1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
২৪ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাতক্ষীরায় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন📰এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই📰উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো📰গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২📰আনিসুল-রুহুল-চুন্নু‌কে জাপা থে‌কে অব্যাহ‌তি, শামীম মহাসচিব📰বড়দল কলেজিয়েটে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনি বাজার ও ওয়াপদার পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন📰ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে তালার যুবদল নেতা মোমিনকে বহিষ্কারের গুজব📰সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা📰সোরা দক্ষিণ পাড়ার মেইন রাস্তা পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ, সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ

শ্যামনগরের এমপি’র নিকট বাঘ বিধবাদের তালিকা ও তথ্য প্রদান

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮
  • ৮৭০ সংবাদটি পড়া হয়েছে

 

 

 

 

দিপক মিস্ত্রী, বুড়িগোয়ালিনী: সুন্দরবন প্রভাবিত উপজেলা গুলোর মধ্যে শ্যামনগর একটি উলেখযোগ্য জনপদ। এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ-ই জনগন সুন্দরবনের সম্পদের উপর নির্ভরশীল। এই ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী সুন্দরবন নির্ভরশীল জনগন বসবাস করে। উপকুলীয় অঞ্চলে লোনা পানির চিংড়ী চাষের কারনে অনেক কৃষি শ্রমজীবি মানুষ বেকার হয়ে পড়ে ফলে তাদের এক মাত্র আয়ের পথ হিসেবে সুন্দরবন নির্ভরশীল হয়ে জীবন জীবিকার পথ বেছে নেয়। এখানে ৭০ ভাগ পরিবার সুন্দরবন নির্ভরশীল। পেশায় এরা সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালী, মৌয়ালী, পোনা সংগ্রহকারী। এ সকল পরিবারের আয়ক্ষম সদস্যরা যারা সুন্দরবনে যান তারা অনেকেই বাঘ ও কুমিরের আক্রমনের শিকার হন এবং মৃত্যু বরণ করেন।

বিভিন্ন গবেষনায় ও পরিচালিত এক জরিপে জুন ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত শুধু মাত্র গাবুরা ইউনিয়নে ৩২৮ জনকে বাঘে ধরার তথ্য সংগ্রহ করে যার মধ্যে ৩৭ জন পঙ্গু অবস্থায় বেঁচে আছে এবং বাঁকীরা সবাই মারা গেছে। সমগ্র সুন্দরবন প্রভাবিত এলাকায় এ ধরনের ১১৬০টি পরিবার রয়েছে। এলাকার মানুষের বদ্ধূমূল ধারনা যে, অলক্ষ্মী মহিলার জন্যই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এ ধারনা থেকেই একজন মানুষ বাঘের আক্রমনের শিকার হওয়ার পর পরিবার থেকে ঐ বিধবার উপর শুরু হয় মানসিক ও শাররিক নির্যাতন। অনেক বিধবা আছে যারা স্বামী মারা যাওয়ার পর বাবার বাড়িতে এবং বেশী অংশ নদীর চরে সরকারী খাস জায়গায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছে।

বাঘ বিধবাদের জীবন কাহিনী নিয়ে কথা বলেন সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক ও বাঘ বিধবা বিশেষজ্ঞ পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু। তিনি সাতক্ষীরা -০৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এস.এম জগলুল হায়দার মহোদয়কে জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের বাঘ বিধবারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা সমাজে সাধারণ মানুষের মত জীপন যাপন করতে পারছে না। অপয়া, অলক্ষ্মী, স্বামীখেগো গালিগালাজ নিয়ে এদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে।

পূর্ণবাসন সহ স্থায়ী ভাতা প্রদানের সুব্যবস্থা করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে মাননীয় সংসদ সদস্যের নিকট সুন্দরবন ও বাঘ বিধবাদের জীবন কাহিনী সম্বলিত প্রকাশনা হস্তান্তর করেন। এ সময় মাননীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান আমি প্রতিটি বাঘ বিধবা পরিবারের পূর্ণবাসন ও স্থায়ী ভাতা প্রদান দাবি নিয়ে মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরবো।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd