1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
২৫ আশ্বিন, ১৪৩১
Latest Posts

আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, প্রশাসনিক ও পাঠদানে ব্যাহত

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ সংবাদটি পড়া হয়েছে
আশাশুনি ব্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের) অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সপ্তাহাধিক কাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজভূমে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান তৎকালীন নিয়মিত কমিটির মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানে অনিয়ম করা হয়েছে অভিযোগ এনে বিরোধীতা শুরু করলে বিষয়টি বড় হতে শুরু করে। সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি হিসাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে দায়িত্ব প্রদানের পর অভিযোগটি নিয়ে সরাসরি মাঠে নামেন কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক।
প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সিনিয়র শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তির পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে আদেশ স্টে অর্ডার করান। সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির সভা আহবান করে সকলের মতামত শুনে এব্যাপারে জিপির মতামত গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে হাই কোর্টের স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে ১৯ সেপ্টেম্বর ৩১৫৯ নং রিট করা হয়। তাদের অভিযোগ বাবলুর রহমান প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজিয়েট স্কুল এর পরিবর্তে ডিগ্রী কলেজ দেখিয়েছেন। ফলে মাউশির এখতেয়ার নাই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে স্টে অর্ডারের ভিত্তি নেই বলে তারা দাবী করেন। তারপরও বাবলুর রহমান কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় প্রতিষ্ঠানে শূন্যতা বিরাজ করছে। তবে অফিস কক্ষে তালা লাগানোয় কাগজপত্র আটকে আছে বলে তারা স্বীকার করেন।
একাদশ শ্রেনির ছাত্র নাইমুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অফিসে তালা ঝুলানোয় কলেজে ঝিমঝিমে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলু স্যার প্রতিদিন কলেজে এসে ক্লাশ নিচ্ছেন বলে তারা জানায়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান জানান, রিটে ডিগ্রী কলেজ উল্লেখ করা হয়নি। ডিগ্রী কলেজ উল্লেখ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল, খুলনাসহ অন্যদের বিবাদী করা হতো না। বরং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ভিসি, ট্রেজারার বা তাদের কাউকে বিবাদী করা হতো। প্রতিপক্ষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে ১৯/৯/২৪ তারিখে ৩১৫৯ নং যে রিট করেছেন, সেখানে মহামান্য আদালত “নো অর্ডার এন্ড ডিরেকশান” হয়। অর্থাৎ স্টে অর্ডার ভ্যাকেট হয়নি। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি, ক্লাশ নিচ্ছি। কতিপয় শিক্ষকের ঈন্ধনে কে বা কারা অফিসে তালা লাগিয়েছে। আমি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস সহকারী কক্ষে বসে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পর্ন করছি। তবে তালাবদ্ধতার জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে এবং অভিভাবকরা কাজ নিয়ে আসলে তাদের কাজ মেটাতে পারছেননা বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কৃষ্ণা রায় বলেন, অফিসে তালা লাগানোর সংবাদ আমার কাছে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd