অবশেষে ২৪ এপ্রিল হতে শুরু হচ্ছে মুন্সিগজ্ঞ-খুলনা গেটলক সার্ভিস। কম সময়ের মধ্যে পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য এ পরিবহনটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা ও কালিগজ্ঞ উপজেলা বাস মালিক সমিতির মধ্যকার দ্বন্দে মুলত তিন বছর পূর্বে এ চলাচল ব্যবস্থাটি বন্ধ হয়ে যায়।
শ্যামনগর উপজেলার সাথে জেলা সদর সাতক্ষীরা ও খুলনাতে যাওয়ার একটি মাত্র সড়ক পথ। সড়ক পথে যোগাযোগ ছাড়া আর কোন দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা নেই। আর পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে তিনটি মালিক সমিতির গাড়ী। কালিগজ্ঞ মালিক সমিতি, সাতক্ষীরা মালিক সমিতি ও খুলনা মালিক সমিতির গাড়ী খুলনা- মুন্সিগজ্ঞ ভায়া সাতক্ষীরা চলাচল করে থাকে। এছাড়া যশোর মালিক সমিতির গাড়ীও এ পথে চলাচল করে থাকে। দুরপাল্লার পরিবহন শ্যামনগর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকলেও স্থানীয় বাস মালিকদের চাপে স্থানীয় যাত্রীদের উক্ত পরিবহনে বহন করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে দূরপাল্লার পরিবহন খেকে অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে নেওয়া হয়। অন্যদিকে মুন্সিগজ্ঞ- কালিগজ্ঞ এবং কালিগজ্ঞ -সাতক্ষীরা এবং সাতক্ষীরা -খুলনা এ ভাবে যাতায়াত করতে প্রায় একটা দিন চলে যায়।
শ্যামনগরে অবস্থান করে সাতক্ষীরা অফিস করা অথবা সাতক্ষীরা অবস্থান করে শ্যামনগরে অফিস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। এছ্ড়াা প্রতিদিন জেলা সদরে কোট কাছারীসহ দৈনন্দিন কাজে জেলা সদর সাতক্ষীরাতে আসা ছিল দুর্ভোগময় করুণ অভিজ্ঞতা। তাই শ্যামনগর উপজেলাবাসীর দাবী ছিল নিদেন পক্ষে গেটলক ব্যবস্থাটি আবার চালু হোক।
স্থানীয় জনদূর্ভোগের এ অবস্থার অবস্থান ঘটানোর উদ্যোগ সাতক্ষীরা ৪ এর সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের পক্ষ হতে নেওয়া হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংসদ সদস্যদের সংবর্ধনা সভায় তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি বাস মালিক সমিতিসহ সকল পর্যায়ে আলোচনার করে একটি সমাধানে উপনীত হতে সক্ষম হন। ফলে আজ ২৪ এপ্রিল থেকে গেটলক আবার শুরু হলো।
Leave a Reply