1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত📰সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন📰জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ📰সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত📰সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত📰মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান📰সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন📰ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ📰পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান📰শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

তালায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্ত প্রায়

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৯
  • ৪৭১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্ত প্রায়। আবহমানকাল ধরে এই উপজেলায় বিনোদনের খোরাক যুগিয়েছে এই লাঠিখেলা। কিন্তু কালের বির্বতনে মানুষ ভুলতে বসেছে এই লাঠিখেলা।
বাংলার ঐতিহ্যের অংশ লাঠিখেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। এক সময় প্রতিটি গ্রামেই লাঠি খেলার পৃথক পৃথক দল থাকতো। কিন্তু লাঠিখেলার নতুন করে কোন সংগঠন বা দল তৈরি হচ্ছেনা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। ঢোল আর লাঠির তালে তালে নাচা নাচি। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সড়কি খেলা, ফড়ে খেলা, হাডুডু খেলা ইত্যাদি।
এক সময় তালা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তাদের নৈমিত্তিক জীবনের উৎসব- যেমন বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, সুন্নতে খাতনা, চড়ক পূজা, মহরম ইত্যাদি উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রামে লাঠি খেলার আয়োজন করতো। এক্ষেত্রে সাধারণত কোন লাঠিয়াল দলকে ভাড়া করে আনা হতো। হাজার হাজার নারী পুরুষকে এক সময় লাঠি খেলা বেশ আনন্দের খোরাক যুগিয়েছে। মানুয়ের হদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন এ খেলাটি। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসত এ খেলা দেখার জন্য। লাঠি খেলা দিন দিন বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তাই তৈরি হচ্ছে না কোন নতুন খেলোয়াড়। আর পুরানো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা অর্থের অভাবে প্রসার ঘটাতে পারছেনা এ খেলা। তাই আবহমান বাংলার বিনোদনের উৎস লাঠি খেলা আর চোখে পড়ে না।
লাঠি খেলা নিয়ে তালা উপজেলার সদরের গ্রামের শাহাদত হোসেন বলেন, “আমার একটি লাঠি খেলার দল আছে। আমার বাবা চাচাও লাঠি খেলা করতো। আমিও ২০ বছর ধরে লাঠি খেলা করছি। এখন আমার দলের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। আগে সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল। আমার এই বাপের ঐতিহ্য ধরে রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “এখন আর আগের মতো ছেলে পাওয়া যায় না খেলার জন্য। আগের মত ডাকে না কোন অনুষ্ঠানে- না ডাকলে আমাদের আয় হচ্ছে না। সে জন্য আমাদের খেলার প্রতি মনোনিবেশ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি সকলে সহযোগিতা করলে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ধরে রাখা যাবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd