1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
৬ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts
📰ঘুষ, চাঁদাবাজি, প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে📰১৯ দিনে এলো ১৮ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স📰শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি📰রাষ্ট্রপতির কোথায় থাকা দরকার, তা ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে: সারজিস📰সাতক্ষীরায় ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক ও পিছিয়েপড়া নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ 📰ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্লাস্টিক বজ্যের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ📰এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা তথ্য অফিসর অবহিতকরণ সভা📰সদর থানায় হামলা মামলার আসামী অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার📰এইচএসসির বৈষম্যহীন রেজাল্ট দাবিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও📰সাতক্ষীরায় গৃহবধূ ও যুবককে নির্যাতন : থানায় মামলা, স্বামীসহ আটক তিন

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল : নেতৃত্বে আলোচনায় জয়-পুতুল

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৩০৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের ২১তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে দলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ইস্যুতে নানা আলোচনা হচ্ছে। দলে নতুন কে আসছেন, কে বাদ পড়ছেন এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও আলোচনায় উঠে এসেছে। তারা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে আসতে পারেন।

আসন্ন কাউন্সিলে তারা দুজন না এলেও অন্তত একজন নেতৃত্বে এসে চমক সৃষ্টি করবেন বলে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা মনে করলেও জয় এবং পুতুল নিজ থেকে এমন আগ্রহের কথা দলের কোনো মহলে এখনো জানাননি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।

তবে আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার উত্তরসুরি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামই বহুল আলোচিত। এর আগে, দলের সর্বশেষ ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তখনকার সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত সজীব ওয়াজেদ জয়কে ইঙ্গিত করে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের নেতা, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত।’ সৈয়দ আশরাফের মতো দলের সব নেতাই একই মনোভাব পোষণ করেন। তাদের মতে, বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম কাউকে না কাউকে দলের নেতৃত্বে প্রয়োজন। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সবখানেই এই আওয়াজ রয়েছে। তবে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে অনাগ্রহের ইঙ্গিত জয় আগে থেকেই দিয়ে আসছেন, যদিও শেখ হাসিনার সন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে পরোক্ষভাবে দল ও সরকারের জন্য পরামর্শক হিসেবে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

মাঠের রাজনীতিতে জয়ের সক্রিয়তা দৃশ্যমান না হলেও গত ১৭ নভেম্বর রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটিতে এক নম্বর সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন তিনি। পরে ২৬ নভেম্বর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল শেষে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এক নম্বর সদস্যও করা হয় জয়কে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগই চান বঙ্গবন্ধুর এই দুই উত্তরসূরি দলের নেতৃত্বে আসুক। তারা বলছেন, জয় ও পুতুল দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলে দলের নেতৃত্ব আরও সংগঠিত হবে। এর সুফল ভোগ করবে আওয়ামী লীগই।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম হয়।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় বেঁচে যান জয়। পরে মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় মেলে তার। শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতেই। পড়াশোনা করেন ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিলনাড়ুর পালানি হিলেসর কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এর পর বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরেকটি ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন। সব শেষে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন জয়ই। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর জয়কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অবৈতনিক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল মনস্তত্বে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।

তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের একশজনের তালিকায়ও স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশে অটিজমবিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে তার পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। তার উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশ নেন।

তার অক্লান্ত চেষ্টায় বাংলাদেশে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ পাস করা হয়। সেই সঙ্গে তার দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ে ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) একজন ট্রাস্টিও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd