নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামে নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থানে স্থানীয় জনগন ও জলবায়ু পরিষদ কয়রা ও শ্যামনগরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এমানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর ও কয়রা জলবায়ু পরিষদের সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, উপাধ্যক্ষ্য নাজিম উদ্দীন, বিসিএএস এর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অভিজ্ঞ খন্দকার ফকরুল আলম, সিএসআরএল’র এমইএল কর্মকর্তা শোয়েব চৌধুরী, অধ্যাপিকা শাহানা হামিদ, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, জাসদ শ্যামনগর উপজেলার সভাপতি হারুন আর রশিদ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফ, রতœা রানী শীল, সুন্দরবন গবেষক পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, সহকারী অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ঝড় ও বর্ষা’র সময় আগত। কিন্তু কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ অবস্থায় পাউবোকে সরিয়ে স্থানীয় সরকারের হাতে বাঁধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তারা উপকুলীয় মানুষের রক্ষায় ন্যুনতম কোন প্রস্তুতি নেয়নি। সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে নিজেদের বাঁচার তাগিদে। লড়াই সংগ্রামের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের প্রধান সমস্যা নদী ও জলোচ্ছাস যে কারনে আইলা, সিডর এর মত প্রাকৃতিক আমাদের উপকুলে আঘাত হানলে নদী ভাঙ্গনের মত ঘটনা ঘটে। তাছাড়া উপকুলে বাঁধ গুলি দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কারের আভাবে ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০ কিলোমিটারের অধিক ঝুঁকিপূর্র্ণ বাঁধ রয়েছে। এছাড়া ভূক্তভোগী বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের বাঁধ আগের চেয়ে বেশি খারাপ হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি এই বাঁধগুলো ঠিক করা দরকার।
জলবায়ু পরিষদ কয়রা ও শ্যামনগরে প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুলি তুলে ধরে নদী ভাঙ্গন কবালিত ৫ টি স্থানে কয়রার দক্ষিন বেদকাশি, ঘড়িলাল, চোরামুখা, শ্যামনগরে দাতিনাখালী, গাবুরা, চকবারা, ৯নং সোরার নদী ভাঙ্গন স্থানে বসবাসরত সাধারণ জনগনের সাথে মতবিনিময় করেন।