1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
৩০ পৌষ, ১৪৩১
Latest Posts
📰তালায় বন্ধ ক্লিনিক খুলতে দৌড়ঝাঁপ শুরু! 📰তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন 📰গুনাকরকাটি কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান📰আশাশুনিতে বিনা চাষ ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ, দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে সুশোভিত📰সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তি আটক📰আশাশুনিতে মৎস‍্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ 📰আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত📰দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির📰বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন📰কলারোয়ায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত

প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
  • ৫৩৭ সংবাদটি পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনকে এর উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো এবারের সুন্দরবন দিবস। বরাবরের মত “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন-এই মুল সুরে সুন্দরবন সন্নিহিত জেলাসমূহে দিবসটি পালন করা হয়। খুলনায় সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠিান ছিল তিনদিন ব্যাপী। মঙ্গলবার শেষ দিনের অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল নগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্ক।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস-এর পরিচালক প্রফেসর ড. দিলীপ দত্ত, ইউএসএইডের ওয়াইল্ড টিমের বাঘ এ্যাকটিভিটির চীফ অব পার্টি গ্রে এফ. কলিন্স, জিআইজেড-এর প্রিন্সিপ্যাল এ্যাডভাইজর ওমর ইডিও, ইউএসএইডের ক্রেল প্রকল্পের রিজিওন্যাল কোঅর্ডিনেটর শেখ মোঃ জিয়াউল হক। রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পাওয়া সেন্ট জোসেফস হাই স্কুলের আবদুল্লাহ আল মামুন, দ্বিতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত খুলনা জিলা স্কুলের আলিফ আল জামান এবং তৃতীয় রেভাঃ পলস হাই স্কুলের ফারজানা আক্তারও বক্তৃতা করে। অনুষ্ঠানে ‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় হারম্যান মেইনর স্কুলের সায়িমা তাসনিম অরনি প্রথম, খুলনা জিলা স্কুলের ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় এবং হারম্যান মেইনর স্কুলের গ্রন্থী মুল তৃতীয় স্থান লাভ করে। অংশগ্রহণকারী ২৩টি বিদ্যালয়কেও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজক সুন্দরবন একাডেমী ও সুন্দরবন বন বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা, রূপান্তর থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুন্দরবনের পটগান দিয়ে অনুষ্ঠানের হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সুন্দরবনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের টিকে থাকার উপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল এ বনকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বক্তারা সুন্দরবন রক্ষায় জনঅশংগ্রহণ আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধুমাত্র বন বিভাগের কিছু কর্মীদের দিয়ে সুন্দরবনকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে যে সুন্দরবনের যে কোন ক্ষতি তাদেরও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করবে।

উল্লেখ্য, তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০১ সাল হতে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। এগুলো হচ্ছে : জাতীয় বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পরিবেশের গুরুত্ব এবং ভূমিকা সর্ম্পকে সর্বমহলে ব্যাপক সচেতনতা এবং আগ্রহ সৃষ্টি করা, যাতে এটি সংরক্ষণের কাজ শক্তিশালী হয়; বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বনবিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহকে সহায়তা করা; এবং সুন্দরবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালবাসা ও মমত্ববোধ তৈরী করা এবং তাদের চেতনায় সুন্দরবন ভাবনাকে উজ্জীবিত করা। তবে এই প্রধান তিন উদ্দেশ্যের বাইরেও সুনির্ষ্টভাবে বেশকিছু উদ্দেশ্যাবলী রয়েছে এই দিবস পালনের নেপথ্যে।

সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তর, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্রুপ ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় বরাবরের মতই এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছাড়াও সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন  উপজেলা যেমন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, শ্যামনগর, আশাশুনিতে স্থানীয় বনবিভাগ, প্রেসসক্লাব এবং অন্যান্য বেসরকারী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সুন্দরবন দিবসের নানা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা, সেমিনার, কর্মশালা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি।

 

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd