আমি অত্যান্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি , রবিবার ২ জুন ২০১৯, আমার সম্পাদিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি প্রতিবাদ সমাবেশের সংবাদে অসাবধানতাবশত সংবাদপত্রের নীতিমালার পরিপন্থী ও অসৎ তথ্যসহ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের বক্ত্যবের সাথে আমরা একমত নই। এ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আমাদের পাঠক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট অনুতপ্ত। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের চলমান আন্দোলনের সাথে আমরা একাত্ম। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যার্নাজি, সাবেক সাধরণ সম্পাদক আব্দুল বারী ও সাংবাদিক আব্দুল জলিল এর উপর বহিরাগতদের আক্রমনের বিরুদ্ধে দৈনিক দক্ষিণের মশাল প্রথম থেকেই স্বোচ্চার। আক্রমনকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার সংগ্রামের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
এ প্রসংগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লড়াইয়ের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা প্রথম থেকেই। সেজন্য কে কে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কে বিপক্ষের সে তথ্য আমাদের কাছে অনেক বেশী সংরক্ষিত।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ৬৮-৬৯ গণ আন্দোলনের যশোর অঞ্চলের একজন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক। বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি।
এড. আবুল কালাম আজাদ প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার মৌলবাদবিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের লড়াইয়ের স্বপক্ষ সৈনিক। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শীর্ষ সংগঠক ছিলেন। ২০১৩সালে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণমঞ্চ এর সংগঠক, কমিটির সভাপতি ছিলেন। তাঁর বড়বোন পাকিস্থান আমল থেকে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন । ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া গ্রুপ) সাতক্ষীরা মহকুমা নেত্রী ছিলেন।
সাতক্ষীরা গণমানুষের আন্দোলনের স্বপক্ষে থাকার কারণে আবুল কালাম আজাদ স্বৈরশাসকের সময় পুলিশি নির্যাতন ও জেল খাটেন।
এহেন দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রদত্ত বক্তব্য আমার পত্রিকায় সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হওয়ায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এনিয়ে ভুলবোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের চলমান আন্দোলন সঠিক। তবে প্রেসক্লাব কোন রাজনৈতিক শক্তির বিপক্ষে নয়।
দৈনিক দক্ষিণের মশাল
Leave a Reply