Tag: bangladesh politics

  • মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে উপদেশ দিলেন লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

    মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে উপদেশ দিলেন লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

    মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের হাতে বই ও খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে- লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

    তালায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্তবায়নে তালা ব্রজেন দে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেজুঁতি।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মমিনুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম।
    উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবাদিক মীর জাকির হোসেনে সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কাজী মারুফ, বিধান চন্দ্র সাধু, সদস্য সাংবাদিক আব্দুল জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার উদয় সাধু প্রমুখ।
    খেলায় তালা সদর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশকে ০-১ গোলের ব্যবধানে খলিলনগর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ বিজয়ী লাভ করেন। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু, সহকারী রেফারী শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, মো: আসাদুল ইসলাম। খেলা শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তালা সদরের মো: শাওন, সেরা গোলা দাতা তালা সদরের মো: আলী হাসান। ধারভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন, শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাসান ও প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তার।
    খেলায় প্রধান অতিথি লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এই যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের যুবকরা আগামী দিনের ভবিষৎ। সেই সাথে মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের হাতে বই ও খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। তবেই গড়ে উঠবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স¥াট বাংলাদেশ।
    খেলা শেষে প্রধান অতিথি লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি ঐচ্ছিক ফান্ড থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ ও গাছের চারা বিতরণ করেন।

  • সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগ

    সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগ

    আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ এ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগ করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন ১৩ নং লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের মাগুরা তালতলা এলাকার সাধারণ জনমানুষের সাথে গণ সংযোগ করেন। এসময় উক্ত গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, লাবসা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবেদার রহমান, পৌর যুব সংহতির সভাপতি নাহিদ সুলতান শাহিন, উপজেলা যুব সংহতির সহ সভাপতি আব্দুর রহিম, সেলিম হোসেন, জেলা যুব সংহতির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা যুব সংহতির সিনিয়র সহ-সভাপতি কবিরুল ইসলাম ডাবলু, সম্রাট মেহেদী মনা, সোহেল প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু সদর উপজেলা বাসির দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

  • ইউক্রেনের হামলায় ক্রিমিয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্ত

    ইউক্রেনের হামলায় ক্রিমিয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্ত

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের হামলায় ক্রিমিয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
    একজন রুশ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন।  
    এই সেতু ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করেছে। যার আংশিক রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
    ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগকৃত গভর্ণর সার্গেই আকসিনভ টেলিগ্রামে বলেছেন, রাতে সেতুতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
    ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে অবস্থিত ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে।

  • সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাঁশদহা ইউনিয়নে জেলা তথ্য অফিসের মহিলা সমাবেশ

    সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাঁশদহা ইউনিয়নে জেলা তথ্য অফিসের মহিলা সমাবেশ

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার আয়োজনে ৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির জানুয়ারি-মার্চ কোয়ার্টারের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আসাদুজ্জামান বাবু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ¦ ফজর আলী মাস্টার। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ বদরুজ্জামান, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে করনীয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ব্র্যান্ডিং, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, মানবপাচার প্রতিরোধ, মাদকের বিস্তার রোধ, গুজব প্রতিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যহার, পরিবেশ সংরক্ষণ, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে বক্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন। মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাঁশহদা ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যগণসহ দুইশতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

  • বিভিন্ন সমস্যা ও গেজেট প্রকাশে অস্বাভাবিক কালক্ষেপনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    বিভিন্ন সমস্যা ও গেজেট প্রকাশে অস্বাভাবিক কালক্ষেপনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি ও আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যাসহ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় বিরাজিত সমস্যাদির সমাধন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ ও ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন পূর্বক গেজেট প্রকাশে অস্বাভাবিক কালক্ষেপনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্প্রতিবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স (আইডিইবি) এর আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স (আইডিইবি) সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো: আব্দুর রশিদ, সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আক্তার অপু, সাধারণ সম্পাদক এম. এম. এ জায়েদ বিন গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান শিমুল, যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা, কাউন্সিলর শেখ রফিকুল ইসলাম, তুশার রাম চৌধুরি প্রমূখ।


    এসময় বক্তার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি ও আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির আলোকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যা সমাধন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ ও ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন পূর্বক গেজেট প্রকাশে লক্ষে সদয় নির্দেশনা প্রদানের বিনীত অনুরোধ জানায়।
    মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

  • আশাশুনিতে উপজেলা  পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা ও শিখন বিনিময় সভা 

    আশাশুনিতে উপজেলা পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা ও শিখন বিনিময় সভা 


    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির (ইউএনসিসি) সাথে পি পি ই পি পি প্রকল্পের পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা ও শিখন বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন (একটি আর্থ সামাজিক প্রতিষ্ঠান) ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমান।এফসিডিও ও পিকেএসএফ এর অর্থায়নে সভার শুরুতে প্রকল্পের পরিচিতি ও কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উন্নয়নের টি ও (নিউট্রেশন) সাইদুর রহমান।বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্ত্তী ও মোসলেমা খাতুন মিলি, মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসূন কুমার মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল ইসলাম, ওসি’র প্রতিনিধি এস আই আবু হানিফ, শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।বক্তারা পুষ্টি বিষয়ক গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল (পিপিইপিপি) প্রকল্পের মাসিক মিটিং নিয়মিত করণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার প্রচারণা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

  • আশাশুনির শ্রীকলস গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৩ ভাইয়ের ঘর পুড়ে ছাই 

    আশাশুনির শ্রীকলস গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৩ ভাইয়ের ঘর পুড়ে ছাই 

     
    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ৩ ভাইয়ের ঘর পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের শ্রীকলস গ্রামে। আশাশুনি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের আধা ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম মোড়ল জানান, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রীকলস গ্রামের মৃত আফিল গাজীর ছেলে জয়নাল হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের ২ বসত ঘর, ২ রান্না ঘর ও ১ টি বাথরুমে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেলেও প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

  • আশাশুনিতে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন,  গণহত্যা ও  মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি সভা

    আশাশুনিতে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, গণহত্যা ও মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি সভা


    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিপা রানি সরকার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস মোসলেমা খাতুন মিলি, মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসূন কুমার মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল ইসলাম, ওসি’র প্রতিনিধি এস আই আবু হানিফ, শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। সভায় ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, জন্মদিনের কেক কাটা, মসজিদ মন্দির ও গীর্জায় দোয়া ও প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এছাড়া জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন করা। ২৫ মার্চ সরকারি-বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকা, ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহিত হয়।

  • Untitled post 19732

    বহি:শক্তির আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    বহি:শক্তির আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত শক্তির যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাইনা। আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ^াসী। কিন্তু বহি:শক্তির যে কোন আক্রমণ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে (ইবিআরসি) ‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ এর ‘দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রুপান্তরিত করতে চাই। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
    তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জণগণের পাশে আছে। যেকোন দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়ায়, শুধু দেশে নয় বিদেশেও।
    শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বন্ধু প্রতীম কোন দেশে দুর্ঘটনা ঘটে তখনই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে যায় এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও সেবা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনী গৌরবজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার কাজে সফলভাবে অংশগ্রহণের উল্লেখ করেন।
    তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার হৃদয়ের খুব কাছের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ তার দুই ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এই রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পুনর্মিলনীতে যোগ দেয়া একদিকে আমার জন্য বেদনাদায়ক, অন্যদিকে আনন্দের’।
    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জীপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর সাথে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।

    মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা এদেশকে গড়ে তুলেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময়ই তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন এবং সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেন।
    সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৪ সালেই জাতির পিতা কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’র শুভ উদ্বোধন করেন এবং কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল ও সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। তিনি ভারত ও যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করেন। ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। 
    প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘১৯৭৫ সালে আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কলঙ্কলিপ্ত হয় । জাতির পিতাকে হত্যার পর সমস্ত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যায় এবং আমাদের স্বাধীনতার আদর্শ প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়’।
    শেখ হাসিনা বলেন, তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বচিত করা হলে ছয় বছর প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়ার পর ১৯৮১ সালে একরকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এমন একটি দেশে ফেরেন যেদেশে তাঁর পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিলনা। খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরী দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ’৭১ এর পরাজিত শক্তি এবং ’৭৫ এর ঘাতকরা রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার সময় তিনি ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও সেই দীর্ঘ সময় আর দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা। 
    তিনি বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণ আড়াই হাজার বছরে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর বিশ^ ঐতিহ্যে ঠাঁই পেয়েছে সে ভাষণ এবং জয়বাংলা শ্লোগানও এই দেশে নিষিদ্ধ ছিল। ’৯৬ সালে একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ  সরকার গঠন করলে মানুষ আবার সেই সত্য ইতিহাস জানার সুযোগ পায়। পাশাপাশি তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুপ্রশিক্ষিত এবং শক্তিশালী ও আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
    প্রথম মেয়াদে সরকারে থাকার সময় তাঁরা ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’, ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রথম মহিলা সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
    তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছি। আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন এবং ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি।
    তিনি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে তাঁর সরকার সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং বরিশালে ৭ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। গত ৪ বছরে বিভিন্ন ফরমেশনের অধীনে ৩টি ব্রিগেড এবং ছোট-বড় ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশনের ফরোয়ার্ড বেস এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্তকরণ এবং  প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করার পদক্ষেপ নেয়া হেেয়ছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌম্য, শক্তি, ক্ষিপ্রতা’- এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময় এবং ঐহিত্যপূর্ণ। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের এই রেজিমেন্টের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন কাজে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য সকলকে আমার আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। 
    তিনি তাঁর গৃহহীণ ভূমিহীনকে ঘর করে দেয়ার আশ্রয়ন প্রকল্পসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন এবং দেশের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণেরও প্রশংসা করেন।
    তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতি দেশ ও জাতির আস্থার স্বীকৃতি স্বরূপ এ পর্যন্ত ৩৫টি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জাতীয় পতাকা অর্জন করেছে, ২০১৪ সালে আমার হাতে এ প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩টি রেজিমেন্টের জাতীয় পতাকা গ্রহণের স্মৃতি আজ মনে পড়ছে।
    প্রধানমন্ত্রী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান। তাদের সময়ে তারাও এই বাহিনীকে উন্নত করতে যতাযথ পরিশ্রম করেছেন। নিশ্চই আপনাদের সেই অভিজ্ঞতা আজকের প্রজন্ম স্মরণ করবে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
    তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আনন্দ ও উৎসবমুখর পুনর্মিলনী অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত সর্বস্তরের সদস্যদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও সুদৃঢ় করবে এই প্রত্যাশা করছি। আমাদের দেশ প্রেমিক ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যগণ জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত সকল দায়িত্ব সফলতার সাথে পালনে সক্ষম হবে এবং কর্মজীবনে সকল ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলেই আমি বিশ^াস করি।
    তিনি আজকের অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করায় সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও ধন্যবাদ জানান।
    করোনা মহামারী দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ^মন্দা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সকলকে কৃচ্ছতা সাধন এবং প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় এনে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবানেরও পুনরোল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
    তিনি বলেন, এটা ততদিন অব্যাহত রাখতে হবে যতদিন না এই যুদ্ধ থামে এবং এই মন্দার কবল থেকে বিশ^ মুক্তি পায়। তাঁর সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে, জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে কিন্তু এজন্য সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

  • Untitled post 19729

    ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অনলাইনে মুক্তপাঠ প্রশিক্ষণের নির্দেশনা

    ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অনলাইনে মুক্তপাঠ প্রশিক্ষণের নির্দেশনা

    : জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১-এর আলোকে করা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী প্রাথমিক ইবতেদায়ি স্তরের শিক্ষকদের আরো দক্ষ করতে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম মুক্তপাঠে প্রশিক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
    বুধবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক মো. জিয়াউল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সারাদেশের প্রাথমিক ও এবতেদায়ি স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় রূপরেখা ২০২১ এর আলোকে প্রণীত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী শিখন কার্যক্রম চালু হচ্ছে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কারণে এবতেদায়ি স্তরের সকল শিক্ষকের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ সালের (প্রাথমিক ও এবতেদায়ি স্তর) এর বিবরণ বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে।
    কোর্সে মোট ৬টি মডিউল, প্রত্যেকটি মডিউলে ৩-৫টি পাঠ/লেসন রয়েছে।  প্রতিটি পাঠে রয়েছে নির্ধারিত বিষয়বস্তু । পূর্ব অভিজ্ঞতা প্রশ্নমালা, ভিডিও কনটেন্ট, পাঠ সহায়িকা (পিডিএফ), স্ব-মূল্যায়ন (কুইজ), মতামত ও আলোচনা। প্রত্যেকটি পাঠ/লেসনে মডিউলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাঠটি শেষ হবে।
    বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,সরকারি, বেসরকারি ইবতেদায়ি মাদরাসার সব শিক্ষককে ই-লার্নিং প্লাটফর্ম মুক্তপাঠে dpe.muktopaath.gov.bd/ course-details/1044 এ যুক্ত হয়ে অনলাইন  প্রশিক্ষণটি সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

  • আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

    আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

    আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

    : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।
    তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’
    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
    সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পীচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে তাঁর দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
    তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো সংসদে ইসির পুনর্গঠন আইন পাস হয় এবং তারপর সেই আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
    শেখ হাসিনা বলেন, ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের অন্য কোন রাজনৈতিক দলের ভিত্তি নেই। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে।
    সামাজিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে আলোকপাত করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের আমলে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশের এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে।  
    তিনি আরা বলেন, দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক চর্চা ও স্থিতিশীলতার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।
    আলোচনায় রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধ ও রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থান পায়।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উচিৎ এই যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়া। কারণ এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধ কখনোই মানব জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।’
    যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে এই বিরোধের মীমাংসা হতে পারে।
    রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক নাগরিক আসার কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। 
    তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মাদক পাচার, মানব পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও আন্ত:সহিংসতার মতো নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের এই বাস্তুচ্যূত নাগরিকরা পাঁচ বছর ধরে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের কারণে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্থানীয়দের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে আর তাই এখন তাদের সেখানে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
    তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত জীবন যাত্রা নিশ্চিত করতে আয়সংস্থানমূলক কাজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। তিনি ভাসানচরে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
    এ সময় শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও অনুকূল পরিবেশে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
    মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় ডেরেক শোলেট প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।  তিনি বলেন, এই বাস্তুচ্যূত জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
    তিনি আশা প্রকাশ করেন, মিয়ানমারে আবার কোন গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে।  
    বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার সফর দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বের প্রতিফলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
    তিনি দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে আশাবাদী।
    প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    শোলেট ২৪ ঘন্টার সফরে মঙ্গলবার বাংলাদেশে পৌঁছেন।

  • তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। 
    বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।
    তারেক-জোবায়দা পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশ করায় বিচারক মামলার পরবর্তী কার্যকম অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
    এরআগে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ৩০ জানুয়ারি এ গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। 
    গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের ধার্য তারিখের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে।
    তারও আগে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
    ওইদিন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী প্রদক্ষেপ হিসেবে বিজি প্রেসের মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। 
    গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক রহসান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। তাদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আদালত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
    এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 
    উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।

  • সক্ষম সকলকে কর প্রদানের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

    সক্ষম সকলকে কর প্রদানের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশবাসীকে তাদের কর প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও কর সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
    তিনি বলেন, “ শুধু রাজধানী বা শহরে নয়, সারা দেশে কর দিতে সক্ষম যারা, দয়া করে আপনার কর পরিশোধ করুন। সরকার আপনার পরিষেবা এবং কল্যাণে আপনার অর্থ ব্যবহার করবে।”
    রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের প্রথম দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলন-২০২৩ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে।
    তিনি আরো বলেন, “কাজেই, আমাদের সেগুলির (অর্থনৈতিক মন্দা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার) মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যত বেশি ট্যাক্স সংগ্রহ করব, ততই এটি অতিক্রম করা সহজ এবং সম্ভব হবে।”
    প্রধানমন্ত্রী করের পরিমাণ বাড়ানোর পরিবর্তে করদাতার সংখ্যা সম্প্রসারণে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে এবং জনগণকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক নয় সারা দেশেই আমি সকলকে বলবো যারা কর দেবার সামর্থ রাখেন, আপনারা দয়াকরে কর দেবেন। সেটা আপনাদের সেবায়ই সরকার কাজে লাগাবে।
    তিনি বলেন, যেহেতু বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, আজকে প্রতিটা জিনিষের দাম বেড়েছে। আজকে তেল, গ্যাস, গম, ভোজ্যতেল, চিনিসহ প্রত্যেকটা জিনিষের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার তা সত্বেও এগুলো অধিকমূল্যে কিনে নিয়ে আসছে। সেখানে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে , ৮শ’ ডলারের জাহাজ ভাড়া এখন ৩ হাজার ৮শ’ ডলার । আমরা ভর্তুকি দিয়ে অধিক মূল্যে কিনে এনে তা কমমূল্যে দেশের মানুষকে দিচ্ছি। এক কোটি মানুষ টিসিবির কার্ড পেয়েছে, সখানে ভর্তুতি মূল্যে মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে, কৃষিতে তাঁর সরকার ভর্তুতি দিচ্ছে, করোনাকালিন ব্যবসায়ীদেও শিল্প ও কলকারখানা চালু রাখার জন্য তাঁর সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। এভাবেই সরকার সকলকে দু:সময়ে তাঁর ভর্তুকি অব্যাহত রেখেছে।
    তিনি বলেন “এখন সরকার যাতে রাষ্ট্র চালাতে পারে বা মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ ভর্তুকি আমরা আর কত দিতে পারবো। তাছাড়া আমাদের উন্নয়ন কাজগুলো যাতে ব্যহত না হয় সেদিকেও দেখতে হবো ।”
    তিনি আরো বলেন, আপনারা উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি যান, যে পরিবর্তন হয়েছে গত ১৪ বছরের সেই পরিবর্তনটা আপনারা দেখতে পাবেন। এখন আর কেউ কুঁড়ে ঘরে বাস করেনা, ভুমিহীন-গৃহহীন প্রত্যেককে তাঁর সরকার বিনে পয়সায় ঘর তৈরী করে দিচ্ছে। আর্থিক সহাযতা দিয়ে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগও করে দেয়া হচ্ছে।
    শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ১শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছে যেখানে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের তৃণমূল পর্যায়েরও উন্নয়ন নীতির কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও অর্থনীতির গতিশীলতা তৈরী হয়েছে।
    তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি যে গত ১৪ বছরে আমুল পরিবর্তন এসেছে। করদানের সক্ষমতা কিন্তু আমাদের উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও রয়েছে। সেখানে আমরা যদি একটু প্রচার-প্রচারণা ভালভাবে চালাই তাহলে মানুষ কিন্তু স্বতস্ফূর্তভাবে আসবে কারণ তারাতো সেবা পাচ্ছে। এই সেবাটা পাওয়ার জন্যই তারা করবে।
    প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
    অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এবং সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার।
    অনুষ্ঠানে এনবিআরের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
    প্রধানমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নবনির্মিত ১২ তলা রাজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন।
    ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনও করেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এখনও অনেক কম। অনেকে একে ঝামেলা মনে করেন বা এজন্য সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেন তিনি।
    তিনি বলেন, আমি মনে করি এখানে কোন জোর জুলুম খাটাবেন না। মানুষকে কোন ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে যে- আপনি যে কর দেন, সেটা কিন্তু আপনার কাজেই লাগে। আজবে রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রীজ বা এই যে পোর্ট, কৃষি, শিক্ষা বা স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই যেগুলো সরকার করে দিচ্ছে সবগুলোর সুফল ভোগ করছে জনগণ। আর যারা এই সুফলটা ভোগ করছে তাদেরকেও তো কিছু দিতে হবে, রাষ্ট্রতো আর এমনি এমনি সবকিছু দিতে পারেনা। আর অন্যের কাছে আমরা হাতও পাতবো না।
    তিনি বলেন, যাদের কর ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা রয়েছে- সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম হয়ে গেলে, তারা এই ফাঁকিটা আর দিতে পারবে না। এটা হলো বাস্তব কথা সেটাও একটা বিরাট সুযোগ এনে দেবে। মানুষ যাতে কর ফাঁকি না দেয়- সেজন্য আর করের পরিমানটাও এমন রাখতে হবে- যাতে প্রতিটা মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে দিতে পারে। মানুষকে জানাতে হবে, ব্যাপক প্রচার করা দরকার।
    করোনা অভিঘাত এবং এর পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মানুষ কিছুটা আর্থিক সমস্যায় পড়লেও, তাঁর সরকারের শাসনামলে সার্বিক আর্থিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়কর, কাস্টমস ও মূসক বিভাগকে অটোমেটেড এবং ডিজিটালাইজড করার মাধ্যমে করদাতা, ব্যবসায়ী এবং জনগণকে সহজ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা প্রদানের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। করদাতাগণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালি ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই নিজ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুবিধাজনক সময়ে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে কর পরিশোধ করতে পারছেন।
    এটার আরো ব্যাপক প্রচারণার ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
    সরকার প্রধান বলেন, কোভিড-১৯ অভিঘাত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অবরোধ ও পাল্টা-অবরোধের বাস্তবতায় অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখা ও বেগবান করার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎসই হচ্ছে রাজস্ব আহরণের প্রধান ক্ষেত্র। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় করহার না বাড়িয়ে বরং ক্ষেত্র বিশেষে করহার যৌক্তিকীকরণ করা, করভিত্তি সম্প্রসারণ এবং কর প্রদানে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই মূল্যস্ফীতিতে করহার আমরা বাড়াতে চাইনা, কিন্তু করদাতার সংখ্যা বাড়াতে চাই সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
    তিনি বলেন, দ্বিতীয় বার তাঁর সরকার ক্ষমতায় এসে সকলের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি সকলকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় এবং তাঁর সরকারই প্রথম চালু করেন যে- প্রত্যেক সংসদ সদস্যকেও আয়কর দিতে হবে। সংসদ সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে আগে কর দিলেও সংসদ সদস্য হিসেবে তাদের কর রেয়াত ছিল। তাঁর সরকারই প্রধানমন্ত্রীরও কর দেয়ার ব্যবস্থা করেন শুধুমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছাড়া। ফলে করদাতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-টিনধারীদের রিটার্ন প্রদানে উদ্বুদ্ধ করে সক্ষম করদাতাগণকে কর নেটের আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে আয়কর বিভাগ কর্তৃক নন ফাইলার কোম্পানী-এর রিটার্ন দাখিলের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। করদাতাগণ যাতে ঘরে বসে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, তার জন্য ই-ফাইলিং ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় অনুসৃত ‘ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্রাকটিসেস’ বিবেচনায় নিয়ে একটি নতুন কাস্টমস আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে তাঁর সরকার।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালি ব্যাংকসহ সকল তফসিলি ব্যাংক, বেপজা, সিসিআইএন্ডই, বিআরটিএ, আইএটিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ অনেক স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে কাস্টমস বিভাগের কম্পিউটার সিস্টেমের ইন্টারফেসিং ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
    কেবল চট্টগ্রাম নয়, মোংলা বন্দর ও পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন স্থলবন্দরগুলোকেও তিনি এরসঙ্গে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান। এরফলে আমাদের বিরাট অংকের রাজস্ব আয় হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
    সরকার প্রধান বলেন, ই-এলসি ব্যবস্থাপনা মনিটরিং, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও মেনিফেস্ট ডাটা শেয়ারিং-এর মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন ও কন্টেইনার ম্যানেজমেন্টও এর ফলে সহজ হয়েছে। এছাড়া, পেপারলেস কাস্টমস ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো, বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণ, অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর ব্যবস্থা, অটোমেটেড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর লক্ষ্যে কাস্টমস রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিশনারেট স্থাপন ইত্যাদি আধুনিকায়ন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাস সম্ভব হবে, যা আমদানি-রপ্তানিতে আরও গতিশীলতা আনবে। দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে টিআরএস (টাইম রিলিজড স্টাডি) সম্পন্ন করা হয়েছে।
    দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে পরোক্ষ কর ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন হিসেবে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন নামে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে- সরকার প্রধান বলেন, আধুনিক বিনিয়োগ ও রাজস্ব-বান্ধব আইনটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। জনগণ এখন অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন এবং অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে পারছে এবং ‘ইএফডিএমএস’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যক্ষ কর তথা আয়কর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ চালিকাশক্তি। আয়কর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আহরিত মোট রাজস্বে আয়করের অবদান শতকরা প্রায় ৩৫ ভাগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করোনা অতিমারি দুর্যোগের মধ্যেও আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণের গড় প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের অধিক। কল্যাণমুখী ও জনবান্ধব কর আইন প্রণয়ন সমাজে সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্যতম হাতিয়ার। কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব কর নীতি, কর আইনের প্রয়োগ, সামাজিক-অর্থনৈতিক অসমতা দূরীকরণ ও তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেজন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শুরা অধিবেশন

    জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শুরা অধিবেশন

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ২০২৩ সেশনের শুরা অধিবেশন সম্পূর্ণ হয়েছে। ০৪-০২-২০২৩ তারিখ বিকাল ৩.৩০ মিনিটে জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান সঞ্চলনায় জেলা মজলিসে শুরা অধিবেশন সম্পূর্ণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম খলিল। শুরা কমিটিতে যারা মনোনীত হয়েছে মোঃ সজীব বাবু, মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোঃ আল আমিন মোঃ সজীব মোঃ হাবিবুর রহমান মোঃ মমতাজুল ইসলাম মোঃ মোখলেসুর রহমান মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোঃ আশিকুর রহমান মোঃ ইসমাইল মোঃ আমানুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন মোঃ মাকছুদুর রহমান জুনায়েদ।ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ২০২৩ সেশনের শুরা অধিবেশন সম্পূর্ণ হয়েছে। ০৪-০২-২০২৩ তারিখ বিকাল ৩.৩০ মিনিটে জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান সঞ্চলনায় জেলা মজলিসে শুরা অধিবেশন সম্পূর্ণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম খলিল। শুরা কমিটিতে যারা মনোনীত হয়েছে মোঃ সজীব বাবু, মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোঃ আল আমিন মোঃ সজীব মোঃ হাবিবুর রহমান মোঃ মমতাজুল ইসলাম মোঃ মোখলেসুর রহমান মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোঃ আশিকুর রহমান মোঃ ইসমাইল মোঃ আমানুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন মোঃ মাকছুদুর রহমান জুনায়েদ।

  • বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা অমর হয়ে রয়েছেন : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

    বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা অমর হয়ে রয়েছেন : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অমর হয়ে রয়েছেন।
    তিনি বলেন, ‘পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। যুগে যুগে কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে অমর।’
    কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব ২০২৩’ এর ৬ষ্ঠ দিন শুক্রবার রাতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
    ‘আজ বাংলাদেশে খালি পায়ে বা ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। প্রতিটি জনপদ উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এতো উন্নয়ন হয়েছে যে আকাশ থেকে আজ কক্সবাজারকে চেনা যায় না। এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন। এ বছরেই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে। কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিকেএসপি, ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠা-এসব স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা।’
    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান এ সময় বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করেন ও নৌকা মার্কায় ভোট চান। তিনি বলেন ‘বিএনপি শীতের পাখি, তাদের দেখা যায় শুধু ভোটের সময়। করোনার সময় বিএনপিকে দেখা যায়নি, তখন কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদেরই মানুষের পাশে দেখা গেছে। এতো বড় বড় উন্নয়ন কেবল বর্তমান সরকারই করেছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও সকলকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানাই।’
    গভীর রাত অবধি কয়েক হাজার মানুষের এ মেলায় কক্সবাজার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সভাপতিত্বে উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফরিদুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
    ২৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মঞ্চে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান, কবিতা, নাটক, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন।

  • Untitled post 19580

    পাইকগাছায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
    খুলনার পাইকগাছায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ উপজেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক আলোচনা সভা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন-এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য পিযুষ কান্তি মন্ডল, মোঃ মাহাফুজুল হক কিনু, সুজন কুমার রায়, প্রভাষক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, মনোজ কুমার মন্ডল, পৌর কাউন্সিলর কবিতা দাশ, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম (অবঃ আর্মি), সাংবাদিক বি.সরকার, সঞ্জিব মন্ডল, মোঃ আমিরুল ইসলাম, বাশারুল ইসলাম বাচ্চু, অসিত কুমার মন্ডল, অরবিন্দু কুমার সানা, রিপন রায়, সমারেশ বিশ্বাস, পলাশ বাছাড়, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, শেখ রাজু হোসেন, সবুজ ঢালী, নিউটন মিস্ত্রী, সুকৃতি মন্ডল, মোঃ কামরুজ্জামান, সমীরন কুমার সরদার। আলোচনা সভায় উপজেলা কমিটিতে সাংবাদিক বি.সরকারকে প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, সঞ্জীব মন্ডলকে সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও মোঃ আমিরুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্তির জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা কমিটির নিকট পত্র প্রেরনের সিদ্ধান্ত হয়।