Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
খুলনা Archives - Page 6 of 7 - Daily Dakshinermashal

Category: খুলনা

  • যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে

    যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে

    ডেস্ক রিপোর্ট: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিং করছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি- পিআইডি)সরকারি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাকে ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। তরুণ প্রজন্মের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী সবসময় আন্তরিক— সরকারের পক্ষ থেকে এমন বার্তাও আন্দোলনকারীদের সমঝোতায় যেতে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া, রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সময় উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনাও সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    কোটা সংস্কারের দাবিতে রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার পর সারারাত ধরেই ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে রবিবার মধ্যরাতেই সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৪টার পর।
    সচিবালয় থেকে ফেরার পর বক্তব্য রাখছে প্রতিনিধি দল, তাদের বক্তব্য মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরাআন্দোলনকারী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই মূলত সমঝোতাকে ত্বরান্বিত করেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সরকারের সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ ব্ঠৈক করেন। পরে তিনি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির বিষয়ে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। আন্দোলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরপরই আন্দোলনকারীদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে আন্দোলনকারীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে, আন্দোলনকারীরা প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন, তারাই দেশের নতুন প্রজন্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় এই নতুন প্রজন্মের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতিও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক।
    এদিকে, রবিবার রাতে আন্দোলনকারীরা যখন পুলিশের উপর্যপরি টিয়ারশেলের মুখে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছত্রভঙ্গ, সেই সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক সরকারের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। নানক জানান, ওবায়দুল কাদেরকে এই বৈঠকের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়গুলো আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। পাশাপাশি রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে মুখোশধারীদের হামলা খানিকটা ভীতিও ছড়িয়েছে। এই বিষয়গুলো সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতাদের কয়েকজন।
    রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড আন্দোলনকারীদেরসোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আন্দোলনের ফলে রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের রাজপথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রোগীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যাওয়া-আসায় সমস্যা হচ্ছে। অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন সব হয়রানির মধ্যে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে আন্দোলনকারীদের আত্মীয়রাও থাকতে পারেন। মন্ত্রী এভাবে বিষয়গুলো বোঝালে তা আন্দোলনকারীদের মনে দাগ কেটেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা কয়েকজন নেতা। তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখবেন। তার প্রতি আমাদের এই বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি।’
    আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকা একজন নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন করা তো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের দাবি আদায় হওয়াটাই মূল বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তার দলের সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি, আমাদের দাবি পূরণ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে বলেই আমরা সমঝোতায় এসেছি।’
    যদিও, সমঝোতার এই সিদ্ধান্ত ঢাবি টিএসসিতে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা মেনে নিতে রাজি হননি। বৈঠক থেকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা সমঝোতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরলেও ঢাবি টিএসসিতে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীরা সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা ছাড়েন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সকালে ফের ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
    উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ মার্চ কোটা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি নিয়োগে কোটায় কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর ব্যখ্যা দিয়ে ৫ এপ্রিল আরেকটি পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্র ঘিরেই দানা বাঁধে আন্দোলন, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে।
    ফাঁকা টিএসসি, রাত সাড়ে ৯টার চিত্র (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)৫ এপ্রিলের পরিপত্রে বলা হয়— প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের ৫ মে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী কোনও জেলায় বিতরণ করা পদের সংখ্যার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে ওই বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক নিজ নিজ বিশেষ কোটার (অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার কোনও কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করিতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও কোনও বিশেষ কোটার পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
    পরিপত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়— এসব নিয়োগে কোনও বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে তা জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
    এই পরিপত্রের সরকারি নিয়োগে কোটার বিধি নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। পরে তা থেকেই শুরু হয় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ।

  • খুলনায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

    বিশেষ প্রতিনিধি: খুলনায় গোলাম মওলা(৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে তেরখাদা উপজেলার আটলিয়া গ্রামের খামার বিল এলাকায় এ হত্যাকা- ঘটে। এ সময় আরো চারজন আহত হন। তেরখাদা থানা পুলিশ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। নিহত গোলাম মওলা তেরখাদা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
    স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে স্থানীয় আটলিয়া গ্রামের খামার বিল এলাকায় কৃষকলীগ নেতা ঝিলু মুন্সী ও গোলাম মওলার মধ্যে বাকবিত-া হয়। পরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝিলু মুন্সীর লোকজন গোলাম মওলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
    সংঘর্ষে আহত হন- গোলাম মওলার সমর্থক লিপি বেগম (৪৫), সোহেল শেখ (২৫), সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) ও গোলাম মওলার ছেলে খালিদ শেখ (২৫)। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    গোলাম মওলার ছেলে খালিদ শেখ জানান, কৃষকলীগ নেতা ঝিলু মুন্সী ও তার বাবার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে সোমবার সকালে ঝিলু মুন্সী রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার লোকজন নিয়ে তার বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালেকুজ্জামান ইউপি পরিষদ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • মোবাইল ফোনের কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে: রাষ্ট্রপতি

    মোবাইল ফোনের কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে: রাষ্ট্রপতি

    ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘এখন মোবাইল ফোন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এ কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ বুধবার (৪ এপ্রিল) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তনে এসব কথা বলেন তিনি।
    রাষ্ট্রপতি মনে করেন, প্রযুক্তি উন্নয়নের সহায়ক। তবে এই প্রযুক্তি যেন সর্বনাশের কারণ না হয় সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কারভাবে মনে রাখতে হবে, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হওয়ার জন্য প্রযুক্তি বা মোবাইল ফোন কোনোভাবেই দায়ী নয়। বরং এর দায়দায়িত্ব ব্যবহারকারীর। আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তন ও মানবতার কল্যাণে কাজে লাগানোর মধ্যেই প্রযুক্তির সার্থকতা নিহিত।’

    সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞানী ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

  • পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল অস্ত্রপাচারে নারীর মৃত্যু!

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় ভুল চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ভুল অস্ত্রপাচারের ফলে আরিফার(২১) মৃত্যু হয়। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে ক্লিনিক কতৃপক্ষ।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ বিকালে উপজেলার মৌখালী গ্রামের মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী আরিফা খাতুন পেট ব্যাথা জনিত কারণে পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ১৬ মার্চ তার এ্যাপান্ডিসের অস্ত্রপাচার করেন ক্লিনিক মালিক কথিত ডাক্তার তাপস ও সাতক্ষীরা থেকে আগত ডা. বিপেন বিহারী। অস্ত্রপাচারকালে তারা আরিফার মুত্রনালি কেটে ফেলেন। মুত্রনালি কাটার কারণে দুই দিন ধরে তার প্রসাব পায়খানা না হওয়ায় তার পেট ফুলতে থাকে।

    ১৯ মার্চ রাতে রুগীর পেট ব্যাথায় আর্তনাদ করতে থাকলে ডাক্তাররা এসে দেখেন রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। রাতেই কথিত ডা. তাপস নিজেই এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও তার মাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানকার ডাক্তারা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন রোগীর প্রসাব ও পায়খানার রাস্তা এক হয়ে গেছে, শরীরে অপরেশন করার সময় মুত্রনালি ছিড়ে গেছে। যার কারণে ২২ মার্চ আরিফার মৃত্যু হয়। মৃত আরিফার বাবা আব্বাস আলী জানান, ভুল অস্ত্রপাচারের কারণে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারা খুলনায় নিয়ে রোগী বাঁচাতে অনেক টাকা খরচ করলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারিনি। তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করে নিয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কত টাকা দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার বিষয় তার জামাই জানে।

    শাপলা ক্লিনিকের মালিক তাপসের কাছে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগী অস্ত্রপাচারের পর তার কিডনি জনিত সমস্যার কারণে খুলনায় পাঠানো হয় এবং ২২ মার্চ সকালে সেখানে মৃত্যু হয়। টাকা লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে এ ক্লিনিকে একাধিক রোগী মৃত্যু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়।

  • Untitled post 1515

    ডেস্ক রিপোর্ট: স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় যাওয়ায় গতকাল বিভিন্ন স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানের আনন্দ র‌্যালি এবং শোভাযাত্রা নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনো

    লজি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উদ্যেগে গত বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোডিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব শেখ আশরাফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর খুলনা উনন্নয় সংগ্রাম সমন্ময় কমিটি। প্রধান অতিথি বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক অর্জন যা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।

    অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো: ইব্রাহীম। সভাপতি বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ যে একটি সম্ভবনাময় দেশ তার বড় প্রমান এই অর্জন।

    উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনইউবিটি খুলনার রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) এ.এইচ.এম মুঞ্জুর মোরশেদ, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. রবিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যপক জনাব রাজীব হাসনাত শাকিল। শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যাক ছাত্র-ছাত্রী স্বতঃর্স্ফূত অংশ গ্রহণ করেন ।

    উল্লেখ, গত ১৭ মার্চ শনিবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ ¯ী^কৃতি প্রদান করেন।

    তালা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের অভিযাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। এ উপলক্ষে তালা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তালা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে উপ-শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে যেয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু’র পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার।
    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুনেচ্ছা খানম,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প.প কর্মকর্তা কুদরত-ই-খোদা, কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান,শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান,তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ । শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তালা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও, ব্যানার ও ফ্যাস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

    শ্যামনগর: ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ ‘‘নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্মমধ্য আয়ের দেশ’’ উত্তরণে জাতি সংঘ কর্তৃক স্বীকৃতির অর্জনকে স্মরনীয় করতে ২০-২৫ মার্চ ২০১৮ প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন। সপ্তাহ ব্যাপি এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাচন অফিস, কৃষি অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, শ্যামনগর পৃথক পৃথক ব্যানার সহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্বরে আলোচনা সভায় অংশ নেয়। প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য এস,এম, জগলুল হায়দার উপস্থিত না থাকায় আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম, মহাসীন উল মুলুক, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড: জহুরুল হায়দার বাবু। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থা শ্যামনগর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা সাহানা হামিদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবু বাসার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.কা. রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী চৌধুরী আশিক রেজা, নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসাইন সাগর, ওসিস কর্মকর্তা প্রনব বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ, এ্যাড: শোকর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাগো যুব ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ ফারুক হোসেন।

    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বল্পোন্নত দেশের স্টাটাস থেকে উত্তরনের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উপলক্ষ্যে র‌্যালী, সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে উপজেলা পরিষদ থেকে র‌্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে উপজেলা মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ। পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। এছাড়া ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল্লাহ আল তারিক, ইউপি সদস্য নির্মল কুমার, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কে.এম রেজাউল করিম, আব্দুর রব লিটু, আকবর আলী, সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন, শিক্ষক আকতার রেজা বাবুল প্রমুখ।

    কুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় কুলিয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দ র‌্যালি পালিত হয়েছে। জাতিসংঘের কাছ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আনন্দ র‌্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, চিত্র প্রদর্শনী, ছবি আঁকা ও রচনা প্রতিযোগিতা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির, শিক্ষক ইউনুছ আলী, মনিরুল ইসলাম, ক্রিড়া শিক্ষক রফিকুল ইসলাম খান, মুজিব উদ-দৌলা, সেলিমুজ্জামান, রুবেল হাসান , মুশফিকুর রহমান, হাফিজা খাতুন, সাফিয়া খাতুন, জ্যোতি রানী সহ সকল শিক্ষক- শিক্ষাথীবৃন্দ। এছাড়া শোভাযাত্রা পালন করেন সূর্বনাবাদ সেন্টাল হাই-স্কুল, বহেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলিয়া স্যার আনছার আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহেরা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসা, খাসখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুষ্পকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রমুখ।

    খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজ: বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মাথাপিছু বার্ষিক আয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার হার, খাদ্য ও পুষ্টি, জলবায়ু, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি চাষ, বিদ্যুৎ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহ প্রায় ক্ষেত্রে সূচক উর্ধ্বগামির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন সখিপুরের ঐতিহ্যবাহী খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের আয়োজনে উৎসবমূখর পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- কলেজের আইসিটি হল রুমে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, আনন্দ শোভাযাত্রা এবং সবশেষে মিষ্টান্ন বিতরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। আইসিটি হল রুমে প্রথমে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মহসিন’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্য থেকে আলোচনা রাখেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান মো. আকবর আলী। সদ্য যোগদানকৃত ন্যাশনাল সার্ভিস স্টাফদের মধ্যে বক্তব্য দেন রুকসানা নাহিদ। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখে একাদশ বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সালমা খাতুন ও মো. আলমগীর হোসেন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন একাদশ শ্রেণির সাফিয়া বিনতে নাহার এবং গীতা পাঠ করে একই বর্ষের শ্যামলী নন্দী। রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় যথাক্রমে অপূর্বা মল্লিক, সাগর কুমার দত্ত ও আরজুনা পারভীন। কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম কুলসুম পারভীন, ২য় মাহবুব আলম এবং ৩য় সাগর কুমার দত্ত। অনুষ্ঠানে এবং অনুষ্ঠান শেষে আনন্দ শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আলহাজ্জ মো. আব্দুল মজিদ, সহকারী অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান, পীযূষ কান্তি মল্লিক, আলহাজ্জ এস এম হারুন অর রশিদ, মোল্লা সাবির হোসেন, মো. কামিদুল হোসেন, মো. আজহারুল ইসলাম, মো. আব্দুল আজিজ, ফেরদৌসী আক্তার পপি, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মইনুদ্দিন খান, মো. আছফারুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, শাহানুর রহমান, রন্জন কুমার মন্ডল, আলহাজ্জ মাসুদ করিম, নাজমুল হুদা ডালিম, মো. আবু তালেব, দৌলতুন্নেছা পারুল, রিতা রানী, রাবেয়া খাতুন, এস এম ফিরোজ আহম্মেদ, আনোয়ারা খাতুন সহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এদিকে ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হওয়ায় একই অনুষ্ঠানে দিবস সম্পর্কেও শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আলোচনা রাখেন।

    কালিগঞ্জ: নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্মমধ্য আয়ের দেশে অন্তরভূক্তি হওয়ায় সারা দেশ ব্যাপী প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপজেলা প্রাঙ্গন থেকে এক বণার্ঢ্য র‌্যালী ব্যান্ড বাদ্য বাজিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসানের¡ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর আহম্মেদ মাছুম, কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডর আব্দুল হাকিম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সমবায় কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ। কালিগঞ্জ প্রশাসনের আয়োজনে প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সকল অফিসের দপ্তরের সেবা সমূহ তুলে ধরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সেবাকুঞ্জ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ২৩ মার্চ উপজেলা পরিষদ মাঠে ফুটবল খেলা, ২৪ মার্চ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতা এবং ২৫ মার্চ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

    আশাশুনি: বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে আশাশুনিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সকাল সাড়ে ১০ টায় বাদ্য যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নয়নের বর্ণনা সহকারে র‌্যালীটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অরুণ কুমার ব্যানার্জী, সমাজসেবা অফিসার এমদাদুল হক, মৎস্য অফিসার সেলিম সুলতান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, কৃষকলীগ সভাপতি স ম সেলিম রেজা সহ স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নের চিত্র প্রদর্শন করা হয় ।

    সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি: বাংলাদেশ নি¤œÑআয়ের দেশ থেকে নি¤œমধ্য আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হওয়ায় ২২ সে মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশেষ সপ্তাহ ১৮ উপলক্ষে র‌্যালী ও আলচনা সভা অনুিষ্ঠত হয়।র‌্যলিতে অংশগ্রহন করেন সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারি, সুধি জন, সংবাদিক সহ স্থানীয় বেক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন , ১৯৮২-২০১৫ সালে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ও ১৫-১৮ সালে ২ লক্ষ ৫ হাজার গ্রাহক সংখ্যা বাড়ে। মোট সংযোগ নির্মান ৬০০০ কিলোমিটার, সিস্টেম লস ১৪-১৫ সালে ১৫.১৩ %,বর্তমান উন্নীত হয়ে ৯.১৩ %আমরা রাত দিন আপনাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি সাইফুল্লাহ আজাদের সভাপতিত্তে বক্তব্য রাখেন ,জি এম নজরুল ইসলাম,শাহ আলম টিটো,আব্দুল গফুর মোড়ল,ডি জি এম জিয়াউর রহমান (ঝাওডাঙ্গা ব্রাঞ্চ),তুষার কান্তি মন্ডল(কালীগঞ্জ),গবিন্দ আগরওয়াল(কারিগরী সদর) ও সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা বৃন্দ, সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস।

    কুশখালী: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মাথাপিছু বার্ষিক আয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার হার, খাদ্য ও পুষ্টি, জলবায়ু, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি চাষ, বিদ্যুৎ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহ প্রায় ক্ষেত্রে সূচক উর্ধ্বগামির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমূখর পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
    সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজ: সদরের সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ সিকদার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক শেখ শহিদুর রহমান, সহকারি শিক্ষক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র কুশখালী প্রতিনিধি মো. নাজমুল আরেফিন, শেখ সাব্বির রহমান, সুরাইয়া পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান।

    কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়: কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল জব্বার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক এ.এস.এম আব্দুল করিম, সহ-শিক্ষক মো. মুজিবর রহমান, মো. মফিজুল ইসলাম, আইনুন নাহার সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মোল্যা হায়দার আলী।

    বাশদহা বি.কে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়: স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উৎযাপন উপলক্ষ্যে বি.কে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা, র‌্যালী, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল কবীর, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আক্তারুল হক, সহ-শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান, মো. আছরোফ আলী, আশুতোষ কুমার সাধু, আলতাফ হোসেন, প্রবীর কুমার, আসমাউল হুসনা সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ।

    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা: বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষ্যে গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার মাও: সিদ্দিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, আবুল হোসেন মাস্টার, শিক্ষক শিরিনা, তানজিলা, আদিত্য, মাও. ইয়াছিন আলী, হাফেজ শওকত, আমানুল্লাহ, শহীদুল হক সিরাজী, গউছুল আযম। সভায় শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও. নজরুল ইসলাম। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা শিশু একাডেমি: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদ্যাপন উপলক্ষে প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের প্রভাষক মোশতাক আহমেদ, পিটিআইযের ইন্সট্যাক্টর শুভেন্দু কুমার দাস, শিক্ষক পল্টু বাসার ও মনিরুজ্জামান ছট্ট প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক।

  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা অবৈধ্য গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বিএনপি নেতা

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই প্রতিনিধি দলের সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে আসছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকার বিএনপি নেতা কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল।
    কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকা মহানগরের সূত্রাপুুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ২০১৩-১৪ সালে সুত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ থাকায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ায় নাশকতার আসামি হয়েও বুলবুল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোনীত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুলবুল স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সারা বাংলাদেশব্যাপি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড সহায়ক পাঠ্য বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

    ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তার আর্শীবাদ পুষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ীরা তার কথামত জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই অন্তর্ভুক্ত করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেরুয়াারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মো. জাকির সাতক্ষীরায় অসাধু পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাতক্ষীরার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান আহবায়ক যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আপন ভাইপো ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু ও যুগ্ম আহবায়ক(১) বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাইয়ুম সরকারকে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।

    কিন্তু এখনও জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই বই বাজারজাত করে ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত করতে সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় আগমন করছেন বিএনপি নেতা বুলবুল।
    অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা বুলবুল সাতক্ষীরার উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সব গাইড জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার তদবির নিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ১৩ ধারা মোতাবেক সদস্য পদের অযোগ্যতা। জ) কোন প্রকাশনী ও পুস্তক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বই পাঠ্য করাইলে তার সদস্য পদ থাকবে না। ট) গ্রন্থসত্ত্ব আইন: রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই প্রকাশ ও বিক্রয় করিলে। কিন্তু সারা দেশব্যাপি প্রকাশকরা টাকার বিনিময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় বই পাঠ্য করায়। ফলে সংঘবিধি ১৩ জ ও ১৩ ট অনুযায়ী কোন প্রকাশনীর সদস্যপদ থাকার কথা না।


    এঘটনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে বিএনপি করতাম। এখন করি না।’ ১৩’র জ ও ট সম্পর্কে বললে তিনি এড়িয়ে যান। এঘটনায় সাতক্ষীরার পুস্তক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল।

  • জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি

    জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে গতকাল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। তিনি এসেই বলেন, ‘আমি রুটিন মাফিক পরিদর্শনে এসেছি।’ এসময় ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে পালাতক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধের দূর্ণীতির অভিযোগ সম্বলিত কাগজপত্র তার নিকট জমা দিতে গেলে তিনি ‘নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিলমিশ করে নিতে বলেন’।

    উক্ত তদন্ত কর্মকর্তার দূর্ণীতিবাজ বিএনপির সন্ত্রাসী নেতার পক্ষ গ্রহণ করায় প্রথম থেকেই উপস্থিত জনতা ও ইউপি সদস্যরা মনে মনে ক্ষব্ধ হতে থাকে। এমতাবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তার উক্ত কথায় সবাই বিক্ষেভে ফেটে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান অভিযোগ গ্রহণ করেণ।

    গত সোমবার বিকেলে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার, সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। উপস্থিত ইউপি সচিবসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।

    তদন্তকালে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যা তার নিজ হেফাজতে আছে।
    বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা কিভাবে ২০১৩ সালের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত বর্তমানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের পক্ষে ভূমিকা গ্রহণ করায় স্থানীয় জনগণ ও সুধীমহলের মধ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মত তদন্তকর্মকর্তার ভূমিকা বতর্মন সরকারের রাজনৈতিক চেতনার প্রতিপক্ষ!

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।

    তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমে আলিম চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায় এবং সকল কাগজপত্র গহণপূর্বক জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে উপস্থিত সদস্য ও জনগণকে আশ্বস্ত করে এলাক ত্যাগ করেন। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের অভিমত চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির সহযোগী ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক লাবসা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলে তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

  • পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ

    পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় মিড-ডে-মিল কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরল দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার পরিবেশন করেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।

    বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জি,এম,এম, আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালাম, প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, আমজাদ আলী গাজী। বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক মুজিবর রহমান, ফাতেমা খাতুন, ছায়রা বেগম, আব্দুস সালাম, সমীরণ, খাবার প্রদানকারী অজিয়ার রহমান, পায়েল জামান, শিক্ষার্থী আসমা ও পলি খাতুন।

  • আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজ আপনার জন্ম হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ ইউরেনাস ও শনি। ১৭ তারিখে জন্ম হবার কারণে আপনার উপর শনির প্রভাব প্রবল। আপনার শুভ সংখ্যা: ৮,১৭,২৬। শুভ বর্ণ: নীলা ও গোলাপী। শুভ বার ও গ্রহ : রবি ও শনি। শুভ রতœ: গার্নেট ও নীলা।

    চন্দ্রাবস্থান:আজ চন্দ্র তুলা রাশিতে অবস্থান করবে। ৬ষ্ঠী তিথি সকাল : ০৯:৫৬ পর্যন্ত, পরে ৭মী তিথি চলবে।

    মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল):আজ বন্ধের দিনে মেষ রাশির জাতক জাতিকারা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন। জীবন সাথীকে নিয়ে বই-মেলায় ঘুরতে যেতে পারেন। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো আয় হতে পারে। আজ অংশীদারী ব্যবসায় অংশীদারের সাথে কোনো নতুন সাইট ভিজিটে যেতে পারেন। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ প্রবল।

    বৃষ রাশি ( ২১ এপ্রিল-২০ মে):আজ বৃষ রাশির জাতিকারা সাংসারিক কাজে খুব ব্যস্ত থাকতে পারেন। গৃহে কোনো অতিথির আগমনের সম্ভাবনা। কাজের লোকেদের ওপর অকারনে চেচামেচি না করাই ভালো। আপনার মূল্যবান দ্রব্যাদি সাবধানে রাখুন। বাহিরে বেড় হওয়ার সময় মূল্যবাণ দ্রব্যাদি সতর্কতার সাথে বহন করুন। হটাৎ ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

    মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন): মিথুনের বন্ধুরা আজ সন্তানের সাথে ভালো সময় কাটাতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকাদের বই মেলায় বেড়াতে যাওয়ার যোগ প্রবল। পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো পার্কে বেড়ানোর সুযোগ চলে আসবে। শিল্পীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। চিত্রকর ও নাট্যাভিনেতারা বন্ধের দিনেও ব্যস্ত সময় পার করবেন।

    কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই): পারিবারিক কাজে ব্যস্ততার দিন। গৃহ সংস্কার বা কোনো ফার্ণিচার মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনের আগমন হতে পারে। পারিবারিক পরিবেশ অনুকূল থাকবে। মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে। যানবাহ লাভের যোগ প্রবল। কোনো আত্মীয়র সহায়তায় কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজের সমাধান হতে পারে।

    সিংহ রাশি (২১জুলাই-২১ আগষ্ট): আজ সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেশীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ভালো সংবাদ আশা করা যায়। ছোট ভাই বোনের সাথে কোনো মেলায় বেড়াতে যেতে পারেন। সাংবাদিক ও প্রকাশকদের কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে।

    কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। আজ খাদ্য ব্যবসায়ী ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ভালো আয় করতে পারবেন। খুচরা বিক্রেতাদের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে। বাড়ীতে শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর আগমন হতে পারে। আজ কোনো ব্যক্তিগত ধারের টাকা ফেরত পেতে পারেন।

    তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২১ অক্টোবর): আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। কোনো আলোচনা সভায় আপনার সিদ্ধান্তকে সকলে মেনে নিতে পারেন। শারীরিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। মনের জোর ফিরে পাবেন। কোনো বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ব্যবসায়ীরা কোনো সুদূর পরিকল্পনা করতে চলেছেন। কাজ কর্মে জীবন সাথীর সাহায্য পাবেন।

    বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর-২০ নভেম্বর): আজ কোথাও ভ্রমনে যেতে পারেন। বৈদেশীক কাজে ব্যবসায়ীদের বিদেশ যাওয়ার যোগ প্রবল। ব্যয় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় কোনো চুক্তি করতে পারেন। বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। কোনো আত্মীয়র দেশে আগমনের যোগ দেখা যায়।

    ধনু রাশি (২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): আজ বড় বোনের বিয়ের যোগ প্রবল। বন্ধুর সাথে কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে। ব্যবসায় কিছু লাভের আশা করা যায়। বিদ্যার্থীরা কিছু অর্থ সাহায্য পেতে পারেন। ঠিকাদারদের আজ কোনো মিটিং এ অংশ নেবার সম্ভাবনা প্রবল।

    মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সামাজিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে। কোনো স্কুল কলেজ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সরকারী চাকরীজীবীদের ভ্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো নেতার সাথে আজ দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিদেশ সংক্রান্ত কাজে কোনো পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মীক কাজে কোথাও যেতে পারেন। কোনো মাজার বা দরগাহতে জিয়ারতের সম্ভাবনা বেশী। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ে ব্যস্ত থাকতে চলেছেন। জীবীকার জন্য হটাৎ করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। বৈদেশীক কাজের সাথে সম্পৃক্তদের দিনটি ব্যস্ততায় কাটবে।

    মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): রাস্তাঘাটে কোনো প্রকার হয়রাণির শিকার হবার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো পরিচিতজনকে দেখতে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বিনিয়োগের সুযোগ পেয়ে যাবেন। মামলা মোকর্দ্দমা ও আইনগত জটিলতা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশে কর্মরত বন্ধুদের ছুটির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী

    সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)

    মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২

     

  • তালায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন

    তালায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন

    তালা প্রতিনিধি ( সাতক্ষীরা) : তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এতে সভাপতিত্বে করেন।

    এ সময় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের এ ঋণ জাতি কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ করতে পারবেনা। তিনি বলেন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা বৃদ্ধি করেছে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

    তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়ে ৪শ’ ৪১টি এবং তলিকাভুক্তদের মধ্য থেকে অভিযোগ আসে ৫৬জনের বিরুদ্ধে। কমিটির সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়। অনলাইনে জমাকৃত আবেদনের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন এবং জামুকায় সরাসরি আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন এবং সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি জি.এম.এ সবুর, জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি মঈনুল ইসলাম, তালা উপজেলা কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, মুবিম এর প্রতিনিধি শেখ আবুল খায়ের ও জামুকা প্রতিনিধি এম এম ফজলুল হক।

     

     

  • তালায় ছাগল পালনে যুব নারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

    তালায় ছাগল পালনে যুব নারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

    তালা প্রতিনিধি (সাতক্ষীরা) : জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে উন্নত পদ্ধতিতে ছাগল পালনের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবারের জীবন যাত্রার মানোন্নয়’র লক্ষ্যে তালায় যুব নারীদের ছাগল পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

    ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এশিয়া ফারমার-টু-ফারমার প্রোগ্রামের আওতায় স্বেচ্ছায় কারিগরী সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে সাস কর্তৃক আয়োজিত ‘‘ক্লাইমেট স্মার্ট গোট রিয়ারিং ফর ইয়ুৎ এন্টারপ্রেনারশীপ ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা- সাস’র প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে স্বেচ্ছায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আমেরিকার বিশেষজ্ঞ এবং ফারমার-টু-ফারমার ভলান্টিয়ার ড. পিটার অগাস্টাস ফ্লানাগান। তার বক্তব্য ও আলোচনাকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রশিক্ষনার্থীদের নিকট উপস্থাপন করেন এশিয়া ফারমার-টু-ফারমার প্রোগ্রামের এসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি ডাইরেক্টর ড. এস এম শামছুর রহমান।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে সাস কর্মকর্তা এ.কে.এম গোলাম ফারুক, মো. শাহ আলম, রুহুল আমীন, আব্দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা- সাস এর উপকারভোগী ২০জন নারী অংশগ্রহণ করছে। ৩ দিনের এই প্রশিক্ষণ ২টি ব্যাচে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৪০ জন যুব নারী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করবে।

  • পাইকগাছার সাম্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় সেরা

    পাইকগাছার সাম্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় সেরা

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:  আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জেলার পর এবার বিভাগীয় পর্যায়েও চিত্রাংকনে সেরা হয়েছে পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাম্য সরকার।

    বৃহস্পতিবার খুলনা মডেল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ১০জন প্রতিযোগীর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয় সাম্য সরকার। সে পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামের স্কুল শিক্ষক বিমল কুমার সরকার ও পুষ্প রানী সরকারের একমাত্র ছেলে। সাম্য একজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী হলেও চিত্রাংকনে তার অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে। এর আগে সে গত ৭ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে সেরা হয়। আগামী যেকোন সময় সাম্যকে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে হবে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডল জানিয়েছেন।

    এদিকে অসাধারণ কৃতিত্ব ও সাফল্যের জন্য সাম্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলী।

  • ৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ২০০

    ৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ২০০

    এসবিএন : ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০ জন মানুষ নিহত ও ৪৩৮৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    ১৬ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

    এসময় মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালে ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে ১৭ জন নিহত এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৬০ কোটি টাকা এবং ২০১৪ সালে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৬৯, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২৮০ কোটি টাকা।

    তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে ঘুর্ণিঝড় কোমেনে নিহতের সংখ্যা ৯ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপিত হয়নি। ২০১৬ সালে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুতে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১২৭ কোটি টাকা, একই বছর বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮১৭ কোটি টাকা।

    অন্যদিকে সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনার (বরিশাল-৬) আরেক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, সৌদি আরব সরকারের অনুদানে প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

     

  • রাখাইনে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা মিয়ানমারের

    রাখাইনে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা মিয়ানমারের

    এসবিএন : রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের

    বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর রাখাইনের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল হয়েছে। সামরিক বাহিনীর শুরু করা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শেষ হয়েছে, সান্ধ্য আইন শিথিল করা হয়েছে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য সেখানে শুধু পুলিশ উপস্থিত আছে।

    মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দফতরের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ও উত্তর রাখাইনে সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, কিন্তু ওই এলাকার ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’ বজায় রাখার স্বার্থে সামরিক বাহিনী অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে তারা।

    গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইন সীমান্তে একাধিক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়। হামলায় পুলিশের ৯ সদস্যসহ ১৪ জন নিহত হন। হামলার পর রাখাইনে সহিংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ধরপাকড়, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে।

    জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, রাখাইনে দমন-পীড়নের মুখে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

    রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংস দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার।

     

     

  • স্বাধীনতা পুরস্কার: ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানের নাম মনোনীত

    স্বাধীনতা পুরস্কার: ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানের নাম মনোনীত

    এসবিএন : সরকার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-২০১৭ প্রদানের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।

    পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গ্র“প ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরবিক্রম আশরাফুল আলম, শহীদ মো. নজমুল হক,মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী, শহীদ এন এম নাজমুল আহসান, শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

    চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, সাহিত্যে বেগম রাবেয়া খাতুন ও মরহুম গোলাম সামদানী কোরায়শী।

    সংস্কৃতিতে প্রফেসর ডক্টর এনামুল হক ও ওস্তাদ বজলুর রহমান বাদল। সমাজসেবায় খলিল কাজী ওবিই।

    গবেষণা ও প্রশিক্ষণে শামসুজ্জামান খান ও অধ্যাপক ড. ললিত মোহন নাথ (প্রয়াত) এবং জনপ্রশাসনে প্রফেসর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদক বিতরণ করবেন।

     

     

  • বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    এসবিএন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১.৮ বছর।

    তিনি বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘২০০৫-২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭১.৮ বছর। এরমধ্যে মহিলাদের ৭৩.১ বছর এবং পুরুষের ৭০.৬ বছর।’

    গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব সংস্থা ইতোমধ্যেই পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে সনদ প্রদান করেছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে। নবজাতকের টিটেনাস বাংলাদেশে নেই। যক্ষা নিয়ন্ত্রণে রোগ সনাক্তকরণ ও ডটস পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান জোরদার এবং কার্যকর করা হয়েছে। সব সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ অন্যতম সমস্যা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।

    মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের যথোপযুক্ত কর্মসূচি রয়েছে। যা বিশ্বের জন্য রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।

    সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ার স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় ১৩ হাজার ১৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে ১৩ হাজার ১১৪ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োজিত আছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমানে ৩০ প্রকারের ঔষধ এবং ২ প্রকারের পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ৯ হাজার কমিউনিটি গ্র“প গঠন করা হয়েছে।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতা গ্রহণকালে দেশে মোট ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল। বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩১টি। অপরদিকে ২০০৯ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল ৩৬টি। বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৬৫টি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।

     

     

     

  • আস্থা ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংককে ‘পদক্ষেপ’ নিতে হবে: আইনমন্ত্রী

    আস্থা ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংককে ‘পদক্ষেপ’ নিতে হবে: আইনমন্ত্রী

    এসবিএন : পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মামলায় হারের পর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর আস্থা ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংককে ‘পদক্ষেপ’ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে অথবা যেসব কর্মকর্তা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিকার পেতে পারে বিশ্ব ব্যাংক।’

    বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেহের বশে বিশ্ব ব্যাংক যে আচরণ করেছে, তার প্রতিকার চায় বাংলাদেশ। আপনারা জানেন, ১৪ দল এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। প্রতিকার ক্ষতিপূরণ দিয়েও হতে পারে। যে সব কর্মকর্তা আমাদের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েও প্রতিকার করতে পারে।’

    এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ যদি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কারও সম্মানহানি করে, তাহলে ওই ব্যক্তি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতে পারেন।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও বিশ্ব ব্যাংক পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে। তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই এখন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি কানাডার আদালত দুর্নীতির ওই অভিযোগকে গালগল্প, জল্পনা-রটনা ও অনুমানভিত্তিক বলে উল্লেখ করে মামলা বাতিল করে দেয়।

     

  • সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    এসবিএন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আনবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী ৪ নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক প্রথম বৈঠকে তিনি তার এই লক্ষ্যের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সিইসি আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান তারা।

    কর্মকর্তাদের আলোচনার সূত্র ধরে নতুন সিইসি বলেন, এই বাংলাদেশ কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে, আর যে নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল, তা কেন বিতর্কিত ছিল, তা বিশ্লেষণে আমি যাব না। একটা কথাই বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে ইনক্লুসিভ নির্বাচন ছিল না বলেই বিতর্কিত ছিল। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্ব›িদ্ধতামূলক না হয়; যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

    বৈঠকে সিইসি বলেন, আমার একটাই কথা, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যারা সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের একটাই কথা-দল মত নির্বিশেষে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, দেশে এ রকম আলোচিত ও সবার আগ্রহ আমাদের নিয়ে; অতীতে কখনও এমনটি হয়নি। সাধারণ মানুষ, দল, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবার সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আশা করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি; তাদের উদ্দীপ্ত করতে এবং মনোবল বাড়াতে নানা নির্দেশনাও দেন তিনি।

    ইসি সচিবালয় সার্বিক অগ্রগতি, কাজের পরিধি-কাঠামো ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একটি ধারণাপত্রও নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। কর্মকর্তাদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার উদাহরণ টেনে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রসঙ্গ টানেন নূরুল হুদা।

    সিইসি বলেন, জেসমিন টুলী যখন চট্টগ্রামে একেবারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে, দৃঢতার সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিচালনা করে সফল একটা নির্বাচন উপহার দিলেন। তখন দেশবাসী তার দিকে তাকিয়ে ছিল। সমস্ত মানুষ বলেছিল, কীভাবে সম্ভব? তাকে কিন্তু কেউ প্রভাবিত করতে পারেনি, বা তার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনো রকম কেউ বিব্রত বা বিচলিত করতে পারেনি। ইসির দক্ষতা সচিবালয়, মাঠ পর্যাছয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।

    ইসি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনে অভয় দিয়ে নূরুল হুদা বলেন, যে দক্ষ জনবল রয়েছে তাতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। শুধু একটা না, সামনে যেসব নির্বাচন আসবে তা দৃঢতার সাথে মোকাবেলা করব। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন নূরুল হুদা। একজন নির্বাচন কমিশনারের কথা টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান জিরো টরারেন্স। কাউকে কোনো পর্যায়েই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা প্রাইভেটলি যে আলোচনা করেছি, তাতেও আমরা বলেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবো।

    ইসির সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সমর্থনের গুরুত্বও তুলে ধরে সিইসি বলেন, অংশীজনরা বলেছে-শুধু নির্বাচন কমিশনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তারা যদি সহযোগিতা না করে এবং অংশগ্রহণ না করে, তা হলে সম্ভব নয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেন বলেও জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার নৈরাজ্য-সহিংসতা এবং বিএনপি জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুললেও নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি বলেছে, নতুন ইসির ভূমিকা এবং নির্বাচনকালীন সরকার দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে যে এখন নতুন ইসি, সে বিষয়ে নিজেও সচেতন নূরুল হুদা।