Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 378 of 398

Author: dakshinermashal

  • চরম অবহেলায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড

    শহর প্রতিনিধি: চরম অবহেলিত সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড। নাগরিক সুবিাধা ভোগের ক্ষেত্রে ইউনিয়নের ওয়ার্ডের চেয়ে যেন একধাপ পিছেয়ে পৌরসভার এই ওয়ার্ডটি।

    সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১ যুগেও সংস্কার হয়নি এ ওয়ার্ডের আমতলা মোড় থেকে কুখরালী দাক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটি। নেই পানির লাইন। রোড লাইটেরও সংকট, যেকটি রোড লাইট আছে তাও ঠিকমত জলেনা। পৌরসভার এ ওয়ার্ডে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ অবস্থিত হওয়ায় এবং কয়েকশত চিংড়ি ঘের থাকার কারণে প্রতিনিয়ত এ ওয়ার্ডে বহু মানুষের যাতায়াত। রাস্তার বেহাল দশার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় এখানে আগত জনসাধারণের।

    এ বিষয়ে কুখরালি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমতলা মোড়থেকে কুখরালী দাক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটি গত ১৫ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। এতে এলাকার মানুষের চলাচলে খুব অসুবিধা হয়। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

    একই গ্রামের কৃষক আবুবক্কর বলেন, ‘ভোটের সময় সবাই আমাদের খোজ নিতে আসে বলে পাশ করতে পারলে রাস্তা ঠিক করে দেব, পানির লাইন দেব। অথচ ভোটের পরে কোন নেতাকে আর পাওয়া যায়না। তিনি আরও বলেন, আমরা পৌরসভার বাসিন্দা, ঠিক মত পৌরসভার কর দেই কিন্তু পৌরসভার সেবা পাইনা। আমাদের ৬নং ওয়ার্ডে কোন পানির লাইন নেই, দুএকটা রোড লাইট থাকলেও তা ঠিক মত আলো দেয়না। আমাদের এখানে বাইরের কোন লোক আসলে মনে করে এটা একটি ইউনিয়ন। আমাদের চেয়ে এখন ইউনিয়নের লোক অনেক ভালো সেবা পাই।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভোটের পরে নিজের বাড়ির রাস্তাটি ঠিক করেছে। তিনি তার ঘের আর ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে আমাদের খোজ-খবর নেওয়ার সময় তার কাছে নেয়।

    এদিকে টাবরারডাঙ্গী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বর্ষাকাল আসলেই আমাদের ঘর-বাড়ি হাটু পানিতে ডুবে যাই। এর পেছনে কিছু অসাধু ঘের মালিকের ঘেরে অবৈধ নেট পাটা দেওয়াকে দায়ী করছেন তারা। এলাকাবাসীর দাবি পৌরসভার বাসিন্দা হয়ে যে সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিত সেগুলো তারা যেন পান সে ব্যাপারে কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

  • পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল অস্ত্রপাচারে নারীর মৃত্যু!

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় ভুল চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ভুল অস্ত্রপাচারের ফলে আরিফার(২১) মৃত্যু হয়। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে ক্লিনিক কতৃপক্ষ।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ বিকালে উপজেলার মৌখালী গ্রামের মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী আরিফা খাতুন পেট ব্যাথা জনিত কারণে পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ১৬ মার্চ তার এ্যাপান্ডিসের অস্ত্রপাচার করেন ক্লিনিক মালিক কথিত ডাক্তার তাপস ও সাতক্ষীরা থেকে আগত ডা. বিপেন বিহারী। অস্ত্রপাচারকালে তারা আরিফার মুত্রনালি কেটে ফেলেন। মুত্রনালি কাটার কারণে দুই দিন ধরে তার প্রসাব পায়খানা না হওয়ায় তার পেট ফুলতে থাকে।

    ১৯ মার্চ রাতে রুগীর পেট ব্যাথায় আর্তনাদ করতে থাকলে ডাক্তাররা এসে দেখেন রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। রাতেই কথিত ডা. তাপস নিজেই এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও তার মাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানকার ডাক্তারা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন রোগীর প্রসাব ও পায়খানার রাস্তা এক হয়ে গেছে, শরীরে অপরেশন করার সময় মুত্রনালি ছিড়ে গেছে। যার কারণে ২২ মার্চ আরিফার মৃত্যু হয়। মৃত আরিফার বাবা আব্বাস আলী জানান, ভুল অস্ত্রপাচারের কারণে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারা খুলনায় নিয়ে রোগী বাঁচাতে অনেক টাকা খরচ করলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারিনি। তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করে নিয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কত টাকা দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার বিষয় তার জামাই জানে।

    শাপলা ক্লিনিকের মালিক তাপসের কাছে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগী অস্ত্রপাচারের পর তার কিডনি জনিত সমস্যার কারণে খুলনায় পাঠানো হয় এবং ২২ মার্চ সকালে সেখানে মৃত্যু হয়। টাকা লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে এ ক্লিনিকে একাধিক রোগী মৃত্যু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়।

  • সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ

    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল চিকিৎসক সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালে মোট চিকিৎসকের পদের মধ্যে অর্ধেকই শূন্য পড়ে আছে দীর্ঘদিন। ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে।

    সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপালে মোট চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৭টি। যার মধ্যে ১৪টি পদই শূন্য। শূন্য পদগুলোর মধ্যে আছে সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থ. সার্জারি), সিনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), সিনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া), জুনিয়ার কনসালটেন্ট (পেডিয়েট্রিক্স), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (প্যাথলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেসিয়া),আবাসিক মেডিকেল অফিসার, রেডিওলজিস্ট, মেডিকেল অফিসারের (হোমিও/ইউনানী/ আয়ুর্বেদী) একটি ও মেডিকেল অফিসারের দুইটি পদ। এছাড়াও নার্সিং সুপার ভাইজার, স্টাফ নার্স, সহকারী নার্স ও স্টোর কিপারের একটি করে ও সিনিয়র স্টাফ নার্সের পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।

    ফলে শিশু ওয়ার্ড সামলাচ্ছেন একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ্যানেসথেসিয়া দিচ্ছেন যে কোন মেডিকেল অফিসার। চোখের চিকিৎসা করছেন যখন যে চিকিৎসক (সাধারণ মেডিকেল অফিসার) দায়িত্বে থাকছেন তিনি। কখনও কখনও উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসাররাও রোগী দেখছেন।

    উল্লেখ্য, সদর হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশ রোগী আসেন ডাক্তার দেখাতে। সুচিকিৎসা তো দূরে থাক জনবল সংকটে এতো রোগী সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


    সরজমিনে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীদের দীর্ঘ লাইন। সেবা নিতে আসা সবার মুখেই হতাশার ছাপ। যারা ডাক্তার দেখাতে পারছেন তারাও খুশি নন। কারণ যে রোগের চিকিৎসক দেখাতে এসেছেন, সেই ডাক্তার নেই। অর্থাৎ পদটি শূন্য রয়েছে।
    সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা এমনই একজন তালা উপজেলার মীর্জাপুরের ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর হোসেন। দীর্ঘদিন চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তিনি এসেছিলেন চোখের ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু চোখের ডাক্তার না থাকায় সাধারণ মেডিকেল অফিসারকে দেখাতে বাধ্য হলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘কি করবো, চোখের ডাক্তার তো নেই। ভ্যান চালায়। আমরা কি ক্লিনিকে ৫০০ টাকা দিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে পারি? কিন্তু তালা থেকে সদর হাসপাতালে এসেও যদি ডাক্তার না পায় তাহলে ভাগ্যের দোষ দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। তারপরও ভয় থাকে, যে ডাক্তার দেখালাম, যদি চিকিৎসা সঠিক না হয়, তাহলে চোখ দুটিই তো শেষ হয়ে যাবে, তখন?’

    সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি রয়েছে শ্যামনগর উপজেলার দামদরকাঠির শাহীদ উদ্দিনের তিন মাসের ছেলে। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর হাসপাতালে এসেও চিন্তামুক্ত হতে পারেননি তিনি। কারণ সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞের পদটি শূন্য। শিশু ওয়ার্ড চালাচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজমুল হাসান ও মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট শফিউল্লাহ মুন্না।
    শূন্য রয়েছে আরএমও’র মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটিও। এ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ডা. হাফিজউল্লাহ। জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্হিবিভাগের রোগী সামলাতেই রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই।’
    এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের পদটি শূন্য। তাই যখন যাকে পাই (মেডিকেল অফিসার) তাকে দিয়েই কাজ চালানো হয়। জনবল সংকটে কখনও কখনও উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়েও রোগী দেখাতে হচ্ছে। কোন উপায় নেই।’
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন তৌহিদুর রহমান জানান, ‘সদর হাসপাতালে জনবল সংকেটর কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার অবহিত করেছি। ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্য সচিবের সাথেও দেখা করেছি। তিনি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিয়েছেন।’

  • Untitled post 1515

    ডেস্ক রিপোর্ট: স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় যাওয়ায় গতকাল বিভিন্ন স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানের আনন্দ র‌্যালি এবং শোভাযাত্রা নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনো

    লজি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উদ্যেগে গত বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোডিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব শেখ আশরাফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর খুলনা উনন্নয় সংগ্রাম সমন্ময় কমিটি। প্রধান অতিথি বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক অর্জন যা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।

    অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো: ইব্রাহীম। সভাপতি বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ যে একটি সম্ভবনাময় দেশ তার বড় প্রমান এই অর্জন।

    উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনইউবিটি খুলনার রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) এ.এইচ.এম মুঞ্জুর মোরশেদ, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. রবিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যপক জনাব রাজীব হাসনাত শাকিল। শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যাক ছাত্র-ছাত্রী স্বতঃর্স্ফূত অংশ গ্রহণ করেন ।

    উল্লেখ, গত ১৭ মার্চ শনিবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ ¯ী^কৃতি প্রদান করেন।

    তালা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের অভিযাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। এ উপলক্ষে তালা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তালা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে উপ-শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে যেয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু’র পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার।
    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুনেচ্ছা খানম,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প.প কর্মকর্তা কুদরত-ই-খোদা, কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান,শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান,তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ । শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তালা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও, ব্যানার ও ফ্যাস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

    শ্যামনগর: ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ ‘‘নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্মমধ্য আয়ের দেশ’’ উত্তরণে জাতি সংঘ কর্তৃক স্বীকৃতির অর্জনকে স্মরনীয় করতে ২০-২৫ মার্চ ২০১৮ প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন। সপ্তাহ ব্যাপি এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাচন অফিস, কৃষি অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, শ্যামনগর পৃথক পৃথক ব্যানার সহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্বরে আলোচনা সভায় অংশ নেয়। প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য এস,এম, জগলুল হায়দার উপস্থিত না থাকায় আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম, মহাসীন উল মুলুক, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড: জহুরুল হায়দার বাবু। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থা শ্যামনগর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা সাহানা হামিদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবু বাসার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.কা. রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী চৌধুরী আশিক রেজা, নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসাইন সাগর, ওসিস কর্মকর্তা প্রনব বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ, এ্যাড: শোকর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাগো যুব ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ ফারুক হোসেন।

    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বল্পোন্নত দেশের স্টাটাস থেকে উত্তরনের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উপলক্ষ্যে র‌্যালী, সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে উপজেলা পরিষদ থেকে র‌্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে উপজেলা মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ। পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। এছাড়া ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল্লাহ আল তারিক, ইউপি সদস্য নির্মল কুমার, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কে.এম রেজাউল করিম, আব্দুর রব লিটু, আকবর আলী, সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন, শিক্ষক আকতার রেজা বাবুল প্রমুখ।

    কুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় কুলিয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দ র‌্যালি পালিত হয়েছে। জাতিসংঘের কাছ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আনন্দ র‌্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, চিত্র প্রদর্শনী, ছবি আঁকা ও রচনা প্রতিযোগিতা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির, শিক্ষক ইউনুছ আলী, মনিরুল ইসলাম, ক্রিড়া শিক্ষক রফিকুল ইসলাম খান, মুজিব উদ-দৌলা, সেলিমুজ্জামান, রুবেল হাসান , মুশফিকুর রহমান, হাফিজা খাতুন, সাফিয়া খাতুন, জ্যোতি রানী সহ সকল শিক্ষক- শিক্ষাথীবৃন্দ। এছাড়া শোভাযাত্রা পালন করেন সূর্বনাবাদ সেন্টাল হাই-স্কুল, বহেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলিয়া স্যার আনছার আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহেরা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসা, খাসখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুষ্পকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রমুখ।

    খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজ: বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মাথাপিছু বার্ষিক আয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার হার, খাদ্য ও পুষ্টি, জলবায়ু, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি চাষ, বিদ্যুৎ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহ প্রায় ক্ষেত্রে সূচক উর্ধ্বগামির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন সখিপুরের ঐতিহ্যবাহী খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের আয়োজনে উৎসবমূখর পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- কলেজের আইসিটি হল রুমে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, আনন্দ শোভাযাত্রা এবং সবশেষে মিষ্টান্ন বিতরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। আইসিটি হল রুমে প্রথমে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মহসিন’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্য থেকে আলোচনা রাখেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান মো. আকবর আলী। সদ্য যোগদানকৃত ন্যাশনাল সার্ভিস স্টাফদের মধ্যে বক্তব্য দেন রুকসানা নাহিদ। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখে একাদশ বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সালমা খাতুন ও মো. আলমগীর হোসেন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন একাদশ শ্রেণির সাফিয়া বিনতে নাহার এবং গীতা পাঠ করে একই বর্ষের শ্যামলী নন্দী। রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় যথাক্রমে অপূর্বা মল্লিক, সাগর কুমার দত্ত ও আরজুনা পারভীন। কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম কুলসুম পারভীন, ২য় মাহবুব আলম এবং ৩য় সাগর কুমার দত্ত। অনুষ্ঠানে এবং অনুষ্ঠান শেষে আনন্দ শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আলহাজ্জ মো. আব্দুল মজিদ, সহকারী অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান, পীযূষ কান্তি মল্লিক, আলহাজ্জ এস এম হারুন অর রশিদ, মোল্লা সাবির হোসেন, মো. কামিদুল হোসেন, মো. আজহারুল ইসলাম, মো. আব্দুল আজিজ, ফেরদৌসী আক্তার পপি, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মইনুদ্দিন খান, মো. আছফারুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, শাহানুর রহমান, রন্জন কুমার মন্ডল, আলহাজ্জ মাসুদ করিম, নাজমুল হুদা ডালিম, মো. আবু তালেব, দৌলতুন্নেছা পারুল, রিতা রানী, রাবেয়া খাতুন, এস এম ফিরোজ আহম্মেদ, আনোয়ারা খাতুন সহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এদিকে ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হওয়ায় একই অনুষ্ঠানে দিবস সম্পর্কেও শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আলোচনা রাখেন।

    কালিগঞ্জ: নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্মমধ্য আয়ের দেশে অন্তরভূক্তি হওয়ায় সারা দেশ ব্যাপী প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপজেলা প্রাঙ্গন থেকে এক বণার্ঢ্য র‌্যালী ব্যান্ড বাদ্য বাজিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসানের¡ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর আহম্মেদ মাছুম, কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডর আব্দুল হাকিম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সমবায় কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ। কালিগঞ্জ প্রশাসনের আয়োজনে প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সকল অফিসের দপ্তরের সেবা সমূহ তুলে ধরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সেবাকুঞ্জ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ২৩ মার্চ উপজেলা পরিষদ মাঠে ফুটবল খেলা, ২৪ মার্চ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতা এবং ২৫ মার্চ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

    আশাশুনি: বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে প্রচারাভিযান ও সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে আশাশুনিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সকাল সাড়ে ১০ টায় বাদ্য যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নয়নের বর্ণনা সহকারে র‌্যালীটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অরুণ কুমার ব্যানার্জী, সমাজসেবা অফিসার এমদাদুল হক, মৎস্য অফিসার সেলিম সুলতান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, কৃষকলীগ সভাপতি স ম সেলিম রেজা সহ স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নের চিত্র প্রদর্শন করা হয় ।

    সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি: বাংলাদেশ নি¤œÑআয়ের দেশ থেকে নি¤œমধ্য আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হওয়ায় ২২ সে মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশেষ সপ্তাহ ১৮ উপলক্ষে র‌্যালী ও আলচনা সভা অনুিষ্ঠত হয়।র‌্যলিতে অংশগ্রহন করেন সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারি, সুধি জন, সংবাদিক সহ স্থানীয় বেক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন , ১৯৮২-২০১৫ সালে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ও ১৫-১৮ সালে ২ লক্ষ ৫ হাজার গ্রাহক সংখ্যা বাড়ে। মোট সংযোগ নির্মান ৬০০০ কিলোমিটার, সিস্টেম লস ১৪-১৫ সালে ১৫.১৩ %,বর্তমান উন্নীত হয়ে ৯.১৩ %আমরা রাত দিন আপনাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি সাইফুল্লাহ আজাদের সভাপতিত্তে বক্তব্য রাখেন ,জি এম নজরুল ইসলাম,শাহ আলম টিটো,আব্দুল গফুর মোড়ল,ডি জি এম জিয়াউর রহমান (ঝাওডাঙ্গা ব্রাঞ্চ),তুষার কান্তি মন্ডল(কালীগঞ্জ),গবিন্দ আগরওয়াল(কারিগরী সদর) ও সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা বৃন্দ, সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস।

    কুশখালী: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মাথাপিছু বার্ষিক আয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার হার, খাদ্য ও পুষ্টি, জলবায়ু, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি চাষ, বিদ্যুৎ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহ প্রায় ক্ষেত্রে সূচক উর্ধ্বগামির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমূখর পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
    সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজ: সদরের সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ সিকদার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক শেখ শহিদুর রহমান, সহকারি শিক্ষক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র কুশখালী প্রতিনিধি মো. নাজমুল আরেফিন, শেখ সাব্বির রহমান, সুরাইয়া পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান।

    কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়: কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল জব্বার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক এ.এস.এম আব্দুল করিম, সহ-শিক্ষক মো. মুজিবর রহমান, মো. মফিজুল ইসলাম, আইনুন নাহার সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মোল্যা হায়দার আলী।

    বাশদহা বি.কে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়: স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উৎযাপন উপলক্ষ্যে বি.কে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা, র‌্যালী, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল কবীর, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আক্তারুল হক, সহ-শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান, মো. আছরোফ আলী, আশুতোষ কুমার সাধু, আলতাফ হোসেন, প্রবীর কুমার, আসমাউল হুসনা সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ।

    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা: বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষ্যে গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার মাও: সিদ্দিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, আবুল হোসেন মাস্টার, শিক্ষক শিরিনা, তানজিলা, আদিত্য, মাও. ইয়াছিন আলী, হাফেজ শওকত, আমানুল্লাহ, শহীদুল হক সিরাজী, গউছুল আযম। সভায় শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও. নজরুল ইসলাম। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা শিশু একাডেমি: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্য উদ্যাপন উপলক্ষে প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের প্রভাষক মোশতাক আহমেদ, পিটিআইযের ইন্সট্যাক্টর শুভেন্দু কুমার দাস, শিক্ষক পল্টু বাসার ও মনিরুজ্জামান ছট্ট প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক।

  • সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নির্বাচন স্থগিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল তা বাস্তাবে রূপ লাভ করে, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কতৃক নির্বাচন শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করায়।

    খবরে প্রকাশ, সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নির্বাচন আগামী ২৪ মার্চ ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করে মালিক সমিতির উর্ধতন সহ-সভাপতি মো. আসাদুল হক। তার দাখিলকৃত রিট পিটিশনের (নং ৩৬২২ অব ২০১৮) পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২মার্চ’১৮ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ডিভিশন শ্রম পরিচালকের ওই আদেশপত্র কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তার জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দানের রুল জারি করেন।

    এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০ মার্চ চেম্বার জজ শুনানী শেষে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের কার্যকারীতা ১ দিনের জন্য স্থগিত করে ২২ মার্চ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গবেঞ্চে শুনানীর জন্য আদেশ দেন। একই সাথে উভয়পক্ষকে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের যাবার নির্দেশ দেন।

    গত ২২ মার্চ শুনানি শেষে আগামী ২৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন। একই সঙ্গে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেন বলে সূত্রে প্রকাশ।

    এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল বারী, সদস্য এ্যাড. আনিছুর কাদির (ময়না) ও সদস্য সচিব এ্যাড. শেখ সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে (স্মারক নং-সাজেবামিকোমামাসনিক/১৫/২০৮ তারিখঃ ২২/০৩/২০১৮) নির্বাচনের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান।

  • জনতোপের মুখে পালালো লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান: গণধোলাই খেল মেম্বর

    জনতোপের মুখে পালালো লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান: গণধোলাই খেল মেম্বর

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কোন প্রকৌশলীর উপস্থিতি বা পরামর্শ ছাড়াই গোপনে তড়িঘড়ি করে নিম্ন মানের ইট, খোয়া ও বালি দিয়ে সাতক্ষীরার বিনেরপোতা মৎস্য বাজারে ঢালাইয়ের কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েন লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম। এসময় তার সহযোগী সদ্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানকে গণধোলায় দিয়েছেন জনতা। শনিবার দুপুরে লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতা মৎস্য বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।

    বিনেরপোতা মৎস্য বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন বিনেরপোতা মৎস্য বাজার সংস্কার না হওয়ায় বাজারটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এবার বিনেরপোতা বাজারের প্রধান সড়কের কাপেটিং রাস্তা হতে বাজারের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মাণের জন্য ৭টি প্রকল্পে মোট ১২লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ টাকা বরাদ্দ দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়। কিন্তু উক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের শর্ত স্বাপেক্ষে গত ০৫ ডিসেম্বর ২৮৭৭৭১৫ নং চেকে ১২লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ টাকা উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম। অথচ টাকা উত্তোলনের ২ থেকে আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও বিনেরপোতা বাজারে ৭টি প্রকল্পের একটিও তিনি বাস্তবায়ন করেননি। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য এবং ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পত্র-পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেরও।

    এ ঘটনায় ডিডিএলজি আব্দুল লতিফ খান গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে যান এবং সেখানে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অভিযোগ শুনে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ ঘটনায় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। এরপর গত ১১ মার্চ ডিডিএলজি আব্দুল লতিফ খান এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

    সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন স্থানীয়দের।

    এদিকে, উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি আব্দুল হান্নান ও ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাম প্রসাদ। এবিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অবগত হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিস্কার করেন। এরই জের ধরে নিজের দূর্নীতি ঢাকতে ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান ও রাম প্রসাদের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম শনিবার দুপুরে গোপনে তড়িঘড়ি করে নিম্ন মানের ইট, খোয়া দিয়ে বিনেরপোতা বাজারের রাস্তা ঢালাই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করেন।

    এসময় চেয়ারম্যান আলিম তাদের তোপের মুখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গণধোলায়ের শিকার হন ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান। এরপর সেখানে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, লাবসা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান, আরিজুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।

    বক্তারা অবিলম্বে উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বরাদ্ধ হওয়া সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় করে বিনেরপোতা বাজারের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    এ ব্যাপারে জানার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।

  • জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে নির্মিত হচ্ছে স্লুইজ গেটের রেলিং

    জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে নির্মিত হচ্ছে স্লুইজ গেটের রেলিং

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: বৃহত্তর শ্যামনগর উপজেলার পর্যটন সড়ক মুন্সিগঞ্জ বাজারস্থ্য স্লুইজ গেটের রেলিং নির্মান কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে (গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে) মুন্সীগঞ্জ বাজারস্থ্য স্লুইজ গেটের রেলিং নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্যসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জলবায়ু পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    উপকুলীয় এলাকায় ৬০ এর দশকের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আওতায় কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে পোল্ডার বাঁধ নির্মিত হয়। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে প্রতি দিন শতশত ভারী যানবাহনে যাতায়াত করতে শুরু করে। এখানে ৪ টি ইউনিয়ন গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষ্যাধিক মানুষ এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে জেলা ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে। মুন্সীগঞ্জ বাজারটি নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রয়ের প্রান কেন্দ্র, এছাড়া অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ও ৩ টি স্থানে মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র, ৯ টি স্কুল, ২ টি কলেজের শিক্ষীর্থী, ৮ টি চিংড়ী ও কাঁকড়া হ্যাচারীর মালামাল এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে মানুষের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সাল বাংলাদেশকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করায়, পর্যটন শিল্পোউন্নতি করতে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলে সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পার্ক, হোটেল-মোটেল, কমিউনিটি গেষ্ট হাউজ, রেস্টুরেন্ট। রেলিং নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকে।

    মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে কলবাড়ীতে প্রায় ৮০ একর জায়গাতে ৩ নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। এই বিনোদন মূলক পার্কে প্রতিদিন আগত দর্শনার্থীদের স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদ উপকূলীয় অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন, স্লুইচ গেট, জলাভূমি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমি তাদের কাজে সবসময় সহযোগীতা করি।

  • জেলাব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

    জেলাব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলাব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন : রঙ ছড়ানো আলো লাল সবুজের বাংলাদেশ থাকবে শিশু ভালো’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রশাসন, এনজিও, সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, কেক কাটা, শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও অবিসংবাদিত নেতা। এই মহান মানুষটির জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাঙালী জাতিসহ বিশ^বাসী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।’

    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম রিফাত আমিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তাওহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, সহকারি পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন প্রমুখ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাতক্ষীরা জেলার আবু জাহেদ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন, সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মাজেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাস, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, সদর উপজেলা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, জেলা স্কাউটস্ এর সম্পাদক এম. ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ।

    শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাথেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এহছানুল কাদির ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রজ্ঞা পারমিতা রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসাইন।

    পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে স্কুলের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মুজিবর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.এম.সি সদস্য মো. শাহ আলম হাসান শানু, রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নীলা চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান খান চৌধুরী, সুজাতা রানী রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, লক্ষী রানী রাহা, মনোতোষ কুমার দাঁ, অনিমা দাশ প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনা করেন ৯ম শ্রেনির ছাত্র সাগর দাস ও উজ্জল ঘোষ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শিক্ষক আব্দুল হামিদ আল হাফিজ। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষক আমিরুল ইসলাম।


    ডিবি ইউনাইটে হাইস্কুল: সাতক্ষীরার ডিবি ইউনাইটে হাইস্কুলে কেককাটা, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ৯ নং ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সম জালাল উদ্দীন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ছাত্তার, অজিহার রহমানসহ স্কুলটির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার সকল স্তরের মানুষ।

    এরপর সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
    মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুল: জাতির জনকের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুলে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আনিছুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,স্কুলের উপাধ্যক্ষ সেলিনা খাতুন। শিক্ষিকা শিরিন শারমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রোজিনা খাতুন, সাথী দে, ফারহানা সিদ্দিকা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, পূর্নদেবপালসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ। চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

    সাজেক্রীস: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কেক কেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, নির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, কাজী কামরুজ্জামান, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, মোঃ আলতাফ হোসেন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, কবিরুজ্জামান রুবেল, হাফিজুর রহমান খান বিটু, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মো. রুহুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, পৌরসভার কাউন্সিলর জোৎ¯œা আরা প্রমুখ।

    রোজ গার্ডেন স্কুল: রোজ গার্ডেন স্কুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৯তম জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা ও সুন্দর হাতের লেখার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পরে বিদ্যাপিঠের শিক্ষক- শিক্ষিক,শিক্ষার্থীদের নিয়ে জন্ম দিনের কেক কাটা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক এস.এম. আনোয়ার হোসেন। প্রধান হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিদ্যাপিঠের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো: আনছার আলী।

    আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ: আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আছাদুজ্জামান। তিনি তার আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বণার্ঢ্য জীবন ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক এই ভুখন্ডের জন্ম হতো না। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা সাহিত্যের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন।
    ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরা লিমিটেডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার যোহর বাদ হাসপাতালের কনসালটেন্ট চত্বরে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। হাসাপাতালের প্রশাসনিক ইনচার্জ (২) মো. আনোয়ারুল হুসাঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের হিসাব কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আওয়াল, ফিরোজ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং অফিসার আব্দুল হাকিম, ল্যাব ইনচার্জ আবুল কাশেম , হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়র এসএম আব্দুল আহাদ, সহকারি হিসাব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ওটি ইনচার্জ ফাতেমা খাতুন, সিসটার ইনচার্জ রওশানারা খাতুন, ফারুক হোসেন, আজিজুর রহমান, মনজিলা খাতুন মনি, আবুল হোসেন,ইসমাইলসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীগন। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা লাল সবুজের পতাকা পেতাম না। বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড বিশ্বের বুকে স্থান পেত না। তার জালাময়ী বক্তব্য ও সুকৌশল নেতৃত্বের কারনে শোষকের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালী জাতি তাদের বাংলা ভাষা ফিরে পেয়েছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে কাছ করছে। যে কারনে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ কহিনুর রহমান।

    তালা: তালায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।
    দিবসটি উপলক্ষ্যে তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত শনিবার সকালে তালা উপ-শহরে র‌্যালি, শিশু সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, রচনা ও উপস্থিত বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে উপ-শহরে র‌্যালী শেষে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজউদ্দীন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তালা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী প্রমুখ।

    কলারোয়া: ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন : রঙ ছড়ানো আলো, লাল-সবুজের বাংলাদেশে থাকবে শিশু ভালো’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জম্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পনসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করে উপজেলা প্রশাসন, আ’লীগ, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    গত ১৭মার্চ শনিবার সকাল থেকে দিনভর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে দিবসটির নানা কর্মসূচি পালিত হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবু নসর, অধ্যাপক এমএ ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ, কৃষিকর্মকর্তা মহাসিন আলী, কলারোয়া হাসপাতালের কর্মকর্তা কামরুল হোসেন, মহিলা কর্মকর্তা নুরুন নাহার, বি আর ডি বি কর্মকর্তা সন্ধীপ কুমার প্রমুখ। উপজেলা সমবায় অফিসার নওশের আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুধিজনেরা উপস্থিত ছিলেন।পরে সেখানে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এর আগে সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে স্থাপনকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল অর্পন শেষে আনন্দ র‌্যালি বের হয়।

    অনুরূপভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভা করেছে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, হিজলদী কমিউনিটি ক্লিনিক, বেত্রবতী হাইস্কুল,দেয়াড়া মাঃ বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ, কাজীরহাট ডিগ্রি কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি আ.লীগসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট ও অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।

    শ্যামনগর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৯৮ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা, ছাত্রছাত্রীদের মঝে পুরুস্কার বিতরণ, কেক কাটা, রক্তদান, ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় সহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন রক্ত ছড়ানো আলো, লাল সবুজের বাংলাদেশে থাকবে শিশু ভালো।” এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার সহযোগয়ীতায় সাকল ১০ টায় উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শ্যামনগর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা হর রুমে আলোচনা সভায় অংশ নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম, আতাউল হক দোলন, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা মুকুল, বঙ্গবন্ধু জীবনের উপর আলোচনা করেন নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী আনিকা জামান মিমলা, নিশাদ, ঐশী খানম, মর্ডান স্কুলে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী তাছলিম জাহান, জয়ীতা প্রমুখ।

    উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মূখার্জী, জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সত্তার, সুশান্ত কুমার বাবু লাল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। আলোচনা শেষে কবিতা আবৃতি, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।

    সকাল ১১ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্য্যলয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমপি এস,এম, জগলুল হায়দার জন্মদিনের কেক কাটেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় হিতৈষী রক্তদান সংস্থার আয়োজনে শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রী কলেজে রক্তদান ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এমপি জগলুল হায়দার।

    দুপুর ১২ টায় মানব সেবা রক্তদান সংস্থার আয়োজনে থানা সংলগ্ন হাফেজী মাদ্রাসার ছাত্রদের ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলন। অপর দিকে দুপুর ১২ টায় কাঁঠালবাড়ীয় এ,জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক কর্মকর্তা মিনা হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন সকল শিক্ষক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা শেষে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।

    শ্যামনগর দেবীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক: শ্যামনগর উপজেলার দেবীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়োজনে ক্লিনিক চত্বরে কমিউনিটি গ্রুপ ও সাপোর্ট গ্রুপের সহযোগীতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস’১৮ উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক- অপূর্ব রঞ্জন মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক-আবুল খায়ের। ক্লিনিকের সিএইচসিপি অনিরুদ্ধ কর্মকার (সম্পদ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিজি গ্রুপের সহ-সভাপতি- ভুমিদাতা-রাজেন্দ্র মন্ডল, ধরিত্রী রাণী, পরিবার কল্যাণ সহকারী- নাজমা পারভীন, স্বাস্থ্য সহকারী- ছিদরাতুননেছা, ওয়াল্ড ভিশনের নবযাত্রা প্রকল্পের সিএনএফ কর্মী- অমিত কুমার মন্ডল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও এ দেশের প্রতি তার অবদান, শিশু দিবস, মা-শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেবীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তÍ মা ও শিশুদের বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।

    কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ উপলক্ষে র‌্যালি, শিশু সমাবেশ, কেক কাটা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

    উপজেলা প্রশাসন: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সকাল ৯ টায় র‌্যালি ও শিশু সমাবেশ, সকাল সোয়া ৯ টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সাড়ে ৯ টায় শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সকাল ১০ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান।


    উপজেলা আওয়ামী লীগ: বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক শেখ ইকবাল আলম বাবলু’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মূখার্জ্জী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ প্রমুখ।

    এছাড়াও নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন।

    রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ: উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবু’র সভাপতিত্বে র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুশলিয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা, কালিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. মুজিব-রুবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটা, বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে আলোচনা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    কৃষ্ণনগর: ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত। এই দিনে সকাল ১০ টার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলণ সহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সহ চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগীতা সহ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বালিয়াডাংগা মাহমুদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা, মোহাম্মাদনগর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান, সোতা রাজনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেনাদনা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগীতায় শনিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান ও উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা বিঞ্চুপদ বিশ^াস, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা প্রমুখ। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোকপাত করে তার আদর্শে জীবন গড়ার আহবান জানান। শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

    এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজ, সখিপুর মহিলা কলেজ ও ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হয়। ঈদগাহ স্কুলে আলোচনা সভায় হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন। এসময় অভিভাবক সদস্য সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    নওয়াপাড়া: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বাঙ্গালী জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার বিকালে গাজীরহাটস্থ নওয়াপড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে র‌্যালী সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেক কাটা হয়। আলোচনা সভায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুধান চন্দ্র বরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম ঘোষ, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মামুন, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মহানন্দ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, যুগ্ন-সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আসমাতুল্লা আসমান, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল করিম, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুর রহমান, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মমিন গাজী, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্যাম মোল্যা, ইউনিয়ন পুলিশিং ফোরামের সভাপতি আসাদুর জামান রব, সাধারণ সম্পাদক আনিসউজ্জামান বকুল, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাগর হোসেন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছাব্বির হোসেন।

    সখিপুর হাইস্কুল: সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের র‌্যালি, আলোচনা সভা, অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের হল রুমে প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রদিপ কুমার মন্ডল, নির্মল কুমার গাইন, আলমগীর কবির, ইয়াকুব আলী, সাহিনা আক্তার, মোসলেমা খাতুন, রেকসনা তরফদার, মনিকা রানী বসু প্রমূখ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেবহাটা: দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় সখিপুর মোড়স্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট সুপারভাইজার আবু ইউসুফ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওঃ ফজর আলী, নুরুল হক, আহমদ আলী । দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আব্দুস সত্তার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের কেয়ারটেকার নুরুল হক।

    আশাশুনি: বিপুুুুল উদ্দীপনা উৎসবের সাথে আশাশুনিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০১৮ ব্যাপক পালিত হয়েছে। শনিবার উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    উপজেলা প্রশাসন: সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে আনন্দ র‌্যালী বের করে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের নেতৃত্বে র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। ১০ টায় স্মৃতি সৌধ পাদদেশে শিশু সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর জীবনি নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মহিতোষ কর্মকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অরুন ব্যানার্জী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার, প্রেসক্লাব উপদেষ্টা একেএম এমদাদুল হক, অধ্যাপক তৃপ্তিরঞ্জন সাহা, কৃষকলীগ সভাপতি সেলিম রেজা সেলিম, শিক্ষক সেলিনা আক্তার। এরআগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। কুইজে আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হেলাল উদ্দিন ১ম, ফয়সাল ২য় ও রাখি ৩য় স্থান অধিকার করে। সবশেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, জন্মদিনের কেক কর্তন ও আলোচনা সভা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কেক কর্তন ও আলোচনা রাখেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। সিঃ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্যার সভাপতিত্বে সভায় সহ-সভাপতি রাজ্যেশ^র দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ সামাদ বাচ্চু, বিমল চন্দ্র গাইন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বুদ্ধদেব সরকার, কৃষকলীগ সভাপতি স ম সেলিম রেজা সেলিম, আ’লীগ সহ-দপ্তর সম্পাদক রাজু আহমেদ পিয়াল, যুবলীগ সভাপতি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, যুগ্ম সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মহিতুর রহমান, শ্রীদাম চন্দ্র বাছাড়, তাহমিদ হোসেন ডেভিট, আনিছুর রহমান বাবলা, দীপন কুমার মন্ডল, এম এম সাহেব আলি, নাজমুল হোসেন, শরীফুজ্জামান, জি এম মঞ্জুরুল ইসলাম, উজ্জল, রাজ, তারিক, শাওন প্রমুখ।

     

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন: আশাশুনি উপজেলা জামে মসজিদে রচনা, হামদ, কুইজ প্রতিযোগিতা, দোয়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। উপজেলা সুপার ভাইজার আবু হানিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক। বক্তব্য রাখেন মডেল কেয়ারটেকার মহিউদ্দিন। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওঃ আঃ গফফার।

    বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল: জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাসুদ রানা ও গীতাপাঠ করেন অয়ন ব্যানার্জী। বক্তব্য রাখেন এস এম সিরাজুল ইসলাম, বৈদ্যনাথ দাশ, খান সালামত হোসেন ও মইনুল ইসলাম।

    শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়: রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান শিক্ষক ভগিরথ বাছাড়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাসুদুল হক, তপন কৃষ্ণ গাইন ও পশুপতি সরকার। এছাড়া উপজেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় অনুরুপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    দরগাহপুর: দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় এবার পালন হচ্ছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’র এর জন্মদিন ও শিশু দিবসটি ১৭ই মার্চ আশাশুনি উপজেলাধীন দরগাহপুর ও রাড়–লী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্জাদায় পালন করা হয়। দরগাহপুর কলেজিয়েট বিদ্যালয়’র হল রুমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল’র সভাপত্তিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর আলোচনা, গান, চিত্রাংকন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন সহ প্রধান শিক্ষক মনি মোহন মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রভাষক রবিন কর্মকার ও সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। শহীদ কামরুল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষর দীপংকর কুমার দত্ত’র সভাপত্তিত্বে র‌্যালি, আলোচনা, চিত্রাংকন, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুরুপ ভাবে দরগাহপুর সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাঃ রিয়াজুল ইসলাম’র সভাপত্তিত্বে র‌্যালি, আলোচনা, চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষক মাওঃ আঃ হাকিম, ৩৭নং দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ আঃ সাত্তার’র সভাপত্তিত্বে, ৩৮নং দঃ দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জি.এম মাছুম বিল্লাহ’র সভাপত্তিত্বে, ১৩১ নং পশ্চিম দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম’র সভাপত্তিত্বে ও কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান’র সভাপত্তিত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশু দিবসের আলোচনা, র‌্যালি, চিত্রাংকন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন মাষ্টার সাবিলুর রহমান ও অবনি কুমার মন্ডল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ক্রীড়া শিক্ষক মিলন সরকার। উল্লেখিত অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

    ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজ: ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৯৯তম জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ এ.আর.এম মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক রেজাউল করিম, অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম, অধ্যাপক বিজন কুমার মিত্র, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক আকবর হোসেন, অধ্যাপক অধ্যাপক আব্দুল আলিম, অধ্যাপক আনজুন নাহার, অধ্যাপক মলিদা আখতার, অধ্যাপক অধ্যাপক রাশিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক শরীফ আহমেদ।

    বড়দল দারুসছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসা: আশাশুনি উপজেলার বড়দল দারুসছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টায় অত্র মাদ্রাসা হল রুমে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস সানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বড়দল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এস,এম আহছান উল্লাহ, মাওঃ মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ তামজীদুল ইসলাম, মোঃ আনারুল ইসলাম, মোঃ আইনুদ্দীন, মোঃ আব্দু রশিদ। অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলী, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক এ,বি,এম ফেরদৌস।

  • স্থানীয় সরকারের হাতে বাঁধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে-আশেক-ই-এলাহী

    স্থানীয় সরকারের হাতে বাঁধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে-আশেক-ই-এলাহী

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামে নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থানে স্থানীয় জনগন ও জলবায়ু পরিষদ কয়রা ও শ্যামনগরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে এমানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর ও কয়রা জলবায়ু পরিষদের সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, উপাধ্যক্ষ্য নাজিম উদ্দীন, বিসিএএস এর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অভিজ্ঞ খন্দকার ফকরুল আলম, সিএসআরএল’র এমইএল কর্মকর্তা শোয়েব চৌধুরী, অধ্যাপিকা শাহানা হামিদ, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, জাসদ শ্যামনগর উপজেলার সভাপতি হারুন আর রশিদ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফ, রতœা রানী শীল, সুন্দরবন গবেষক পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, সহকারী অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।

    মানববন্ধনে অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ঝড় ও বর্ষা’র সময় আগত। কিন্তু কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ অবস্থায় পাউবোকে সরিয়ে স্থানীয় সরকারের হাতে বাঁধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তারা উপকুলীয় মানুষের রক্ষায় ন্যুনতম কোন প্রস্তুতি নেয়নি। সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে নিজেদের বাঁচার তাগিদে। লড়াই সংগ্রামের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের প্রধান সমস্যা নদী ও জলোচ্ছাস যে কারনে আইলা, সিডর এর মত প্রাকৃতিক আমাদের উপকুলে আঘাত হানলে নদী ভাঙ্গনের মত ঘটনা ঘটে। তাছাড়া উপকুলে বাঁধ গুলি দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কারের আভাবে ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০ কিলোমিটারের অধিক ঝুঁকিপূর্র্ণ বাঁধ রয়েছে। এছাড়া ভূক্তভোগী বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের বাঁধ আগের চেয়ে বেশি খারাপ হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি এই বাঁধগুলো ঠিক করা দরকার।

    জলবায়ু পরিষদ কয়রা ও শ্যামনগরে প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুলি তুলে ধরে নদী ভাঙ্গন কবালিত ৫ টি স্থানে কয়রার দক্ষিন বেদকাশি, ঘড়িলাল, চোরামুখা, শ্যামনগরে দাতিনাখালী, গাবুরা, চকবারা, ৯নং সোরার নদী ভাঙ্গন স্থানে বসবাসরত সাধারণ জনগনের সাথে মতবিনিময় করেন।

  • Untitled post 1493

    আমিনা বিলকিস ময়না: ক্রেতা ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় ক্রেতা অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় পরে সাতক্ষীরায় শহিদ আলাউদ্দিন চত্বর থেকে র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ শেষে কালেক্টরেট চত্বরে এসে শেষ হয়।

    জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহয়োগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারি পরিচালক আব্দুল লতিফ খান।

    বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকির হোসেন, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতি’র নূর ইসলাম প্রমুখ।

    জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে জনগণের বহুল প্রতিক্ষীত জনবান্ধব আইন ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’মহান সংসদে ২৬নং আইন হিসেবে পাস করে। এই আইনের আওতায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সরকারের একটি প্রাধিকার কর্মসূচি। এ আইনের অধীন ২০০৯ সালে আধা বিচারিক সংস্থা হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। মাঠ পর্যায়ে এ আইন বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদাহিতা নিশ্চিত করতে অত্র দপ্তর সদা সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অধিদপ্তর ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিকার ও প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী কার্যক্রম ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি গণসচেতনতা বৃদ্ধির্পূবক ভেজাল রোধ করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোন পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত সংক্ষুদ্ধ ভোক্তা এ আইনের ধারা ৭৬(১) অধীন এ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয়। তবে জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন সবাইকে স্মরণ রাখতে বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে হবে। মানুষকে ঠকালে তাকেও একদিন ঠকতে হবে। পরিমাপে সঠিক ও সঠিক পণ্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হবে।

    ক্যাব সাতক্ষীরা জেলা কমিটি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, জনগনের আকাংখাকে সামনে ক্যাব দীর্ঘ আন্দোলনের পথ পাড়ি দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ পাস করা হয়। এই আইন দিয়েই বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব। প্রসঙ্গত, মাঠ পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ আইন বাস্থবায়নে জনগণকে দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদাহিতা নিশ্চিত করতে অত্র দপ্তর সদা সচেষ্ট রয়েছে। এ অধিদপ্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সর্বস্তরে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর অধীন বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সিলেট জেলায় মোট ৪০ লক্ষ (চল্লিশ লক্ষ ) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।

    প্রাপ্ত অভিযোগ শুনানীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে ২৫ শতাংশ হিসেবে মোট ২৬ হাজার (ছাব্বিশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে পোস্টার, লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ, একাধিক সেমিনারের আয়োজন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যদায় প্রতিবছর ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করনে ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে নিয়মিতভাবে গণশুণানী ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য জনগণের দোরগোড়ায় সহজে সেবা পৌছানো। এ লক্ষ্যে এ অধিদপ্তর কর্তৃক অন লাইন/মোবাইল এস এম এস/ ফেইসবুক এর মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযোগ দায়েরের জন্য অভিযোগকারী খুব সহজেই িি.িফহপৎঢ়.মড়া.নফ এ ওয়েব সাইট বা ঋধপবনড়ড়শ/ফহপৎঢ় এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। মনে রাখবেন কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্য পণ্য প্রস্তুত করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইননুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। মানুষের প্রতি মানুষের যে প্রতিশ্রুতি তা জাগ্রত করতে হবে।

    বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ। ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্যে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। ১৯৮৩ সাল থেকে পৃথিবীব্যাপী ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন হয়ে আসছে। ন্যায্য মূল্যের পণ্যে ভোগের অধিকার এবং অভিযোগ করার প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিয়ে এ দিবসটি পালন করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ভোক্তাদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন, সতর্ক, দায়িত্বশীল ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। যাতে ক্রেতারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বিক্রেতাকে অধিক মূল্য প্রদান না করেন।

    খাদ্য, পণ্য ক্রয়ের সময় ওজন ও পরিমাপ সঠিকভাবে বুঝে নেন। পাশাপাশি ক্রেতাদের মিথ্যা ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন থেকে সতর্ক থাকেন। এছাড়াও ভেজাল ও নকল খাদ্য, পণ্য বা ওষুধ প্রস্তত এবং ফরমালিনসহ ক্ষতিকর দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্যপণ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাজারে ৯ হাজার ৮৩১টি অভিযান চালানো হয়েছে।

    এসব অভিযানে ৩৭ হাজার ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৭ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকা। এরমধ্যে ৩ হাজার ২৪৯ জন অভিযোগকারীকে ২৫ শতাংশ হিসেবে ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৭ টাকা দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী ক্রেতা-ভোক্তা সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক সংস্থা কনজ্যুমারস ইন্টারন্যাশনালের (সিআই) আহ্বানে ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। ১৯৬২ সালের এদিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ভোক্তা অধিকারকে সংজ্ঞায়িত করেন। বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেন। ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ভোক্তা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেন তিনি।

  • সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন

    সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বরিশালে ডিবি পুলিশ কর্তৃক বে-সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি’র ফটো সাংবাদিক সুমন হাসানকে নির্যাতনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সিনিয়র সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহিম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী দেশ টিভির শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, ডিবিসি টিভির এম জিল্লুর রহমান প্রমুখ প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, ‘শুধু বরিশাল নয়, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের অনৈতিক কর্মকা-ের প্রতিবাদ ও সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের নানাভাবে মিথ্যা মামলা, হামলা নির্যাতনসহ হয়রানি করা হচ্ছে।’

    পুলিশ বাহিনীকে হুশিয়ার করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘বরিশালে ডিবিসি’র ফটো সাংবাদিক সুমন হাসানকে নির্যাতনকারী ডিবি পুলিশসহ সারা দেশের দূর্নীতিবাজ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’

  • রেসিপি: চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংস

    রেসিপি: চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংস

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: মেজবানি মাংস রান্নার রয়েছে বেশকিছু কৌশল। এই রান্নার আসল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে প্রচুর পরিমাণ মসলা দেওয়া হয়। ঝালও থাকে অনেক। মেজবানি রান্নার আগে বিশেষ মসলার মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। অবশ্যই এই রান্না করতে হবে সরিষার তেলে। তবেই পাওয়া যাবে আসল মেজবানি মাংসের স্বাদ। জেনে নিন কীভাবে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আইটেমটি রান্না করবেন।

    উপকরণ
    গরুর মাংস (হাড়, কলিজা ও চর্বিসহ)- দেড় কেজি
    হলুদ গুঁড়া- আধা টেবিল চামচ
    মরিচ গুঁড়া- ২ টেবিল চামচ
    সরিষার তেল- আধা কাপ
    পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ
    লবণ- সামান্য
    কাঁচামরিচ- কয়েকটি
    মেজবানি মসলা তৈরি উপকরণ
    আস্ত ধনে- ১ টেবিল চামচ
    জিরা- ১ টেবিল চামচ
    মেথি- দেড় চা চামচ
    রাঁধুনি- ১ টেবিল চামচ
    সাদা সরিষা- দেড় চা চামচ
    গোলমরিচ- ১ চা চামচ
    শুকনা মরিচ- ৫/৬টি
    সাদা এলাচ- ৬/৭টি
    কালো এলাচ- ২টি
    দারুচিনি- বড় ২ টুকরা
    লবঙ্গ- ৬/৭টি
    জয়ত্রি- ১টি (ছোট)
    জয়ফল- অর্ধেকটা
    তেজপাতা- ২টি (বড়)
    মাংস মাখানোর উপকরণ
    টমেটো- ১টি (ছোট করে কুচি)
    পেঁয়াজ বাটা- ৩ টেবিল চামচ
    আদা বাটা- দেড় টেবিল চামচ
    রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
    তেজপাতা- ১টি
    কালো এলাচ- ১টি
    লবণ- স্বাদ মতো
    নারকেল বাটা- ১ টেবিল চামচ
    চিনা বাদাম বাটা- দেড় টেবিল চামচ
    প্রস্তুত প্রণালি
    মেজবানি মসলা তৈরির উপকরণ থেকে একটি তেজপাতা ও একটি কালো এলাচ সরিয়ে রেখে বাকিসব টেলে গ্রিন্ডারে গুঁড়া করে নিন। চাইলে বেটেও নিতে পারেন। মাংস মাখানোর উপকরণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিন মাংস।
    চুলায় প্যান বসিয়ে গরম করে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। পেঁয়াজ সোনালি হলে হলুদ আর মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিন। সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার মেখে রাখা মাংস দিয়ে দিন প্যানে। সামান্য লবণ দিন। মেজবানি মাংসের মসলা অর্ধেক পরিমাণ দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। প্যান ঢেকে দিন। আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তেল উঠে গেলে ১ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে নিন। চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে প্যান ঢেকে নিন। এভাবে চুলায় রাখুন ৪০ মিনিট। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে। ৪০ মিনিট পর বাকি মেজবানি মসলা দিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। আরও ২০ মিনিট রাখুন চুলায়। আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন সুস্বাদু মেজবানি মাংস। পরিবেশন করুন গরম গরম।

  • জিন্স পরিষ্কারের খুঁটিনাটি

    জিন্স পরিষ্কারের খুঁটিনাটি

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: পরিষ্কার করার পর শখের জিন্স বিবর্ণ হয়ে গেছে? সঠিক উপায়ে জিন্স পরিষ্কার করলে পড়তে হবে না এমন ভোগান্তিতে। জেনে নিন কীভাবে পরিষ্কার করবেন জিন্স।

    জিন্স পরিষ্কার করার সময় সবসময় মাইল্ড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন।
    ব্লিচিং উপাদান আছে এমন ডিজারজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
    কখনও গরম পানিতে ধোবেন না জিন্স।
    পানিতে ভেজানোর আগে জিন্স উল্টা করে নিন।
    ধোয়ার আগে ৪৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
    জিন্স কখনও আছড়ে ধোবেন না।
    হালকা হাতে ধুয়ে বারান্দায় ঝুলিয়ে দিন।
    খুব কড়া রোদে জিন্স না শুকানোই ভালো।
    ঘন ঘন জিন্স ধোবেন না। কয়েক মাস পর পর ধুলে ভালো থাকবে অনেকদিন।

    তথ্য: উইকি হাউ

  • বালিশ পরিষ্কার করবেন যেভাবে

    বালিশ পরিষ্কার করবেন যেভাবে

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: কভার বদলে ব্যবহার করলেও বালিশের ভেতর জমে থাকে ধুলাবালি। অপরিষ্কার বালিশ নানা রোগের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে চর্মরোগ ও খুশকি দেখা দেয় ময়লা বালিশ ব্যবহার করলে। কভারের পাশাপাশি নিয়মিত বালিশ পরিষ্কার করাও তাই খুব জরুরি। বালিশ অথবা কুশন কীভাবে পরিষ্কার করতে হবে জেনে নিন।

    বালিশের কভার খুলে নিন।
    গরম পানিতে সামান্য মাইল্ড ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে বালিশ ডুবিয়ে রাখুন।
    আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে হাত দিয়ে সামান্য নিংড়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
    প্রচুর পানির সাহায্যে ধুতে হবে যেন ময়লা ও ফেনা পুরোপুরি চলে যায়।
    আলো বাতাস আছে এমন স্থানে ক্লিপের সাহায্যে ঝুলিয়ে দিন ভেজা বালিশ।
    শুকিয়ে ফেলে কভারে ঢেকে ব্যবহার করুন পরিষ্কার বালিশ।

    তথ্য: দ্য ইন্ডিয়ান স্পট

  • বসন্তের ফ্যাশনেবল পোশাক

    বসন্তের ফ্যাশনেবল পোশাক

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: আধুনিক তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকছে ট্রেন্ডি ফ্যাশনের দিকে। আর সেই ফ্যাশন চাহিদা মেটাতে ঝুট-ঝামেলার অন্ত নেই। সব ঝামেলা মিটিয়ে আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ তা দিচ্ছে পোশাকের ক্যানভাসে।

    ট্রেন্ডি, ক্যাজুয়াল, এক্সটিক, ভাইব্রেন্ট, স্ট্রিট ও এলিগ্যান্ট রেডি টু ওয়ার ওমেন কালেকশন এবার আইকনিকের ঘরে। হ্যালো স্প্রিং শিরোনামে রঙিন এসব নতুন পণ্য পাচ্ছে সববয়সী প্রতিটি নারী।

    প্যাটার্ন ভিন্নতা এবং প্যাশ্চাত্য কাট, আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজের পণ্যে দিচ্ছে সাতন্ত্র্য। হ্যালো স্প্রিং-এর পাশাপাশি আইকনিকের শোরুমে থাকছে শর্তসাপেক্ষে মূল্যছাড়ের সুযোগও।

    ফেসবুকে আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজের ফ্যান পেইজ অনুসরণ করলে জানা যাবে নতুন পণ্যের ডিজাইন সম্পর্কে। ‘ফাস্ট ডেলিভারি’ সুবিধায় ফেসবুক পেইজ থেকে পাওয়া যাবে শর্তসাপেক্ষে পণ্য অর্ডারের সুবিধাও।

    আইকনিকের উদ্যোক্তা তাসলিমা মলি জানান, ট্রাডিশনাল এবং পাশ্চাত্য পোশাকে নিজেদের গর্জাস লুকে উপস্থাপনার জন্য উজ্জ্বল রঙের পোশাক থাকছে আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজে। সবই সমকালিন ফ্যাশন প্যাটার্ন ও কালার প্যালেট অনুসরণ করে তৈরি। তাই আমাদের ক্রেতা মূলত: ট্রেন্ডি এবং ফ্যাশন সচেতন।

  • ২ উপকরণে চুলায় তৈরি চকলেট কেক

    ২ উপকরণে চুলায় তৈরি চকলেট কেক

    লাইফ স্টাইল ডেস্ক: ঘরে তৈরি মজাদার চকলেট কেক যেমন অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়, তেমনি শিশুদের স্কুলেও দিতে পারেন টিফিন হিসেবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে মাত্র দুটি উপকরণ দিয়ে চুলায়ই বানিয়ে ফেলা যায় কেকটি। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন।

    উপকরণ
    চকলেট- ২০০ গ্রাম (সেমি সুইট চকলেট)
    ডিম- ৪টি
    প্রস্তুত প্রণালি
    চকলেটের বার ছোট ছোট টুকরা করে নিন। প্যানে অল্প পানি দিয়ে চুলায় দিন। পানি ফুটতে শুরু করলে চুলার আঁচ কমিয়ে চকলেটের পাত্র রাখুন উপরে। পাত্রটি যেন তাপ প্রতিরোধক হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। গলতে শুরু করলে চকলেটগুলো নেড়ে দিন। পুরোপুরি গলে গেলে নামিয়ে নিন চকলেটের বাটি। চুলায় ভারি তলাযুক্ত একটি হাঁড়ি বসান। হাঁড়িতে বালি অথবা লবণ এমনভাবে দিন যেন নিচের অংশ ঢেকে থাকে। উপরে একটি লোহার স্ট্যান্ড রাখুন। সাধারণত গরম কড়াই বা হাঁড়ি রাখতে যে স্ট্যান্ড ব্যবহার করি আমরা সেই স্ট্যান্ড। এবার হাঁড়িটি ঢেকে দিন। ঢাকনায় যেন কোনও ছিদ্র না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখবেন। মিডিয়াম আঁচে প্রি হিট করার জন্য রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট।
    ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে ফেলুন। ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন সাদা অংশ। ফুলে গিয়ে ক্রিমি হওয়ার আগ পর্যন্ত ফেটাতে হবে। কেক বসানোর জন্য কেক মোল্ড নিন। নিচে সামান্য তেল ঘষে ময়দা ছিটিয়ে নিন। এতে কেক তলায় লেগে যাবে না। এবার গলিয়ে রাখা চকলেটে ডিমের কুসুমগুলো মিশিয়ে নিন। ডিমের সাদা অংশ অল্প অল্প করে চকলেটের সঙ্গে মেশান। কেক মোল্ডে মিশ্রণটি ঢেলে সমান করে নিন। প্রি হিটে রাখা হাঁড়ির স্ট্যান্ডে কেক মোল্ড রাখুন। মিডিয়াম লো আঁচে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট বেক করুন কেক। মোল্ড থেকে কেক বের করে ইচ্ছে মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট কেক।
    জেনে নিন
    এই কেকে আলাদা করে চিনি দেওয়া হয়নি। কেউ বেশি মিষ্টি খেতে চাইলে চিনি যোগ করে নিতে পারেন স্বাদ মতো।

    রেসিপি ও ছবি: স্পাইস বাংলা

  • রেসিপি: নেহারি রাঁধবেন যেভাবে

    লাইফ স্টা্ইল ডেস্ক: চালের আটার রুটি অথবা লুচির সঙ্গে গরম গরম নেহারি খুবই সুস্বাদু। জেনে নিন কীভাবে রান্না করবেন নেহারি।

    উপকরণ
    গরু অথবা খাসির পায়ের নিচের অংশ- ২ কেজি
    পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
    আস্ত রসুনের কোয়া- আধা কাপ
    আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
    কাঁচামরিচ- ৫/৬টি (কুচি)
    তেজপাতা- ২/৩টি
    ছোট এলাচ- ৪/৫টি
    বড় এলাচ- ২টি
    স্টার মসলা- ২টি
    লবঙ্গ- ১০/১২টি
    দারুচিনি- ২/৩ টুকরা
    শুকনা মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
    হলুদ গুঁড়া- আধা চা চামচ
    ধনে গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
    লবণ- ১ টেবিল চামচ অথবা স্বাদ মতো
    তেল- আধা কাপ
    গোলমরিচ- ২০টি
    পাউরুটি- ২ টুকরা
    পোস্ত বাটা- ১ টেবিল চামচ
    বাদাম বাটা- ২ টেবিল চামচ
    বাগারের উপকরণ
    তেল- ১/৪ কাপ
    পেঁয়াজ- আধা কাপ (কুচি)
    রসুন কুচি- ১ টেবিল চামচ
    শুকনা মরিচ- ৪/৫টি
    আদা কুচি- ১ চা চামচ
    গরম মসলা- আধা চা চামচ
    ভাজা জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ
    প্রস্তুত প্রণালি
    গরুর পায়ের টুকরা প্রেসার কুকারে দিয়ে দিন। পোস্ত বাটা ও বাদাম বাটা বাদে বাকি সব মসলা একে একে দিয়ে ৬ কাপ পানি দিন। চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে চুলায় দিয়ে দিন প্রেসার কুকার। চুলার জ্বাল বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা চুলায় রাখুন। খাসির পা হলে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে।
    পাউরুটির চারপাশের শক্ত অংশ ফেলে পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর প্রেসার কুকারের ঢাকনা খুলে আরেকটি ছড়ানো পাত্রে ঢালুন মসলাসহ পা। পাত্রটি চুলায় দিয়ে পোস্ত বাটা ও বাদাম বাটা দিন। পেঁয়াজ গলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ভালো করে কষান। চুলার জ্বাল জোরে থাকবে। কিছুক্ষণ পর ২ কাপ পানি দিন। পানিতে ভেজানো নরম পাউরুটি আধা কাপ পানিতে পেস্ট তৈরি করে অল্প অল্প করে দিয়ে দিন হাঁড়িতে। আরও ৫ মিনিট রান্না করে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
    আরেকটি প্যানে বাগারের জন্য তেল দিন। পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। পেঁয়াজের রং স্বচ্ছ হয়ে আসলে রসুন কুচি দিন। ভালো করে নাড়ুন। আদা কুচি ও শুকনা মরিচ দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা হয়ে গেলে ২ চা চামচ নেহারির ঝোল দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে বাকি নেহারিটুকু ঢেলে দিন। বলক উঠলে গরম মসলার গুঁড়া ও জিরার গুঁড়ার দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। চুলার আঁচ কমাবেন না। ৫ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে অপেক্ষা করুন মিনিট পাঁচেক। নেড়ে পরিবেশনের পাত্রে ঢালুন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার নেহারি।

  • আলুর ফেসপ্যাক দূর করে বলিরেখা

    লাইফ স্টাইল ডেস্ক: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্ক পাওয়া যায় আলু থেকে। এসব উপাদান ত্বকের যত্নে অতুলনীয়। আলুর ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে দূর হয় ব্রণ ও ত্বকের রোদে পোড়া দাগ। পাশাপাশি আলুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক রাখে বলিরেখামুক্ত। জেনে নিন আলুর কয়েকটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে।

    একটি মাঝারি সাইজের আলু খোসাসহ সেদ্ধ করে নিন। খোসা ছাড়িয়ে ভর্তা করুন। ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ও ২ চা চামচ কাঁচা দুধ মেশান। মিশ্রণটি পরিষ্কার ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে কুসুম গরপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
    দাগ দূর করার জন্য
    ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে কার্যকর এই ফেসপ্যাকটি। একটি ছোট সাইজের আলু ও গাজর একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা হলে গাজর ও আলু ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন। ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া ও ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
    রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য
    মাঝারি সাইজের একটি আলু পাতলা করে স্লাইস করুন। রোদে পোড়া কালচে ত্বকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন আলুর টুকরা। চাইলে ব্লেন্ড করে ব্যবহার করতে পারেন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
    তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
    আলুর রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব কমাবে এটি।
    বলিরেখা দূর করতে
    একটি আলু থেঁতো করে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রেখে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে টানটান ও কোমল।

    তথ্য: স্টাইল ক্রেজ