Tag: উপজেলা নির্বাচন

  • দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

    সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলায়  ।
    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটা, তালা ও আশাশুনিতে
    মঙ্গলবার বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে
    ভোটগণনার কাজ। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনার লক্ষ্যে
    ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার দায়িত্ব পালন করছে। তবে
    আশাশুনিতে ৮৭টির মধ্যে ২০টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ
    ভোটকেন্দ্র থাকায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ
    কুমার অধিকারীকে থানার নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জেলা
    পুলিশের স্ট্যা-িং ফোর্সের প্রধান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর
    সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামানকে আশাশুনি
    থানার নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
    মঙ্গলবার তালা উপজেলার নাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
    মাঝিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালা বিদে বিদে
    মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যেয়ে জানা গেছে, বেলা বাড়ার সাথে
    সাথে ভোটরদের উপস্থিতি বাড়ে।
    তালা, দেবহাটা ও আশাশুনি নির্বাচনের রিটাণিং অফিসার
    সরোয়ার হোসেন জানান,তিনটি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের
    ২২১টি ভোট কেন্দ্রে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
    এখানে ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭১। ভোট গণনার কাজ শুরু
    হয়েছে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে। রাত ১১টার মধ্যে ভোটের ফলাফল
    জানা যাবে।

  • উপজেলার ৪ লক্ষ ভোটারকে চেয়ারম্যান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রার্থী

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মশিউর রহমান বাবুর লাঙ্গল প্রতিকের নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (২০ মে) রাতে ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় মশিউর রহমান বাবু বলেন, নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাকে একটি স্মার্ট সু-সজ্জিত উপজেলা হিসাবে সাধারণ মানুষকে উপহার দেবো। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি একা চেয়ারম্যান হবো না, বরং সদর উপজেলার ৪ লক্ষ ৪ হাজার ভোটাররাই চেয়ারম্যান হবে। এ সময় তিনি সকলকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।

    ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন লেসদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি আবু ইয়াসিন,জাতীয় পার্টি নেতা প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির যুগ্ম আহবায়ক স.ম মুজাহিদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম।

  • Untitled post 22389
    সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিক পেলেন প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল
    স্টাফ রিপোর্টার  :
    আগামী ২৯ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪। নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০ টায় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিক বরাদ্দ উপলক্ষে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় খুলনা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান নির্বাচন আচারণ বিধি সম্পর্কে প্রার্থীদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং আচারণ বিধি মেনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালানোর দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। আলোচনা সভা শেষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল খুলনা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান এর নিকট থেকে তার আনারস প্রতিক গ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কালিদাস রায়, সাবেক ছাত্রলীগ ও সাবেক  জেলা স্বেচ্ছাসেবলীগ নেতা সাংবাদিক  খন্দকার আনিসুর রহমানসহ শত শত কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। প্রতিক গ্রহণ শেষে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল  কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।
  •  বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত

    প্রতিকী ছবি
    দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বিএনপি। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো। জামায়াত প্রথম অংশ নেবার কথা থাকলেও পরে অন্য কোনো বিরোধী দল অংশ না নেওয়ায় তারাও বর্জন করে। এদিকে বিএনপির স্থানীয় ৬৬-৬৫ জন নেতা এই নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তাদের সবাইকে বিএনপি বহিষ্কার করেছে।

    জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গতকাল বুধবার। এই ভোটে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিএনপির বহিষ্কৃত এসব নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এবারের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়কার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়ই আওয়ামী লীগের নেতা। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

    এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হন আব্দুল কুদ্দুছ। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পান। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে বড় ব্যবধানে হারান তিনি।

    শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। অন্য একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।

    গোমস্তাপুর উপজেলায় আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাট উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ভোলাহাট উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।

    গোমস্তাপুর উপজেলায় মোহা. আশরাফ হোসেন আলিম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট।

    ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়েছে তিনি। আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে। নির্বাচনে তিনি হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীনকে। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

    তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি থেকে যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই তালিকায় মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নাম পাওয়া যায়নি।

    গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। ঘোড়া প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৯৬৯। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে হারিয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীকে রীনা পারভীন পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট।

    সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৯৬৮টি ভোট পেয়েছেন।

    দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৩ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ২৬ এপ্রিল গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন।