1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
১২ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰তালায় যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগে ঝুঁকি মোকাবেলা ও পরিকল্পনা প্রনয়ণ পূর্বক বাজেটে অন্তর্ভুক্তিকরণ শীর্ষক এডভোকেসি সভা📰এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদকে সংবর্ধনা📰সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন📰ধরা’র আয়োজনে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” বিষয়ক আলোচনা সভা📰আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬  শিক্ষককে এডহক নিয়োগ📰রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা📰মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক📰ফলোআপ নিউজ তালায় সেচপাম্পের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জীবন বিলকিস বেগমের!📰কুল্যায় ফিলিন্তিনদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ📰আনুলিয়ায় একশত পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

শ্যামনগরের এমপি’র নিকট বাঘ বিধবাদের তালিকা ও তথ্য প্রদান

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮
  • ৮৩৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

 

 

 

 

দিপক মিস্ত্রী, বুড়িগোয়ালিনী: সুন্দরবন প্রভাবিত উপজেলা গুলোর মধ্যে শ্যামনগর একটি উলেখযোগ্য জনপদ। এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ-ই জনগন সুন্দরবনের সম্পদের উপর নির্ভরশীল। এই ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী সুন্দরবন নির্ভরশীল জনগন বসবাস করে। উপকুলীয় অঞ্চলে লোনা পানির চিংড়ী চাষের কারনে অনেক কৃষি শ্রমজীবি মানুষ বেকার হয়ে পড়ে ফলে তাদের এক মাত্র আয়ের পথ হিসেবে সুন্দরবন নির্ভরশীল হয়ে জীবন জীবিকার পথ বেছে নেয়। এখানে ৭০ ভাগ পরিবার সুন্দরবন নির্ভরশীল। পেশায় এরা সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালী, মৌয়ালী, পোনা সংগ্রহকারী। এ সকল পরিবারের আয়ক্ষম সদস্যরা যারা সুন্দরবনে যান তারা অনেকেই বাঘ ও কুমিরের আক্রমনের শিকার হন এবং মৃত্যু বরণ করেন।

বিভিন্ন গবেষনায় ও পরিচালিত এক জরিপে জুন ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত শুধু মাত্র গাবুরা ইউনিয়নে ৩২৮ জনকে বাঘে ধরার তথ্য সংগ্রহ করে যার মধ্যে ৩৭ জন পঙ্গু অবস্থায় বেঁচে আছে এবং বাঁকীরা সবাই মারা গেছে। সমগ্র সুন্দরবন প্রভাবিত এলাকায় এ ধরনের ১১৬০টি পরিবার রয়েছে। এলাকার মানুষের বদ্ধূমূল ধারনা যে, অলক্ষ্মী মহিলার জন্যই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এ ধারনা থেকেই একজন মানুষ বাঘের আক্রমনের শিকার হওয়ার পর পরিবার থেকে ঐ বিধবার উপর শুরু হয় মানসিক ও শাররিক নির্যাতন। অনেক বিধবা আছে যারা স্বামী মারা যাওয়ার পর বাবার বাড়িতে এবং বেশী অংশ নদীর চরে সরকারী খাস জায়গায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছে।

বাঘ বিধবাদের জীবন কাহিনী নিয়ে কথা বলেন সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক ও বাঘ বিধবা বিশেষজ্ঞ পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু। তিনি সাতক্ষীরা -০৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এস.এম জগলুল হায়দার মহোদয়কে জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের বাঘ বিধবারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা সমাজে সাধারণ মানুষের মত জীপন যাপন করতে পারছে না। অপয়া, অলক্ষ্মী, স্বামীখেগো গালিগালাজ নিয়ে এদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে।

পূর্ণবাসন সহ স্থায়ী ভাতা প্রদানের সুব্যবস্থা করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে মাননীয় সংসদ সদস্যের নিকট সুন্দরবন ও বাঘ বিধবাদের জীবন কাহিনী সম্বলিত প্রকাশনা হস্তান্তর করেন। এ সময় মাননীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান আমি প্রতিটি বাঘ বিধবা পরিবারের পূর্ণবাসন ও স্থায়ী ভাতা প্রদান দাবি নিয়ে মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরবো।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd