স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা মহানগরীর জাহিদুর রহমান সড়কের প্রকৌশলী হাবিবুল আলম চৌধুরীর (অবসর) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভোররাত অবধি এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে বেধে রেখে নগদ টাকা, ৪০ ভরি সোনার গহনা, মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, ১৫–১৬ জন ডাকাতের একটি দল রাত ২টায় দোতলা বাড়ির নিচতলার বাম পাশের গ্রিল কেটে ভাড়াটিয়া নগরীর সুলতানা হামিদ আলী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক এস এম রফিকুল হক বাচ্চুর ঘরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির লোকজনের চিৎকার ঠেকাতে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র ধরে সবার হাত–পা ও মুখ বেধে ফেলে। এরপর ঘরের সব কিছু তছনছ করে ৪টি মোবাইল সেট, ১৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্গকার নিয়ে দোতলায় যায়। সেখানও থেকে ডাকাতি করে।
বাড়ির মালিক প্রকৌশলী হাবিবুল আলম চৌধুরীর চাচাতো ভাই পুলিশের সাবেক এসপি শহীদুল হক বলেন, দোতলা বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া ঘরের গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙ্গে তাদের ঘরে ডাকাতি করে দোতলায় যায়। সেখানে তার ভাই, তার বউ, ছেলে ও তার বউকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর আলমারি শোকেজ খুলে প্রায় ৫২ হাজার টাকা ও ২৫–৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। দুই ঘর মিলে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতরা নিয়ে গেছে।
তবে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ৬০ নং জাহিদুল ইসলাম সড়কের দোতলা বাড়ির নিচতলায় বাচ্চু নামের এক স্কুল শিক্ষকের বাসার বাম পাশের গ্রিল কেটে চার জন ডাকাত ভিতরে প্রবেশ করে। শিক্ষক ও তার স্ত্রীর হাত পা বেঁধে নগদ ১৪–১৫ হাজার টাকা ও পৌনে তিন ভরি স্বর্ণ। আর উপরে মালিক হাবিবুল আলমের বাসা থেকে ১৪–১৫ হাজার টাকা, চারটি মোবাইল, ১৮ ভরির মতো স্বর্ণ নিয়ে গেছে। এ ঘটনার আমরা তদন্ত করছি। এ ব্যাপারে থানায় এখন মামলা হয়নি। তবে ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।