1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প📰প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব📰জাতীয় বাজেট ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের📰জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা📰আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত📰প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত📰সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ📰জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?📰বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল📰জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮
  • ১৬৭৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): কঠোর পরিশ্রম এবং অসামান্য শৈল্পিকতায় বাসা তৈরি করে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বাবুই পাখি। বাবুই পাখির এ অসামান্য পরিশ্রম এবং শিল্পি মনোভাবকে কেন্দ্র করেই কবি রজনীকান্ত সেন লিখেছিলেন কালজয়ী কবিতা ‘স্বাধীনতার সুখ’। ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায় কবি রজনীকান্ত সেন চড়–ই এবং বাবুই পাখির মধ্যে কথাপোকথন আকারে বাবুই পাখির নিজের তৈরি অনন্য বাসার যে পরিচয় দিয়েছেন তা আজ কেবলমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ। কালের বিবর্তনে আজ বাবুই পাখির বাসা নেই বললেই চলে।

এখন আর চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার নিজের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সেই ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির বয়ন শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা। খড়, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা পড়ে যেতনা। বাবুই পাখির শক্ত বুননের এ বাসাটি শিল্পের এক অনন্য সৃষ্টি যা টেনে ছেঁড়াও কষ্টকর। এক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছ আর বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সেই দৃষ্টি ভোলানো পাখিটিকে ও তার নিজের তৈরি বাসা যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে নৈস্বর্গীক রূপ দিত, তা আজ আমরা হারাতে বসেছি।

বাবুই Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা “তাঁতী পাখি” (Weaver Bird) নামেও পরিচিত। বেশ জটিল গঠন আর খুব সুন্দও আকৃতির এর বাসা। এরা মূলত বীজভোজী পাখি, সে জন্য তাদের ঠোঁটের আকৃতি বীজ ভক্ষণের উপযোগী, চোঙাকার আর গোড়ায় মোটা।

বাবুই সাধারণত দলবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এজন্য গ্রামাঞ্চলের তালগাছে একাধিক বাবুই পাখির বাসা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে তিন ধরনের বাবুই দেখা যায় এগুলো হলো দেশি বাবুই (Ploceus philippinus), দাগি বাবুই (Ploceus manzar) ও বাংলা বাবুই (Ploceus bengalensis)।

বাবুই পাখির একটি অনন্য অসাধারণ বৈশিষ্ট এর বাসা বানানোর কৌশল। এরা বাসা বানানোর জন্য খুবই পরিশ্রম করে। এদের বাসা উল্টানো কলসির মত দেখতে। বাসা বুননে এরা ঘাস, খড়, নলখাগড়া ও হোগলার বন ব্যাবহার করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ সাজিয়ে নিপুণ যতেœ বাবুই তার বাসা তৈরি করে। পরম যতেœ পেট দিয়ে ঘষে (পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। শোনা যায় বাবুই জোনাকী ধরে এনে রাতে বাসায় আলো জ্বালানোর ব্যাবস্থা করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হারিয় যাচ্ছে বাবুই পাখি। অনেক অসচেতন মানুষ বাবুইয়ের বাসা ভেঙে ফেলে, একারণেও এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। দেশে বাবুইয়ের বাসা বুননের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নল ও হোগলার বন কমে যাওয়া ও বাবুইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
এ ব্যাপাওে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাবুই পাখির বসবাসের যথাযোগ্য স্থান ও পরিবেশ কমে যাচ্ছে। যে কারণে বাবুই পাখি এবং এর বাসা বিলুপ্তির পথে।

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার ‘পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”

একসময় হয়তো রজনীকান্ত সেনের এ কালজয়ী কবিতা শুধু বইয়ের পাতায়ই থেকে যাবে। আগমী প্রজন্ম হয়তো দেখতে পাবে না বাবুই পাখির গর্বের সেই নিজ হাতে গড়া খাসা কাচা ঘর।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd