অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী
দেশ এগুচ্ছে।সমৃদ্ধি মানুষ দেখচ্ছে।মানুষের মনে যে স্বস্তি থাকার কথা সেটি মানুষ পাচ্ছে না। কোথায় যেন একটু অতৃপ্তি থাকচ্ছে।কেমন যেন ‘নিজের মনে পুড়ি—গন্ধ বিধুর ধুপ।’ এ অবস্থা কোন সময়ের জন্য ভালো নয়।মানুষ পৃথিবীর অন্য যে কোন প্রাণী থেকে পৃথক তার চিন্তা শক্তির জন্য, চিন্তার স্বাধীনতার জন্য। চিন্তাকে মুক্ত রাখা জন্য মানুষ সংগ্রাম করে, লড়াই করে।বাঙালীরাও সে চিন্তা মুক্তির লড়াই সংগ্রাম করেছে।তবে বাঙালী লড়াই ছিল দ্বিমাতৃক।চিন্তার স্বাধিনতার সাথে অথনৈতিক মুক্তির লড়াইটাও ছিল।
বৃটিশ, পাকিস্থান কারো সময় কথা বলার স্বাধীনতা ছিলনা।বাংলার মানুষ, বাঙালী মানুষ দীঘ সংগ্রাম শেষে স্বসস্ত্র যুদ্ধের মধ্যে স্বাধীনতা আনে মুক্ত চিন্তা আর অথনৈতিক সমতার লক্ষ্যে।স্বাধীনতার পরে চিন্তার স্বাধিনতার আস্তে আস্তে যাত্রা শুরু করে, অথনৈতিক বৈষম্য কমানোর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়।কিন্তু সরিশার ভুত থেকে যায় সরিসার মধ্যে।যে ব্যক্তিরা একদম শেষ দিন পযন্ত পাকিস্তানীদের সাথে ছিল।নিজেকে কখনই স্বাধীনতার স্বপক্ষে নিয়ে যেতে সামান্য উদ্যোগ গ্রহন করেনি।যে মানুষগুলো গনতন্ত্র আর অথর্নৈতিক সাম্যে বিপক্ষে ছিল তারাই এখন স্বাধীন দেশের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রক।আর যারা এর বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে লড়াই করলো তাদের কে রাখা হলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার বাইরে।ফলে পরিনতি যা স্বাভাবিক ছিল তাই ঘটলো।যারা কখনো বঙ্গবন্ধুকে কখনো মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কমকান্ডকে নিমূল করার পার শাসক শ্রেনীর পরিচালিত কর্মকান্ডের সাথে ছিল, তারা প্রশাসনিক ক্ষমতা করায়ত্ব করে পরিকল্পিত ভাবে এগুয়ে সুযোগ বুঝে একদিন বঙ্গবন্ধু হত্যা করে জাতীকে আবার পাকিস্থান মুখি করার উদ্যোগ গ্রহণ করলো।রাষ্ট্র ক্ষমতা নিযন্ত্রনে নিতে র্বণচোর মুক্তিযোদ্ধা এক সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্ব পাকিস্থানী পন্থার দল বিএনপি জন্ম দিল।মানুষ আবার সংগ্রাম করে সে অব্যহত যাত্রাকে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দল গুলোকে এক কাতারে নিয়ে এসে রুখে দিল।ঘৃন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো।পাকিস্থানীর পন্থার বিপরিত রাজনৈতিক শক্তি ক্ষতায় এলো।নানান ষড়যন্ত্র হলো কিন্তু তারপরও মুক্তিযুদ্ধে চেনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ক্ষমতা নিজেদের মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম হলো।পরপর তিনবার ক্ষমতায় এলো। ইতোমধ্যে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রধান দল আওয়ামীলীগের মধ্যে চেতনাগত কিছু পরির্বতন ঘটে।দলের মধ্যে ত্যাগি অপেক্ষা তারুনের উত্থান ঘটে।
তৃতীয় পরবের এ যাত্রা পথে টিকে থাকতে অনেক অনিয়মের সাথে আপোষ করতে হয়েছে বর্তমান আওয়ামীলীগ ও তার জোটকে।ফলে অনেক চ্যালেন্জ তৈরী হয়ে গেছে। প্রধান প্রতিপক্ষ ও পাকিস্থানী পন্থার ধারক জামাত-বিএনপি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে কার্যত অনুপস্থিত।ফলে প্রতিপক্ষ নিয়ে যে ঝামেলাটা ছিল তা এখন বিতাড়িত। মানুষ উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির পক্ষ নেওয়ায় অনেক বিষয় কে গুরুত্বে আনেনি। কিন্তু এখন দেশ যেহেতু উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত, সেহেতু মানুষ এখন প্রত্যাসা করে সমাজের সকলস্তরে সুশাসন নিশ্চিত হোক। সমৃদ্ধির প্রয়োজনে সৃষ্টি হোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, প্রগতির পক্ষের যাত্রা অব্যহত রাখতে চিন্তার স্বাধীনতার ফুল ফুটুক সমাজ অভ্যন্তরে।সাধারণ মানুষের এ প্রত্যাশার কতটা আলোর মুখ দেখবে বর্তমান সকল ধরনের অনৈতিকতার মধ্যে নিমজ্জিত প্রশাসনকে ব্যবহার করে।বর্তমান সরকারের যেমন এটি চ্যালেন্জ, তেমনি চ্যালেন্জ সরকারের জোট বদ্ধ প্রগতিশীল দল সমুহের জন্য।
Leave a Reply