ছোট্ট খোকা স্বপ্নে সেদিন গেল পরির দেশে
শুভ সম্ভাষণ জানাল হাজার পরি এসে ।
পরিরা তো বড্ড খুশি মানবখোকা পেয়ে
সবাই মিলে কী আনন্দ করল নেচে-গেয়ে !
পরির রানী বলল এসে আমার সাথে চলো
তোমার কী কী প্রিয় জিনিস, কী খেতে চাও বলো ।
এমন কিছু চাও যদি চাও পাওনি কভু কাছে
সেই জিনিসও দেবো এসো আমার দেশে আছে ।
সোনার খাটে আরাম করে ঘুমুবে রোজ রাতে
পরিখুকি করবে বাতাস, সুখ পাবে খুব তাতে ।
সারাবেলা ঘুরবে তুমি সোনার জুতো পায়
রুপোর সড়ক, হীরের পাহাড়-যেইখানে মন চায় ।
খিদে পেলে মুখের কাছেই পাবে মজার ফল
তৃষ্ণা পেলেই আকাশ থেকে পড়বে মুখে জল ।
মনটা তোমার ভরবে খোকা হরেক ফুলের ঘ্রাণে
দিবস-যামি সুখের দোলা লাগবে দেহে-প্রাণে ।
বলল খোকা, এই দেশেতেই থাকব এসব পেলে
কাটবে জীবন অনেক সুখে নিত্য হেসে-খেলে ।
খোকার কথায় সকল পরি খুব আনন্দ পায়
পরিরাজ্যে থাকুক খোকা-সেই তো ওরা চায় ।
অবশেষে পরির দেশে থেকেই গেল খোকা
কত্ত রূপের দেশ যে এটা, যায় না লেখাজোখা ।
হাজার পরি নৃত্য করে খোকার চতুর্পাশে
পরিরানীর আদরে সে সুখের ভেলায় ভাসে ।
সোনার খাটে ঘুমায় খোকা, রুপোর থালায় খায়
এরচে’ বেশি সুখের জীবন কেউ কখনো পায় ?
কিন্তু সেদিন হঠাৎ খোকার মনটা হলো ভার
অনেক সুখের পরির দেশে ভাল্লাগে না তার ।
রূপভরা ওই দেশটাজুড়ে ঘুরল যথাতথা
খোকার মনে পড়ল তবু মা ও মাটির কথা ।
আর দেরি নয়, একনিমিষেই নিজের দেশে ফেরা
বুঝল খোকা মাদর আদর ও মাতৃভূমিই সেরা ।
মাতৃভূমির সুখের সমান নেইকো প্রিয় সুখ
এই ভুবনে মায়ের মতো নেইকো প্রিয় মুখ ।
Leave a Reply