1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
১৯ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড📰প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ📰বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত📰দীপা রানী সরকার তালা উপজেলার নতুন ইউএনও📰আশাশুনিতে উপজেলা মৎস্যজীবী দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় আনন্দ মিছিল ও পথসভা 📰আশাশুনির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে চারা বিতরণ📰আশাশুনিতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ/আহতদের স্মরণে সভা📰আশাশুনিতে ভোক্তা অধিকারের  অভিযানে ৮৫০০ টাকা জরিমানা 📰হালদা নদী নারী নির্যাতনের মতো নির্যাতিত হচ্ছে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার📰ইসরায়েলের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র : ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা

আশাশুনির বেড়িবাঁধ ভেঙে চিংড়ি ঘেরে ক্ষতি সাড়ে ১৩ কোটি টাকা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার আশাশুনির বিছট গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবে) বেড়িবাঁধ ভেঙে ৬টি গ্রামের প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির আয়তনের ৪৫০ থেকে ৫০০টি চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে চাষীদের প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একই সাথে ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও প্রায় দেড় হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালিন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাবিত এলাকার প্রায় ৬শ ঘরবাড়ি।

এদিকে বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী নয়াখালী গ্রাম। জোয়ারের পানিতে এই গ্রামের প্রায় সব ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ধসে পড়েছে গ্রামের প্রায়সব মাটির ঘর। গোবাদি পশু ও হাঁস মুরগিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এই গ্রামের বাসিন্দারা। এই অবস্থায় গত রাতে গ্রামে ডাকাত দল ঢুকেছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। এছাড়া ইউনিয়নের বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, চেঁচুয়া ও কাকবসিয়া গ্রামের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সেখানে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। তলিয়ে গেছে মিষ্টিপানির পুকুর। লোনা পানিতে পুকুরের মাছ মরে এলাকায় দুগন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সড়কের উপর বা আশে পাশের উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

নয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মাওঃ আতাউর রহামন জানান, বিগত সরকারের সময় গত ১৬ বছর আমাদের এই এলাকায় সঠিকভাবে কোন বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি। যে কারণে বাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নয়াখালী গ্রামের সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি সব ভেসে গেছে। গ্রামের মানুষ বেড়িবাঁধের উপর খোলা অকাশের নিচে অসহায় অবন্থায় রয়েছে। খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীর মধ্যে ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের আগে থেকে নজরদারি থাকলে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না। এর মধ্যে গ্রামে ডাকাত শুরু হয়ে গেছে। নদীর পানির সাথে যুদ্ধ করে এই এলাকার মানুষ কোন রকমে বেঁচে আছে। এই এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে তিনি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আর্কষন করেন।

অন্যদিকে পানিবন্দি পরিবারগুলো বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দুর্গতদের সহায়তায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড , জামায়াত ও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথকভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছ। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী জানান, বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাতি এলাকার প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির আয়তনের ৪৫০ থেকে ৫০০টি চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে চাষীদের প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও প্রায় দেড় হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালিন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাবিত এলাকার প্রায় ৬শ ঘরবাড়ি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল পৌনে ৯ টার দিকে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার পাশ থেকে প্রায় দেড়’শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, নয়াখালী, চেঁচুয়া ও কাকবসিয়া গ্রাম। এর মধ্যে নয়াখালী গ্রাম সম্পূর্ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাকি গুলোর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বেড়িবাঁধ ভাঙনের ৪৮ ঘন্টা পর বুধবার (২এপ্রিল) সকালে ভাঙন পয়েন্টে আধুনিক জিও টিউব দিয়ে একটি বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টানা তিনদিন বিরতিহীনভাবে কাজ করার পর শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙন পয়েন্টে আধুনিক জিওটিউব দিয়ে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে ওইদিন দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীর লোনা পানি আর লোকালয়ে ঢুকতে পারেনি। এত করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে প্লাবিত এলাকার মানুষ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd