রেলওয়ের দক্ষিণ জোনের সদর দপ্তর খুলনায় স্থাপনের দাবী


ফেব্রুয়ারি ২ ২০১৭

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষিণ জোনের সদর দপ্তর খুলনায় স্থাপনের দাবীতে বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম।

স্মারক লিপিতে বলা হয় খুলনায় রেল ষ্টেশন তৈরী হয়েছে বহু যুগ পুর্বে থেকে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আধুনিক রেল ষ্টেশনে পরিণত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে খুলনাসহ দক্ষিনাঞ্চলের রেল লাইনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। খুলনা-মোংলা রেল লাইন এর কাজ ও রূপসা নদীর উপর রেল সেতুর কাজ চলমান, সেইসাথে মোংলা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত ভাবে এগিয়ে চলেছে। রেল লাইনের এসকল কাজ সমাপ্ত হলে মোংলা বন্দর থেকে রেলের মাধ্যমে ভারত, নেপাল, ভুটান ট্রানজিট সহজ হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের আরো উন্নয়ন হবে। খুলনা দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগীয় শহর ও কেন্দ্র বিন্দু হওয়ায় রেল যোগাযোগের মাধ্যমে মোংলা বন্দর ব্যবহারে রেলের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য খুলনাই একমাত্র উপযুক্ত স্থান। কিন্তু জানা যায় বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষিণ জোনের সদর দপ্তর খুলনার পরিবর্তে ফরিদপুরে স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভারে সরকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত সিদ্ধান্তের প্রতি দক্ষিণাঞ্চনের জনগন ঘোর আপত্তি জানাচ্ছে এবং উক্ত সরকারী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষিণ জোনের সদর দপ্তর ফরিদপুরের পরিবর্তে খুলনায় স্থাপনের জোর দাবী জানাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নিকট খুলনা বাসী আশা করছে খুলনার জনগণের দাবীর বিষয়টি বিবেচনা করে ও উপযুক্ত স্থান হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষিণ জোনের সদর দপ্তর খুলনায় স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হোক।

স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন- খুলনা নৌ পরিবহণ মালিক গ্র“পের সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আব্দুল গফফার, যুগ্ম মহাসচিব এম,এম,আসাদুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব খুরশিদ আলম কাগজি মিন্টু, মোঃ হাফিজুল ইসলাম চন্দন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম খান কালু, পরিচালক শেখ মোঃ জহির হোসেন, এস,এম,নজরুল ইসলাম, মোঃ মনিরুজ্জামান খান বাবু, এম,এম,আজাহার আলী, মোঃ কামরুল ইসলাম মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমীর কৃষ্ণ হীরা, মোঃ ইউসুফ আলী, সামছুদ্দিন আহমেদ শ্যাম প্রমুখ।

 

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন