‘২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে’


জানুয়ারি ২৮ ২০১৭

Spread the love

এসবিনিউজ ডেস্ক : সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৫’ (পিএসএমপি ২০১৫) প্রণয়ন করা হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হবে। ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে। এছাড়া অতিরিক্ত ৯ হাজার ৫৬০ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

শনিবার চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৭তম কনভেনশনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আইইবির ভবন নির্মাণে সর্বপ্রথম ৫ কোটি টাকা অনুদান প্রদান; ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ২৩ কোটি টাকা অনুদান; ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের জন্য ১৯৯৭ সালে ৭২ বিঘা জমি প্রতীকী মূল্যে প্রদান; দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজের জন্য ২৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তবে আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য কোনো বরাদ্দ না হওয়াতে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশের জিডিপি ৭ দশমিক ১ শতাংশ; রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার; রপ্তানি ৩৫ বিলিয়ন ডলার; মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার; দারিদ্রের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ; শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ; সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ শতাংশ; বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট অর্জন হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আন্দোলনকারিদের কাঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, আন্দোলনকারিরা কোনদিনও রামপালের নির্মাণাধীন প্রকল্প পরিদর্শন করে নাই। এমনকি এটি আদৌ সুন্দরবেনের কোন ক্ষতি করবে কিনা সে বিষয়েও তারা নিশ্চিত নয়।’

তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যু কেন্দ্র সুন্দরনের পরিবেশে আদৌ কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের স্বপক্ষে তাঁর যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে রামপালে, সুন্দরবনে নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি সুন্দরবনের বহি:সীমার ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং সুন্দরবনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এলাকা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে।

‘কাজেই এই প্রকল্পের দ্বারা সুন্দরবনেরর কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রামপালে যখন আমরা কাজ শুরু করি তখন রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। একমাত্র নৌপথে যাওয়া যেত। এখন রাস্তা হচ্ছে। এক সময় হেলিকপ্টারে রামপাল দেখানো হয়েছে। হেলিকপ্টারে দেখালে তো বুঝবে না; রামপাল দেখে সেখান থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পদযাত্রা করুক।

প্রসঙ্গত, ৩ দিনের এ কনভেনশনে বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় সেমিনার, স্মারক বক্তৃতা, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশে ১৮টি কেন্দ্র, ৩১টি উপকেন্দ্র, ১১টি ওভারসিজ চ্যাপ্টার, সাতটি প্রকৌশল বিভাগীয় কমিটির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে আইইবি।

অনুষ্ঠানে আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর বক্তৃতা করেন।

চট্টগ্রাম আইইবি কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং চট্টগ্রাম আইইবি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সেন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

 

 

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন