1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

তালায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্ত প্রায়

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৯
  • ৪২১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্ত প্রায়। আবহমানকাল ধরে এই উপজেলায় বিনোদনের খোরাক যুগিয়েছে এই লাঠিখেলা। কিন্তু কালের বির্বতনে মানুষ ভুলতে বসেছে এই লাঠিখেলা।
বাংলার ঐতিহ্যের অংশ লাঠিখেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। এক সময় প্রতিটি গ্রামেই লাঠি খেলার পৃথক পৃথক দল থাকতো। কিন্তু লাঠিখেলার নতুন করে কোন সংগঠন বা দল তৈরি হচ্ছেনা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। ঢোল আর লাঠির তালে তালে নাচা নাচি। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সড়কি খেলা, ফড়ে খেলা, হাডুডু খেলা ইত্যাদি।
এক সময় তালা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তাদের নৈমিত্তিক জীবনের উৎসব- যেমন বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, সুন্নতে খাতনা, চড়ক পূজা, মহরম ইত্যাদি উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রামে লাঠি খেলার আয়োজন করতো। এক্ষেত্রে সাধারণত কোন লাঠিয়াল দলকে ভাড়া করে আনা হতো। হাজার হাজার নারী পুরুষকে এক সময় লাঠি খেলা বেশ আনন্দের খোরাক যুগিয়েছে। মানুয়ের হদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন এ খেলাটি। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসত এ খেলা দেখার জন্য। লাঠি খেলা দিন দিন বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তাই তৈরি হচ্ছে না কোন নতুন খেলোয়াড়। আর পুরানো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা অর্থের অভাবে প্রসার ঘটাতে পারছেনা এ খেলা। তাই আবহমান বাংলার বিনোদনের উৎস লাঠি খেলা আর চোখে পড়ে না।
লাঠি খেলা নিয়ে তালা উপজেলার সদরের গ্রামের শাহাদত হোসেন বলেন, “আমার একটি লাঠি খেলার দল আছে। আমার বাবা চাচাও লাঠি খেলা করতো। আমিও ২০ বছর ধরে লাঠি খেলা করছি। এখন আমার দলের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। আগে সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল। আমার এই বাপের ঐতিহ্য ধরে রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “এখন আর আগের মতো ছেলে পাওয়া যায় না খেলার জন্য। আগের মত ডাকে না কোন অনুষ্ঠানে- না ডাকলে আমাদের আয় হচ্ছে না। সে জন্য আমাদের খেলার প্রতি মনোনিবেশ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি সকলে সহযোগিতা করলে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ধরে রাখা যাবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd