ফুলতলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা


ফেব্রুয়ারি ১৩ ২০১৭

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।  খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন।শহরে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান প্রবেশ করতে পারবে না এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ট্রাক মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী মালিক সমিতিকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবহিত করণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খুলনা মহানগরের রাস্তায় ইজিবাইক, অবৈধ স্থাপনা এবং রাস্তার খোড়াখুড়িতে ধুলাবালির কারণে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগের বিষয় উল্লে¬খ করে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিটি সমস্যা আলাদাভাবে চিহ্নিত করে নির্ধারিত সংস্থাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সমস্যার টেকসই সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।খুলনা শহরে মাদকের ভয়াবহতার বিষয় উল্লে¬খ করে  বিভিন্ন জন উদ্বেগ প্রকাশ করে এটি নির্মূলে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেন। এটি শুধু সমাজ ও দেশকেই ধ্বংস করে না বরং পুরো পরিবারকেই নি:স্ব করে দেয়, তাই অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার  এবং স্কুল-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম চলমান রাখলেই  হবে না, একে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।  এ প্রসঙ্গে মাদককে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে এটি নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রথমেই ফুলতলা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মাদকের বাহক ও গ্রাহক যে-ই হোক না কেন কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না।  সভাপতি এটি বাস্তবায়নে যে কোন সময় অভিযানের প্রতিশ্র“তি দেন এবং অভিযানে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সংযুক্ত করার কথা বলেন। অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সেবার মান বাড়াতে সিভিল সার্জন-কে মনিটরিং জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কেসিসি’র প্রতিনিধি, র‌্যাব প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় গত জানুয়ারি-১৭ মাসে ডাকাতি ২টি, রাহাজানি ১টি,  চুরি ৬টি, খুন ২টি, অস্ত্র আইন ২টি, দ্রুত বিচার ৩টি, ধর্ষণ ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৯টি, মাদকদ্রব্য ৭৭টি এবং অন্যান্য ৪৯টিসহ মোট ১৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ডিসেম্বর-১৬ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৩৮টি।

জেলার নয়টি থানায় গত জানুয়ারি-১৭ মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ৩টি, খুন ১টি, অস্ত্রআইনে ১টি, ধর্ষণ ৩টি, অপহরন ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১১টি ও  মাদকদ্রব্য ৩৩টি এবং অন্যান্য আইনে ৮৪টিসহ মোট ১৩৯টি মামলা দায়ের হয়েছে।  গত ডিসেম্বর-১৬ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৩১টি।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন