1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
৬ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts
📰ঘুষ, চাঁদাবাজি, প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে📰১৯ দিনে এলো ১৮ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স📰শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি📰রাষ্ট্রপতির কোথায় থাকা দরকার, তা ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে: সারজিস📰সাতক্ষীরায় ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক ও পিছিয়েপড়া নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ 📰ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্লাস্টিক বজ্যের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ📰এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা তথ্য অফিসর অবহিতকরণ সভা📰সদর থানায় হামলা মামলার আসামী অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার📰এইচএসসির বৈষম্যহীন রেজাল্ট দাবিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও📰সাতক্ষীরায় গৃহবধূ ও যুবককে নির্যাতন : থানায় মামলা, স্বামীসহ আটক তিন

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে ওরা, রুখবে কে ?

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৩৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

॥ এম কামরুজ্জামান ॥

পৃথিবীজুড়ে কান্না আর লাশের মিছিল ! লাশ রাখার জায়গা নেই। ভয়ে বাকরুদ্ধ শোকস্তব্ধ পৃথিবী। ইতালি থেকে আমেরিকা প্রতিটি আক্রান্ত দেশে লড়তে লড়তে ক্লান্ত অবসন্ন দেহে চিকিৎসক , নার্সরা হাসপাতালের মেঝেতে একজনের গায়ে আরেকজন শুয়ে পড়ছে। উন্নত দেশগুলো আজ সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আকাশের মালিকের দিকে তাকিয়ে। তবুও থামছে না ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে জীবাণু করোনা। চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আজ গ্রাস করেছে বিশ্বজুড়ে ।
বাংলাদেশও আক্রান্ত বিশ্ব মহামারিতে। দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছয়শ’ ছাড়িয়েছে। গতকাল রোববার নতুন করে আরও ১৩৯ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক দিনে এটিই আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এদিন মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১ এবং মৃতের সংখ্যা ৩৪-এ পৌঁছাল। নতুন করে দেশের আরও চার জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৩৫ জেলায় করোনার সংক্রমণ ছড়াল।
সাতক্ষীরায় গতকাল রোববার পর্যন্ত ১৫৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকা ও খুলনাতে। স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে রিপোর্ট এসেছে মাত্র ৯ টি। ১৪৬টি রিপোর্ট গতকাল রোববার পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মানুষ দ্রুত ফলাফল জানতে চায়। তবে আশার কথা হচ্ছে, যে ৯টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে তাতে এখনও করোনা সনাক্ত হয়নি। কিন্তু আতংঙ্কের কথাটি হলো, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ যেসব করোনা আক্রান্ত জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ সাতক্ষীরাতে প্রবেশ করছে। কোন ভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা গ্রামে গিয়ে মানছে না হোম কোয়ারেন্টাইন। হাট-বাজারে তাদের অবাধ চলাফেরা।
প্রাত:ভ্রমনের অভ্যাসটা আমার অনেক আগের। সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে প্রতিদিন সকালটা আমার কাটে। এই পার্কে ১/২ দিন পর পর টিসিবির মালামাল বিক্র করা হয় থাকে। দেয়া হয় তেল,চিনি ও ডাল। বাজার দর ছাড়া কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে তা বিক্রি করা হয়। একজন ক্রেতাকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি ও ২ থেকে ৫ লিটার সয়াবিন তেল।
এক সপ্তাহ আগেও করোনা প্রতিরোধে নিরাপদ দূরাত্ব বজায় রেখে মালামাল ক্রয় করতে দেখেছি মানুষকে। ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু দিন দিন করোনা পরিস্থিতি যতোই ভয়াবহ হচ্ছে, ততোই বাড়ছে টিসিবির মালামাল ক্রেতাদের সংখ্যা।
সোমবার সকালে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে যে দৃশ্য চোখে পড়লো তা রিতিমতো আতঙ্কের। ভয়ঙ্কর এবং আঁতকে উঠার মতো দৃশ্য। সেখানে কমপক্ষে পাঁচ’শ নারী-পুরষের দীর্ঘ লাইন। লাইন সাতক্ষীরা সদর থানার মেইন গেট প্রায় ছঁই ছুঁই। গায়ে গায়ে মানুষ। সামাজিক দূরাত্ব তো দূরের কথা, যেন সারি-সারি সাজানো।
কথা বলে জানতে পারলাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বাঁচানোর জন্য ফজরের পর থেকে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ক্রেতাদের লাইন দেয়া শুরু হয়। আর টিসিবির সংশ্লিষ্ট ডিলার ট্রাকভর্তি মালামাল নিয়ে বেশ আরাম-আয়েশে হাজির হন সকাল ১০ টার পরে। এযেন পতানো ব্যবসা। ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হয়। দীর্ঘ সময় অবাধে ঘুরাফেরার পর তারা মালামাল কেনার সুযোগ পান।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে সবিনয় বলতে চাই- এখুনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। মানুষ লাইনে দাঁড়ানোর আগেই তাদের হাতে টিসিবির মালামাল পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। সংশ্লিষ্ট ডিলারকে নির্দেশনা দিন। ক্রেতা পৌঁছানোর আগেই যেন ডিলাররা মালামাল নিয়ে সেখানে হাজির হয় সে ব্যবস্থা করুন। এতো কঠোরতার মধ্যেও জেলা শহরের দৃশ্য যদি এমনটি হয় তাহলে গ্রামের দৃশ্যপট সহজেই অনুমেয়।
করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে ওরা। ওদেরকে থামানো দরকার।
সাতক্ষীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ প্রশাসন তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে মানুষজনকে ঘরে ফিরাতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমাদেরকে আর ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। হাতে সময় একেবারেই নেই। এখুনি শহর-গ্রাম-মহাল্লার মানুষকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ইমাম,পরোহিত, গ্রাম পুলিশ, রাজনীতিবিদ, সমাজপতিসহ এলাকার সচেতন মহাল ও যুব সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস একটি শক্তিশালী ভয়ঙ্কর সংক্রমণ ব্যাধী। এ থেকে মুক্তিপেতে সকলের সম্লিত প্রচষ্টা ছাড়া কখনই সম্ভব নয়। যারা দেশ-বিদেশ থেকে এখনও এলাকায় প্রবেশ করছে তাদের দিকে কঠোর নজর রাখুন। প্লিজ..প্লিজ নিজেকে বাঁচাতে বজায় রাখুন সামাজিক দূরত্ব।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd