1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
১৮ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰হালদা নদী নারী নির্যাতনের মতো নির্যাতিত হচ্ছে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার📰ইসরায়েলের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র : ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা📰শ্যামনগরে সাপের কামড়ে ঘের মালিকের মৃত্যু📰বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সদস্য সচিবের পদত্যাগ📰স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : ড. মুহাম্মদ ইউনূস📰আশাশুনিতে আগামী অর্থ বছরের বাজেট সভা📰সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলা; জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা : গ্রেপ্তার-১📰সাতক্ষীরায় দুধে ভেজাল প্রতিরোধ এবং নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত📰শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত📰সাতক্ষীরায় সবুজ উদ্যোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেশন অনুষ্ঠিত

দেশের সেবায় কাঁধে তুলে নেন করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব আশাশুনির সফল করোনা যোদ্ধা গোলাম মোস্তফা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০
  • ১৯৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার একজন সফল করোনা যোদ্ধা জিএম গোলাম মোস্তফা। পদবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটারি ইন্সেপেক্টর। দায়িত্ব বাড়ী, দোকান, বাজার পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে মানুষকে সচেতন করা। আইন অমান্য করে যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য পরিবেশন করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু সম্প্রতি মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন করোনার নমুনা সংগ্রহে। বিগত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে করোনার ডিউটি শুরু করেন ভোমরা স্থল বন্দরে। পরে ২০২০সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে নিজ কর্মস্থল আশাশুনিতে শুরু করেন করোনা উপসর্গ রোগীর স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহ করা। খেয়ে না খেয়ে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে ছুটে চলেন তিনি।
করোনার স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বটি প্যাথলজি বিভাগের উপর বর্তালেও কোন আপত্তি ছাড়াই দেশ ও দেশের মানুষের সেবাই নিজের কাঁধে তুলে নেন করোনার নমুনা সংগ্রহের মত এমন একটি ভয়াবহ বা ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব। করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক একান্ত স্বাক্ষাতকালে সেনেটারি ইন্সেপেক্টর জিএম গোলাম মোস্তফা বলেন, শুধু দায়িত্ব পালনের জন্য নয়, দেশ তথা জেলা ও উপজেলার মানুষকে সুস্থ রাখতে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাক্ষাতকালে তিনি আরও বলেন এ ঝুঁকিপূর্ণ পেশা পালন করতে গিয়ে পরিবার পরিজন থেকে হতে হয়েছে একেবারে আলাদা। পরিবারকে সুস্থ রাখতে আলাদা একটি নির্জন বাসায় একাই বসবাস করেন এমনটিই জানান তিনি। তবে দুঃক্ষ প্রকাশ করে বলেন, নমুনা সংগ্রহ করি বলে জেলা সদরে বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক কর্মচারীই আমাদেরকে ঘৃনার চোখে দেখেন। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। ঘৃনা বা হাজারও অপমান মেনে নিয়ে শত কষ্টো হলেও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালনে তিনি কোন দিন পিছু পা হবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবন্ধ হন। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে করোনার যোদ্ধার তালিকায় অধিকাংশ কর্মচারী তাদের নাম অন্তরভুক্তও করিয়েছে। যারা কিনা কখনও করোনা প্রতিরোধে অফিস থেকে বাইরে যাননি। এছাড়া অনেকে অফিসে বসেও টিএ-ডিএ বিল উত্তোলন করেছেন। তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামীতে সে সকল ভূয়া করোনা যোদ্ধার নাম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তারা। সেনেটারি ইন্সেপেক্টর গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সনাক্ত ও করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনা মূলক প্রচারে মুগ্ধ আশাশুনি উপজেলাসহ ভোমরা স্থল বন্দরের সাধারণ মানুষ। ইতি মধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে একজন করোনা যোদ্ধায় ভূষিত হয়েছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd