1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
২৬ আশ্বিন, ১৪৩১
Latest Posts

রাজধানীতে দিনব্যাপী জাতীয় কনভেনশনে নতুন সমাজ কল্যান আইন বিষয়ে স্থানীয় সিএসও/ এনজিওদের উদ্বেগ: স্বাধীন ও স্থায়িত্বশীল নির্মাণের লক্ষ্যে ৭০০ স্থানীয় সংগঠনের আত্ম-জবাবদিহিতা ও প্রত্যাশার সনদ ঘোষণা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯
  • ২৮২ সংবাদটি পড়া হয়েছে



ঢাকা, ৭ জুলাই ২০১৯: বাংলাদেশের উন্নয়নে সমান অংশিদার স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় কনভেনশনে জড়ো হয় সারা দেশের তৃনমূল পর্যায় থেকে আসা ৭০০ নাগরিক সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধিরা। কোস্ট ট্রাস্ট ও অক্সফামের সহায়তায় বাংলাদেশ সিএসও-এনজিও সমন্বয় প্রক্রিয়া (বিডি সিএসও কোঅর্ডিনেশন) আয়োজিত গতকাল ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় কনভেনশনের শিরোনাম ছিল “মানবিক সহায়তা ও উন্নয়নে ইতিবাচক সম্পৃক্ততার জন্য জবাবদিহিতা ও স্থানীয়করণ”।
জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ তার বক্তৃতায় বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
দেশের উন্নয়নের অংশিদার হিসেবে আত্ম-মর্যাদার সাথে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ের নাগরিক সংগঠন ও এনজিও সমূহের গত দুই বছরের সমন্বয় প্রক্রিয়ার ফল হিসেবে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় কনভেনশনে দেশের ৮টি বিভাগীয় আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে সকল জেলা থেকে প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রন করেন। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিস. মিয়া সেপ্পো কনভেনশনে উব্দোধনী বক্তৃতা করেন এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। দিনব্যাপী চলমান বিভিন্ন অধিবেশনে উপস্থিত অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এমপি, এনজিও ব্যুরোর পরিচালক গোকূল কৃষ্ণ ঘোষ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মিস শাহীন আনাম, কানাডিয়ান এমবাসির উন্নয়ন সহায়তা ও এইডের প্রধান মিস ফেডরা মুন মরিস, আইএফআরসি’র দেশীয় প্রতিনিধি আজমাত উল্লাহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএসএআইডি, ডিএফআইডি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশন ছাড়াও জবাবদিহিতা সনদ, সরকার, দাতা সংস্থা ও জাতিসংঘের কাছে অংশগ্রহন ও সম্পূর ভূমিকার প্রত্যাশার সনদ, এসডিজি এবং সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে তৃণমূল সংগঠনের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে পৃথক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেসব অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেনেভার এইচকিউআই এর প্রতিনিধি পিয়েরে হেসেলম্যান, আইসিভিএ জেনেভা থেকে আগত জেরেমি ওয়ালার্ড, স্টার্ট নেটওয়ার্কের প্রবক্তা বৃটেনের ক্রিশ্চিয়ান এইডের নিক গুটম্যান, চার্টার ফর চেঞ্জের প্রবক্তা এনি স্ট্রিট, ভারতের ভানি প্রতিনিধি নিভেদিতা দত্ত ও এইচএআই-এর প্রতিনিধি নিলামাধব প্রুস্টি, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয়করণ বিশেষজ্ঞ আনিটা কাট্টাকুজি এবং অক্সফাম বাংলাদেশের ভিনসেন্ট কচ, এডাবের জসিম উদ্দিন, এফএনবি-র রফিকুল ইসলাম, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার রফিকুল ইসলাম, ডিজাস্টার ফোরামের নইম গওহর ওয়ারা এবং বিএনএনআরসি-র এএইচএম বজলুর রহমান।
প্রথম অধিবেশনে স্থানীয় সিএসও/ এনজিওদের আত্ম-জবাবদিহিতা সনদ তুলে ধরেন কোস্টে মোস্তফা কামাল আকন্দ ও অক্সফামের মনজুর রশীদ, যেখানে ঘোষণা করা হয় স্থানীয় সংগঠনগুলো প্রভাবিত জনগোষ্ঠী ও তাদের মূল্যবোধের কাছে স্বচ্ছতার সাথে জবাবদিহিতা করবে। দ্বিতীয় অধিবেশনে সরকার, আন্তর্জাতিক এনজিও, দাতা সংস্থার কাছে তৃণমূল সংগঠনসমূহের প্রত্যাশা সংবলিত সনদ ঘোষণা করেন কোস্টের বরকত উল্লাহ মারুফ ও ডিজাস্টার ফোরামের নইম গওহর ওয়ারা। সেখানে সরকারের কাছে উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে কর্মরত এনজিওদের কাজের স্বীকৃতি দাবির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে স্বচ্ছ অংশিদারী প্রক্রিয়া ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম স্থানীয়দের হাতে হস্তান্তরের দাবি তোলা হয়। দাতাদের কাছে প্রত্যাশা করা হয় তারা যেন তৃণমূল থেকে জবাবদিহিতার দাবি উত্থাপনের প্রক্রিয়া জারি রাখার কাজে বিনিয়োগ করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, মুক্ত ও সক্রিয় সুশীল সমাজের উপস্থিতি হচ্ছে একটি দেশের অংশগ্রহনমূলক গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সহায়তামূলক পরিবেশের সূচক।
কানাডিয়ান হাই কমিশনের ফেডরা মুন মরিস বলেন, উন্নয়নে শ্রেয়তর অবদান রাখার জন্য নতুন খসড়া সমাজ কল্যান আইন বিষয়ে সকল পক্ষের আলোচনায় বসা দরকার।
সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এমপি বলেন, আমি আশা করব, সরকার দেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখা স্থানীয় এনজিওদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রত্যাশাব্যাঞ্জক বিভিন্ন উপাত্ত উপস্থাপন করে বলেন, স্থানীয় এনজিও যেমন সরকারের কাজে সম্পূরক ভূমিকা রাখবে, সহায়তা করবে তেমনি তাদেরকে সৃজনশীলও হতে হবে। এভাবেই বাংলাদেশ নতুন যুগের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd