামাল

    ডেস্ক রিপোর্ট: গণশুনানির নামে প্রতারণা ও এলএনজি ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ হুমকি দেন। বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করবে। শিল্পকারখানা, পরিবহন ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। এর প্রভাব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও যাতায়াত খরচের ওপরও পড়বে। তিনি আরও বলেন, গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ দিকে ঐক্যফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুও এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একই কথা বলেছেন। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান।

  • নিউ জিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা: রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা

    নিউ জিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা: রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা

    ডেস্ক রিপোর্ট: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে হামলার পর হামলাকারী বেছে নিয়েছিল লিনউড মসজিদকে। নূর মসজিদের হামলায় ৪১ জনকে হত্যায় সমর্থ হলেও তার দ্বিতীয় হামলায় হতাহত্যের সংখ্যা তুলনামূলক কম। লিনউড মসজিদের হামলায় ৮ জনকে হত্যায় সমর্থ হয় সে। প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যম নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড খবর দিয়েছে, একজন তরুণ তার অসীম সাহসী ভূমিকার মধ্য দিয়ে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। তিনি ওই মসজিদ দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত খাদেম। শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার দুইটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা হয়। এদের একটি শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আল নূর মসজিদ। আরেকটি মসজিদ লিনউডে অবস্থিত। দেশটির পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৯ জনে। এদের মধ্যে আল নূর মসজিদেই নিহত হয়েছেন ৪১ জন। লিনউডে ৭ জন মুসল্লি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর হাসপাতালে মারা যান একজন।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, লিনউড মসজিদের খাদেম ওই তরুণ হামলাকারীর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারত। প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ মাজহারউদ্দিন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেছেন, ওই সময় ৬০ থেকে ৭০ জন মুসল্লি মসজিদে ছিলেন। গুলি শুরু হলে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন তারা। ‘আমি তখন লুকানোর জায়গা খুঁজছিলাম। ওই সময় দেখলাম এক লোক অস্ত্র নিয়ে মসজিদের দরজা দিয়ে ঢুকল।’ মাজহার জানান, সামরিক কায়দার ক্যামোফ্লাজড গিয়ার পরিহিত ওই হামলাকারী তখন নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিলো। ‘দরজার কাছেই ছিলেন বয়স্ক কয়েকজন মানুষ। হামলাকারী তাদের দিকেও গুলি চালায়। ওই সময় মসজিদের তরুণ খাদেম সুযোগ বুঝে হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেন।‘ বলেন তিনি। মাজহারের দাবি, ওই খাদেম হামলাকারীকে ধরার চেষ্টাও করেন। তবে বাইরে থাকা একটি গাড়িতে চড়ে সে সটকে পড়ে। নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়ায়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চের এই ঘটনার পর কোনও গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সজাগ রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিউ জিল্যান্ডে মসজিদে মুসলিম বিদ্বেষী হামলার পর পাল্টা হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও নিরাপত্তা ‘ঝুঁকি চিহ্নিত’ করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাটি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও ঘটনার পরপরই আমরা রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। রাজধানীর কূটনীতিক এলাকায় এমনিতেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, সেখানেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৯ জন ইসলাম ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে অন্তত তিন জন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। হামলায় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে ৪১ জন এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদে ৮ জন নিহত হন। এই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ফলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এদিকে, ঘটনার পর ব্রেনটন ট্যারান্ট নামে এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’বছর ধরে নেওয়া পরিকল্পনার বাস্তবায়নকারী এই বন্দুকধারী হামলার চালানোর আগে অনলাইনে একটি দীর্ঘ বার্তা দিয়েছে। এতে সে হামলার কারণ উল্লেখ করে। সে নিজেকে শ্বেতাঙ্গ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের অনুসরণকারী হিসেবে উল্লেখ করে। ওই বার্তায় মুসলিম বিদ্বেষী বিভিন্ন ধরনের কথাও লিখেছে সে। গণমধ্যমে ব্রেনটনের এই ভাষ্য আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা রকম প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কেউ বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা করে বসে কিনা, সেই আশঙ্কা থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাড়তি সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ ভিজিবল পুলিশিং, টহল, পেট্রোল ও তল্লাশি চৌকির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চের হামলায় আইডোলজিক্যাল পয়েন্ট থেকে দুটো বিষয় দেখতে পাচ্ছিÍ আমরা বলছি, প্রবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ও ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। একটা মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে, এই ইসলাম বিদ্বেষের কারণে আমরা যেন অন্য ধর্মালম্বীদের প্রতি বিদ্বেষী না হয়ে যাই, সেজন্য সামাজিক সম্প্রীতির ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। একটি সহনশীল সমাজ গঠনের জন্যই এখানে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। সমাজকে সহনশীল ও সহিষ্ণু রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের এখানে টেরোরিজম বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়। ফলে সেরকম কোনও আশঙ্কা নেই। তারপরও আমাদের এখানে তো কনস্ট্যান্ট একটা থ্রেট আছেই। জঙ্গিবাদের ঝুঁকির মধ্যেই আমরা আছি। এই বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করার জন্য কেউ কেউ কাজ করতে পারে। শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী না, জঙ্গি গোষ্ঠীকে বিভিন্ন জিও-পলিটিক্যাল কারণে অনেকেই তাদের মদদ দিয়ে থাকে, তাদের স্বার্থের জন্য। সেই ঝুঁকি থেকে তো আমার মুক্ত না। তো সেই ঝুঁকি চিহ্নিত করা, তার আঁচ কোথায় লাগবে, কিভাবে লাগবে, সেটি নির্ণয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই ঝুঁকি চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
    আরেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি না এই হামলার পর বাংলাদেশে ভীষণভাবে এর কোনও প্রভাব পড়বে। কারণ, এই হামলা যে দেশে হয়েছে, তারা মোটামুটি অ্যাকশন নিয়েছে। তারপরও যেহেতু এখানেও এক ধরনের জঙ্গি বলি বা এক্সট্রিমিস্ট বলি, কিছু লোকজন তাদের আছে, আমাদের সিকিউরিটি সিস্টেম বা ইন্টেলিজেন্সে যারা আছেন, তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে এক্সিট পয়েন্ট বা এন্ট্রি পয়েন্টসহ সব জায়গায় এলার্ট থাকতে হবে।’ সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এখানে এমনিতেই এলার্ট আছে। আমি মনে করি না এখানে বড় ধরনের কোনও রিপারকেশন হবে। তবে আমাদের এলার্ট থাকা উচিত।’

  • আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

    ডেস্ক নিউজ : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন বজ্রকণ্ঠে এই উচ্চারণ করেছিলেন, সেদিনই এ দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছিল পাকিস্তানের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সময় এসেছে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিই আসলে বাঙালির পরাধীনতা মুক্তির সনদ। আজ ঐতিহাসিক সেই দিনটির ৪৮তম বার্ষিকী।

    দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদযাপন করবে।

    ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভাষণ দিতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর আগে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের কারণে পুরো জাতি মুখিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শোনার জন্য। সেদিন রেসকোর্স ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর বজ্রকণ্ঠে সেদিন পুরো জাতিকে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। ঐতিহাসিক সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনাগুলো দেন পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিন পর্যন্ত সেভাবেই দেশ পরিচালিত হতে থাকে। এ ভাষণটি পুরো জাতিকে এমনভাবে উজ্জীবিত করেছিল যে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের ওপর হামলে পড়লেও বাঙালি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করতে পেরেছিল।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিপাগল জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐ ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে—বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।’

    তিনি বলেন, “দেরিতে হলেও ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর এই ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড ডেমোক্রেসি হ্যারিটেজ’-এর মর্যাদা দিয়ে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে। বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের বড় অর্জন।”

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমাদের ইতিহাস এবং জাতীয় জীবনের এক অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য অধ্যায়; যার আবেদন চির অম্লান।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কালজয়ী এই ভাষণ বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষের সব সময় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

    আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অন্যান্য কর্মসূচি: সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমিতে অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের একক বক্তৃতা আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। বিকেল ৫টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘সত্যযুগের সত্যরাজা’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ’ শীর্ষক তথ্য ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

    এ ছাড়া চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

  • ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর সাথে রুহুল হক এমপি

    ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর সাথে রুহুল হক এমপি

    ডেস্ক রিপোর্ট: সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক রুহুল হক এমপিসহ চিকিৎসকবৃন্দ। পরবর্তীতে বিশ^বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর পরামর্শে আওয়ামীলীগের শীর্ষ এ নেতাকে সোমবার বিকেলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।
    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা দেখতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান ভারতের বিখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন দেবী প্রসাদ শেঠী। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ সোমবার দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে ডা. শেঠীকে স্বাগত জানান। তারপর তারা সরাসরি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
    উল্লেখ্য, ভারতের নারায়ণ ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠীর ১৫ হাজারের বেশি অস্ত্রোপচার করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বল্প খরচে হৃদরোগের চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত এই চিকিৎসককে ২০১২ সালে পদ্মভূষণ খেতাবে ভূষিত করে ভারত সরকার।

  • পিআইবি মহাপরিচালক সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক জ্ঞাপন

    পিআইবি মহাপরিচালক সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক জ্ঞাপন



    প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)র মহাপরিচালক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মো.
    শাহ আলমগীর আর নেই (ইন্না লিল্লালি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)।
    বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক
    হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি
    শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
    তিনি রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের রোগে
    ভুগছিলেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি
    করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।  তার চিকিৎসার
    জন্য সেখানে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল।
    শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার
    ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।
    উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলায় যোগ দেওয়ার
    মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এই সাংবাদিক। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে
    ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
    এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো
    প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের
    নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম
    বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
    পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব
    নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা
    প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
    শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব
    পালন করেছেন।
    সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর
    ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’,
    ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা
    যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।
    শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি
    সূত্রে বৃহত্তর ময়মনসিংহে জীবনের বড় একটি সময় কাটে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর
    কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা
    সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।
    পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক ছেলে ও মেয়ের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম
    একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্র্মরত। ছেলে আশিকুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
    আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে কর্র্মরত রয়েছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি
    অনন্যা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যয়নরত।

    তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একই সাথে তার
    বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাবে সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী,
    সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস
    সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন,
    সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম
    খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন,
    জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের
    সকল সদস্যবৃন্দ।

  • রোহিঙ্গা সংকট: হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ক্যাম্পে গিয়ে যা বললেন

    রোহিঙ্গা সংকট: হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ক্যাম্পে গিয়ে যা বললেন


    • ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

    বিবিসি: বাংলাদেশ সফররত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের সাথে কথা বলেছেন।

    প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন হলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তবে তিনি এসেছেন মূলত জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হয়ে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে।

    কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাতের পর তার ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে।

    কক্সবাজার থেকে বিবিসি সংবাদদাতা শাহনেওয়াজ রকি জানাচ্ছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আজ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী।

    পরে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, যারা নির্যাতিত হয়েছে মিয়ানমারে তাদের সাথে তার কথা হয়েছে।

    “নির্যাতিতরা বলেছেন যে হয় আমাদের বাংলাদেশে রাখো নাইলে গুলি করো। কিন্তু রাখাইনে ফেরত দিয়ো না।”  

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এমপি রুহুল হকের শ্রদ্ধাঞ্জলি

    বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এমপি রুহুল হকের শ্রদ্ধাঞ্জলি


    নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।
    বৃহস্পতিবার তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ ও নিয়েছেন। শুক্রবার দলের নেতাকর্মী ও ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা বাসীদের নিয়ে ধানমন্ডী ৩২শে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে ডা: রুহুল হক উপস্থিত ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ করেন।
    এসময় ডাঃ রুহুল হক তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে তোমরা দেখোনি তাঁর নাম শুনেছ। তোমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে, তাঁর আদর্শ সম্পর্কে ধারণা পাবে অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ার মাধ্যমে।
    তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুধুমাত্র এদেশের মানুষের মুখে হাসি দেখতে চান। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ সাতক্ষীরা-৩ আসন সহ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করার ঘোষণা দেন।
    এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, তেঁজগাও কলেজ, শ্যামলী ম্যাটস, ট্রমা ম্যাটস, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ উপস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডা: রুহুল হকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং আসন্ন মন্ত্রীপরিষদে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দেখবার প্রত্যাশা করেন।

  • শ্রদ্ধা: তারামন বিবি- সীমাহীন সাহসের নাম

    শ্রদ্ধা: তারামন বিবি- সীমাহীন সাহসের নাম


    জায়েদ হাসান:

    ১৯৭১ সাল। ১৬ ডিসেম্বর। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। নতুন এক মানচিত্র। আর এই জয় ছিনিয়ে আনতে জীবন বাজি রেখেছিলে বেশ কয়েকজন নারী। তাদের মধ্যে একজন হলেন তারামন বেগম । মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তারামন বিবি নামে পরিচিত ছিলেন।

    অসীম সাহসিকতার এক প্রতীক তারামন বিবি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন তিনি। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ছিলেন তিনি।

    সেই দিনটির কথা মনে করে এই বীর নারী জানান, তখন সন্ধ্যা। রান্নার জন্য কচুরমুখি তুলছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম মুহিব হাবিলদার। তিনি তাকে তার সঙ্গে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাইলেন। রান্নার কাজের জন্য। বিষয়টি মাকে জানালেন। কিন্তু মা দেশের কথা ভেবে ক্যাম্পে যেতে অনুমতি দিলেন।

    মুহিব হাবিলদার তারামন বিবিকে তার ধর্মমেয়ে বানালেন। ক্যাম্পে মূলত রান্নার কাজই করতেন তিনি। আর অস্ত্রগুলো মুছে পরিষ্কার করতেন। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালানো শেখাতেন।

    তারামন বিবির ভাষ্য, তাকে প্রথমে রাইফেল চালানো শেখানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ছোট হওয়ায় বুকে ব্যথা পেতেন।পরে স্টেনগান চালানো শেখেন। পরবর্তীতে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। পাকিস্তানি বাহিনীর খবর সংগ্রহ করতেন।

    ১৯৭১ সালে একদিন দুপুরে খাওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনী একটি গানবোট নিয়ে হানা দেয় তারামন বিবির ক্যাম্পে। সেদিন সহযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে শত্রুদের পরাস্ত করেন। এরপর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে পুরুষ সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে লড়াই করেন এই বীর নারী।

    ক্যাম্পে তিনিই ছিলেন সবার ছোট। তাই সবাই তাকে খুব আদর করত। একদিন দুপুরে খাওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনী একটি গানবোট নিয়ে তাদের দিকে আসতে থাকে। খবর পেয়ে তিনিও তার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শত্রুকে পরাস্ত করেন। পরবর্তী সময়ে তারামন বিবি বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভাগ্যের জোরে কয়েকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।

    যুদ্ধ শেষে মায়ের কাছে ফিরে আসেন তারামন। ১৯৭৩ সালে তৎকালিন সরকার মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করে তাকে। তারপর ১৯৭৪ সালে আবদুল মজিদের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এই নারীর এক ছেলে আবু তাহের, ও মাজেদা খাতুন নামে এক মেয়ে আছে।

    এরপর তারামন বিবিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা অর্জনের ২৪ বছর পরও তার সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ১৯৯৫ সালের দিকে তার সন্ধান মেলে। ময়মনসিংহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিমল কান্তি তাকে খুঁজে বের করেন। নারী সংগঠনগুলো তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে বীরত্বের সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

    ১৯৫৭ সালে রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তারামন বিবি। তার বাবার নাম আবদুস সোহবান ও মায়ের নাম কুলসুম বিবি। তিনি অস্ত্র হাতে ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন রৌমারী রণাঙ্গনের কোদালকাটির সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।

    মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসেই চিরবিদায় নিলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক তারামন বিবি। সুত্র : ইত্তেফাক

  • একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরকন্যা বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই

    একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরকন্যা বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই

    একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরকন্যা বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই। শুক্রবার দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়ায় নিজস্ব বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৮ নভেম্বর কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থেকে ময়মনসিংহ সিএমএইচ (সেনা ক্যান্টমেন্ট হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ১ সপ্তাহ আগে তাকে রাজিবপুরের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

    শুক্রবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বাড়িতেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। পরে রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করেন।

    কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, বীর প্রতীক তারামন বিবির নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টরের হয়ে তারামন বিবি মুক্তিবাহিনীদের রান্নাবান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীদের খবরাখবর সংগ্রহ করা এবং সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এ কারণে তাকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়েছে।

    মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশে যে দুজন নারী মক্তিযোদ্ধাকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়া হয়েছে তারামন বিবি তার একজন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

  • আজ মুক্তিযোদ্ধা দিবস : জাসদ সভাপতি শ্রদ্ধা নিবেদন

    আজ মুক্তিযোদ্ধা দিবস : জাসদ সভাপতি শ্রদ্ধা নিবেদন

    মুক্তিযোদ্ধা দিবসে জাসদ সভাপতি ও মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু এমপি ‘র নেতৃত্বে মীরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মাননীয় মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন,“ আজ ১লা ডিসেম্বর ২০১৮। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। ২০০৪ সাল থেকে জাসদ, আজকের এই দিনটি”মুক্তিযোদ্ধা”দিবস হিসেবে পালন করছে এবং একই সাথে এই দিনটি ” মুক্তিযোদ্ধা” দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জোর দাবীজানাচ্ছে । আজকে এই দাবীর প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে। আশাকরি অবিলম্বে সরকার এই দাবী মেনে নেবেন।
    এখানে একটি প্রসঙ্গ বিনয়ের সাথে উল্লেখ করতে চায় শুধু সরকারের সাথে যারা আছেন তাদের মধ্যে, বিশেষকরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে, ” ১৯৯৯ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে, যখন কুষ্টিয়ার কালিদাসপুরে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়, তখন বিভিন্ন মহল থেকে দাবী উঠেছিল, উনাকে জাতীয়বীরের মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হোক, আমরা শহীদ মিনারে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম, কিনতু সাড়া মেলেনি, উনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আমরা করতে পারিনি। এর ৩/৪ মাস পরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিযোদ্ধারামারা গেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে এবং এটা চলছে। হয়তো ২দিন আগে বা পরে ১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘােষণা করা হবে বলে আমরা আশাকরি। এর আগের একটি ঘটনা, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার এক খলিফা আব্দুল কুদ্দুস মাখন মারা গেলেও তৎকালীন বিএনপি সরকার বহু নাটকের পর, উনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্হা করেছিল। এটাই আমাদের সরকারগুলোর অদূরদর্শিতা! । ”

    মুক্তিযোদ্ধা দিবসের এশ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন , মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান শওকত,বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ সহ সভাপতি শফী উদ্দিন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মাইনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, নাদের চৌধুরী, জাতীয় যুবজোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, মীর্জা আনোয়ার, যুবনেতা সামসুজ্জামান সম্রাট ও নওশের আলী সজীব। নারীনেত্রী রাবেয়া দিলরুবা ও নার্গিসসহ আরো অনেকে। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাএনেতা সামসুল ইসলাম সুমন।
    ছাএনেতা নুরুজ্জামান ননী,গোলাম কিবরিয়া ওগোলাম মোস্তফা

  • নির্বাচন  কোন জঙ্গিগোষ্টি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সম্পাদায়িক শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৌশল হতে পারে না – হাসানুল হক ইনু

    নির্বাচন কোন জঙ্গিগোষ্টি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সম্পাদায়িক শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৌশল হতে পারে না – হাসানুল হক ইনু

    সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এ বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, কোন দণ্ডিত অপরাধীর মুক্তির হাতিয়ার হতে পারে না নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে কোন জঙ্গিগোষ্টি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সম্পাদায়িক কোনো শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৌশল নির্বাচন হতে পারে না।

    তিনি বলেন, ৫ বছর পর নির্বাচন হয় নতুন সরকার গঠন করার জন্য। এ সময় ইভিএম সংবিধান সম্মত উপায়েই নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করছে বলে তিনি দাবি করেন। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল হাফিজ তপন, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ছবি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলম জাকারিয়া টিপু, উপজেলা জাসদের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম আতা, সাধারণ সম্পাদক এসএম আনছার আলী প্রমুখ।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই কেনা যাবে সিম

      মোবাইল সিম

    নতুন মোবাইল সিম কিনতে লাগবে না জাতীয় পরিচয়পত্র

    গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা জোরদার করতে চালু হয়েছে ই-নিবন্ধন। এখন থেকে নতুন মোবাইল সিম কিনতে বা নিবন্ধন করতে কোনও ফরম পূরণ করতে হবে না কিংবা লাগবে না জাতীয় পরিচয়পত্র।

    সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ প্রসঙ্গে একটি নির্দেশনা দেশের সব মোবাইলফোন অপারেটরগুলোকে পাঠিয়েছে। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে অপারেটরগুলো নতুন নিয়মে সিম বিক্রি ও নিবন্ধন করছে।

    গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকদের জন্য ই-নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সেবা নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। অপরদিকে অপারেটরটি দেশে ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করেছে বলে বাংলালিংক সূত্রে জানা গেছে।

    জানা গেছে, ই-নিবন্ধন একটি কাগজবিহীন সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া যেখানে গ্রাহকদের নতুন সিম কেনার জন্য ছবি কিংবা কোনও আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স) দিতে হবে না।

    নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ই-নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এখন থেকে গ্রাহক সিম বিক্রেতাকে শুধু তার নাম, আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার মাধ্যমেই নতুন সিম কিনতে পারবেন। এছাড়া, গ্রাহককে গ্রাহক আবেদন পত্রও (এসএএফ) পূরণ করতে হবে না।

    সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই গ্রাহক সম্পন্ন করতে পারবেন বিনা খরচে। তবে নতুন সংযোগের দাম কিংবা প্রাসঙ্গিক সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে। ধীরে ধীরে এ প্রক্রিয়া মালিকানা হস্তান্তরসহ (গ্রাহক ও করপোরেট), দ্বৈত দাবি, মৃত্যুর মামলা নিষ্পত্তি, এমএনপি ও ঠিকানা পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।

  • খালেদা-তারেক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

    খালেদা-তারেক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আজ আবারো তৎকালীন বিএনপি সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে জঘন্য গ্রেনেড হামলায় বিএনপি, খালেদা জিয়া (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) ও তার পুত্র তারেক রহমান সরাসরিভাবে জড়িত রয়েছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

    শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো সমাবেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা সাধারণত পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে এ দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি বলেন, ‘কিন্তু ওই দিন তাদের (স্বেচ্ছাসেবকদের) সমাবেশের আশপাশের কোনো ভবনের ছাদে থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, কারা এ হামলায় জড়িত।’

    প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার সকালে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।

    এর আগে তিনি সেদিনের ঘটনাস্থল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, হামলার সময় সেখানে উপস্থিত সেনা গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ফোন করে এখানে কি হচ্ছে জানতে চাইলে তাকে ধমক দিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়।

    যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা একটু সাহায্য করতে চেয়েছে তাদের সরকার ও বিএনপি’র পক্ষ থেকে তিরস্কার করে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে না এসে পুলিশ বরং যারা সাহায্য করতে এসেছিল তাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে খুনীদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বোমা সন্ত্রাস এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। যে হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মানব ঢাল রচনায় প্রধানমন্ত্রী সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের শব্দে তাঁর শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের সমস্যা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী এদিন সমাবেশস্থলে এসেই প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে পুুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদদের বেদীতে শ্রদ্ধা জানান।

    মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ এবং ১৪-দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ, ২১ আগস্টে নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন এবং সেদিন যারা আহত হন তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবার-পরিজন এবং আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। খবর বাসস।

  • ঈদের দিন হতে পারে হালকা বৃষ্টি

    ঈদের দিন হতে পারে হালকা বৃষ্টি

    মশাল ডেস্ক: দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ জিলহজের ১০ তারিখ অর্থাৎ ২২ আগস্ট (বুধবার) উদযাপিত হবে। আর তিনদিন মাত্র বাকি আছে ঈদের। তীব্র গরম পড়ছে, তার মধ্যে আবার আকাশ ঢেকে যাচ্ছে কালো মেঘে। কখনও ঝুম বৃষ্টি। কিন্তু এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমছে না। তাপমাত্রা প্রতিদিন উঠানামা করছে।

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপও সৃষ্টি হতে পারে। তার উপর নির্ভর করছে কুরবানি ঈদের দিনসহ আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়া না হওয়া। তবে ঈদের দিন হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেদিন রোদ এবং তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে কিছুটা।

    শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

    বিষয়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, কালকের (সোমবার) মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হবে, তার উপর ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়া না হওয়া নির্ভর করছে। রবিবার (১৯ আগস্ট) ও সোমবার (২০ আগস্ট) বৃষ্টি বাড়তে পারে। সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি বেশি হলে ঈদের দিন বৃষ্টি হালকা পরবে বলে ধারণা করা যায়।

    জানা গেছে, আর ওই লঘুচাপটি ভারতের উড়িশ্যার দিকে চলে গেলে বাংলাদেশেও বৃষ্টি অনেক কম হবে। আর বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করলে ঈদের সময় বৃষ্টির মধ্যে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।

    আবহাওয়া অফিস বলছে, আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার কথা।

    আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, পবিত্র ঈদুল আজহায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে ঈদের আগের দিন বা পরের দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টি নেই।

    আর ঈদের দিন পশু কুরবানি দেওয়ার জন্য তাই বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আগেই বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়াটা শ্রেয়।

    শনিবার রাজধানীতে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আজ রবিবার ভোরে বজ্রসহ রাজধানীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়ো বাতাস ও আকাশ কালো মেঘে ঢেকে আছে। আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ (ফাইল ফটো)
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার নিজস্ব অ্যাকাউন্ট বা পেইজ নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদের।

    তবে বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়জেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। শনিবার (১৮ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নামে যেসব অ্যাকাউন্ট বা পেইজ আছে তাদের কোনো অনুমোদন নেই।

    ফেসবুকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই সায়মা হোসেন ওয়াজেদের নামে একটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েডের চেষ্টা করা হয়েছে, যা এখন ব্লক করে রেখেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

    এছাড়া এ ধরনের অনুমোদিত অ্যাকাউন্ট বা পেইজ থেকে সতর্ক থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ অ্যাকাউন্ট চালু করলে সেই বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সজীব.ওয়াজেদ ও টুইটার অ্যাকাউন্ট সজীব ওয়াজেদ এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রাদওয়ান সিদ্দিক চালু থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট তারা নিজেরাই পরিচালনা করেন বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।

  • ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই প্রধানমন্ত্রী, শেখ রেহানা ও সায়মার

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ (ফাইল ফটো)

    ডেস্ক রিপোর্ট: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার নিজস্ব অ্যাকাউন্ট বা পেইজ নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদের।

    তবে বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়জেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। শনিবার (১৮ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নামে যেসব অ্যাকাউন্ট বা পেইজ আছে তাদের কোনো অনুমোদন নেই।

    ফেসবুকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই সায়মা হোসেন ওয়াজেদের নামে একটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েডের চেষ্টা করা হয়েছে, যা এখন ব্লক করে রেখেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

    এছাড়া এ ধরনের অনুমোদিত অ্যাকাউন্ট বা পেইজ থেকে সতর্ক থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ অ্যাকাউন্ট চালু করলে সেই বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সজীব.ওয়াজেদ ও টুইটার অ্যাকাউন্ট সজীব ওয়াজেদ এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রাদওয়ান সিদ্দিক চালু থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট তারা নিজেরাই পরিচালনা করেন বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।

  • হেলিকপ্টারে পদ্মা সেতুর অগ্রগতি দেখছেন প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে ঢাকা ফিরছিলেন। পথে তিনি স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অগ্রগতি দেখেন। এ সময় তার মুখাবয়বে ফুটে ওঠে আত্মবিশ্বাসের ছাপ। আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

    হেলিকপ্টারে বসা প্রধানমন্ত্রীর ওই ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ইলিয়াস রাসেল। আর ছবিটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন ফটো সাংবাদিক ইয়াসিন কবির জয়।

    তিনি ফেসবুকে লিখেন, বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু। দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহলের হাজারো কূটপরিকল্পনা পায়ে দ’লে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে স্বপ্নের এই সেতু। যেন প্রমত্তা পদ্মায় মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে দুরন্ত এক বাংলাদেশ। আর তাই দেখে আবেগে আপ্লুত বঙ্গবন্ধুকন্যা।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। এরপর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিয়ারে বসে দ্বিতীয় স্প্যান।

    ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিয়ারের ওপর তৃতীয় স্প্যান স্থাপন করা হয়। সবশেষে ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়।

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    ঢাকা ব্যুরো : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

    ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিউগলে করুন সুর বেজে ওঠে।

    এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করা হয়।

    পরে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।