1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
৩১ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰ছাত্ররাজনীতিকে ‘না’ বললো খু‌বির সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী📰সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন📰আশাশুনিতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত📰আশাশুনি দাখিল মাদ্রাসাটি আলিম স্তরে উন্নীত হওয়ায় শুকরিয়া সমাবেশ📰খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপ-শহরের বেহাল দশা; জনভোগান্তি চরমে📰জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান📰তালায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা📰কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী📰তালায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত📰বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় : বিশ্বব্যাংক

সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮
  • ৭৪৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ঠিকাদাররা। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে ঠিকাদাররা কর্ম বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় এবং কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা।
ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আলি হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মো. রুহুল আমিন, সৈয়দ হারিজ হোসেন, মো. শাহেদুজ্জামান, অসীম কুমার দাস, বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পের তিনটি আইডি এবং অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮টি টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার হিসাবে আমরা এসব আইডির মূল্য (রেট) জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুলনায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অফিসে যোগাযোগ করুন।’ সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়। প্রকল্পের মূল্য (রেট) না পেয়ে আমরা নিজেদের মতো করে দরপত্র জমা দেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী তার খয়ের খা দুই-তিনজন ঠিকাদারের রেট ১০% নি¤œদরে মিলিয়ে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঠিকাদাররা বলেন, ‘সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা রেট না পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রিয়ভাজন লোকজন কিভাবে তা পেলেন?’
এ কাজে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এর সাথে জড়িত রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সরোয়ার হোসেন, অমল রায় ,ইমরানসহ অফিসের কয়েকজন।’
ঠিকাদারদের অভিযোগ কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শতকরা ১০ টাকা হিসাবে অবৈধ টাকা নিয়ে কার্যাদেশ দিয়ে আসছেন।
অভিযোগ করে ঠিকাদাররা আরও বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পে পাঁচটি টেন্ডার আইডিতে ১২ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। ওই পাঁচটি টেন্ডারের বিপরীতে ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে দুই তিনজন ঠিকাদারকে সাত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে চারটি আইডির কাজ তার নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রিয়ভাজন ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আরেকটি টেন্ডারের পাইপ লাইন কাজ মোটা টাকার বিনিময়ে তিনি ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লাইসেন্সে কাজ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যাদেশ দিয়েছেন।
ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডার ওপেন করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা সর্বসাধারণের অগোচরে রাখার চেষ্টা করেন। এর ফলে বঞ্চিত ঠিকাদারা কে কত রেট দিলেন কিংবা কে কাজ পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা তা জানতে পারেন না ।
সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা অবিলম্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি মো. সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় ও কমপিউটার অপারেটর ইমরানকে দুর্নীতির দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সবই বিধি মোতাবেক হয়েছে।’
দুর্নীতির অভিযাগে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ছোট-ছোট ঠিকাদাররা অনেক সময় কাজ পান না। এতেই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পিডবলিউডিএর সিডিউল মোতাবেক বাজার অনুযায়ী দরপত্র আহবানের নিয়ম রয়েছে। ফলে কোন ঠিকাদার কোন দর দেবেন না দেবেন তা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কাজের অনুমোদন দিতে পারি না। সুপারিশ করি, অনুমোদন দেন ঢাকার প্রকল্প পরিচালক।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd