1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৫ অপরাহ্ন
১ মাঘ, ১৪৩১
Latest Posts
📰কলারোয়া সীমান্তে ৫ বাংলাদেশীকে আটক📰তালায় পানি সরবরাহের খাল জোর পূর্বক দখল ও বাড়ি নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ 📰তালায় বন্ধ ক্লিনিক খুলতে দৌড়ঝাঁপ শুরু! 📰তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন 📰গুনাকরকাটি কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান📰আশাশুনিতে বিনা চাষ ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ, দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে সুশোভিত📰সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তি আটক📰আশাশুনিতে মৎস‍্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ 📰আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত📰দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির

সাতক্ষীরায় ভালুকা চাঁদপুর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গাছ কত্তনের অভিযোগ 

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩
  • ৫৫ সংবাদটি পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা  সদর উপজেলায় ভালুকা চাঁদপুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছে বলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলজে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়,  ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজ প্রতিষ্ঠানের সময় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিত জায়গায় বনজ জাতীয় বৃক্ষরোপন শুরু হয়।  গাছগুলো প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়েছে। বর্তমানে  গাছগুলো পরিপূর্ণতা পেয়েছে। গত রমজান মাসে রাতের আঁধারে কলেজের অধ্যক্ষ এ আর মোবাশ্বেরুল হক কাউকে না জানিয়ে বড় বড় ৫টি মেহগনি কাজ গোপনে কেটে নিয়ে যায়। গাছগুলো কাটার পর গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। যেনো কেউ বুঝতে না পারে সেখানে গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গাছ ছুরির ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। গাছ চুরের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক গাছ কাটার জায়গায় ছোট ছোট চারা গাছ রোপন করে। এবং মাটি দিয়ে সমান করে দেয় যাতে বোঝার কোন উপায় নেই সেখানে গাছ কাটা হয়েছে।তবে মাটি দিয়ে গাছের গোড়াগুলো ঢেকে দিলেও বোঝা যাচ্ছে এখানে গাছ কাটা হয়েছে। কারণ গাছের অনেক শিকড়  বের হয়ে আছে।
সম্প্রীতি এলাকায় সমালোচনার ঝড় থামানোর জন্য অধ্যক্ষ  কৌশলে আরো ৪টি মেহগনি কাজ কেটে পার্শ্ববর্তী ছ,মিলি নিয়ে যায়। গাছগুলো ছমিল থেকে কেটে এনে চেয়ার বানানোর জন্য কলেজে সংরক্ষণ রাখে।অভিনব চতুর চালাক কলেজের অধ্যক্ষর এমন চুরিকে পেশাদার চোরকেও হার মানায়।

তথ্য অনুসন্ধান  আরও জানা যায়, অধ্যক্ষ এ আর  এম মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি , পিতা আব্দুর রউফ  স্থানীয় চাঁদপুর বাসিন্দা। তিনি ১৭/৪/২০১৭ ইং তারিখে ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজে যোগদানের পর থেকে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। যোগদানের পর একক ক্ষমতা ধারণ করে ১৭ জন শিক্ষক এম,পি,ও ও ৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। সেখানে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  জানায়। আরো জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইন এজাহার ভুক্ত চলমান মামলার আসামি  অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক।
এলাকার সচেতন মহল জানায়, বর্তমান কলেজের স্থায়ী কোন কমিটি না থাকায় অধ্যক্ষ মোবাশিরুল হক নিজের ইচ্ছামত চলে। কলেজ ক্যাম্পাসের বড় বড় গাছগুলো গোপনে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কলেজের আম, ডাল ও বেড়া নিজের ইচ্ছামত নিয়ে যায়। যা দেখার কেউ নেই।এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হকের কাছে গোপনে গাছ কাটার বিষয়ে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন , কখন গাছ কাটা হয়েছে? কে গাছ কেটেছে ? এসব তথ্য আপনাকে কে দিয়েছে। সাংবাদিককে জানায় আপনি সরজমিনে এসে দেখে যান কোন গাছ কাটা হয়নি। তাৎক্ষণিক সরে জমিনে যে দেখা যায় , সেখানে গাছ কাটা হয়েছে এবং মাটি দিয়ে সমান করে গাছের গড়াগুলো ঢেকে দেয়া হয়েছে। এবং সেখানে ছোট ছোট গাছ রোপন করা হয়েছে। সম্প্রীতি আরও চারটি কাজ কাটা হয়েছে তার গোড়াগুলো প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। সাংবাদিক এসেছে অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হক জানতে পেরে ওই সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে জানায় কলেজের চেয়ার নির্মাণের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। অধ্যক্ষ জানায়  আমি কি বলতে কি বলে ফেলেছি আমি নিজেও জানিনা। এবং সাংবাদিককে৷ অনেকে অনুরোধ করে বলেন,,   নিউজটা না করার জন্য। তবে ৪ টি গাছের কথা স্বীকার করলেও বিগত রমজান মাসে যে ৫টি গাছ কেটে গোপনে বিক্রি করেছেন  সেটা তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ কুমার সরকার কে মুঠোফোনে কল দিলে কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা বন কর্মকর্তা মারুফ হাসানের  কাছে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য আসেনি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেজেটে যদি গাছ কাটার বিষয় উল্লেখ থাকে তাহলে উক্ত কমিটির গাছ কাটতে পারবে। এবং বনবিভাগ যদি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ লাগানোর সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে অনুমতি নিতে হবে। যেহেতু এ বিষয়ে কেউ এখনো কোনো অভিযোগ করেনি  তবে গাছ কাটার বিষয়টি সত্যতা পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd