নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার ৩০কিলোমিটার পাউবোর ভেঁড়ীবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকায় তার পুননির্মাণের দাবীতে শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার সকালে শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে জানা যায়, শ্যামনগরের ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ এবং বাঁকি সকল ইউনিয়ন পরোক্ষভাবে উপকুলীয় পাউবোর বাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বাঁধ ব্যবস্থাপনার উপর উপজেলার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড, খাদ্য নিরাপত্তা ও বসত ভিটাসহ সম্পদ রক্ষায় সরাসরি যুক্ত। কিন্তু, বর্তমানে সমগ্র উপকুলীয় বাঁধ দুর্বল ও ঝুঁকিযুক্ত হয়ে পড়ায় আতংকে থাকতে হয় শ্যামনগরের সকল মানুষদের।
এছাড়া পূর্বতোন আমলের ৪.২০মিটার আরএল লেভেল এর বাঁধ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধে সক্ষম নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রায়শ: সৃষ্টি হচ্ছে। এসকল দুর্যোগে সাগর উত্তাল হয়,জোয়ারের পানি অত্যাধিক বেড়ে যায় এবং ঢেউও প্রবল হয়। এ অবস্থায় প্রধান রক্ষাকবচ উপকুলীয় বাঁধ। কিন্তু,বর্তমানে নাজুক এ বাঁধ মানুষের সম্পদ ও প্রাণ রক্ষায় অনুকুল নয়।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করেন, শ্যামনগর উপজেলায় মোট উপকুলীয় পাউবোর বাঁধের পরিমাণ ১৩৪.৬৬০কি:মি। যার মধ্যে ১৫ ও ৫নং পোল্ডারের ৩০কি: মিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে ৫নং পোল্ডরের ঘোলা, বিড়ালক্ষী, কুপট, পূর্ব দূর্গাবাটী, ভামিয়া, নীলডুমুর,দাতিনাখালী, সেন্ট্রাল কালীনগর, দঃকদমতলা, হরিনগর, সিংহড়তলী, চুনকুড়ি,যতীন্দ্রনগর, পার্শ্বেখালী, টেংরাখালী ও কৈখালী এবং ১৫নং পোল্ডারের ডুমুরিয়া, চকবারা, জেলেখালী, লেবুবুনিয়া,পার্শ্বেমারী, নাপিতখালী, চাঁদনীমুখা গ্রাম সংলগ্ন বাঁধ।
এসকল স্থানের বাঁধ যে কোন সময় ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তাই সবচেয়ে কাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদকে পাউবোর ভেড়ীবাঁধ সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জলবায়ু পরিষদের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজিম উদ্দীন, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক ও জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী প্রমুখসহ জলবায়ু পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।
Leave a Reply