বিশেষ প্রতিবেদক: ‘জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই। জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাখিমারা টিআরএম বিলে যে সকল কৃষকরা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাদের দ্রুত এবং সহজ শর্তে টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বুধবার সকালে তালা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধিজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরা এলাকায় ব্যাপক খাস জমি থাকলেও নীতিমালা অনুয়ায়ী সেগুলো বন্দোবস্ত দেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া শালতা নদীসহ বিভিন্ন খাল ও বিলগুলো খনন করতে হলে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ হতে রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসনে পাঠালে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করা হবে।’
তিনি এলাকার উন্নয়নে সকলকে একসাথে মিলেমিশে কাজ করার আহবান জানান। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইখতিয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম এবং তালা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান, জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ শাহিনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, আব্দুস সোবহান, মোড়ল আব্দুর রশিদ, সাস পরিচালক শেখ ইমান আলী, আওয়ামী লীগনেতা সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান এবং তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply