1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
২৯ আশ্বিন, ১৪৩১
Latest Posts

জমে উঠেছে সাতক্ষীরার আমের বাজার

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১২ মে, ২০১৯
  • ৩০৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে
জমে উঠেছে আমের বাজার: হতাশ চাষীরা

সাতক্ষীরার আম বাজারে উঠা শুরু করেছে। বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই জমে উঠেছে জেলার আমের বাজার। ফলে আমের পক্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পরও দেশের পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখন জেলার ব্যস্ত সময় পার করছে। ধুম পড়ে গেছে আম কেনা বেচায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আম চাষীদের কর্মব্যস্ততার যেন শেষ নেই। প্রথম দিনে জেলা থেকে প্রায় ১৫ ট্রাক গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে বড় মানের গোবিন্দ ভোগ। এছাড়া জেলার পাইকারী বাজারে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছোট আম। আম চাষীরা বলছেন, আম পাকতে থাকায় তারা আম পাড়ছে। আগাম মুকুল আসা ও পর্যাপ্ত গরমের কারণে এবছর আগাম আম পাকতে শুরু করেছে বলে চাষীরা জানান।
জেলায় আমের জন্য পৃথক বাজার না থাকায় আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী দালালদের খপ্পরে পড়ে আমচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাইকারী ব্যাবসায়ী ও বাগান মালিকদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসসহ কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠিকে চাঁদা দেয়ার কারণে আমের বাজার মূল্যে তারতম্য হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণœ করে আম পাকাতে কেউ ফরমালিনের আশ্রয় নিলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কেউ যেন ফরমালিন দিয়ে আম পাকাতে না পারে তার জন্য প্রশাসেনর মোবাইল কোটের ব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা কৃষি খামারবাড়ি সূত্র জানায়, চলতি মাসের, ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া এবং ৮ জুন থেকে আ¤্রপালি আম বাজারে উঠতে পারে। একইভাবে ২২ মের পর থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আম চাষীদের অভিযোগ এবছর আমের আগাম মুকুল আসায় দ্রুত আম পাকতে শুরু করেছে। পাঁকা আম গাছে ধরে রাখা যায় না। তাই ৮ এপ্রিল থেকে জেলার বাজারের পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। ঢাকার শতাধীক ও সাতক্ষীরার সহ¯্রাধীক পাইকারী আম ব্যবসায়ী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আম প্রকিয়াজাত করণে। চলতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার আম ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে আম ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। তবে বাজার মনিটার ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বীগ্ন ব্যবসায়ীরা।
আমচাষীরা বলছে,এ বছর গরমের তীব্রতায় আগেভাগেই আম পেকেছে। শুক্রুবার সাতক্ষীরার বড় বাজারে গিয়ে সেই সত্যতা মিলল। বাজার জুড়ে আম। সারি সারি ভটভটি ও ভ্যান আম নিয়ে ছুটছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরার বাজারের গোপালভোগ ও গোবিন্দ ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে।
কুয়াশা ও ঝড় বৃষ্টির পর এবছর জেলায় আমের উৎপাদন কম হয়েছে। এরপরও চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বড় ধরণের কোন পাইকারী বাজার না থাকায় সুলতানপুর বড় বাজারের দীর্ঘ জান-জটের কবলে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা বড়বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মন্টু মিয়ার জমি ইজারা নিয়ে আম প্রক্রিয়া জাতের কাজ করছে। অর্ধশাধিক ব্যবসায়ী জমি ইজার নিয়ে আড়ত ঘর তৈরি করেছে। এখানে প্রতিদিন দুইশতাধী শ্রমিক আমের ক্যারট করে ট্রাক সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
আবার জেলার অনেক আম ব্যবসায়ী বাজারের আড়তদারদের কাছে জিম্মি বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আড়তদারদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ব্যবসা করার কারণে বাগানের সমস্ত আম উঠার পর আড়তদারদের কাছে সেই আম বিক্রি করতে বাধ্য হতে হয়। ফলে সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয় জেলার গোটা আম ব্যবসায়ীদের।
একটি আম উৎপান থেকে চুড়ান্ত ভোগ পর্যনমশ কয়েকবার হাত বদল হয়। এতে আমের দামকয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। শুধু আড়তে আম উঠানোর করণে আড়তদারদের শতকরা আট টাকা হারে খরচ দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, সাতক্ষীরাতে যে আমের মণ ২ হাজার টাকা ঢাকাতে তা বেড়ে দাড়ায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আবার জেলার গ্রাম পর্যায়ে আমের মণ ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় জেলার পাইকারী বাজারে তা ২ হাজার থেকে ২২ শত টাকা। ফলে প্রকৃত চাষীরা আমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
আম ব্যবসায়ি জালেম খাঁ বলেন, তিনি তিন লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে তিনি কয়েকটি আমবাগান কিনেছেন। কিন্তু সম্প্রতি সাতক্ষীরার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে তার বাগানের বেশির ভাগ আম নষ্ট হয়েছে। এখন তিনি পথে বসার উপক্রম।
সদরের লাবসা এলাকার মথুরাপুর গ্রামের পুরস্কারপ্রাপ্ত আমী চাষী জাহাঙ্গীর আলী ইউরোপের বাজার ধরার জন্য তার ৫শ’ আম গাছ প্রস্তুত। আমের ফলনও ভাল। সরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতার দাবি তার।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, জেলার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ জেলার মাটি আম চাষের উপযোগী। বিগত বছরগুলোর মতো এবছরর এখানকার আম ইউরোপে রফতানি হবে। যে কারণে টার্গেটকৃত বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে বিদেশে আম পাঠানোর জন্য। তিনি আরো জানান চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া এবং ৮ জুন থেকে আ¤্রপালি আম পাড়ার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার আম সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। সুনাম ক্ষুণœ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd