রূপান্তর-এর জ্যেষ্ঠ কর্মী ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলামের মৃত্যুতে সংস্থার পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক পালন কর্মসূচী আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। রূপান্তর পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত মাসাধিককাল ধরে নানান রকম অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি পাকিস্তান থেকে পশু চিকিৎসায় ডিগ্রী অর্জনের পর পাকিস্তানের লারকানায় তিনি কিছুদিন পশু চিকিৎসক ও সার্জনের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬৯ সালে এ দেশে চলে আসেন এবং গ্ল্যাক্সো লিমিটেডে যোগদান করেন। সেখানে বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮২ সালে এসএমসিতে যোগদান করেন। তিনি খুলনার সেন্ট জোসেফস হাই স্কুল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেছেন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি রূপান্তরে দায়িত্ব পালন শুরু করে আমৃত্যু রূপান্তরে কর্মরত ছিলেন।
আজ বাদ জোহর নগরীর জোড়াকল মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ রূপান্তর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে খুলনার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং তাঁর সহকর্মীবৃন্দ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ আছর দারুল উলুম মাদ্রাসায় তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বসুপাড়া গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়।
ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রূপান্তর পরিবারের পক্ষে নির্বাহী পরিচালকদ্বয় স্বপন কুমার গুহ ও রফিকুল ইসলাম খোকন গভীর শোক প্রকাশ করে এক শোক বার্তায় বলেন এ মৃত্যু শুধু রূপান্তর নয়, এ অঞ্চলের বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শোক বার্তায় মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমমর্মিতা প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির
Leave a Reply