“ আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে
আমাদের দেখা হোক বিজয়ের বেশে ”
হে বৈশাখ তোমার আলোর ছোঁয়ায় বিশ্ব আজ আলোকিত হোক। হে বৈশাখ তোমার আগমনে আজ পৃথিবীজুড়ে কান্নার মিছিল থেমে যাক। হে বৈশাখ তুমি অন্ধকারের অমানিশা দূর করে পৃথিবীতে আলো ছিটিয়ে দাও।
হে বৈশাখ পৃথিবীজুড়ে কান্না আর লাশের মিছিল ! লাশ রাখার জায়গা নেই। ভয়ে বাকরুদ্ধ শোকস্তব্ধ পৃথিবী। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়।
হে বৈশাখ তোমার উজ্জল আলোর ছিটায় লাশের মিছিলকে আজ শান্তির মিছিল বানিয়ে দাও। গোটা বিশ্বের মানুষ আজ বাকরুদ্ধ। অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত। হে বৈশাখ তুমি আজ সব অনিশ্চয়তাকে দূরে, বহুদূরে ঠেলে দিয়ে নিশ্চয়তার এক পৃথিবী উপহার দাও। আজ আমরা বড্ডো অসহায়। বড্ডো অসহায়।
হে বৈশাখ পৃথিবীর মানুষ আজ বাঁচার জন্য মরিয়া। সব বিজ্ঞান আজ অকার্যকর। উন্নত দেশগুলো আজ সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আকাশের মালিকের দিকে তাকিয়ে। থামছে না ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে জীবাণু করোনা।
হে বৈশাখ তুমি আকাশের মালিককে বলো আশরাফুল মাখলুকাতের দিকে একটু তাকাতে। কি করুন আর্তনাদ। সবই তো তোমার জানা। অজানা কিছুই নয়।
হে বৈশাখ লাশের মিছিলে যেখানে লাখের বেশি। নিস্প্রান দেহ কবরে, নয় চিতায় বা মর্গে অথবা গনকবরে। পরিবারে যেখানে বিচ্ছেদের কান্না, প্রিয়জনদের প্রেম মায়ামমতা ভুলে বাকরুদ্ধ। আক্রান্ত আজ লাখ লাখ মানুষ। গোটা পৃথিবী কার্যত অচল। বেঁচে থাকলেও ভয়ংকর দিন সামনে। কি যেন অপেক্ষা করছে। হে মালিক আমদেরকে ক্ষমা করে দাও। দূর করে দাও সকল বালা-মুসিবত। সেই শুভ বার্তার অপেক্ষায়। তুমি সর্বশক্তিমান, দয়ালু। তুমি তো স্বার্থপর নও।
হে বৈশাখ আজ আমাদের চোখে অশ্রু। বুকে চাপা কান্না, আর্তনাদ। ভয়ংকর এই পৃখিবী আমাদের বড় অচেনা। বহু মেধাবী প্রাণ তুমি নিয়েছো কেঁড়ে। আর নয়। করোনার ভয়ঙ্কর তান্ডবে আজ আমরা দিশেহারা। তুমি ছাড়া রক্ষার আর যে কেই নেই। তুমি মালিক, তুমিই সৃষ্টিকর্তা। বাংলা নববর্ষের এই দিনে তোমার পানে চাইছি ক্ষমা। ক্ষমা কর তুমি নিজগুনে। তুমিই তো সর্বসর্বা।
বৈশাখ বয়ে আনুক করোনামুক্ত, নিরাপদ, সুখ-সমৃদ্ধ পৃথিবী। বাংলা নববর্ষে ক্ষমা কর হে আকাশের মালিক।
Leave a Reply