সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর জেলেখালি বালু মহল গত বছর ইজারা গ্রহণ করেছিলেন সাতক্ষীরার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম। চলতি ১৪২৫ সালের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা গ্রহণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে টাকাও জমা দেওয়ার জন্য তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম। তিনি বলেন গত বছর খুলনার এসএম ব্রাদার্স এর কাজি মাজিদুল ইসলাম ওই বালু মহল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে বাধা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ সময় মো. আইয়ুব আলি হাইকোর্টে একটি রীট করেন। হাইকোর্ট অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সাতক্ষীরার তৎকালিন আরডিসি মাফফরা তাসনিন রীট পিটিশন ১৬৩৯২/২০১৭ নম্বর মামলার ২০১৭ সালের ২১ আগস্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। (তারিখ ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি)। এর কিছুদিন পর আরডিসি মাফফারা তাসনিন আশাশুনির ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম আরও বলেন, ইউএনও মাফফারা তাসনিন যোগদানের পর অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে জানানো হলে তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করারও নির্দেশ দেন ইউএনওকে। তা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু কাজী মাজিদুল হক প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন এমনকি মাজিদুল হক আমার বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বলেছেন যে আমি মানিকখালি অ্যাপ্রোচ রোড নির্মানে মাজিদুলকে বাধা দিয়েছি। তিনি বলেন এ অভিযোগ মিথ্যা। ইউএনও এ বিষয়ে আমাকে নোটীশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মানিকখালি ব্রীজের অ্যাপ্রোচ রোডের ঠিকাদার মাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া এবং টেন্ডার গ্রহীতার টাকা না দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন মাজিদুল ইসলাম
এপ্রিল ২৮ ২০১৮