খান নাজমুল হুসাইনঃ সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে তিনটি নিয়োগের পুর্বে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ৩৫ লক্ষ টাকার উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি খান নাজমুল হুসাইন এবং জাতীয় দৈনিক অন্যধারা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে লিখিত পৃথক তিনটি অভিযোগ দেন। কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর তিনটি সৃষ্টা পদে নিয়োগ বোর্ড বসার পুর্বেই ৩ জন কে অর্থের বিনিময়ে মনোনীত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে তারেক হোসেন কে সাতক্ষীরা কলারোয়া ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের জন্য তার নিকট থেকে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান ও সভাপতি মোঃ রওশন আলী উৎকোচ গ্রহণ করেন। একই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বেনজির হোসেন এর স্ত্রী রুমি আক্তার কে উল্লেখিত বিদ্যালয়ের আয়া পদে নিয়োগের জন্য তার নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করেন। সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার সেনেরগাতি গ্রামের হোসেন মল্লিকের ছেলে আশিকুর রহমান চঞ্চল কে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য উৎকোচ গ্রহণ করেন৷ উল্লেখিত বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য তিন জন প্রার্থীর কাছ থেকে যথাক্রমে ৩৫ লক্ষ টাকার ঘুষ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে চারটি নিয়োগ পদের বিপরীতে ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করিনি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রওশন আলীর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি উৎকোচ আদায়ের ব্যপারে অস্বীকার করেন এবং কৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ নিয়োগ বানিজ্য করে থাকে তা হলে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের জন্য ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দুইজন কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন জেলা প্রশাসক আমাকে ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর সৃষ্ট পদে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি কতৃক নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি কতৃক ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন কে নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ এবং তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো বলে তিনি জানান দেন। এদিকে স্থানীয় ও সুশীল সমাজ ধানদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply