Blog

  • সাতক্ষীরায় টিআর কাবিখা ও ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ করলেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি

    সাতক্ষীরায় টিআর কাবিখা ও ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ করলেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি

    প্রতিনিধি: সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঐচ্ছিক তহবিলের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৬০টি চেক বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব, লাইব্রেরী, নাট্য সংগঠন, নারী সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শ্মশান, ঈদগাহ, এতিমখানা, কবরাস্থান, অসুস্থ্য অসহায় ও দরিদ্র পরিবার, রাস্তা ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ চেক বিতরণ করা হয়।
    ২৯ জুন শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল কর্নারে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইয়ারুল হক।
    উল্লেখ্য, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে বিতরণ করা হচ্ছে।

  • অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন নাম পরিচয়হীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত বৃদ্ধা

    অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন নাম পরিচয়হীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত বৃদ্ধা

     

    বিশেষ প্রতিনিধি:
     গত ছয় দিন আগে ডাক্তার নোমান নামে একজন ব্যক্তি তাকে কলারোয়া ও শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বেলতলা থেকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ আনুমান বিকাল তিনটার দিকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐ অজ্ঞাত বৃদ্ধা। তার নাম পরিচয় না পাওয়া সত্ত্বে কলারোয়া উপজেলার কাজীর হাট এলাকার মাহবুবুর রহমান ঐ বৃদ্ধার মৃতদেহ নিয়ে সৎকার করবেন বলে নিয়ে গেছে।
  • সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির সমিতির নিন্দা প্রতিবাদ

     

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির জেলা নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দেবহাটা- উপজেলার শাখার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির তীব্র ক্ষোভ নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে বিবৃতি প্রদান করেছেন, ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমার, সাধারণ সম্পাদক বিশ^নাথ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যনার্জি, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, সিদ্ধেশ^র চক্রবতী, সুধাংশু শেখর সরকার, গৌর চন্দ্র দত্ত, এড. তারক মিত্র, পৌল সাহা, এড. অনিত মুখার্জী, নয়ন কুমার সানা, এড. কু- তপন, অধ্যক্ষ শিব পদ গাইন, প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, অসীম কুমার দাশ সোনা, বিকাশ চন্দ্র দাশ, রায় দুলাল চন্দ্র, বলাই চন্দ্র দে, প্রবীর পোদ্দার, থিউফিল গাজী, অমিত কুমার ঘোষ বাপ্পা, সুজন বিশ^াস প্রমুখ।

  • আশাশুনিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে বড়দল ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন

    আশাশুনিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে বড়দল ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ ১৭) এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে দরগাহপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন ফাইনালে বড়দল ইউনিয়ন ফুটবল দল ১-০ গোলের ব্যবধানে দরগাহপুর ইউনিয়ন ফুটবল দলকে পরাজিত করে উপজেলা চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রদান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। বিশেষ অতিথি ও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা একেএম মাহবুবুল হক, সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক স ম সেলিম রেজা, সমাজ সেবক শেখ মতলুবর রহমান, খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ফিরোজ, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শেখ আশিকুর রহমান আশিক, দরগাহপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ হিজবুল্লাহ, ইউপি সদস্য শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল, শ্রাবন্তী বৈরাগী, সত্য রঞ্জন বৈরাগী ও ফারুক হোসেন আঙ্গুর প্রমুখ। খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় বড়দল টিমের রিপন। রেফারি ছিলেন আব্দুল গফফার। সহকারী রেফারী আনিসুর রহমান, এজে আসাদ কানন ও শামু চৌধুরী। খেলা শেষে প্রধান অতিথি ইউএনও কৃষ্ণা রায় অতিথিদের সাথে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, রানার্স আপ ট্রফি ও শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের পুরস্কার বিতরণ করেন।
  • সাতক্ষীরা পৌরসভার ড্রেন ও সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা পৌরসভার ড্রেন ও সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বাঁকাল পূর্বপাড়ায় ড্রেন নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বাঁকাল পূর্বপাড়া এলাকায় ড্রেণ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহমেদ, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল ও পৌরসভার এস ও সাগর দেবনাথ প্রমুখ। সাতক্ষীরা পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে বাঁকাল পূর্বপাড়ায় কালাম গাজীর বাড়ির সামনে হতে মহিদুল এর বাড়ি পর্যন্ত ৫৯০ ফুট পাকা ড্রেন ৫লক্ষ ৭৫হাজার ৪৫২ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. আব্দুর রহমান, পৌরসভার কার্যসহকারী মো. আব্দুল মোত্তালেব, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী বাবু, আব্দুল হামিদ গাজী, বাবলু গাজী, শেখ কবির হোসেন, আব্দুর রহমান, মফিজুল ইসলাম, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সৈয়দ শাহিনুর রহমান প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
    দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাঁকাল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আনোয়ার হোসেন। অপরদিকে  পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কুখরালী মাঝের পাড়া মেইনরোডের মুখ হতে রিয়াজুল জান্নাত মসজিদ পর্যন্ত ২৬২ ফুট সিসি ঢালায় রাস্তা ২লক্ষ ৬১ হাজার ৯৮ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রাস্তাটি দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান। এসময় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহমেদ, রিয়াজুল জান্নাত মসজিদের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিম ও মসজিদের ইমামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ১০ বছরে সবথেকে বাজে ব্যাটিং : তাসকিন

    ১০ বছরে এতো বাজে ব্যাটিং দেখিনি: তাসকিনতাসকিন আহমেদ। ছবি: ফাইল

    টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার সুপার এইটে খেলেছে। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়েছে। ওই হিসেবে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেই সবচেয়ে সফল বাংলাদেশ। এই সফলতা এসেছে বোলিং বিভাগের হাত ধরে। ব্যাটাররা খুবই বাজে আসর পার করেছেন। পেসার তাসকিন আহমেদের মতে, ব্যাটিংয়ে এতো বাজে সময় গত ১০ বছরে দেখেননি তিনি।

    বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে শুক্রবার দেশে পৌঁছান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন আহমেদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে ইতিবাচক দিক আছে, টুর্নামেন্টে বোলাররা ভালো করেছে। নেতিবাচক দিকও আছে। তবে নেতিবাচকই বেশি।’

    দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘বোলিং ইউনিট গত দু’বছর ধরেই ভালো করছে। আর সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। অন্য দলের ব্যাটাররাও ভালো করতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে কিছুটা ভালো উইকেট ছিল। তবে এতো লম্বা সময় দলের বাজে ব্যাটিং দেখিনি। আমি ক্রিকেট খেলার পরে, অন্তত গত ১০ বছর এতো বাজে ব্যাটিং দেখিনি। দলের মূল ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্স না করলে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক।’

    সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন ভক্তদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আবার ভালো ক্রিকেট খেলে দর্শকদের আনন্দ দেবেন বলে উল্লেখ করেছেন, ‘ক্রিকেট প্রেমীরা হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল হয়নি। আরও কয়েকটা ম্যাচ জেতার কথা ছিল পারিনি। আপনারা হতাশ হচ্ছেন স্বাভাবিক, আবার আমরাই আপনাদের ভালো জয় উপহার দেব। বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি।’

  • ফাইনালের আগে বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা আটকা প্রোটিয়ারা

    ফাইনালের আগে বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা আটকা প্রোটিয়ারাছবি- সংগৃহীত

    চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আয়োজকদের ভূমিকা। একাধিকবার বিমান বিভ্রাটের মুখে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। কখনও বা প্রশ্ন উঠেছে অনুশীলনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েও। খেলার পিচও বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে। এবার বিমানবন্দরে পৌঁছেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে বাধ্য হয় গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা দল। কেবল ক্রিকেটাররা নন, আটকে পড়েন ধারাভাষ্যকার এবং আম্পায়াররাও।

    আগামীকাল বার্বাডোজে অনুষ্টিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল বার্বাডোজে। সেমিফাইনালে আফগানদের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচের ভেন্যু ছিল ত্রিনিদাদ। ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যুর উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য ক্রিকেটাররা নির্ধারিত সময়েই হাজির হন ত্রিনিদাদ বিমানবন্দরে। কিন্তু বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা আটকা থাকলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা। কুইন্টন ডিককদের সঙ্গে আটকে থাকলেন ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররাও। ক্রিকেটারদের পরিবারও আটকে ছিল তাদের সঙ্গে। দিনভর অপেক্ষা করার পরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অবশেষে যাত্রা শুরু করেন টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা। এতে নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা পরে বার্বাডোজে পৌঁছান সবাই।

    এবারই প্রথম নয়, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার সময় বিমানবিভ্রাটের কারণে সারা রাত অপেক্ষায় ছিল শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। এরপর সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে ফ্লাইটের সমস্যার কারণে ৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছিল আফগানিস্তান দলের। যে কারণে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেননি রশিদ খানরা। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে আফগানদের। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা একই সমস্যায় পড়লো।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বার্বাডোজ বিমানবন্দরে একটি বিমান অবতরণের সময় সমস্যা হয়। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের ত্রিনিদাদে অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। যদিও প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা তখন বিমানেই ছিলেন। কিন্তু বার্বাডোজে সমস্যার কথা জানতে পেরে ত্রিনিদাদেই আটকে থাকে ডি কিক-মার্করামদের বহনকারী বিমান।

  • বিশ্বে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় নিচের দিক থেকে ষষ্ঠ ঢাকা

    বিশ্বে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় নিচের দিক থেকে ষষ্ঠ ঢাকা

    ছবি- সংগৃহীত

    বিশ্বে বাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকা ১৬৮তম, যা তালিকায় নিচের দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে। গত বছর ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৬তম। এ বছর দুই ধাপ পিছিয়েছে ঢাকা। তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। আর সবার শেষে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক।

    আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট গ্রুপের গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৪ বাসযোগ্যতার দিক থেকে শহরগুলোর এই র‍্যংকিং প্রকাশ করেছে।

    তালিকায় সবচেয়ে বাসযোগ্য শীর্ষ পাঁচ শহর যথাক্রমে ভিয়েনা, কোপেনহেগেন, জুরিখ, মেলবোর্ন ও ক্যালগেরি।

    তালিকায় নিচ থেকে শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ত্রিপলি, আলজিয়ার্স, লাগোস ও করাচী।

    বাসযোগ্যতার তালিকা তৈরির সময় পাঁচটি মাপকাঠিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ শিক্ষা ও অবকাঠামো।
    ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭৩টি শহরের গড় স্কোর ছিল ১০০ এর মধ্যে ৭৬ দশমিক ১, যা গতবছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। তবে, ভূরাজনৈতিক সংঘাত, গণঅসন্তোষ ও আবাসন সংকট অনেক শহরেই প্রকট ছিল বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।

  • বিতর্ক: ট্রাম্পের ‘মিথ্যার’ তোড়ে অসহায় বাইডেন

    ট্রাম্পের ‘মিথ্যার’ তোড়ে অসহায় বাইডেনছবি-সংগৃহীত

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে ‘মিথ্যাচার’ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতি, ভেটেরান্সদের যত্ন, অপরাধ এবং এমনকি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ইউএস ক্যাপিটলে হামলার বিষয়েও একের পর এক মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প। যার ফলে প্রথমেই কিছুটা হোঁচট খেয়েছেন জো বাইডেন। খবর হাফ পোস্টের।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ বিতর্ক বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে শুরু হয়।

    বিতর্কে ট্রাম্প দাবি করেন, তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইতিহাসের সেরা অর্থনীতি’ ছিল। তার সময় অর্থনীতি মূলত তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার মতোই ছিল।

    সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ভেটেরান্স চয়েস অ্যাক্ট পাস করেছেন। বাস্তবে, সেই ব্যবস্থাও ওবামার অধীনে পাস হয়েছিল

    ট্রাম্প দাবি করেন, বর্তমানে অপরাধ আকাশছোঁয়া। প্রকৃতপক্ষে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের শাসনামলের শেষ বছরে অপরাধ শীর্ষে পৌঁছেছিল এবং বাইডেনের অধীনে প্রতি বছরই হ্রাস পেয়েছে।

    তিনি জানান, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ইউএস ক্যাপিটলে হামলার ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভুল করেননি। বরং সহিংসতা বন্ধ না করার জন্য প্রাক্তন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে দায়ী করেন।

    ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছিল তা আমার কর্মের কারণে নয় বরং রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে।

    এসময় তিনি দাবি করেন, বাইডেন চীন থেকে অর্থ নিচ্ছেন। বাস্তবে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন হোয়াইট হাউসের পাঁচটি ব্লকের হোটেলের মাধ্যমে চীন থেকে ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি পেয়েছিলেন।

    সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের মধ্যকার এ বিতর্কে সিএনএনের সঞ্চালক- ডানা বাশ এবং জ্যাক ট্যাপার ট্রাম্পের কথাগুলোর সত্যতা যাচাই করেননি এবং বাইডেনকেও ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে অক্ষম বলে মনে হয়েছিল।

    বিতর্কের একপর্যায়ে জনসমক্ষে নারীকে শ্লীলতাহানি, পর্ন তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক এবং বিভিন্ন আদালতের মামলা নিয়ে প্রশ্ন করেন বাইডেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ড কেইটি কে বলেছেন, এবারের বিতর্কের ফরম্যাট ছিল আমেরিকানদের জন্য তুলনামূলক ভালো। তবে সঞ্চালকরা তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেননি এবং এটা ছিল জো বাইডেনের জন্য একটি খারাপ রাত।

    তার অনেক জবাবই পরিষ্কার ছিল না। তাকে বয়স্ক মনে হচ্ছিল। তবে বিতর্কের দ্বিতীয় ধাপ তার জন্য কিছুটা ভালো ছিল এবং তিনি কিছুটা শক্তি পেয়েছিলেন। তবে এটা হতে হতে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল।

    তবে বাইডেনের কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট সর্দিতে ভুগছিলেন। তিনি কিছুটা অসুস্থ।

    বাইডেন এবং ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রচারাভিযানের সময় দুবার বিতর্ক করেছিলেন, যখন ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং বাইডেন তার পুনর্নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

    রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের যারা মনোযোগ দিয়ে বিতর্ক দেখেছেন তারা অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান স্টেফাইন মারফি বলেছেন কিছু মূহুর্ত ছিল যেখানে বাইডেন তার বয়স তুলে ধরেছেন। তাকে বোঝাটা কষ্টসাধ্য ছিলো।

    কিন্তু অন্যদিকে তার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মন্তব্য করেছেন যা ‘সত্যি নয়’ এবং এগুলো সত্যতা যাচাই করা উচিত। তিনি বলেন, তার উদ্বেগের জায়গা হলো নির্বাচনের ফল গ্রহণ করবেন কি-না তা বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনীহা দেখিয়েছেন।

    সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান রোডনি ডেভিস বলেছেন, বিতর্কটি ছিল ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিষ্কার জয়’। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকাজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃখজনক যে, বিতর্কের ধরণটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সহায়তা করেছে।’

    বিবিসির ম্যাডেলাইন হ্যালপার্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর কোরউইন স্মিডট বলেছেন, বাইডেন তার অনেক দুর্বলতা দেখিয়েছেন এবং খুব বেশি শক্তির জায়গা দেখাননি।

    ভিজুয়াল, কণ্ঠ ও জবাব দেওয়ার গতির কারণে তাকে অনুসরণ করাটা কঠিন ছিল। তিনি বলেন, ‘অনেক তথ্যভিত্তিক জবাব ও পয়েন্ট প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন। কিন্তু বলার ধরনের কারণে সেগুলো দ্রুত হারিয়ে গেছে।’

    ট্রাম্পের পারফরমেন্স থেকেও অনেকে বেশি শক্তির জায়গা পাওয়া যায়নি এবং তিনিও কিছু দুর্বলতার প্রদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বিতর্কে ট্রাম্প ৪০ মিনিট ১২ সেকেন্ডের মতো কথা বলেছেন। অপর দিকে বাইডেন কথা বলেছেন ৩৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ড।

    যদিও প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে দুই প্রার্থীরই সমান সুযোগ ছিল।

    বিতর্কে দুই প্রার্থী একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। তবে বাইডেনের ভূমিকায় হতাশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট–সমর্থক। তাঁরা বলছেন, বিতর্কে ট্রাম্পের মিথ্যা কথাগুলোর পাল্টা জবাব দিতে পারেননি বাইডেন। এমনকি নিজের লক্ষ্য কী, তিনি দেশের জন্য কী কাজ করেছেন, তা সুস্পষ্টভাবেও ব্যাখ্যা করতে পারেননি বর্তমান এই প্রেসিডেন্ট।

    ডেমোক্র্যাটদের মূল উদ্বেগের জায়গাটি হলো, অন্যান্য সময়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প।

    এমনকি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও স্বীকার করেছেন, বাইডেন ধীরগতিতে শুরু করেছিলেন। তবে তাঁর দাবি, ‘বাইডেন পরে দৃঢ়ভাবেই বিতর্ক শেষ করতে পেরেছেন।’

  • তিস্তা-গঙ্গা ইস্যুতে মমতার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    তিস্তা-গঙ্গা ইস্যুতে মমতার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে পানি বিক্রি করতে চাইছে- মমতার এই অভিযোগকে আগেই ‘মিথ্যা দাবি’ বলে আখ্যায়িত করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

    আজ শুক্রবার ফের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পানি চুক্তি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘সরকারি তথ্য ও মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের মধ্যে মিল নেই।’

    মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়টির আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা হবে। সে জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিটি বৈঠকে এই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাই যোগ দিয়েছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও যোগ দিয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ওই কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কী পরিমাণ শিল্প ও পানীয় জলের প্রয়োজন, সে কথাও জানানো হয়েছিল। মুখপাত্র জানান, অভ্যন্তরীণ কমিটি তাদের প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই পেশ করেছে। আপাতত সেই প্রতিবেদন বিবেচনাধীন।

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দেন, ২০২৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। চুক্তিটি নবায়নে উভয় দেশের কারিগরি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা শুরু করবেন। একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প সমীক্ষার ব্যাপারে ভারতের একটি কারিগরি দল খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।

    বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা কিংবা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন মমতা ব্যানার্জি। তার বক্তব্য, ফারাক্কা চুক্তির কারণে আমরা ১৯৯৬ সাল থেকে কষ্ট ভোগ করছি। বাংলার পানি বিক্রি দেওয়ার অর্থ হলো, আগামী দিনে গঙ্গার ভাঙন বাড়বে, মানুষের ঘরবাড়ি পানির তলিয়ে যাবে। ফারাক্কায় ড্রেজিং না করার ফলে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা কমে গেছে, টান পড়েছে লাখ লাখ মানুষের জীবিকায়। আবার তিস্তার পানি নিয়ে তার অভিমত, তিস্তায় পানি নেই। সেখান থেকে পানি দিলে উত্তরবঙ্গের একাংশের মানুষ আগামী দিনে খাবার পানি পাবে না, বিশাল অংশের মানুষের কৃষি কাজে সমস্যা হবে। অর্থাৎ রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে কোনোভাবেই পানি দেওয়া সম্ভব নয়।

    এদিকে গাজার পাশাপাশি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি ধ্বংস করতে লেবাননেও হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল সরকার। সম্প্রতি দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় আইডিএফ, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হতেই এবার লেবানন সীমান্তে সেনা জড়ো করছে নেতানিয়াহু সরকার। এর ফলে লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে, সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের চিন্তায় রয়েছে ভারত।

    আজ শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, লেবাননে এই মুহূর্তে ২ থেকে ৩ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। ভারতের দূতাবাসের তরফে লেবাননে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে লেবাননে ভ্রমণ নিয়ে কোনো সতর্কতা বা উপদেশ জারি করা হয়নি। তবে লেবাননে বসবাসকারী ভারতীয়রা যাতে সব সময় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রণধীর জয়সোয়াল।

  • সাতক্ষীরা জেলায় জনসংখ্যা জনসংখ্যা ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮২জন, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

    সাতক্ষীরা জেলায় জনসংখ্যা জনসংখ্যা ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮২জন, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ফলাফল অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। শত নারীর বিপরীতে ৯৯.১৫ পুরুষ রয়েছে। জনসংখ্যায় এগিয়ে সাতক্ষীরা সদর এবং সর্বনি¤œ জনসংখ্যা দেবহাটায় উপজেলায়।

    বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২ এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবু তালেবের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ^াস, সদর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার প্রমুখ।

    ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক রকিবুল হাসান।
    এতে বলা হয় সাতক্ষীরা জেলায় জনসংখ্যা এখন জনসংখ্যা ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮২জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫৪জন, নারীর সংখ্যা ১১ লাখ ২ হাজার ৯৩৬ জন।
    জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ০.৯০ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫৭৫।
    আশাশুনি উপজেলার জনসংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৫৮জন, দেবহাটা উপজেলা ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৪জন, কলারোয়া উপজেলা ২ লাখ ৬১ হাজার ২৭০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৫জন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫ লাখ ২২ হাজার ৯৬৪জন, শ্যামনগর উপজেলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭০ এবং তালা উপজেলায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ১১১জন মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনসংখ্যা ৩ হাজার ৮৬৫ এর মধ্যে নারী ১ হাজার ৮৮২জন ও পুরুষ ১ হাজার ৯৮৩জন।
    জেলার জনসংখ্যা ৮৪.৯২ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ১৫.৩৫, খ্রিস্টান ০.২৮, বৌদ্ধ ০.০০৫ শতাংশ এবং অন্যান্য০.০৮ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন।
    এছাড়া জেলায় মোবাইল ব্যাবহারকারী সংখ্যা ৬৮.০৮ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। জেলায় খানার সংখ্যা ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫২জন। এর মধ্যে পল্লীতে বসবাস করেন ৪লাখ ৫৪ হাজার ৩৬১ এবং শহরে বসবাস করেন ১লাখ ৯৩ হাজার ৩৯১জন। জেলায় বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আছে ৯৯.৪৩ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যা ছিলো ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ জন। সর্বশেষ শুমারী অনুযায়ী জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৬১৩জন।
    প্রসঙ্গত, সারাদেশে ২০২২ সালের ১৫ জুন একযোগে শুরু হয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শেষ হয় ২১জুন ।

     

    আরও পড়ুন..

    মিনিস্টার গ্রুপের সৌজন্যে তালায় ৮ দলীয় নক-আউট ফুটবল টুনামেন্টের উদ্ধোধনী খেলা অনুষ্ঠিত 

  • মিনিস্টার গ্রুপের সৌজন্যে তালায় ৮ দলীয় নক-আউট ফুটবল টুনামেন্টের উদ্ধোধনী খেলা অনুষ্ঠিত 

    মিনিস্টার গ্রুপ ও বালিয়াদহা একতা সংঘের যৌথ উদ্যোগে তালার বালিয়াদাহ হাইস্কুল মাঠে ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুনামেন্টের উদ্ধোধনী খেলা শক্রুবার বিকাল ৪ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
     উক্ত ১৬ দলীয় ফুটবল খেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম মোল্যার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মিনিস্টার গ্রুপের ডিভিশনাল ম্যানেজার মো: মামুন উর রশিদ। খেলায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আনন্দ টিভির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ও পাটকেলঘাটা মিনিস্টার প্লাজার পরিচালক, মাসিক ভালো কাজ গ্রুপের এডমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক হাসানুর রহমান হাসান।
     খেলায় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুকনগর মিনিস্টার শোরুমের ম্যানেজার মো: শাহীন বিশ্বাস, যুবনেতা জাহাঙ্গীর হোসেন লাকী, আব্দুস ছামাদ, আমিনুর রহমান প্রমু । খেলাটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন বালিয়াদহা একতা সংঘের সভাপতি মোল্যা রেজওয়ান, জাকির হোসেন লাবু, সাধারণ সম্পাদক রিপন খা, জাকির হোসেন, জব্বার, বাপ্পি, রানা, জাকির, ইমরান, জাহিদ, সাগর প্রমুখ। সাতক্ষীরার বিনেরপোতা ফুটবল একাদশ ২-০ গোলে কৃঞ্চকাটি ফুটবল একাদশ কে হারিয়ে বিজয়ী লাভ করে। উল্লেখ্য, ফাইনাল খেলায় ডবল ফ্রিজ পুরষ্কার দেওয়া হবে।

     

     

    আরও পড়ুন…

    তালায় অনুর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত

     

     

  • তালায় অনুর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত

    তালায় অনুর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত

    তালায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব-১৭ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্তবায়নে শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে বিদে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেজুঁতি। সাংবাদিক মীর জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা থানার ওসি মোঃ মমিনুল ইসলাম পিপিএম, তালা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, তালা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাজী মারুফ, শালিখা কলেজের অধ্যক্ষ বিধান সাধু, শিক্ষক রেহেনা খাতুন, মিজানুর রহমান, শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক আব্দুল জব্বার, কাজী লিয়াকত হোসেন প্রমুখ। ফাইনাল খেলায় খলিলনগর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ ১-০ গোলের ব্যবধানে তালা সদর ইউনিয়নকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলায় একমাত্র গোলটি করেন বিজয়ী দলের একরামুল ইসলাম। খেলার রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মীর কাইউম ইসলাম ডাবলু, সহকারী রেফারি ছিলেন শেখ হাবিবুর রহমান ও মোঃ ময়নুল ইসলাম। শত শত দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন।

     

    আরও পড়ুন..

    মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে উপদেশ দিলেন লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

  • মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে উপদেশ দিলেন লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

    মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে উপদেশ দিলেন লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

    মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের হাতে বই ও খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে- লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি

    তালায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্তবায়নে তালা ব্রজেন দে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেজুঁতি।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মমিনুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম।
    উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবাদিক মীর জাকির হোসেনে সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কাজী মারুফ, বিধান চন্দ্র সাধু, সদস্য সাংবাদিক আব্দুল জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার উদয় সাধু প্রমুখ।
    খেলায় তালা সদর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশকে ০-১ গোলের ব্যবধানে খলিলনগর ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ বিজয়ী লাভ করেন। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু, সহকারী রেফারী শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, মো: আসাদুল ইসলাম। খেলা শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তালা সদরের মো: শাওন, সেরা গোলা দাতা তালা সদরের মো: আলী হাসান। ধারভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন, শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাসান ও প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তার।
    খেলায় প্রধান অতিথি লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এই যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের যুবকরা আগামী দিনের ভবিষৎ। সেই সাথে মাদক ও জুয়া মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের হাতে বই ও খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। তবেই গড়ে উঠবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স¥াট বাংলাদেশ।
    খেলা শেষে প্রধান অতিথি লায়লা পারভীন সেজুঁতি এমপি ঐচ্ছিক ফান্ড থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ ও গাছের চারা বিতরণ করেন।

  • নর্থ ব্লকে স্বয়ংবর সভা

    নর্থ ব্লকে স্বয়ংবর সভা

    আমি যে এক সম্পূর্ণ অন্য দুনিয়ায় পা রেখেছি, খুব তাড়াতাড়িই টের পেলাম। আমার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল একটি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি।

     

    কৌশিক বসু

    নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হল, এ বার সেই সরকার বিভিন্ন বিষয়ে নতুন নীতি রূপায়ণ করবে। অর্থ মন্ত্রকের নর্থ ব্লকে কী ভাবে নীতি রূপায়ণের কাজটি হয়, এবং আগামী কয়েক মাসে এই সরকারের থেকে কী কী আশা করা যেতে পারে, সে বিষয়ে অনেক কিছুই পড়ছি গত কয়েক দিন যাবৎ। পড়তে পড়তে মনে পড়ে যাচ্ছে নর্থ ব্লকে আমার শুরুর দিনগুলোর কথা— ভারত সরকারের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার সূচনাপর্ব।

    আমার সৌভাগ্য যে, আমি চমৎকার সব মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাঁদের মধ্যে যেমন ছিলেন আমার দুই বস— প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়— তেমনই ছিলেন আমার অফিসের কর্মীরা, দফতর চালানোর কাজে প্রতিনিয়ত যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি। বলতে দ্বিধা নেই, খুবই ইতিবাচক পরিবেশ ছিল অর্থ মন্ত্রকে— বন্ধুত্বপূর্ণ কাজের পরিবেশ, সবাই সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমার কাছে সে এক সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়া। তার আগে অবধি আমি আজীবন শুধু অর্থনীতির গবেষণা করেছি, এবং ক্লাসে ছাত্রদের অর্থশাস্ত্র পড়িয়েছি, তা সে ভারতে হোক বা আমেরিকায়। সরকারি দুনিয়ায় এই প্রথম পা রাখলাম আমি।
    সে সময়ের কিছু মজার অভিজ্ঞতা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা করছে।

    আমি যে এক সম্পূর্ণ অন্য দুনিয়ায় পা রেখেছি, খুব তাড়াতাড়িই টের পেলাম। আমার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল একটি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। অফিসে যাব বলে গাড়িতে উঠেছি— অভ্যাসবশে সিটবেল্ট লাগাতে গেলাম। আমার গাড়ির চালককে দেখে মনে হল, খুবই অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পরে টের পেয়েছি যে, মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নামক গেরামভারী পদের অধিকারীর গাড়ির সারথি বলে তাঁর বেশ গর্ববোধ ছিল। আমায় সিটবেল্ট পরতে দেখে শেষ অবধি নিজের আপত্তি আর চেপে রাখতে পারলেন না তিনি। আমার দিকে ঘুরে বললেন, “স্যর, আমি জানি আপনি আগে শিক্ষক ছিলেন; তবে এখন আপনি দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। আর সিটবেল্ট পরার কোনও প্রয়োজন নেই!” বলা বাহুল্য, লোকটিকে আমার ভারী মনে ধরল! তবে, এটাও বুঝলাম যে, এক নতুন, অচেনা দুনিয়ায় পা দিয়েছি আমি।

    এখন আমি কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে গেম থিয়োরি বা দ্বন্দ্ব তত্ত্বের যে কোর্সটি পড়াই, তার একটি অংশের নাম ‘বারগেনিং থিয়োরি’। এই তত্ত্বটির উদ্ভাবক ছিলেন আশ্চর্য প্রতিভাধর গণিতজ্ঞ জন ন্যাশ। আ বিউটিফুল মাইন্ড নামের ছবিটিতে রাসেল ক্রো অভিনয় করেছিলেন তাঁর ভূমিকায়, এটা বললে হয়তো ন্যাশকে মনে করতে সুবিধা হবে। মাত্র ২২ বছর বয়সে বারগেনিং বিষয়ে দু’টি ছোট পেপার লিখেছিলেন ন্যাশ। তার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি আক্রান্ত হন স্কিৎজ়োফ্রেনিয়া রোগে, গবেষণার জগৎ থেকে হারিয়ে যান। কিন্তু, তাঁর ওই দু’টি ছোট গবেষণাপত্র ‘বারগেনিং থিয়োরি’-র ভিত গড়ে দিয়েছিল। গোটা দুনিয়ায় গেম থিয়োরির ক্লাসরুমে, এবং আমেরিকার আদালতকক্ষে, তার ব্যবহার চলছে।

    কিন্তু, বারগেনিং থিয়োরির সেরা বাস্তব উদাহরণটি আমি কোনও ক্লাসঘরে পাইনি, পেয়েছিলাম দিল্লির অর্থ মন্ত্রকে আমার অফিসের কর্মীদের থেকে। সে কথা বলি। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার অফিসে আমার চিফ অব স্টাফ ছিলেন সোমনাথন নামে এক জন— খুবই নির্ভরযোগ্য মানুষ। এক দিন তিনি আমার অফিসে এলেন। তিনি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে, এবং তাঁর ঘাড়ের উপর দিয়ে আর কয়েক জন উঁকি মারছে, এমন অবস্থায় সোমনাথন আমায় জানালেন, আমার মতো উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সরকার ৬০০০ টাকা অবধি দামের ব্রিফকেস কিনে দিয়ে থাকে। সেই মুহূর্তে আমার আদৌ একটা নতুন ব্রিফকেসের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু সোমনাথন ও তাঁর ঘাড়ের উপর থেকে উঁকি মারা সহকর্মীদের হতাশ করতে মন চাইল না। বললাম, আমায় কয়েকটা স্যাম্প্‌ল দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক।

    পর দিনই এক সর্দারজি হাজির আমার অফিসে। তাঁর হাতে ছ’টি ব্রিফকেস, তবে বলে না-দিলে সেগুলোর মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমার টেবিলের উপরে সেগুলো সাজিয়ে রাখা হল। মনে হচ্ছিল, স্বয়ংবর সভা চলছে— সামনে রাজপুত্রের দল, এক জনের গলায় আমি বরমাল্যটি পরিয়ে দিলেই হয়! সোমনাথন এলেন; তাঁর পিছন পিছন এলেন আমার পার্সোনাল সেক্রেটারি ও সহায়করা; তাঁদেরও পিছনে এলেন আমার পিয়নরা। এই শেষের দলটি এমনিতে লাজুক— কিন্তু এই মহাভারত-তুল্য ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করার লোভ তাঁরাও সামলাতে পারেননি বলে দেখা গেল।

    আমার উদ্দেশে মৃদুস্বরে উপদেশাবলি ভেসে আসতে আরম্ভ করল; বিভিন্ন ব্রিফকেসের দিকে ইতিউতি আঙুলও উঠল। আমার কোন ব্রিফকেসটা বাছা উচিত, সে বিষয়ে দফতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা আমায় সৎ পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, ব্রিফকেস বাছার চেয়ে ঢের জরুরি কাজ পড়ে রয়েছে তখন। কাজেই, খুব একটা ভাবনাচিন্তা ছাড়াই একটা ব্রিফকেস বেছে নিলাম। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শোনা গেল— আমায় জানানো হল, আমার জন্য বরাদ্দ যেখানে ৬০০০ টাকা, আমি সেখানে মাত্র ২৫০০ টাকা দামের ব্রিফকেস বেছেছি! আর কথা বাড়াব না ভেবে বললাম, যে দামেরই হোক, এটাই আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে। আমার সহায়কদের মধ্যে এক জন বললেন, “তা হলে স্যর, আপনি দুটো ব্রিফকেস নিন।” আমি নিশ্চিত নই, তবে এই ভদ্রলোক সম্ভবত অর্থনীতি নিয়ে লেখাপড়া করেছিলেন— অর্থনীতিবিদদের কাছেই সব সমস্যার এমন চটজলদি সমাধান থাকে! প্রস্তাবটি শুনে অন্যরা বেশ সপ্রশংস ভঙ্গিতে তাঁর দিকে তাকালেন।
    ভেবে দেখলাম, আমার সামনে দুটো রাস্তা রয়েছে— এক, আমার দফতরের কর্মীদের এই সব ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া উপেক্ষা করে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া; অথবা একটা নয়, দু’দুটো বেশ ‘বলতে নেই’-টাইপ খারাপ দেখতে ব্রিফকেসের মালিক হওয়া। দু’দিকের লাভ-ক্ষতি হিসাব কষে শেষ পর্যন্ত বললাম, “ঠিক আছে, দুটো ব্রিফকেসই নেব। কিন্তু, সরকার যে-হেতু ৬০০০ টাকা দেবে, আর দুটো ব্রিফকেসের দাম যে-হেতু ৬৭০০ টাকা পড়ছে, তাই বাকি ৭০০ টাকাটা আমার থেকে নিয়ে নিন।” আমার কথা শুনে দফতরের কর্মীরা স্তম্ভিত। তাঁরা সর্দারজিকে বললেন, “আপনি তো একটা ব্রিফকেস বেচবেন বলে এসেছিলেন। উনি দুটো নিচ্ছেন। ওই ৭০০ টাকাটা ডিসকাউন্ট দিন, মশাই।” সর্দারজি দাড়ি চুলকে একটু ভাবলেন, তার পর রাজি হয়ে গেলেন। এ ভাবেই আমি দুটো ব্রিফকেসের গর্বিত মালিক হলাম, যার মধ্যে একটাও আমি চাইনি।
    ( ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া)
  • নিট দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা, আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ ইন্ডিয়া জোটের

    নিট দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা, আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ ইন্ডিয়া জোটের

    ১৮ তম লোকসভার বৈঠক শুরু হয়েছে৷ শুক্রবার সকাল থেকেই সংসদ ভবনে জোর হইচই। নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। নিট নিয়ে আলোচনা করুক সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয় নিয়ে সংসদ ভবনে ব্যাখ্যা দিক৷ এই জোরালো দাবি তোলা হয়েছে।

    কোনওভাবেই বিরোধীদের সামাল দিতে পারেননি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। প্রথমে বেলা ১২ টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এরপর অধিবেশন বসলে ফের শুরু হয় বিরোধীদের বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত সারা দিনের জন্যই লোকসভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
    এনডিএ সরকার গঠন হওয়ার পরেই সর্বভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রে বড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার কথা জানা যায়। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই অভিযোগ উঠতে থাকে। এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি। শরিকদের সঙ্গে নিয়ে এনডিএ সরকার তৈরি করতে হয়েছে। এদিকে বিরোধীরা এবার একজোট। আসনের সংখ্যার বিচারেও তারা বিজেপির উপর চাপ বাড়িয়ে রেখেছে। ফলে লোকসভার অধিবেশন শুরু হলে যে নিট ইস্যু উঠবে। একথা বলাই বাহুল্য ছিল। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে লোকসভা বসে। স্পিকার নির্বাচনের দিনই বিরোধীরা দাবি তুলেছিলেন, এবার তাঁদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। সভা শুরুর পর থেকেই বিরোধীরা সরব হন। নিট দুর্নীতি ইস্যুতে সরকার জড়িয়ে। সরকারকে এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, সপার সাংসদরা শোরগোল ফেলে দেন ভবনের মধ্যে৷
    প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য চাওয়া হয়। স্পিকার ওম বিড়লা নিট ইস্যুতে আলোচনার জন্য সময় দিক৷ এই দাবিও বিরোধীদের থেকে তোলা হয়৷ স্পিকার বিরোধীদের থামানোর চেষ্টা করেছিলেন বার বার। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুলতবি প্রস্তাবের দাবি তোলা হয়। নিট দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এই দাবি তুলেছেন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
    ইন্ডিয়া জোট প্রথম দিন থেকেই এককাট্টা রয়েছে। দেশের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে নিটের সঙ্গে। অবিলম্বে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হোক। এই দাবি জোরালোভাবে তোলা হয়। কিন্তু সরকার পক্ষ এই দাবি মানতে চায়নি। তাই জোরোলা বিক্ষোভের পথেই হাঁটে বিরোধী শিবির। রাজ্যসভা ও লোকসভা, দুই কক্ষেই এদিন জোরালো বিক্ষোভ দেখানো হয়।

  • ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু : কাদের

    ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১-এর পরীক্ষিত বন্ধু।

    শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে সংসদ ভবনের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত সাইকেল র‍্যালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    কাদের বলেন, ভারত বিরোধিতার নামে আজকে যারা আন্দোলনের ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে তারা আবারও ভুল পথে যাচ্ছে।

    বায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের বছরব্যাপী কর্মসূচি আগেই ঘোষিত হয়েছে। কেন্দ্রের পর মহানগর এবং আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করবে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে মুক্তি। বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১-এর পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা করে বাংলাদেশের স্বার্থে করে। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি কোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ হন না।

    র‍্যালিতে মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

  • সমাপ্ত হল ঢাবি সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শেষ হয়েছে। সিনেট চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

    অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সিনেট অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং গঠনমূলক পরামর্শ প্রদানের জন্য সকল সিনেট সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধন, মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মপ্রয়াস ও উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা প্রদান এবং শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিতকরার লক্ষ্যে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

    সিনেটের এ বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার রাজস্ব ব্যয় সংবলিত প্রস্তাবিত বাজেট এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন। দুদিনব্যাপী অধিবেশনের সমাপনী দিনে এ বাজেট অনুমোদন করা হয়।

    অধিবেশনে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ সিনেট সদস্যরা বক্তব্য প্রদান করেন।