তালার ৩শ বিঘা ঘেরের হারির না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ


এপ্রিল ১৮ ২০১৮

Spread the love

শহর প্রতিনিধি: তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়ায় ৩০০ বিঘা সম্পত্তি হারি নিয়ে হারির টাকা না দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধভাবে ভোগ দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধ দখল চেষ্টা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে আনন্দ কুমার দাশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ধানদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমাদের গ্রামের পূর্বে পাশে কপোতাক্ষ নদীর তীর অবস্থিত। গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস দক্ষিণ সার্শা বিল। উক্ত বিলে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি আছে। যার মালিক অত্র এলাকার প্রায় ১০০টি পরিবার। বিলটি কপোতাক্ষ নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কপোতাক্ষ নদটি খননের কারণে উক্ত বিলটি আর জলাবদ্ধ থাকে না। কপোতাক্ষ নদ খননের পূর্বে যশোর কেশবপুর আলতাপোল গ্রামের মো. সেলিমুজ্জামান আসাদ স্থানীয় জমির মালিকগণকে কোন হারির টাকা না নিয়ে শুধুমাত্র পানি সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে বিলটি চারিপাশে ভেড়িবাধ দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর মাছ চাষ করে আসছে। পরবর্তীতে বাংলা ১৪২১ সালে শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমের জন্য যত সামান্য হারির বিনিময়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু শর্ত থাকে প্রতি বাংলা সনের ১৫ই পৌষ এর মধ্যে হারির টাকা পরিশোধ করতে হবে। কথা থাকলেও বর্তমান বছরে এখনও পর্যন্ত কোন জমির মালিককে হারির টাকা দেননি তিনি।
তিনি আরো বলেন, গত ৫/৬ মাস পূর্বে আসাদ অন্য কারো কথা চিন্তা না করে এবং কারো তোয়াক্কা না করে ঘেরের পানি না সরানোর কারণে কিছু বাড়তি ডাঙ্গা জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এঘটনায় তাল উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি সরেজমিনে তদন্ত আসেন। সিদ্ধান্ত হয় আগামীতে ঘের পরিচালনা করার জন্য কমিটি করতে হবে। আগামীতে বিলটিতে মাছ চাষ হবে না উন্মুক্ত করা হবে। সেটির সিদ্ধান্ত গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করবেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
পরবর্তীতে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দক্ষিণ সারসা, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আক্তার হোসেন(সাহেব আলী)সহ আরও কিছু লোক ঘেরটি উন্মুক্ত করার জন্য কিছু জমির মালিকের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। অথচ স্বাক্ষর নেওয়ার দীর্ঘ ৫ মাস পরও ঘের উন্মুক্ত না করে তার ভাড়া করা লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে উক্ত ঘেরের ভেড়িবাধ সংস্কার শুরু করেছে। এ বিষয়ে কিছু জমির মালিকগন তার কাছে জানতে চাইলে সে হুমকি প্রদর্শন করে বলে আমি এখন থেকে ঘের করবো। তোদের ক্ষমতা থাকলে বন্ধ করিস। আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজত খাটাবো বলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
এঘটনার পর অত্র এলাকার জমির মালিকদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। কারণ উক্ত মেম্বর আক্তার হোসেন একজন দুধর্ষ প্রকৃতির ব্যক্তি। সে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে কোন সময় অত্র এলাকায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা উক্ত ব্যক্তিদের হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক উন্মুক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরা সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন